আজ কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। এই পুজো সাধারণ লক্ষ্মী পুজোর থেকে বিলক্ষণ আলাদা। কোজাগরী অর্থে 'কো জাগর্তি' বা 'কো জাগো রে?' বলা হয় স্বয়ং মা লক্ষ্মী আসেন মর্ত্যলোকে। ঘরে ঘরে গিয়ে দেখেন তাঁর আরাধনায় কোন কোন গৃহস্থ সারারাত জেগে আছে। যার কিছু নেই সে কিছু লাভের আশায় জেগে থাকেন আর যার অনেক কিছু সম্পত্তির মালিক, সে সব আগলে জেগে থাকেন। এই বার মা লক্ষী নজরদারি করতে এসেছেন হুতুম পাড়ায়। এই 'কে জাগো?' - এই মামনি তুমি তো বেশ মিষ্টি। তা পাশা খেলছ না? - হোয়াট ইস পাশা? অ্যান্ড হু আর ইউ উইথ অল দিস জাঙ্ক জ্যুয়েলরি? ... ...
আঁধার-বরণ / পৃথিবীতে যত যুদ্ধের দল / পৈশাচিক উল্লাস নিয়ে / মিছিলের পথে পথে / উড়িয়েছিল পথের ধূলা
ক্ষমা করো প্রিয়া। / হয়তো কোনোদিন মিলবে না নয়নে নয়ন আর— / হয়তো ঐ কালো চোখে / দেখতে পাবো না আমার প্রতিবিম্ব। / ক্ষমা করো প্রিয়া।
কথায় বলে তেত্রিশ কোটি দেবদেবী। হিন্দু শাস্ত্র ঘাঁটলে দেখা যাবে হিন্দুরাও একইশ্বরবাদীই। মুস্কিল হলো বাঙালিদের একেবারে নিজস্ব কিছু দেবদেবী আছেন, যাদের কথা কোনো শাস্ত্রে উল্লেখ করা নেই, তাঁরা বোধহয় সংখ্যাটা এতটা বাড়িয়ে দিয়েছে। লৌকিক দেবদেবীরা আসলে স্থানীয় চাহিদা থেকেই হাজির হয়েছেন। যেমন, এই কুমির পূজার কথা বলতে গিয়ে বলা যায়, সুন্দরবনের মানুষ, জলে কুমির ডাঙায় বাঘ নিয়ে বসবাস করেন। তাই অন্তত মৎস্যজীবি সম্প্রদায় কুমিরের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য এই পুজার আয়ােজন করেন।সুন্দরবনের মূর্তিমান যমদূত কুমিরের হাত থেকে রক্ষা পাবার বিশ্বাসে জল ও বনজীবী মানুষেরা কুমির-দেবতা "কালু রায়"-এর পূজা করে। কালু রায় - দক্ষিণ রায়ের মত এর মূর্তি একেবারে মানবী, ... ...
পদ্ম পাপড়ি দু একটি স্খলিত । প্রস্তরকলসের গাত্রে মহাকালের দংশনচিহ্ন । এইপ্রকার ভগ্ন অর্ধভগ্ন কলসগুলি সারিবদ্ধভাবে ভূমিতে দন্ডায়মান । পরস্পর শুধু নিম্নস্বরে আলোচনা করে একদা মন্দিরশীর্ষে শোভিত হবার প্রাচীন গৌরবস্মৃতি । অযত্ন লালিত ধুলিধুসরিত অগণিত প্রস্তর আমলক । মন্দিরদ্বারের ঊর্ধ্বস্তরের নির্মাণে প্রয়োজন হত । যতদূর দৃষ্টি প্রসারিত হয় ধু ধু প্রান্তর । কে বলবে ইতিহাস ? ক্ষুদ্র দুচারটি শিশু শুধু সংরক্ষণাগারের দ্বার খুলতে সক্ষম । সত্যি ইতিহাস কে বা জানে ! কত নিগন্থ কত আজীবকের প্রয়াস ব্যর্থ হল । কতবার সভা বসল --পাটলিপুত্রে , গুজরাতের বল্লভীতে । কত 'অঙ্গ' রচনা হল । বার বার হারিয়ে গেল । কতবার নিহ্বান --বিভাজন । ... ...
করোনার জন্য মুখে মাস্ক পরেই ছবি পোস্ট করতেন রবিঠাকুর, এই সুযোগে কোনো নেতা নাকি দাড়ি লাগিয়ে রবিঠাকুর সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাজারে, অনেক নাকি তাকে বিশ্বন্যাতা বলেই ডাকতে শুরু করেছেন। এতেই বেজায় চটেছেন রবিঠাকুর, তবে একটু ভয়ও পেয়েছেন। নারদ আবার পিনিক দিয়েছেন, স্বর্গে নাকি আর Z ক্যাটাগরির VIP হিসেবে রাখা হবে না তাকে। কারণ ভারতের জাতীয় সঙ্গীত থেকে তাঁর জনগণমন বাদ গেলে, তার TRP কমে যাবে। ... ...
শতাব্দী হতে আমি খেয়ে আসছি মানুষের ইতিহাস / কুঁড়েঘরগুলো যখন জলের তলায়, তখন এখানে বিকেল ওদিকে বিষন্ন বেলা
বুকের থেকে কিয়দ কাছে / লোকটি যেন স্বভাব বশেই তাকিয়ে আছে
কাল রাতে বহু বার দেখা সিনেমা "গল্প হলেও সত্যি" আবার দেখছিলাম। আমাদের বিশেষ করে বাঙালিদের ইন্টালেকচুয়াল হবার মধ্যে একটা প্রছন্ন গর্ব থাকে। তাই কোন সাধারণ মানুষের সাধারণ কাজকে তথাকথিত ইন্টালেকচুয়ালরা তাচ্ছিল্য করেন। সিনেমাতেও দেখি ভানু বন্দোপাধ্যায়-এর ইন্টালেকচুয়াল ভাইপো তাচ্ছিল্য করে বলত নন্ ইন্টালেকচুয়ালদের মতো কাজ! এই ব্যাপারটি কে ভানুবাবু অসাধারণ ভাবে ব্যঙ্গ করেছেন। যখন তার ইন্টালেকচুয়াল ভাইপো জিগ্যেস করছেন ছোটকাকা তুুমি কি করছ? ভানু অবলীলায় উত্তর দেন : নন্ ইন্টালেকচুয়ালদের মতো বিড়ি টানছি!সত্যি তথাকথিত ইন্টালেকচুয়ালরা তাদের উন্নাসিক মনোভাবের জন্য কখন যে সাধারণ মানুষের জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তা তারা নিজেরাই বোঝেন না। সব ব্যাপারে নিজেরাই শেষ কথা বলবেন তা কি ... ...
নৃত্যের তালে তালে , ইতিহাস কথাবলে: -- লিখেছেন Lipikaa Ghoshপ্রাচীন কাল থেকে নৃত্য ভারতীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্য । পুরোটা পড়ুন
প্রতিবার শীতকালে এইচ জি ওয়েলসের লেখা 'ওয়ার অব দ্য ওয়ার্ল্ডস্' উপন্যাসের কথা মনে পড়ে যায় আমার। শীত পড়ার আগে থেকে রোদে দিয়ে রাখা কম্বলের গায়ে কেচে রাখা ওয়ার পরানো নিয়েই আর কি! ওয়ার পরাতে পরাতে রীতিমতো ওয়ারই বেধে যাবার জোগাড়।
যতদূর অন্ধকারের শিরা উপশিরা ডুবে যায় নির্জন আলোর ভিতরে, / রাতের গভীরে চুপে স্বর্গের নির্ঘুম চিৎকার -
শহরটার প্রতিদিন আলাদা রূপ আবিষ্কার করি আমি। বড্ড রঙ পালটায় আমার তিলোত্তমা। সে কখনও খুব কাঁদে, আবার কখনও মন খুলে হাসে। যেমন বিচ্ছেদ করে, তেমনি আবার প্রাণ দিয়ে ভালোওবাসে। তাই হয়ত আমার শহরের অনেক রূপ। একভাবে তাকে বর্ণনা করা বড় কঠিন কাজ।