রোদ ছিটিয়ে আলো ছরায়। / আগুনকে ভয় পায় সবাই।
পথের এখনও ক্ষত শুকায়নি I কয়েক ক্রোশ হেঁটে পরিযায়ীদের I আদুর পায়ের যে রক্ত চুঁইয়ে I মাটি ভিজেছিল... I এতটাই ছোঁয়াচে, তার শরীরে পচন ধরেছে I হাঁ হয়ে আছে গভীর ক্ষত! কাল হেঁটেছিল পরিযায়ীরা I আজ সে পথে দিয়ে হাঁটছে চাষারা I সেই নগ্ন পা I সেই ফাল হয়ে যাওয়া গোড়ালি I চুঁইয়ে পড়া রক্ত I এ রক্তের স্বাদ তার চেনা এক পশলা রক্তে ভিজে I পথ যখন সোঁদা গন্ধ ছড়ায় I বুঝবেন বিপ্লব এসে গেছে I খড়গ হাতে প্রস্তুত হচ্ছে রাষ্ট্র I টান টান করে নিচ্ছে ক্ষমতার পাঁজর I অলিন্দে বিষ নিঃশ্বাস I চোয়াল শক্ত হচ্ছে চাষাদেরও I শিরদাঁড়ায় আত্মবিশ্বাস ব্ল্যাক লাইভস ... ...
কবিগুরুর পুরাতন ভৃত্য কবিতাটি প্রায় সকলেই পড়েছেন। তার অনুকরণেই এই বিনম্র প্রয়াস । বর্তমান কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সাথে মিল খুঁজে পেলে তা অনভিপ্রেত .................................................................................পুরাতন কেষ্টরমিত চট্টোপাধ্যায় পাহাড়প্রমান চেহারা যেমন তেমনি গলার জোরদেখলেই ওকে বিরোধীরা সব আঁটেন ঘরের দোরগেরুয়া-লালেরা যতই চেঁচাক, শুনেও শোনে না কানেকালীঘাট থেকে বকুনি দিলেও, তবু না বারণ মানেদরকার হলে, ফোন করে শুধু একবার বলি ,'কেষ্টা!'বান্দা হাজির, দলবল নিয়ে, নিমেষেই সলভ কেসটা কোন বিরোধীকে কোথায় সরায়, কেউ তাহা নাহি জানেগেরুয়া কাপড়ে চোখের পলকে নীল সাদা ছেপে আনেসব গুণ তার , একটাই খালি ভীষন রকম দোষঅক্সিজেনটা ঠিকঠাক তার পায়না মাথার কোষগুড় জল দিয়ে বশ করে রাখে গোটা বীরভূম জেলাভোটের আগেই বাজে জয়ঢাক, ... ...
একদিকে কালী আর অপরদিকে বিবেকানন্দের ছবি রাখা তাঁর ঘরে। তিনি বরাবর ধারণ করেছেন বিবেকানন্দের আদর্শ, মনে করিয়েছেন সহযোদ্ধাদের। তিনি চট্টলায় বসে ছক কষছেন বিপ্লবের। বলছেন মা কালীর পূজা, গীতাপাঠ আর স্বামীজির কর্মযোগের বাণী পঠন সকলের কর্তব্য হওয়া প্রয়োজন। তিনি হলেন মাস্টারদা। মাস্টারদা সূর্য সেন। এরপর থেকে নিয়মিত সকলের ঘরে মা-কালীর ফ্রেমে বাঁধানো ছবি, স্বামী বিবেকানন্দের বই ও একখান গীতা থাকত। মাস্টারদা নিয়মিত উৎসাহিত করতেন গীতার মর্মকথা, স্বামী বিবেকানন্দের উদ্দীপনামূলক বক্তৃতাবলী পড়ার জন্য। যুবসমাজের আত্মবিশ্বাস গড়ার কারিগর স্বামীজি। সেই আত্মশক্তির ফল চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন। 'কেবল খাইয়া পরিয়া মূর্খের মতো জীবন-যাপন অপেক্ষা মৃত্যুও শ্রেয়ঃ; পরাজয়ের জীবন-যাপন অপেক্ষা যুদ্ধক্ষেত্রে মরা শ্রেয়ঃ'। আজ ১২ জানুয়ারি। যিনি ... ...
জ্ঞানীর জ্ঞানকে এমনভাবে ভয় কর, যেমনভাবে ভয় কর বীরের তরবারিকে!
একুশ, স্ফুরিত অগণন আশা / প্রকৃতির উপহারের মোড়ক / ভালবাসা।
ঠকেছি, বারেবারে, বিশ্বাস করে / আঘাত পেয়ে ফিরে এসেছি, আর যাব না মিছিলে, বলেপ্রতিজ্ঞা করেছি।
ঘন ঘন আয়না খোজা পুরুষটা ভুলে গেছে তাঁর বয়েস পঞ্চাশ পেরিয়েছে আমি তাকে সে কথাটা স্মরণ করাতে গেলে সে বলে 'মনের বয়েস বাড়ে না'