বাংলা ও বাঙালি কী বদলাবে? -- লিখেছেন Emanul Haqueকারো কমড়িয়া পর রঙ্গ নাহি চড়ৈ।কালো কম্বলের পর আর নতুন রঙ ধরে না।কবীর রসের মধ্যেই রস বর্ষণ হয়, অনন্ত কোটি ধারায়।।কবীর যে দেশ খাজুরাহোর মিথুন মূর্তির দেশ, যে দেশে মন্দিরের নাম ভালোবাসার মন্দির, যে রাধা কৃষ্ণের অবৈধ প্রেমের জয়গানে মাতোয়ারা-- সেখানে অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড, লাভ জিহাদ আইন কতটা সঙ্গত?কেউ কেউ বলছেন, এই অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড মধ্যযুগীয় ব্যাপার।আচ্ছা মধ্যযুগ এতো খারাপ ছিল না কি?আমাদের প্রাক মধ্যযুগেই তো খাজুরাহোর মন্দির। শ্রীকৃষ্ণের প্রেমের বন্দনা গাথা তো মধ্যযুগ জুড়েই।চণ্ডীদাস আর রজকিনী রামীর প্রেম--সেতো মধ্যযুগের অহঙ্কার।সম্রাট আকবরের সরকারিভাবে হোলি উদযাপন, কৃষ্ণ সেজে হারেমের নারীদের সঙ্গে প্রকাশ্য লীলা-- তো ঘোর ... ...
বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের তলানি / নাস্তিক আর আস্তিকের লড়াই
কারো কমড়িয়া পর রঙ্গ নাহি চড়ৈ। কালো কম্বলের পর আর নতুন রঙ ধরে না। - কবীর রসের মধ্যেই রস বর্ষণ হয়, অনন্ত কোটি ধারায়। - কবীর
নিজের মনেই নিজের চারপাশে একটা শক্ত পাঁচিল তুলেছিল রূপ। সময়ের হিসাবে কতগুলো বছর। সাধারণ মেলামেশায় এইচ আইভি ছড়ায় না জানার পরেও প্রথম দিনই সামনের মানুষটার আইসক্রিমের বাটিতে চামচ ডুবিয়ে তাই থমকে গেছিল ও। সবকিছু জানলেও মনে মনে ভেবে ওঠা কথাটা মুখ দিয়ে বেড়িয়েই গেছিল "স্যালাইভাতে কত পারসেন্ট HIV থাকে!" মজা করে বিষয়টার নিষ্পত্তি হলেও সামনের মানুষটা বুঝে গেছিল ওর মনের ভেতরের শুম্ভ নিশুম্ভের লড়াইটা। ... ...
এটি কাল্পনিক ছড়া । বর্তমান কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বর সাথে মিল পেলে তা অনভিপ্রেত । রগড়ানো রোগ - রমিত চট্টোপাধ্যায়
বঙ্কিম বাবুর সহিত কালেজ স্ট্রিটের বাড়ির গলিতে দেখা হইলো, বলিলুম, বঙ্কিমদা... মানে ইয়ে... সম্রাটদা, মানে স্যার, আজ বঙ্গের কেহ ভোট দিতে পারিতেছে না, আছোলা বংশদণ্ড অদূরে জমা করিয়ে রাখিয়াছে, তা দ্বারা খোদ প্রার্থীকে... কি যেন বলে হ্যাঁ পিরীত করিতেছে, বুথ ভোটার শূন্য — একি মোগলের ছত্রভঙ্গ সৈন্যদল ঠগি আর ডাকাত সন্ন্যাসী ভবানী পাঠকের দিন ফিরিয়া আসিল ! ... ...
সালটা ১৮২২। প্রতিষ্ঠিত হল নেটিভ মেডিক্যাল ইনস্টিটিউশন। নেটিভ মেডিক্যাল ইনস্টিটিউশনের প্রধান হিসেবে যোগ দিলেন এক বাঙালি ডাক্তার - মধুসূদন গুপ্ত। এরপর প্রায় তের বছরের বিরতি। ১৮৩৫ সালে ভারতীয় চিকিৎসাক্ষেত্রে ঘটে গেল এক নিঃশব্দ বিপ্লব। কল্লোলিনী তিলোত্তমার বুকে তৈরি হল মেডিক্যাল কলেজ। ইউরোপীয় পদ্ধতিতে ভারতীয় ডাক্তাররা আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির সঙ্গে প্রথমবারের জন্য করমর্দন করলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের বদান্যতায়। ... ...
রক্তচোষা জমিদারের বাচ্চাগুলো কোথায় বলতে পারেন? / ঐ যে গল্প-সাহিত্য-উপন্যাসে পড়া, গরিবের হক মারা অমানুষগুলো
করোনাক্রান্তিতে এপারে বাংলাদেশের আদিবাসী পাহাড়ি অধ্যুষিত পার্বত্য চট্টগ্রামে উৎসব ম্লান, নাই প্রাণের উচ্ছাস, নতুন সাজ পোষাকে শিশুদের শোভাযাত্রা, মেলা ঘিরে বর্ণিল আয়োজন, ফানুসের আলো। তবু কোথায় যেন বিঝু পাখি ডাকছে, "হাত্তোল পাগোক, বিঝু এজোক" (কাঁঠাল পাকবে, বিঝু আসবে)।.... কোকিলের কুহু কুহু সুর ১৪টি পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠির চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষ বরণের উৎসব বিঝু,বৈসু, বিহু, বিষু, সাংগ্রাই, চাংক্রানের আগমনী বার্তা জানিয়ে দেয়।দিকে দিকে পাহাড়-জংগল আলো করে ছড়িয়েছে হলুদের শোভা, "পদক পাইন" অর্থাৎ পদক ফুল। মায়ানমারের জাতীয় ফুল বা বৈসাবি ফুল। ইংরেজিতে "রোজউড"।সবাইকে বৈসাবি, চৈত্রসংক্রান্তি ও নববর্ষের শুভেচ্ছা।সকলে নিরাপদে থাকুন, সুস্থ থাকুন। ... ...
সংকেতের দীর্ঘতম ক্লাউডের বাইরে / কৃষিজীবি লোকটি শুধু মেঘকে চেনে।
আচ্ছা আমরা কি একটু রাস্তা পেতে পারি না, রাস্তার ওপর কোন হক নেই আমাদের? জানি রাস্তা কারো একার নয়, জানি কেউ কারোকে রাস্তা ছেড়ে দেয় না । অথচ যখন এ অঞ্চলের সবেধন নীলমণি একমাত্র রোগাভোগা রাস্তাটা বালি সুড়কি লোহার ছড় ইত্যাদি নির্মাণ সামগ্রীতে দুই তৃতীয়াংশ ঢেকে যায়, দৈত্য দানবের মত ট্রাকগুলো আড়াআড়ি দাঁড় করিয়ে রাস্তায় পেটের ময়লা খালি করে, হাজার হর্ণ দেওয়া সত্ত্বেও একটু অবজ্ঞার দৃষ্টিতে চাওয়া ছাড়া তেমন পাত্তা দেয় না , তখন মনে হয় রাস্তা প্রোমোটারের, আমার নয়। আজকাল কিছু লিখতে ভয় করে এই বুঝি ট্রোলিং শুরু হল। তাই বলি, গাড়ি থাকলেই সিনেমার ভিলেন বা ভ্যাম্প - সেই ... ...
বইয়ের গন্ধ পেতে ছুটে চলি / সবুজ আলপথ ধরে
বাজারে সাইকেল কিনতে গিয়ে দেখলেন, বিক্রেতা আপনার দেহের মাপ নিচ্ছে। আপনার মাপ নিয়েই ক্ষান্ত নয়, আপনার দেহের আকার আকৃতির সাথে মিল রেখে তৈরি করা দেওয়া হবে বাইসাইকেল। কয়েক বছর আগেও এই যেখানে ব্যাপারটি স্বপ্নেও কল্পনা করা সম্ভব হতো না, এটি এখন বাস্তব। ত্রিমাত্রিক স্ক্যানারের মাধ্যমে আরোহীর মাপ নিয়ে সেই অনুযায়ী সাইকেল বানাতে সাহায্য নেওয়া হয় ত্রিমাত্রিক প্রিন্টিংয়ের। ত্রিমাত্রিক প্রিন্টিং প্রযুক্তির সাহায্যে নির্মিত এই বাইসাইকেলের ওজন সাধারণ সাইকেলের চেয়ে প্রায় ৩৩ শতাংশ কম। ... ...
সৌরদীপ কাজের প্রয়োজনে যেহেতু অন্য শহরে থাকে তাই বিভিন্ন কাজকর্ম কিংবা ছবি তোলার জন্য সপ্তাহান্তে ওকে কোলকাতা আসতেই হয়। একটা সময় ছিল, কোলকাতা এলে ঋজুর বাসায় রাত্তিরটুকু থেকে নিজের কাজকর্ম , ছবি তোলার পাট চুকিয়ে আবার পরেরদিন নিজের কর্মস্থলে ফেরত যেত ও। ঋজুটা কোলকাতা ছেড়ে চলে যাওয়ায় কোলকাতায় থাকার ঠেকটা নড়বড়ে হয়ে গেছে সৌরর। কখনও কোনও বন্ধুর মেস, নয়তো অন্য কারও বাড়ি। তাতে যদিও নিজের স্বাচ্ছন্দ্য নেই। ... ...
চিত্র ১ ধরে নেওয়া যাক ছেলেটির নাম শুভ। ১৪/১৫ বছরের( বয়স শুধু নম্বরমাত্র) ছেলেটি আর একটি ছেলের প্রেমে পড়ল, উথাল পাথাল প্রেম, বয়সে তুলনায় বড় তার সঙ্গীটি চাইলেন বিনা কন্ডোম এ সেকস করতে, সে রাজীও হল, কিছুদিন বাদে আর সম্পর্কটি দানা বাঁধলনা। কিছুদিন মন খারাপ, আবারও কেউ তাকে প্রেম নিবেদন করল, এবারে শুরুটা কনডম দিয়ে হলেও কিছুদিন বাদে সেটা বন্ধ হল, কেননা শুভ মনে করে নিজের লোকের সাথে কন্ডোম ব্যবহারের প্রয়োজন নেই, তার ওপরে তার তো বাচ্চাকাচ্চা হবেনা সে কেন কন্ডোম ব্যবহার করবে? এভাবেই একটার পর একটা সম্পর্ক আসে, প্রেমজ ভাবনায় তাই কোথাও কখনও কন্ডোম আসে কখনও আসেনা... চিত্র২ রাজু মনে মনে মেয়েলি হলেও স্কুলে ... ...
গৃহবন্দী এবং কয়েকটি মুখোশ, মুখোশ -না মুখোশ দেখে ভাববেন না যে আমি সরকারি হাসপাতালের সমস্ত কর্মীদের মুখে বাঁধা একফালি ন্যাকড়ার কথা বলছি অথবা মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর সঙ্গী সাথীদের মুখে বাঁধা, N 95 লেখা মুখোশের কথা বলছি।এ অন্য মুখোশ,তার কথা পরে হবে, আগে খুব ছোটবেলায় পড়া একটি গল্প শুনুন। গল্পটা মজার।ধরা যাক সেটা আঠারোশো শতাব্দীর ইংল্যান্ড অথবা ইউরোপের যে কোন শহর হতে পারে।চার যুবক বন্ধু এক সরাইখানায় আড্ডা দিচ্ছে। হাতে পানীয়ের পাত্র। চার বন্ধুর আর্থিক অবস্থায় তারতম্য আছে। একজন অর্থনৈতিক ভাবে যথেষ্ট দুর্বল, আর একজন ধনী ব্যবসায়ী পুত্র। বিস্তর অর্থের মালিক। বিত্ত বৈভবে সে সকলকে টেক্কা দিতে পারে। আচরণেও তার বেশ ভালোরকম ... ...
তিনি বসে আছেন প্রকান্ড এক সেক্রেটারিয়েট টেবিলের একদিকে, অত্যন্ত আরামদায়ক একটি চেয়ারে। সামনে টেবিলের উপর খোলা, সরকারি পয়সায় কেনা তাঁর ব্যক্তিগত ল্যাপটপ। উল্টো দিকে বসে আছেন এক মাঝবয়সী ভদ্রলোক। ভদ্রলোক তাঁর অধীনস্থ একটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। কম্পিউটারের পর্দায় ভদ্রলোকের বিস্তারিত তথ্য জ্বলজ্বল করছে। তিনি খুব বেশিদিন এখানে আসেন নি। বস্তুত সর্বভারতীয় চাকরির শর্ত অনুযায়ী কোথাওই তাঁর স্থায়িত্ব দীর্ঘমেয়াদী নয়। সামনে উদ্দিষ্ট ভদ্রলোকের নাম তাঁর জানার কথা থাকলেও, নবাগত বলে তিনি ভদ্রলোকের নাম, আগে জানতেন না। গতকালই কম্পিউটারের দৌলতে সেটা জানা হয়েছে। সবার সব খুঁটিনাটি বিষয় এখন কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে বন্দী। ... ...
পাহাড়ের কাছে কি চাইতে গেলে? / সেতো নিজেই রুক্ষ / তাকে দেখে রাগ করা শিখতেই পারো / অভিমান আরো বড়, ব্যথা দেয় বুকে