আমি নর্মাল ডেলিভারি চাই দীপঙ্কর সদ্য শীতের রাত। কল্যাণীর বাতাস ঝুপঝুপে কুয়াশায় ঢাকা। একটা ভাঙাচোরা বাতিল হওয়া সরকারি ছোট্ট কোয়ার্টারে একটা ক্লাবপার্টি চলে । বকফুলের গাছ তার দুয়ারে । ম--স্ত লম্বাটে কম্পাউন্ড । ইতস্ততঃ ভুঁইফোড় কিছু খর্জুর বিথীকা - ইতস্ততঃ সঞ্চারমান ল্যান্টেনা ক্যামেরা ঝোপ - বাকি সব হাঁটু সমান চোরকাঁটায় ঢাকা । বাইরের রাস্তার পাশে একটা মস্ত পিপুল গাছ তার মনুমেন্ট সদৃশ গুঁড়ি নিয়ে অতন্দ্র চারপাশে দূরে দূরে ল্যাম্পপোস্টে হলুদ আলো ঝুলে আছে । ... ...
ক্ষুধার সূঁচ ছেঁড়া কাঁথা সেলাই করে / ভক্তজনে অবতারের পাঁচালী পড়ে
অন্য ভাষার কবিতারা -- লিখেছেন ফয়েজ আহমেদ ফয়েজআমরা পাই সারগর্ভ উপদেশ, জ্ঞানের ফুলঝুরি, আমাদের কি করা উচিত ছিল, তার লম্বা ফিরিস্তি, ভবিষ্যতে কি শিক্ষা নেওয়া উচিত, নিজেকে কেমনভাবে পাল্টে নেওয়া উচিত, কি করলে এমনটা ঘটতো না। এ জেনে আমার কি লাভ? আমি কি পালটে ফেলবো এসব জেনে? আমি বিষ খেয়েছি, জেনে বা না জেনে, কিন্তু তোমার কাছে আমি শুধু একটু উপশম চাই। তার বদলে আমরা পাই, পুকুরে ডুবতে থাকা আপনাকে না বাঁচিয়ে, সাঁতার না জেনে আপনার পুকুরে নামা খুব অন্যায় হয়েছে, সেই মতামত, পুকুরের পাড়ে সাবধানে দাঁড়িয়ে থাকা লোকেদের থেকে। আর তারা কে? তারা বলে তারা আপনার বন্ধু। বলে, ... ...
নৈঃশব্দের পত্রগুচ্ছ আমাদের বই। পাওয়া যাচ্ছে কলেজ স্ট্রিট ডট নেটে।
কৃষকের কাছে আমার অন্নঋণ কৃষকেরা পাক ফসলের সোনাদিন
এটা আসলেই মজার বিষয় এখনো কনফিউজড হওয়া যায়! কেন যেন তবু খুশি লাগছে না। খুশি লাগছে না। একটা জিনিস অন্য জিনিসগুলোকে ছুঁয়ে ফেলে, যেন কোন কম্পুটার ভাইরাস। কনফিউশান ভাইরাস। একটা ডাকাত বাজার করতে যাবার সময় টের পেতে পারে বাজারের কোনো দোকানে হয়তো এবার ডাকাতি হবে, যে ভালো মানুষ সে টের পাবে না। পাঁকা গোয়েন্দাও হয়তো টের পাবে কিন্তু তেমনটা কেবল হয়তো গল্পেই হয়।তাহলে জেনে লাভ কি? বুঝে লাভ কি? যখন যে অনুভব করে সেই অপরাধী। তাহলে নাম্ব হয়ে যাওয়াই ভালো। চুপচাপ টুপটাপ তব্দা - থামিয়ে দাও সব কিছু, স্টপ! ফিরে যাই একেবারে ছোটবেলায়। ... ...
দিল্লিতে বিশাল কৃষক আন্দোলনের পুরোভাগে রয়েছে পাঞ্জাবীরা, বাঙলার কৃষকদের দেখা নেই। তাহলে এবার বলতে দ্বিধা কোথায়পথ দেখাচ্ছে পাঞ্জাব।
আজ তেসরা ডিসেম্বর, ২০২০ ভেঙে পড়া মাঝেরহাট সেতু নতুন কলেবরে নতুন নামে উদ্বোধন হল। এখন সেতুটির নাম হয়েছে জয়হিন্দ সেতু। এই সেতু ৪ই সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে ভেঙে পড়েছিল। ঐ ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়। জখম হয়ে ছিলেন আরও বেশ কয়েকজন।
তখন পৃথিবী সুস্থ ছিল। কোনরকম কোন অদৃশ্য ভাইরাস মানুষ নামের প্রানীটাকে কাবু করতে পারে নি তখন। আমি প্রতিদিন ট্রেনে অফিস যেতাম। অটো থেকে নেমে হেঁটে যেতাম স্টেশনে তারপর সেখান থেকে ট্রেন ধরে অফিস।
এই গ্রীষ্মে, ইলন মাস্ক আলেপেতে ছিলো ন্যাশনাল গভর্নরস এসোসিয়েশন এর সাথে, আর তাদেরকে বলেছে যে, “এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) মানবসভ্যতার অস্তিত্বের জন্য একটা মৌলিক / গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি”। কেয়ামত-এসে-পড়লো / সব-শেষ-হয়ে-গেলো নিয়ে হইচইকারীরা এধরনের সতর্কবানী দিয়ে আসছে বেশ কিছুকাল যাবত, কিন্তু অতীতে তারা কখনো এত বেশি দৃশ্যপটের দখল নিতে পারে নি। ইলন মাস্ক ঠিক বদমাইশ কম্পিউটার যেমন দ্যটার্মিনেটর সিনেমার স্কাইনেট টাইপের বদ কম্পিউটারের উত্থান নিয়ে চিন্তিত না। ... ...
পথ নিয়ে কতগুলো লাইন মনে পড়ে? সেই 'আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ' থেকে শুরু করে 'আমার পথে পথে পাথর ছড়ানো' অবধি? রবীন্দ্রনাথ আমাদের শিখিয়ে গিয়েছেন 'পথের প্রান্তে আমার তীর্থ নয়, পথের দুপাশে আছে মোর দেবালয়'
শেষ রাতের দিকে আঁধি উঠেছিল। ক্ষুব্দ হাওয়ার বদ্ধ জানালা সার্সিগুলির উপর ধমাদ্ধম আঘাত। তারপর ফাঁক ফোঁকর ছিদ্র খুঁজে ধুলো হাওয়া ঢুকে আনন্দকুঞ্জ এপার্টমেন্টের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরগুলির মধ্যে নিদ্রিত লোকগুলিকে জাগিয়ে তুলে দিল দিল্লীর আঁধি। নিদ্রা চোখে মানুষগুলি ছোটাছুটি করলো কিছুক্ষন এ ঘর থেকে ও ঘরে, রান্না ঘরে, বাথরুমে, এখানে ওখানে, খোলা আধখোলা জানালাগুলি বন্ধ করতে।৫নম্বর গেটের গায়ে গুলমোহর গাছগুলির ডালপালা ভেঙ্গে পড়ার সশব্দ আওয়াজ শুনেছে অনেকে। তারপরেই তো বিজলী চলে গেল। ধক ধক শব্দে বন্ধ হয়েছে এসি। ইনভারটারের জোরে কিছু সিলিং ফ্যান ঘুরে যাচ্ছে আপন মনে। বাইরে আরো কয়েক মিনিট মাতামাতি করার পর হাওয়ার শান্ত হয়েছে। মৃদু মৃদু মেঘের আওয়াজ ভেসে আসছে দূর থেকে। ... ...
আলু নামটা কানে যেতে কেমন দাত বেরিয়ে আসে না। কিন্তু এখন তো আলুই বাঙ্গালী কে নাকের জলে চোখের জলে করে ছাড়ছে। আলুর যতই দোষ থাক বাঙালির পাতে সে ভালো মতন জায়গা করে নিয়েছিল।আলুভাতে,আলুপোস্ত বা মাছের ঝোলে আলু ছাড়া চলবে না।তাই সূদুর ডাচ দেশ থেকে সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে এসেও সে বঙ্গ বিজয় করে ফেলেছে।গরীবের খাবার ভাত ডালের সঙ্গে আলুভাতে অথবা কুলীন পোস্তর সঙ্গে সহাবস্হানে তার জুড়ি মেলা ভার।এখন সেনসেক্সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আলু ও দৌড়াচ্ছে।তাই প্রার্থনা ফিরে এস আলু বাঙালির পাতে। ... ...
- ও পাথ্থরে আলতা জল দিছ বুঝি? দুধ ও দিবা - দুধ আলতা হওন লাগব তো? বউ আইস্যা পাও দিব ......... তোবড়ানো টিনের একটু কানা উঁচু থালার লাল রঙের জল আস্তে আস্তে ছুঁয়ে যাচ্ছে সুমতিবালার আঙ্গুল। মনে মনে সে কথা বলে যাচ্ছে - শব্দহীন। তার ঠোঁট সামান্য কাঁপছে। কাঁপছে তার হাত। আঙ্গুল গুলো ঠাণ্ডায় ভিজে যাওয়া কাগজের মত কোঁচকানো – কিন্তু লাল রঙে রঙিন। ... ...
শীতের শুরুতেই বেশ ভালো ট্যাংড়া মাছ পেলাম ভাইয়ের কাছে। ভাই। নামটা তার পোষাকি, না নিকনেম - জানি না। জানার চেষ্টাও করি নি কখনো। মাছওয়ালা। ভাটপাড়ার ধুনি মুখুজ্জের রোয়াকে বসে মাছ বেচে। ট্যাংড়া মাছ দেখলেই আমি বড্ড স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ি। শীতের বড়ো তেলালো ট্যাংড়া বড্ড ভালোবাসতেন জ্যোতিবাবু। নৈহাটি বাজারের সুকুমারদার কাছে একটা সময় ছিল, যখন শীতে বড় ট্যাংড়া আসলেই তা থেকে খানকতক যেত ইন্দিরা ভবনে। ... ...
আরএসএস তার হাজার রকমের সহযোগী সংগঠন এবং রাজনৈতিক অঙ্গ বিজেপিকে নিয়ে '৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে। বাবরি মসজিদের ধ্বংসস্তুপ ঘিরে হিন্দু সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদি শিবিরের যে কাঙ্খিত অভিষ্পা ছিল, সেটি দেশের সর্বোচ্চ আদালত, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে তারা পেয়ে গেছে। গোটা বিশ্বের মতোই, আমাদের দেশ, ভারত যখন কোভিড ১৯ জনিত অতিমারীতে জর্জরিত, তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী বাবরি মসজিদের ধ্বংসস্তুপের উপর তথাকথিত রামমন্দিরের ভিত স্থাপন করেছেন। আরএসএসের রাজনৈতিক কর্মসূচি 'সাম্প্রদায়িকতা'-র পূর্ণাঙ্গ প্রয়োগের পথে এই ভাবে দেশের সরকার আত্মনিয়োগ করেছে। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানকে সম্পূর্ণ বুড়ো আঙুল দেখিয়ে খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বাবরি মসজিদের ধ্বংসস্তুপের উপর এই তথাকথিত রামমন্দিরের ভিতপুজো আমাদের দেশকে সংখ্যাগুরুর আধিপত্যবাদের এক ভয়ঙ্কর যুগের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে। ... ...
কদিন হল অফিস বাসেই যাচ্ছি। অর্থে কুলাচ্ছে না। কত যোগান দেব ক্যাবের টাকা। যাক সেসব দুঃখ শুনিয়ে আর লাভ নেই। আজকে বাসে উঠে দেখলাম বেশ ফাঁকা। যদিও প্রতিদিন সকালে ফাঁকাই থাকে। কারণ, সিটের জন্য সকাল বেলা ভাইকে দৌড় করাই বাসস্ট্যান্ডে।
হেমন্তের সন্ধ্যায় টুপ করে আধার ঘনালো / মনে পরে সেইদিনগুলি