এখানে মাঝে মাঝে গান পোস্ট করবো। যেকোনো রকম। এমনিই।কাল রাতে কয়েকটা গানের কথা মনে পড়লো বলে ইউটুবে শুনে নিলাম । Mission Impossible সিনেমার সাউন্ডট্রাকের অডিও ক্যাসেট কিনেছিলাম। এই সময়ে মাগাদের অ্যানথেম হতে পারতো No Government। কিন্তু ওরা বোঝে :)।আমার মনে পড়ছিলো পাল্পের আই স্পাই গানটা whicch has not aged well at all. টেলিগ্রাফ আর ল্যান্ডলাইন ফোনের মত। যেহেতু বিশ্লেষণ সব এআই করবে। you me world war 3 গানটাও শুনলাম lets talk deep and meaningful things বলে :D । আরো মনে পড়লো white town এর ইওর ওম্যান। কিন্তু তখন শোনা হয়নি , নাম শিল্পী কিছুই মনে পড়ছিলো না। শুধু হয়তো ভুল শোনা ... ...
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শেষযাত্রায় মানুষের মিছিল দেখে অভিভূত কেউ কেউ বাঙালি সংস্কৃতির প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছেন। সেই মিছিল সেদিনই শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু এর পাশাপাশি আরও একটা মিছিল চলেছে। সে মিছিল দেখতে হলে ফেসবুকে উঁকি দিতে হবে। সেখানে একপাল মানুষ প্রয়াত শিল্পীর পরিবার-পরিজন সম্পর্কে জানার জন্য, তাঁর জীবনের অন্ধকার কোণ খুঁজে বের করার জন্য অতীব উদগ্রীব। কুৎসার অনুসন্ধানে মরিয়া এই কৌতুহলি প্রজাতির এখন দিনরাত একাকার। কে বলে বাঙালির জানার আগ্রহ মরে গেছে? ... ...
ওয়ার্ক ফ্রম হোম চলছে এখনও। সকাল বিকেল অফিসের অনলাইন মিটিং করছি। অফিস মানে মিটিং তো ছিলই, ইদানিং মিটিং মানেই অনলাইন হয়েছে। মিটিং-এর আলোচ্য বিষয়বস্তু অবশ্য কোনোদিনই আমার মাথায় ঢোকে না। অফিসে বসে মিটিং করলে মাথার ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। আর অনলাইনে ইয়ার প্লাগ বেয়ে এ কানে ঢুকে ও কান দিয়ে বেরিয়ে সার্কিট কমপ্লিট করে। একটু কান কটকট করলেও মাথাটা বেশ হালকা থাকে সারাদিন। ব্যান্ডউইড্থ না কি একটা কারণে ক্যামেরা বন্ধ থাকায় মিটিংগুলো খুব আরামের হয়। সে যাইহোক, কয়েকদিন আগে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা হল এখানে। পরদিনের মিটিং-এ অফিসের এক গুরুজন সঠিক পরিকল্পনা, সময় আর সম্পদের সদ্ব্যবহার, খরচ কমানো, দক্ষতা বৃদ্ধি, 'ওয়ার ফুটিং'-এ ... ...
লীলা মজুমদার বলেছিলেন "পাঁউরুটি হল অনেকগুলো ফুটোকে ময়দা দিয়ে জুড়ে রাখা।" জয়া মিত্র জিজ্ঞাসা করেছেন, "কবিতাও কি নয় অনেকগুলো চুপ করে থাকাকে কয়েকটা মাত্র শব্দ দিয়ে জুড়ে রাখা?" আমাদের মাস্টারমশাই কমলকুমার মজুমদার বলতেন -- "একমুঠো হারিয়ে যাওয়া মানুষকে মিলিয়ে দিয়ে... দুদন্ড জিরিয়ে নিয়ে... দুটো বিড়ি হাতবদল করে নিতে দেবার সরাইখানার নাম হলো গে পথ.."। আর একদিন, কমলকুমার আমাদের craft র ক্লাস নিচ্ছিলেন। হঠাৎ বললেন -- " ' পথ '- কি জানো? পথ হলো পথিকের মাঠের পাশ দিয়ে হেঁটে চলা আর আলপথে সহসা দেখতে পাওয়া আরেকজন পথিক কে ডেকে বলা -- আমি চললাম... তুমিও চলে এসো । " কিছুই না বুঝে বলেছিলাম -- " আর কলকাতা হলে ? ... ...
আমার বিদ্যে, বুদ্ধি আর বানানের বহর দেখে অনেকেরই বদ্ধ ধারনা, আমি বোধহয় স্কুলের ঘন্টা শুনি নি। কিন্তু বিশ্বাস করুন আমি স্কুলে পড়েছি, যদিও সেটা কোনো কুলীন সম্প্রদায়ের স্কুল নয়। নেহাতই সাদামাটা এক বাঙলা মাধ্যম স্কুল।
এইসব সময়ে রাজ কাপুরের কথা মনে পড়ে। বা রাজেশ খান্না। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় মারা যাবার পর বাংলায় টানা শোকজ্ঞাপন চলছে। পশ্চিমবঙ্গ নয়, বাংলায়, এপার এবং ওপারে। সামাজিক মাধ্যমে, গণমাধ্যমে। কিন্তু তথাকথিত সর্বভারতীয় মাধ্যমে তার কণামাত্র নেই। কোনো খবর নেই, বলা যাবেনা হয়তো, এক-আধ লাইন কোথাও বলা হয়ে থাকতেই পারে, কে আর টানা টিভি দেখে, বা সমস্ত চ্যীনেল দেখে। কিন্তু মোটের উপর অভ্রংলিহ নীরবতা। যেন কোথাও কিচ্ছু হয়নি। কোনো মহীরূহ পতন? বালাই ষাট। এইসব সময়েই রাজকাপুরের কথা মনে পড়ে। বা রাজেশ খান্না। সর্বভারতীয় মাধ্যমের অশ্রুজল ইত্যাদি। সেই আশির দশক থেকে ২০১২। কিছু বদলায়নি। সর্বভারতীয় টিভি দেখে মনে হয়েছে, এঁরা ছিলেন 'ভারতীয়' সিনেমার রূপকার। ... ...
ভাসানের দিন মন খারাপের থেকেও অনেক বেশি জাঁকিয়ে বসে ভয়। দিনের আলো নিভে আসতেই গ্রাস করে আতংক। সমীর কাকুকে চেনেন? ফল বিক্রি করত। কম টাকা চাঁদা দিয়েছিল বলে পিটিয়ে ছিল ক্লাবের ছেলেরা, এই ভাসানের দিনেই।
আড্ডা দেবেন ব'লে, কাল সন্ধ্যেবেলা,"পুলু"-কে ডেকে নিলেন "অরুণ"-দা ! কজন ছিলেন মনে, অন্যজন মননে ! বাঙালির হৃদয়াকাশে, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মায়াময় বিভ্রম সততই উপমায় মহান। আমরা আড্ডাবিলাসী .... তর্কপ্রিয় --- ইষ্টবেঙ্গল-মোহনবাগান / কংগ্রেস-সিপিএম এবং অবস্যই উত্তম -সৌমিত্র।