প্রাণিজগতের সকল বর্গের মধ্যে কেবল মানুষকে স্বাতন্ত্র্যতা দান করেছে ভাষা। ভাষার প্রশ্নেই সে স্বাধীনতা দাবি করার পুরোহিত্য লাভ করে। আবার জাতিতে জাতিতে ভাষাই তাকে আলাদা করে তোলে। তাই ভাষার প্রশ্নে সচেতন মানুষ মাত্রই প্রতিক্রিয়াশীল। বাঙালির জাতীয়তাবোধ গঠনে পাটাতন হিসেবে কাজ করেছে বাংলা ভাষা। বিশেষত ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সালের রাজপথের আন্দোলন মূলত ভাষাকেন্দ্রিক। কঠিন প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে পাকিস্তান আন্দোলনে সফলতা লাভের পরপরই এই অঞ্চলে পুনরায় জনস্ফূর্ত আন্দোলন তাই বিশেষ আলোচনার দাবি রাখে। সাধারণের কাছে যদিও ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, প্রক্রিয়া, প্রতিক্রিয়া এবং সফলতা একটি মীমাংসিত বিষয়, ভাষার উদ্দেশ্য, প্রবাহমানতা, ব্যবহার, ব্যবহারবিধি এবং উপযোগিতার প্রেক্ষিতে ভাষা আন্দোলন এবং পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের কাটাছেঁড়া আবশ্যক। নিঃসন্দেহে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ... ...
সখী আঁতেল কাহারে কয় ?সেকি কেবলই দেড়েল হয় ?
" আমার ভাষা আমার অধিকার, বলে যাব, লড়ে যাব"...এটি এপারে চলতি শাহবাগ বিক্ষোভের একটি জ্বলন্ত শ্লোগান। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের কাশিমপুরে কারা হেফাজতে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুকে ঘিরে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে শাহবাগ। ২খবরে প্রকাশ, ফেসবুকে লেখালেখির কারণে গত বছর বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হন মুশতাক। এরপর ছয় দফায় তার জামিন আবেদন নাকচ করা হয়। গ্রেপ্তারের পর থেকেই তিনি কিছুটা অসুস্থ ছিলেন বলে জানা গেছে। এদিকে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও মুশতাক হত্যার বিচারের দাবিতে গত দুদিন ধরে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো লাগাতার বিক্ষোভ সমাবেশের মুখে শুক্রবার মুখ খুলেছেন সরকারের মন্ত্রীরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল সাংবাদিকদের বলেছেন, লেখক মুশতাকের মৃত্যুর জন্য কারা কর্তৃপক্ষ দায়ী ... ...
একফালি রোদ হাঁটে / জনপথ ধরে / খোলা জানালাকে অবজ্ঞায় / জানালার প্রেম মরে
পড়তে পড়তে একজনের লেখা বড্ড মনে ধরলো। দেখি বেশ সুন্দর আমার মনের কথাগুলোই তিনি লিখে রেখেছেন। ছোটদের মনের জগতের হদিশ বেশ জানেন তিনি। পাতা উল্টে নাম দেখলাম — লীলা মজুমদার। তাঁর লেখার ভাষাগুলো বসতে লাগলো মনের কোণে। তাঁর গল্পের ছোট্টদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হল।
আগুন মহানন্দে / শবদেহ ছোঁয়
ভালোবাসা ভুলভুলাইয়া / এমনই তার স্বভাব
রবি - জাতক ক্রূর, কৃতান্ত সদৃশ, শ্রবণশক্তিহীন, অতিমূঢ, সদা ক্ষুধিত, মস্তক ও চক্ষুরোগী, পরদ্বাররত এবং প্রবাসী হয়।
কোষ্ঠী শব্দের অর্থ গৃহ অর্থাৎ ঘর। এই কোষ্ঠ শব্দ হতেই কোষ্ঠী কথার উদ্ভব।
রুদ্রাক্ষ এর উপকার অনেক - রুদ্রাক্ষ শব্দটি দুটি শব্দের মিলনে সৃষ্টি হয়েছে। যেমন, রুদ্র + অক্ষ। রুদ্র, অর্থাৎ ভগবান শিব, এবং অক্ষ, অর্থাৎ নেত্র। একত্রে বলা হয় রুদ্রাক্ষ। সাধারণ মানুষ এই থেকেই জানে রুদ্রাক্ষ হল শিবের চক্ষু।
রবি থেকে শনি পর্যন্ত সবগুলি গ্রহের নিজ নিজ ঘর আছে বটে, কিন্তু রাহু ও কেতুর ঘর সম্পর্কে সুস্পর্ষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না।
মানব জীবনে বিভিন্ন সময় রাশি ও লগ্ন অনুযায়ী - এক এক গ্রহ এক এক স্থানে থাকেন। কুষ্ঠিতে রাশিচক্র অংকিত করার সময় তাতে রাশি ও লগ্ন স্থান দেওয়া হয়। তা থেকে যে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোন গ্রহ রাশি বা লগ্ন থেকে কতটা দূরে আছেন তা বিচার করা হয়। গ্রহদের এইভাবে রাশিস্থন ও ঘর পরিবর্তন অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে ফল জানা যায়। ... ...
তোরে ছুঁলি অই আঁচে আমাতে কি পাল্টি হয়
এটা রাজনীতি। পৈতৃক সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে ক্যাচাল না। অথচ সেভাবে ভাবতে একটুও অভ্যস্ত নই আমরা। আমাদের সোজা কথা; কংগ্রেস আমার পরিবারের অমুককে মেরেছিলো, সুতরাং আমার ভোট সবসময় লালেই পড়বে। অথবা সিপিএম বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছিলো আমার তমুক আত্মীয়কে, অতএব তৃণমূল ছাড়া আমি আর কাউকে ভোট দেবো না। দরজায় আমেরিকা দাঁড়িয়ে থাকলেও এর অন্যথা হবে না। চাষির ছেলে চাষি হোক না হোক, সিপিএমের ছেলে তো সিপিএমই হবে। এই প্রসঙ্গে মনে পড়ে গেলো কমরেড অনিল বিশ্বাস একখানি বই লিখেছিলেন; "সমাজতন্ত্রই ভবিষ্যৎ" --- বলাবাহুল্য, নামটি বেশ সুন্দর। কিন্তু তারপর পরলোকগমনের প্রাকমুহূর্তে ফোঁস শব্দে দীর্ঘশ্বাস ফেলে লেখক "সব পেলে নষ্ট জীবন" বলে মারা গিয়েছিলেন ... ...
“বিজেপিকে একটিও ভোট নয়” বলবার অধিকার কি অ্যামেরিকাপ্রবাসী একজন ভারতীয়র আছে? এমন বললে কি ভারতের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলান হবে? রিহানা, গ্রেটার নাক গলানোর অধিকার থাকুক বা না থাকুক, প্রতিটি ভারতীয়-জন্মদ্ভুত নাগরিক-অনাগরিকদেরই সেই অধিকার আছে। এটা তাদের জন্মগত অধিকার। তাই “বিজেপি কে একটাও ভোট নয়” বলার সম্পূর্ণ অধিকার আমার আছে। তাই আবার বলি, বিজেপিকে একটিও ভোট দেবেন না। কেন দেবেনা? একটাই কারণ, না আসলে দুটো কারণ; সিএএ আর এনারসি। বাকি কারণগুলো তুচ্ছ যা সব রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধেই প্রয়োগ করা যায়। বাজে বিল বানানো, বাজে বাজেট বানানো; এগুলো চিরন্তন রাজনীতি। পৃথিবীতে এমন কোন গণতন্ত্র নেই যেখানে সব বিল, সব বাজেট নিখুঁত। ... ...