গুরু মেলে লাখে লাখেশিষ্য মেলা ভার!
কদিন ধরেই একটা ইমেইল পাচ্ছে শরন্যা। প্রেরকের নাম যেখানে জলফড়িং সেখানে যে কেউ হতে পারে। প্রথম প্রথম শুধু হ্যালো হাই চলত, এখন সেখানে শব্দ সংখ্যা বাড়ছে। শরন্যা রোজ তাতে একবার চোখ বুলিয়ে নেয় ও পরে যথারীতি ডিলিট করে দেয়। তবে প্রতিদিন মেইল খুললেই মনে হয়, আজ কি লিখতে পারে জলফড়িং...! ও নিজেও লেখালেখি করে ফেসবুকে। নেহাত শখ বশত। মা বাবা দুজনেই সাহিত্য অনুরাগী, তাই ছোটবেলা থেকেই গুচ্ছ বইয়ের ভেতর থাকতে থাকতে পড়ার একটা নেশা হয়ে গেছিল। পরে অবশ্য নানা কারণে এতে কিছু বিরতি হলেও লেখালেখি চলত। জিমেইলের এই অ্যাকাউন্টটা শুধু নিজের কাজের মেইলগুলো রাখার জন্য বানানো। ... ...
অত্যন্ত বিশ্বস্তসূত্রে আমি জানতে পেরেছি যে আপনাদের যুদ্ধাপরাধী সুভাষচন্দ্র বসুকে স্তালিন রাশিয়াতে ঢুকতে দিয়েছেন। এটি রাশিয়ানদের পক্ষে পরিষ্কার বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। যেহেতু রাশিয়া, বৃটিশ ও আমেরিকার সাথে মিত্রপক্ষেই ছিল সেহেতু তাদের এটা করা উচিত হয়নি। অনুগ্রহ করে এই ব্যাপারটি মনে রাখবেন এবং এই ব্যাপারে যা প্রয়োজনীয় ও সঠিক বলে মনে করবেন তাই করবেন। ... ...
ছলাৎ ছলাৎ জল এসে / পা ভিজিয়ে দিল / আমি শিহরিত হলাম / শীতলতায় নয়, তার আবেশে
শিয়ালদা বা পার্কস্ট্রিটে ওলা বুক করলে কোন মুসলিম ক্যাপ্টেনের নাম দেখলে ক্যানসেল করে দেবেনঃ বললেন অপর ওলা বাইক চালক। বিদ্বেষ কিভাবে জন্মায়? জাত- ধর্মের চেনা ন্যারেটিভ পারকরে বিদ্বেষের চারণ কতটা হতে পারে? তাত্বিক কথা নয়, প্রতিদিনকার যাপনে টের পাই। সকাল সাড়ে নটা নাগাদ বিআর সিং হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম।
প্রেক্ষাপট - মফস্বল শহর, হাসনাবাদ - পাড়ার চায়ের দোকান। দোকানদার - আবুল। ইঁটের দেওয়ালে টিনের ছাউনি। চারটে বেঞ্চ, একটা শক্ত চারপেয়ে টেবিল - যার উপরেই চা বানাবার সরঞ্জাম।
আমরা একজন নিভৃত নীরব শিল্পীর জন্মশতবর্ষ তারই স্বভাবপ্রকৃতির মতো নিঃশব্দে পেরিয়ে এলাম। অতিমারি আমাদের কতকিছু ভুলিয়ে দেওয়ার মতো এমন একটি সঙ্গীতসাধকের জন্মশতবর্ষও ভুলিয়ে দিল, এটা ভাবতেই একজন সঙ্গীতানুরাগী মানুষ হয়ে অন্তর্দহনে দগ্ধ হতেই হচ্ছে। জানিনা, আর কতদিনই বা আমরা এমনই আত্মবিস্মৃত থাকবো।এই অসামান্য নিভৃত সঙ্গীতসাধকের জন্ম ১৯২০ সালের ২০ অক্টোবর। তার আদি বাড়ি নদিয়ার রানাঘাট আর বড় হওয়া চাকদার মামাবাড়িতে। মামা কালিদাস গুহ-র জন্যেই সঙ্গীতের প্রতি ঝোঁক, একনিষ্ঠতা। কয়েক বছর পর, কলকাতার ভবানীপুরে চলে আসা। সেখান থেকেই শিল্পী হয়ে ওঠার সূচনা। প্রথম সঙ্গীতশিক্ষক মামা কালিদাস গুহ। কলকাতায় এসে তালিম পেলেন একে একে নিরাপদ মুখোপাধ্যায়, সঙ্গীতাচার্য তারাপদ চক্রবর্তী, পণ্ডিত চিন্ময় লাহিড়ীর ... ...
জানি ফিরবে না কেউ, চলে গেছে যে একবার, / জানি ডাকবে না কেউ, চিরচেনা প্রিয় ডাকনামে,
সবার জন্য আমি না আমার জন্য সবাই...
সেদিন রবিবার। দরজায় করাঘাত হল। আমি অবাক চোখে দেখলাম তাম্বুলী বাইরে দাঁড়িয়ে। অনেকদিন বাদ তাম্বুলী ফিরে এল। ফিরে এল একেবারে আটপৌরে সাজে। তাঁতের শাড়িতে, কপালে লাল টিপ আর চওড়া সিঁথি ভর্তির সিঁদুরে। আমি দরজা খুলে অবাক। অ
নতুনকে পেতে তার অজুহাত হলো জীবনের প্রয়োজনে প্রেম নিছকই একটা খেলা মাত্র!
ঘড়িতে সকাল আটটা । রান্নাঘর থেকে মা ডাক দিল দেবু..ও দেবু .. খোকা ও খোকা.. আরে ওঠ আজ না তোর ইন্টারভিউ । বালিশের তলা থেকে উঁকি দিয়ে দেখি সূর্য মহাশয় কোন সকালে উঠেছে । বিছানা ছেড়ে উঠে পড়লাম । দেবু আমার ডাক নাম । দেখলাম জানালার মধ্য দিয়ে সূর্যের কিরণ এসে পড়েছে পড়ার টেবিলে । টেবিলের মধ্যে আহামরি তেমন কিছু নেই । একটা খাতা তাতে ঘুমের ঘোরে রাত্রে লেখা কিছু অস্পষ্ট জড়ানো কয়েকটি লাইন । যা স্বয়ং বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পক্ষেও পাঠোদ্ধার করা সম্ভব নয় । ... ...
গিন্নী আমাকে বললে - "ভাব ভালবাসা আছে বলে দুধওয়ালা আমায় ঠকায় না। জানো ও আমায় কত কম দামে কত খাঁটি দুধ দেয়? আর কাউকে দেয় না। খাতির রাখতে হয় বুঝলে?"