সেকালে সিনেমা হলে পৌঁছে গেটের মুখে "হাউস-ফুল" বোর্ড ঝোলানো দেখে অনেকেই ভিরমি খেতেন। চোখে সর্ষেফুল দেখার মতো অবস্হা। সেই সুযোগে অনেকে টু’পাইস কামিয়ে নিতো টিকিট ব্ল্যাক করে। গেটের মুখে একটু আড়ালে দাঁড়িয়ে নিচু গলায় হাঁকতো - "দো কা পাঁচ, দো কা পাঁচ।" অর্থাৎ দু’টাকার টিকিট কালোবাজারীর হাত ঘুরে পাঁচ টাকা। উপায় না দেখে অনেকেই বেশি দাম দিয়ে টিকিট কিনে হলে ঢুকতেন। সঙ্গে একজন বান্ধবীও থাকতো।সিনেমা হলে ঢোকার অগ্রিম টিকিট বুকিং কাউন্টার থেকে দু'দিন আগে দেওয়া হতো। সকাল আটটা নাগাদ কাউন্টার খুলতো। দশটার মধ্যেই সব টিকিট শেষ। দারোয়ান "হাউস ফুল "বোর্ড ঝুলিয়ে দিয়ে ঝাঁপ বন্ধ করে দিতো বুকিং কাউন্টারের। ... ...
বুল্টির সাথে আমার প্রেম তখন যাকে বলে রীতিমতো জমে উঠেছে। একে বারে জমে ক্ষীর। নদী নিজের খাত এমন নির্দিষ্ট করে ফেলেছে যে অন্য কোনও দিকে বয়ে যাওয়ার আর কোনো উপায়ই নেই! তা বলে কি এঁকেবেঁকে যাওয়া নেই? উচ্চ-নীচ নেই? জলের কম-বেশি; ত্বরিৎ-তিরতির, স্রোতের এদিক-সেদিক নেই? নিশ্চয়ই আছে। তবে অভিমুখ ততদিনে একেবারে নিশ্চিত। যাকে বলে ষোলো আনার ওপর আঠেরো আনা। একশো শতাংশের ওপর একশো সাড়ে বারো শতাংশ নিশ্চিত। ... ...
নন্দীগ্রামে গুলি চালানোর যাবতীয় দায় মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সদ্য তৃণমূলত্যাগী তাঁর দুই প্রাক্তন সতীর্থ শিশির অধিকারী এবং শুভেন্দু অধিকারীর উপরে চাপালেন।প্রকাশ্য জনসভায় মমতা বললেন, সেদিন নন্দীগ্রামের ভিতরে পুলিশ ঢোকে এবং অথ্যাচার করে, গুলি চালায় শুভেন্দু আর শিশিরেরই নির্দেশে।
তোমার হৃদয়ের দুয়ারখানা / আধখোলা করে কেন রাখো?
ভেবেছিলাম ব্যাপারটা নিয়ে কিছু লিখব না। কারণ, এখন মনের কথা লিখলেই কেউ বলছে পদ্ম আবার কেউ বলছে ঘাস। তাদের বলতে চাই ওরে আমি মানুষ, কোন ফুল নই অথবা কোন অস্ত্রও নই।
"চাপা স্বরে বললো সালা মাস্টার তুই ও খুব ধ্যামনা" ওপারে তেঁতুলিয়া, বাংলাদেশ। এপারে ফকিরপাড়া, ভারতবর্ষ। মাঝখানে মহানন্দা, বুক চিরে কাঁটাতার।
গত ২০১১ সালে বামফ্রন্ট হেরে যায়। কেন হেরে যায়, তার চর্বিতচর্বণ না করে, যে নেতিবাচক ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেতেন, তারপরের সময়কাল গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এক ভয়ঙ্কর মুষল পর্বের কাল। বালির বাঁধের মতো ভেঙে পড়তে থাকে বামপন্থী দলগুলির সংগঠন। বামফ্রন্টের শেষ পনের আঠারো বছরে শরিক দলগুলিকে মাথা তুলতে না দেওয়ার যে প্রবণতা অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল, তার ফলশ্রুতিতে দুই দিনাজপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বাসন্তী, গোসাবা, মুর্শিদাবাদে আরএসপি প্রায় হারিয়ে যেতে বসে। যদিও মুর্শিদাবাদে আরএসপি নিজের তৈরি স্বখাত সলিলে অনেকটাই নিজেরা ডুবেছে। আজ যে অধীররঞ্জন চৌধুরী কংগ্রেসের নেতা, তিনি তো আরএসপির দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৃষ্টি। আরএসপি এই অধীরবাবুকে তৈরি করেছিল সিপিআই(এম)কে শায়েস্তা করতে, যেমন করেছিল কলকাতায় পরেশ পালকে। ফরোয়ার্ড ব্লকের অশোক ঘোষ তাঁর বিশেষ পছন্দের অপরাজিতা গোপ্পীকে রাজনীতিতে তুলে ধরতে একদিকে কমল গুহকে উত্তরবঙ্গে চাপে রেখেছিলেন, অপরদিকে সিপিআই(এম)কে শায়েস্তা করতে এই কমল গুহকেই মাথায় তুলেছিলেন। ... ...
বিপ্লব রহমানের বই ‘পাহাড়ে বিপন্ন জনপদ’ [সাংবাদিকের জবানবন্দিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের অকথিত অধ্যায়] চার বছর পর আবারও অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বেরিয়েছে বর্ধিত কলেবরে, দ্বিতীয় সংস্করণ আকারে।পাহাড়ের অজানা, অব্যক্ত নানা ঐতিহাসিক ঘটনার প্রত্যক্ষ দেখা থেকে লেখা এই বই। এটি নিছক সাংবাদিকের লেখনিতে পরিস্থিতির বিবরণ নয়, বরং অনেক ঘটনার নেপথ্য ঘটনা তথ্য-প্রমাণসহ সরাসরি উপস্থাপন করা হয়েছে এই বইতে। অসংখ্য সাক্ষাৎকার, টিকা-টিপ্পনী, তথ্যসূত্রে এটি হয়ে উঠেছে একই সংগে জীবন্ত দলীল।এর প্রচ্ছদ এঁকেছেন সব্যসাচী হাজরা, একুশের বইমেলায় এটি পাওয়া যাচ্ছে "সংহতি প্রকাশন" এর স্টল-২০৫-৬ এ, এর দাম পড়বে ৩২০ টাকা মাত্র (২৫% ছাড়)। বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে রকমারি ডটকম-এ এই বইটি অনলাইনে কিনতে পাওয়া যাবে। ... ...
নিশুতি রাত। কিছুক্ষণ আগেই দারুণ বৃষ্টি হয়ে জঙ্গল ভিজে একসা। আমরা বাইকে লাটাগুড়ির গভীর জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে ফিরছি। ঠাণ্ডা নেই প্রায় , কিন্তু বাতাসে ভেযা ভেজা ভাব , আলতো করে গালে ঠাণ্ডা বাতাস মাঝে মাঝে ছুঁয়ে যায়। জঙ্গলের মাঝে অদ্ভুত এক অপার্থিব আলো। সাদা আলো। চারদিকেই পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে ,মনে হচ্ছে স্বপ্ন দেখছি। সবার হাঁতে পিঠে বুকে ঝোলান নানা রংবাহারি ক্যামেরা, ট্রাইপড, আর যা যা অস্ত্র শস্ত্র রয়েছে আরকি। এক্সট্রা শট নিয়ে আমরা প্রায়শই বের হচ্ছিলাম তখন। আর পর্বতপ্রমান যন্ত্র নিয়ে নড়ে নড়ে যেতে হত এক থান থেকে অন্য থানে। ... ...
রোদমাখা ঠোঁটে / বৃষ্টি ভেজা চুম্বন
আমার আর এলগিন রোডের সম্পর্ক ধীরে ধীরে আরও গাড় হচ্ছে। কয়েকদিন তাকে নিয়ে লিখতে পারিনি। তাই প্রতিদিন আমার দিকে তাকিয়ে মুখ ভেংচায় এখন সে। তাই তার অভিমান ভাঙাতে আজ এই লেখা।
1 ²²ßîìHIò²ßþ éëóÙ Áëáë²ßþ õr´á زÉÜ âëó²ßȱ ²ßóä ²ßþíìزáóزë гóá Õ²òó²Ô²óϳ¸ Çó²ßȱ²ßëó²ßþ гóá t²í²ßþ! ܳڳí ìÜóг²ßþ Éëز ÇáÜ ìÜì³Úý³©» ²ßȱó²ßþ õÞ²óäóϳ õâ Dzßþ ÁÜø õ²ßȱëÜÆ ì³Ú³ó²ßȱ ²ßóâþ âëÆâþë²ßþ Áë²ßþ
সুন্দরবনে মধু খোঁজা আর বাঘ খোঁজা সমান কথা! কারণ দুটোই গহীন জঙ্গলে থাকে। জঙ্গলের গহীনে মৌচাকে মধু জমায় মৌমাছি। আর মৌমাছির কষ্টের ধন ‘মধু’ বনজঙ্গলে ঘুরে খুঁজে বের করেন একদল মানুষ। তাদের আমরা ‘মৌয়াল’ নামে চিনি। জীবিকার তাগিদে সুন্দরবনের ‘মউলি’ বা মধুসংগ্রহকারীদের ঘন দুর্গম জঙ্গলের ভয়াবহ বিপদসঙ্কুল পরিবেশে নিরাপত্তা ছাড়াই কাজ করতে হয় – একদিকে বাঘ কুমিরের ভয়, অন্যদিকে বনদপ্তরের ফতোয়ার সন্ত্রাস। ... ...
রত্নাকর অনন্ত সম্পদে চিরকাঙ্ক্ষিত, সাগরের টানে টানে কত কত যে হৃদয় পাগলপারা হয়! কালিদাস রঘুবংশমের প্রারম্ভে বলছেন, সুমহান রঘুবংশ প্রায় দুষ্প্রবেশ্য, বুদ্ধি আর জ্ঞানের সূক্ষ্মতায় তাকে উপলব্ধি করতে হয়। সেই বংশভূত খ্যাতনামা নৃপতিরা সাগরের মতই ক্ষেত্রবিশেষে করাল ও চির আকর্ষণীয়। তাই তো কালিদাসের মতো কবিরা তাঁদের মায়ায় বাঁধেন বারবার। রত্নাকর বনের পথে ইতস্ততঃ ঘোরাফেরা করছিল। হাতে শাণিত দাত্র। জঙ্গল এখানে ঘন, নিবিড়। ঘনায়মান অন্ধকার ছেয়ে ফেলছে বনভূমি। ক্রমে ক্রমে জেগে উঠবে অন্ধ তমিস্রা। তমঃ। মানুষের অন্তঃকরণের মতই যেন দুষ্প্রবেশ্য এই অরণ্য। এখানে একস্থানে পোঁতা আছে লুঠের ভার। ভূমির গভীরে সুপ্ত আছে মাণিক্যের দীপ্তি। ... ...
উত্তর কলকাতার বাগবাজার। সময় যেন হঠাৎ করেই থমকে দাঁড়িয়েছে এখানে। বাগবাজারের রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে এখনও টের পাওয়া যায় বনেদি কলকাতার গন্ধ, বাগবাজারের প্রতিটি অলিগলি ঐতিহ্যের কথায় বলে সর্বক্ষণ। সিরাজউদ্দৌলা শ্রী রামকৃষ্ণ অথবা সুভাষচন্দ্র, ইতিহাস থেকে সাধনমাহাত্ম্য বারংবার মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে বাগবাজারের ঘাটে। তবে বাগবাজারের আদি বাসিন্দারাও হয়তো মনে রাখেননি নগেন্দ্রনাথ বসুর নাম। রামকৃষ্ণ সুভাষচন্দ্র অথবা সিরাজের ভিড়ে নিঃশব্দে হারিয়ে গিয়েছেন এই বাঙালি, যিনি সবার অন্তরালেই একপ্রকার বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছিলেন বাংলা সাহিত্যের জগতে।১৮৬৬ সালের ৬ই জুলাই। সেদিন সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার।একনাগাড়ে কেঁদে কেঁদেও ক্লান্ত হয়না সে। গঙ্গার পাড়ের গাছগুলো বারংবার মাথা ঝুঁকিয়ে প্রকৃতিকে কুর্নিশ করেও রেহাই পাচ্ছে না। এমনই ... ...
অন্ধকারের সপক্ষে অথবা তেতো কথার ফুলঝুরি অথবা ভুলেও পড়বেন না ইমানুল হক আমরা যা শিখি ভুল শিখি! অথবা যা শেখাই ভুল শেখাই!সত্যি অথবা সত্যি নয়।আসলে প্রশ্ন করানো শেখানোই যে শিক্ষকের কাজ তা ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু উত্তর এবং উক্ত উত্তরের জন্য প্রাপ্য উত্তরীয়টি তথা মার্কশিট তথা শংসাপত্র আমাদের লক্ষ্য।শিক্ষা উপলক্ষ মাত্র।দ্রোণাচার্যের নামে পুরস্কার।কেন?উচিত ছিল তো তিরস্কার চালু করা। কারণ এক শিষ্যের স্বার্থে একজন স্বশিক্ষিতর বৃদ্ধাঙ্গুলি কর্তন।ছেলেটি, তথা একলব্যের অপরাধ কী?সে দ্রোণাচার্যকে গুরু পদে মনে মনে বরণ করেছে।তার মনে তো ক্ষত্রিয় বা ব্রাহ্মণের প্রশংসালাভ লক্ষ্য।সেই লক্ষ্য যে ভুল তা তো তাকে কেউ বলে নি।বলে নি। কিন্তু বললেও যে খুব লাভ হতো তা নয়।কারণ তথাকথিত ... ...
ব্যস্ত বাতাসেরা / ছুটে চলে
এক বছর আগের কথা, যখন চীন ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের জন্য বেসামাল, তখন ভারতে সংক্রমণের হার খুব কম ছিল। কিন্তু অবস্থা বেসামাল হওয়ার পুর্বেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী ২২শে মার্চ ২০২০, সারা দেশে “জনতা কার্ফু”র ঘোষণা করে দেন। ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের জন্য তালি, থালি বাজানো হল, বোম, পটাকাও ফাটানো হল। এর দুদিন পর, অর্থাৎ ২৪ শে মার্চ ২০২০ এ দুনিয়ার সবচেয়ে বড় লকডাউন ঘোষণা করে দেওয়া হল। কিন্তু এই লকডাউনের ঘোষণা করার আগে কি স্বাস্থ্যমন্ত্রক বা অর্থমন্ত্রক এর মত গুরুত্বপুর্ণ দপ্তরের সাথে কথা বলে কোনও পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল? সম্প্রতি বিবিসি নিউজ হিন্দিতে এই নিয়ে একটি প্রতিবেদন করা হয়েছে। দেখা যাক কি আছে সেই প্রতিবেদনে ... ...
আমি এখানে নতুন।