আমায় চিঠি দিও মালতীপাটপুরের ঠিকানায়, ওড্রদেশের বালির গায়ে লেগে থাকা লোনা জল, একটা জমিয়ে রেখো আমাকে দাফনই করো বা পুড়িয়েই দাও, তার আগে শেষবার শুদ্ধ করার তাগিদে -- লোনা হাওয়া আমার সয়ে গেছে।
অফিস থেকে ফিরে ফ্রেস হয়ে সবে একটু বসেছি। ল্যাপটপটা হাতে নেব কিনা ভাবছি। খুব টায়ার্ড লাগছিল আসলে আজকে। হঠাৎ পাশে থাকা গুপীযন্ত্রটা বেজে উঠল। তাকিয়ে দেখলাম আননোন নম্বর। মনটাকে ব্যোমকেশ বক্সি করে ফোনটা রিসিভ করে বললাম “হ্যালো।”
ফুটপাথের শন-পাপড়ি চুল মেয়েটা / কেঁদে চলেছে, কেঁদেই চলেছে...
আয়নায় দিনের মধ্যে মুখ দেখি / নিদেনপক্ষে সাতশোবার
যেমন মাপের মানুষ সেই মাপেই কথা বলছেন দিলীপ ঘোষ। লা কোস্টা পরলেই লা জবাবা হওয়া যাবে না। গঙ্গার ধারে সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে নাচন কোঁদন করলে পেটের চর্বি কমতে পারে গ্রে ম্যাটারের উন্নতি হবে না।কৃষি-প্রতিবাদের পাশে শঙ্খ ঘোষ, ব্যঙ্গ দিলীপের চলমান কৃষক প্রতিবাদের সমর্থনে সংহতি সমাবেশের ডাক দিয়েছেন বিদ্বজ্জন ও সংস্কৃতি জগতের একাংশ। কৃষকদের আন্দোলন এবং ওই সমাবেশের প্রতি সমর্থন জানিয়ে শুক্রবার বিবৃতি দিলেন শঙ্খ ঘোষ। এবং সঙ্গে সঙ্গে শঙ্খবাবুদের ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করতে আসরে নেমে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ! সদ্যই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন সম্পর্কে কুমন্তব্য করে যিনি সর্বজনীন পুরোটা পড়ুন ... ...
"বৈধ টিকিট কেটে ট্রেনে চড়তেও অওকাত লাগে মশাই..." হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। 'অওকাত' অর্থাৎ ক্ষমতা লাগে। যদি কেউ কষ্ট করে হলেও রাজধানী ট্রেনের টিকিট কেটে ফেলে। তাহলেও চড়তে পারবে কিনা, এটায় এখন বিস্তর সন্দেহ। কারণ পোশাকই আপনার পরিচয় বহন করবে। সেই পোশাক যদি অমলিন হয়, তাহলে বৈধ টিকিট সত্ত্বেও আপনি ঘাড় ধাক্কা খাবেন ট্রেনের দরজায়। উঠতে দেওয়া হবে না। ... ...
পরের মুখে ঝাল খাওয়ার বদ অভ্যেস অল্পস্বল্প থাকলেও লংকার ঝাল আমায় বড় ঝামেলায় ফেলে। পশ্চিম ভারতের একটা গঞ্জ মতো জায়গায় অফিসের কাজে গিয়ে আমি এক জব্বর লংকাকাণ্ডের মধ্যে মুখ পুড়িয়ে ফিরেছিলাম কোন পুণ্যবলে কে জানে। সাল দু’হাজার তিন, অক্টোবরের এক ভোরবেলায় বাস থেকে নামলাম প্রায় জনমানবহীন বাসস্ট্যান্ডে। শুনেছিলাম, শহরের মধ্যে একটা ‘লজ’ আছে। দাঁড়িয়ে থাকা একমাত্র অটোতে চড়ে কপাল ঠুকে রওয়ানা দিলাম সেই দিকে। পৌঁছলাম একটা তিনতলা বাড়ির সামনে। ... ...
আজ কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। এই পুজো সাধারণ লক্ষ্মী পুজোর থেকে বিলক্ষণ আলাদা। কোজাগরী অর্থে 'কো জাগর্তি' বা 'কো জাগো রে?' বলা হয় স্বয়ং মা লক্ষ্মী আসেন মর্ত্যলোকে। ঘরে ঘরে গিয়ে দেখেন তাঁর আরাধনায় কোন কোন গৃহস্থ সারারাত জেগে আছে। যার কিছু নেই সে কিছু লাভের আশায় জেগে থাকেন আর যার অনেক কিছু সম্পত্তির মালিক, সে সব আগলে জেগে থাকেন। এই বার মা লক্ষী নজরদারি করতে এসেছেন হুতুম পাড়ায়। এই 'কে জাগো?' - এই মামনি তুমি তো বেশ মিষ্টি। তা পাশা খেলছ না? - হোয়াট ইস পাশা? অ্যান্ড হু আর ইউ উইথ অল দিস জাঙ্ক জ্যুয়েলরি? ... ...
আঁধার-বরণ / পৃথিবীতে যত যুদ্ধের দল / পৈশাচিক উল্লাস নিয়ে / মিছিলের পথে পথে / উড়িয়েছিল পথের ধূলা
ক্ষমা করো প্রিয়া। / হয়তো কোনোদিন মিলবে না নয়নে নয়ন আর— / হয়তো ঐ কালো চোখে / দেখতে পাবো না আমার প্রতিবিম্ব। / ক্ষমা করো প্রিয়া।
কথায় বলে তেত্রিশ কোটি দেবদেবী। হিন্দু শাস্ত্র ঘাঁটলে দেখা যাবে হিন্দুরাও একইশ্বরবাদীই। মুস্কিল হলো বাঙালিদের একেবারে নিজস্ব কিছু দেবদেবী আছেন, যাদের কথা কোনো শাস্ত্রে উল্লেখ করা নেই, তাঁরা বোধহয় সংখ্যাটা এতটা বাড়িয়ে দিয়েছে। লৌকিক দেবদেবীরা আসলে স্থানীয় চাহিদা থেকেই হাজির হয়েছেন। যেমন, এই কুমির পূজার কথা বলতে গিয়ে বলা যায়, সুন্দরবনের মানুষ, জলে কুমির ডাঙায় বাঘ নিয়ে বসবাস করেন। তাই অন্তত মৎস্যজীবি সম্প্রদায় কুমিরের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য এই পুজার আয়ােজন করেন।সুন্দরবনের মূর্তিমান যমদূত কুমিরের হাত থেকে রক্ষা পাবার বিশ্বাসে জল ও বনজীবী মানুষেরা কুমির-দেবতা "কালু রায়"-এর পূজা করে। কালু রায় - দক্ষিণ রায়ের মত এর মূর্তি একেবারে মানবী, ... ...
পদ্ম পাপড়ি দু একটি স্খলিত । প্রস্তরকলসের গাত্রে মহাকালের দংশনচিহ্ন । এইপ্রকার ভগ্ন অর্ধভগ্ন কলসগুলি সারিবদ্ধভাবে ভূমিতে দন্ডায়মান । পরস্পর শুধু নিম্নস্বরে আলোচনা করে একদা মন্দিরশীর্ষে শোভিত হবার প্রাচীন গৌরবস্মৃতি । অযত্ন লালিত ধুলিধুসরিত অগণিত প্রস্তর আমলক । মন্দিরদ্বারের ঊর্ধ্বস্তরের নির্মাণে প্রয়োজন হত । যতদূর দৃষ্টি প্রসারিত হয় ধু ধু প্রান্তর । কে বলবে ইতিহাস ? ক্ষুদ্র দুচারটি শিশু শুধু সংরক্ষণাগারের দ্বার খুলতে সক্ষম । সত্যি ইতিহাস কে বা জানে ! কত নিগন্থ কত আজীবকের প্রয়াস ব্যর্থ হল । কতবার সভা বসল --পাটলিপুত্রে , গুজরাতের বল্লভীতে । কত 'অঙ্গ' রচনা হল । বার বার হারিয়ে গেল । কতবার নিহ্বান --বিভাজন । ... ...
করোনার জন্য মুখে মাস্ক পরেই ছবি পোস্ট করতেন রবিঠাকুর, এই সুযোগে কোনো নেতা নাকি দাড়ি লাগিয়ে রবিঠাকুর সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাজারে, অনেক নাকি তাকে বিশ্বন্যাতা বলেই ডাকতে শুরু করেছেন। এতেই বেজায় চটেছেন রবিঠাকুর, তবে একটু ভয়ও পেয়েছেন। নারদ আবার পিনিক দিয়েছেন, স্বর্গে নাকি আর Z ক্যাটাগরির VIP হিসেবে রাখা হবে না তাকে। কারণ ভারতের জাতীয় সঙ্গীত থেকে তাঁর জনগণমন বাদ গেলে, তার TRP কমে যাবে। ... ...
শতাব্দী হতে আমি খেয়ে আসছি মানুষের ইতিহাস / কুঁড়েঘরগুলো যখন জলের তলায়, তখন এখানে বিকেল ওদিকে বিষন্ন বেলা
বুকের থেকে কিয়দ কাছে / লোকটি যেন স্বভাব বশেই তাকিয়ে আছে
কাল রাতে বহু বার দেখা সিনেমা "গল্প হলেও সত্যি" আবার দেখছিলাম। আমাদের বিশেষ করে বাঙালিদের ইন্টালেকচুয়াল হবার মধ্যে একটা প্রছন্ন গর্ব থাকে। তাই কোন সাধারণ মানুষের সাধারণ কাজকে তথাকথিত ইন্টালেকচুয়ালরা তাচ্ছিল্য করেন। সিনেমাতেও দেখি ভানু বন্দোপাধ্যায়-এর ইন্টালেকচুয়াল ভাইপো তাচ্ছিল্য করে বলত নন্ ইন্টালেকচুয়ালদের মতো কাজ! এই ব্যাপারটি কে ভানুবাবু অসাধারণ ভাবে ব্যঙ্গ করেছেন। যখন তার ইন্টালেকচুয়াল ভাইপো জিগ্যেস করছেন ছোটকাকা তুুমি কি করছ? ভানু অবলীলায় উত্তর দেন : নন্ ইন্টালেকচুয়ালদের মতো বিড়ি টানছি!সত্যি তথাকথিত ইন্টালেকচুয়ালরা তাদের উন্নাসিক মনোভাবের জন্য কখন যে সাধারণ মানুষের জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তা তারা নিজেরাই বোঝেন না। সব ব্যাপারে নিজেরাই শেষ কথা বলবেন তা কি ... ...