খ্যাদরসিক বাঙালির এক দুর্বলতা হল বিরিয়ানি, মাংস আলু সহযোগে সে এক স্বর্গীয় অনুভূতি। কিন্তু খাদ্য ইতিহাসবিদরা এই মহান পদের কিন্তু কোন প্রকৃত উৎস আজও খুঁজে পান নি। যদিও ভারতে বাবর এর আগমনের পূর্বে বিরিয়ানি ছিল বলে অনেকে ধারণা করেন। তবে সেই বিরিয়ানি আর মাংসের খিচুড়িতে কোন তফাৎ ছিল না। আর একদল বলেন যুদ্ধপ্রবন তুর্কিরা দ্রুত প্রাতরাশ সেরে নেওয়ার জন্য চাল ও কাঁচা মাংস মিশিয়ে এক পদ প্রস্তুত করতেন যা কিনা বিরিয়ানির আদি রূপ। ... ...
‘‘দেখো, দুটি ডাল-ভাতের সংস্থান না রেখে বাংলাদেশে কেউ যেন সাহিত্য করতে না যায়।’’ এই কথাটা মন দিয়ে পড়লেন? হ্যা অবশ্যই পড়েছেন। যুগল উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে আছে মানে আরও ভালো করে পড়েছেন। কিন্তু বুঝেছেন কতখানি? না, আমি এসব কথা বলেছি ভাববেন না। কথাটি "পদ্মা নদীর মাঝি" বলেছেন। কথাটি "পুতুলনাচের ইতিকথা"-র সৃষ্টিকর্তা বলেছেন। হ্যাঁ, চেনেন নিশ্চয়? কথাটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন। ... ...
বদনাম কিংবা সুনাম যাই হোক, বাঙালি নাকি খেতে পেলে শুতে চায়! পেটে দুমুঠো অন্ন পড়লেই, মেঝেতে পড়ে দে ঘুম। যাতায়াতের পথে, তখন দেওয়াল লিখন চোখে পড়তো, “বাঙালি জাগো”। কলকাতার সর্বত্র আলকাতরা দিয়ে কে বা কারা রাতের অন্ধকারে বীরত্ব দেখাতো অন্যের দেওয়াল নষ্ট করে। এটা দেখতে দেখতে লোকের চোখ জোড়া যখন পচে যাওয়ার উপক্রম, এমনি সময়ে কে কারা লুকিয়ে ক্রশ চিন্হ দিয়ে পাশেই লিখে দিল – “কাঁচা ঘুম ভাঙাবেন না “। এতো কড়চা! ... ...
গত সাত আট দশক ধরে ত্রিপুরায় বামপন্থীদের বিশেষত সিপিআই(এম)-এর শক্তির ভিত ছিল পাহাড়। এ রাজ্যে পাহাড়ের টংঘরেই কমিউনিস্ট আন্দোলনের বীজতলা। যা পরে গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এবারের ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদ যা সংক্ষেপে এডিসি নামে পরিচিত সেখানকার ভোটে কমিউনিস্টদের ফল বেশ আতঙ্কজনক। কিন্তু এই ক্ষয় গত তিন বছরে হয়নি। এই ক্ষয় শুরু হয়েছিল অনেক আগে থেকেই। হয়তো রাজ্যের বাম নেতৃত্ব তা বুঝতেও পেরেছিলেন। কিন্তুন তা রোধ করার জন্য কোন ভুমিকা বাম নেতাদের ছিল কিনা তা জানা যায়নি। পরিসংখ্যাতেই তা ধরা পড়ে। ২০০৫ সালে এডিসি ভোটে বামফ্রন্ট পেয়েছিল প্রায় ৭২ শতাংশ ভোট। পাঁচ বছর পরে অর্থাৎ ২০১০ সালে তা কমে ... ...
সত্যিটা কী? চারদিকে যা দেখছি, যা শুনছি? কিন্তু চোখ তো মরুভূমিতে জল টলটল সরোবর দেখে, কান যে কখনও কখনও স্বপনপারের ডাক শোনে যা অন্য কেউ শুনতে পায় না। তবে কি বোধবুদ্ধি বা অনুভব?জেগে স্বপ্ন দেখছি, নাকি স্বপ্নে জেগে আছি? দুটোর মধ্যে তফাৎ কী?
এই দারুণ নিদানকালে বাংলাদেশের আদিবাসী অধ্যুষিত পার্বত্য চট্টগ্রামের ন্যাড়া পাহাড়ে কোনো গাছ নাই, কেবলই দিগন্ত জুড়ে সবুজ মরুভূমি, এদিক সেদিক শুকনো ধুলো উড়ছে, তপ্ত বাতাসে যেন আগুন। কোথাও প্রেম নাই, বৃষ্টি নাই, নাই শিশুদের প্রাণের উচ্ছ্বাস! কাপ্তাই লেকের ঘোলা জল ফুঁড়ে বেরিয়েছে শোষণের চিহ্ন মৃত গাছের কংকাল।
কাগজ -- লিখেছেন Sudipta Ray "পায়খানায় যাবে নাকি?" লুঙ্গির গিট অনেকক্ষণ ধরে খুলতে চেষ্টা করছেন দেখে বাবাকে জিজ্ঞেস করল শান্তনু। ঘড়িতে প্রায় এগারোটা। এখনো স্নানের সময় হয়নি। তাও যেতে চাইলে যাক, এই ভেবে খোঁজ নিলো। - "হ্যাঁ, দেখি চেষ্টা করে"।- "তোমার যা চেষ্টা, গিয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকবে, তারপর উঠে চলে আসবে। কাজের কাজ কিছুই হবে না", মনে মনে ভাবল শান্তনু।স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে অবশ্য বলল, "তোমার পায়খানা যাবার প্রয়োজনীয়তা ৫টি বাক্যে আলোচনা করো।"বক্তৃতা দিতে ভালোবাসতেন বাবা, গুছিয়ে কথা বলার অভ্যাস ছিলো। স্নায়ু বৈকল্যজনিত রোগের কারণে ধীরে ধীরে শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা প্রকট হচ্ছে। দশটা কথা বললে একটা হয়ত অর্থবহ হয়। মানুষ চিনতেও অসুবিধা, ... ...
"পায়খানায় যাবে নাকি?" লুঙ্গির গিট অনেকক্ষণ ধরে খুলতে চেষ্টা করছেন দেখে বাবাকে জিজ্ঞেস করল শান্তনু। ঘড়িতে প্রায় এগারোটা। এখনো স্নানের সময় হয়নি। তাও যেতে চাইলে যাক, এই ভেবে খোঁজ নিলো। - "হ্যাঁ, দেখি চেষ্টা করে"।- "তোমার যা চেষ্টা, গিয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকবে, তারপর উঠে চলে আসবে। কাজের কাজ কিছুই হবে না", মনে মনে ভাবল শান্তনু।স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে অবশ্য বলল, "তোমার পায়খানা যাবার প্রয়োজনীয়তা ৫টি বাক্যে আলোচনা করো।"বক্তৃতা দিতে ভালোবাসতেন বাবা, গুছিয়ে কথা বলার অভ্যাস ছিলো। স্নায়ু বৈকল্যজনিত রোগের কারণে ধীরে ধীরে শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা প্রকট হচ্ছে। দশটা কথা বললে একটা হয়ত অর্থবহ হয়। মানুষ চিনতেও অসুবিধা, মাইজি অর্থাৎ শান্তনুর দিদি এবং ... ...
ভোটের সময় আমজনতা অদ্ভুত সহনশীল হয়ে পড়ে। অন্য সময়ে কন্ডাকটর (কনসার্টের নয়, বাসের) ভুল করেও দুটাকা বেশি ভাড়া বলে ফেললে চলন্ত বাসেই তার ওপেনহার্ট সার্জারি অথবা মেট্রোরেলে কেউ প্রিয়জনের দিকে একটু প্রেমপ্রেম চোখে তাকালেই সভ্য সমাজের পরিপাটি করে আঁচড়ানো 'ঝাঁট' জ্বলে যায়।
রাজা শুদ্ধোধনের মনে একইসাথে আনন্দ আর দুশ্চিন্তা বিরাজ করছে। আনন্দের কারণ তিনি সন্তানের বাবা হতে চলেছেন, আর দুশ্চিন্তার কারণ এই সময় স্ত্রীর পাশে তিনি থাকতে পারছেন না। রানী মায়াদেবী রাজবহর নিয়ে তার পিত্রালয় দেবিদাহের পথে। ঐতিহ্যগতভাবে নারীদের প্রথম সন্তান প্রসব করতে হয় পিত্রালয়ে। মায়াদেবীর অন্তরও স্বামী শুদ্ধোধনের মতো একই কারণে আনন্দিত আর দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। রানীর কেবলই মনে হচ্ছে, এই পথ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। মায়াদেবী টের পাচ্ছেন, তার জল ভাঙা আরম্ভ হয়েছে, তলপেটে ব্যথাও অনুভূত হচ্ছে।সময় ৫৬৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দ, (বর্তমান নেপালের) কপিলাবস্তুর লুম্বীনির শালবনের বিশ্রাম শিবিরে মায়াদেবী শুয়ে আছেন। রাতের বেলাও চারদিক আলোকোজ্জ্বল। আকাশে বৈশাখী পূর্ণিমার চাঁদ জোৎস্না বিলিয়ে যাচ্ছে অকৃপণ মমতায়। ... ...
ভাটিয়া৯ সত্যিই ভাট। একদম ফালতু। বন্ধ হলে মঙ্গল।
এমন একটা ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী একবারও ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা না বলে উত্তেজিত ভাষণ দিয়ে গেলেন ?আর ঘটনার পরে এতগুলো ঘণ্টা কেটে গেল বাম্ফ্রন্ট একবারও গুলি চালনার নিন্দে করতে পারল না কেন ?মমতা কেন্দ্রীয় বাহিনী পেটানোর ট্রেনিং দিচ্ছেন: মোদী কোচবিহারের শীতলকুচিতে শনিবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি ও ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় শুরু থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে দায়ী করছে বিজেপি। এ বার শিলিগুড়ির সভায় একই সুর শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গলাতেও। সরাসরি মমতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর আক্রমণের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ তুললেন তিনি। মোদী বলেন, ‘‘উনি জনসভায় নিজের ছাপ্পা পুরোটা পড়ুন ... ...
বাংলা ও বাঙালি কী বদলাবে? -- লিখেছেন Emanul Haqueকারো কমড়িয়া পর রঙ্গ নাহি চড়ৈ।কালো কম্বলের পর আর নতুন রঙ ধরে না।কবীর রসের মধ্যেই রস বর্ষণ হয়, অনন্ত কোটি ধারায়।।কবীর যে দেশ খাজুরাহোর মিথুন মূর্তির দেশ, যে দেশে মন্দিরের নাম ভালোবাসার মন্দির, যে রাধা কৃষ্ণের অবৈধ প্রেমের জয়গানে মাতোয়ারা-- সেখানে অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড, লাভ জিহাদ আইন কতটা সঙ্গত?কেউ কেউ বলছেন, এই অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড মধ্যযুগীয় ব্যাপার।আচ্ছা মধ্যযুগ এতো খারাপ ছিল না কি?আমাদের প্রাক মধ্যযুগেই তো খাজুরাহোর মন্দির। শ্রীকৃষ্ণের প্রেমের বন্দনা গাথা তো মধ্যযুগ জুড়েই।চণ্ডীদাস আর রজকিনী রামীর প্রেম--সেতো মধ্যযুগের অহঙ্কার।সম্রাট আকবরের সরকারিভাবে হোলি উদযাপন, কৃষ্ণ সেজে হারেমের নারীদের সঙ্গে প্রকাশ্য লীলা-- তো ঘোর ... ...
বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের তলানি / নাস্তিক আর আস্তিকের লড়াই
কারো কমড়িয়া পর রঙ্গ নাহি চড়ৈ। কালো কম্বলের পর আর নতুন রঙ ধরে না। - কবীর রসের মধ্যেই রস বর্ষণ হয়, অনন্ত কোটি ধারায়। - কবীর
নিজের মনেই নিজের চারপাশে একটা শক্ত পাঁচিল তুলেছিল রূপ। সময়ের হিসাবে কতগুলো বছর। সাধারণ মেলামেশায় এইচ আইভি ছড়ায় না জানার পরেও প্রথম দিনই সামনের মানুষটার আইসক্রিমের বাটিতে চামচ ডুবিয়ে তাই থমকে গেছিল ও। সবকিছু জানলেও মনে মনে ভেবে ওঠা কথাটা মুখ দিয়ে বেড়িয়েই গেছিল "স্যালাইভাতে কত পারসেন্ট HIV থাকে!" মজা করে বিষয়টার নিষ্পত্তি হলেও সামনের মানুষটা বুঝে গেছিল ওর মনের ভেতরের শুম্ভ নিশুম্ভের লড়াইটা। ... ...
এটি কাল্পনিক ছড়া । বর্তমান কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বর সাথে মিল পেলে তা অনভিপ্রেত । রগড়ানো রোগ - রমিত চট্টোপাধ্যায়
বঙ্কিম বাবুর সহিত কালেজ স্ট্রিটের বাড়ির গলিতে দেখা হইলো, বলিলুম, বঙ্কিমদা... মানে ইয়ে... সম্রাটদা, মানে স্যার, আজ বঙ্গের কেহ ভোট দিতে পারিতেছে না, আছোলা বংশদণ্ড অদূরে জমা করিয়ে রাখিয়াছে, তা দ্বারা খোদ প্রার্থীকে... কি যেন বলে হ্যাঁ পিরীত করিতেছে, বুথ ভোটার শূন্য — একি মোগলের ছত্রভঙ্গ সৈন্যদল ঠগি আর ডাকাত সন্ন্যাসী ভবানী পাঠকের দিন ফিরিয়া আসিল ! ... ...
সালটা ১৮২২। প্রতিষ্ঠিত হল নেটিভ মেডিক্যাল ইনস্টিটিউশন। নেটিভ মেডিক্যাল ইনস্টিটিউশনের প্রধান হিসেবে যোগ দিলেন এক বাঙালি ডাক্তার - মধুসূদন গুপ্ত। এরপর প্রায় তের বছরের বিরতি। ১৮৩৫ সালে ভারতীয় চিকিৎসাক্ষেত্রে ঘটে গেল এক নিঃশব্দ বিপ্লব। কল্লোলিনী তিলোত্তমার বুকে তৈরি হল মেডিক্যাল কলেজ। ইউরোপীয় পদ্ধতিতে ভারতীয় ডাক্তাররা আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির সঙ্গে প্রথমবারের জন্য করমর্দন করলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের বদান্যতায়। ... ...
রক্তচোষা জমিদারের বাচ্চাগুলো কোথায় বলতে পারেন? / ঐ যে গল্প-সাহিত্য-উপন্যাসে পড়া, গরিবের হক মারা অমানুষগুলো