পাঁচ পাঁচজনকে পিটিয়ে মেরেছে ওরা। গাছের ডালে ঝুলিয়ে আগুনে জ্বালিয়ে মেরেছে। পুরো গ্রামের চোখের সামনে মেরেছে । উফ্ কি বর্বরতা! পুলিশ প্রশাসন ! ঘুমিয়ে ছিল নাকি ওরা? না বাবা, তা নয়। এদের নয়; ওদেরকে মেরেছে। বুঝুক ওরা যে জনতা জেগেছে। ওঃ তাই বল। বাবা শান্ত হলেন। চায়ের কাপে দুধ পড়ল বেশী। বাবা কিন্তূ মাইন্ড করলেন না। মাকে কিছু বললেন না। নিজেই চাএর পট টা টেনে নিয়ে আরো খানিকটা লিকার ঢেলে নিলেন। তারপর আমাদের কে খেয়াল করে বললেন,এটা অন্যায়। পুলিশের হাতে দেওয়া তুলে দেওয়া উচিত ছিল। এই ভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া, এটা ঠিক নয়। বিকেলে শম্ভু কাকু, দিলীপ জ্যাঠা ওদের হোয়াটস অ্যাপ দলের আরো ... ...
মা, তুমি সবসময় চাও তোমার সন্তানরা ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক। সন্তান হিসেবে আমিও চাই আমার সব মা সবসময় ভালো থাকুক। আমার তিন মা।
আমাদের বাড়িটা কলকাতা লাগোয়া হয়েও এখনও গ্রাম। ছোটবেলায় ধান চাষ দেখেছি। কলাই চাষ হত আমাদের বাড়ির পেছনের মাঠে। বিকেলের নরম রোদে মায়ের সাথে বসে কলাই তুলে ঝুড়িতে ভরে রাখতাম। তারপর সেটা থেকে ডাল হত। মুগ ডাল। কিভাবে কলাই থেকে ডাল হত সেটা এখন আর মনে পরেনা। সে অনেকদিন আগের কথা। তখন আমরা দুই ভাই ছোট। আমার বয়স দশ-এগারো হবে, আর ভাই আমার থেকে চার বছরের ছোট। আমাদের বাড়ির পাশেই মণ্ডলদের পুকুর। তার পাশে অনেক খেঁজুর গাছ। একসময় সেই গাছের নিচে লাল পাকা খেঁজুর বিছিয়ে থাকত। মাছি ভনভন করে উড়ে বেরাত। তার পাশে একটা ডেঁফল গাছ ছিল। ... ...
"বহু দিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে / বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে" শুধু কবি সাহিত্যিক নাট্যকার বা লেখক নয়, বিশ্বকবির ভ্রমণ ক্ষুধাও ছিল দেখার মত। ১৮৭৮ থেকে ১৯৩৪ এর মধ্যে প্রায় ১২ বার বিশ্ব ভ্রমণে যান কবি। ঘুরে দেখেন প্রায় ৩০টিরও বেশি দেশ।
বাস থেকে নামতেই চারপাশটা গুমোট দেখায়। কী যে ভীমরতি চাপে আকাশটার। সুন্দরী বউয়ের গুঁতো খেলে অনেক পুরুষকে এমন দেখায়। কুশলের বড্ড ভয় করে। আজ সাধনাদের বাড়ি যেতে হলো। ক'দিন মেয়েটা অফিস যাচ্ছে না। জ্বর। খবরটা শুনে কুশল স্বস্তিতে ছিল না। বুকে একটা চিনচিনে ব্যথা। অনেকবার চেষ্টা করেও মোবাইলে পাওয়া গেল না। টেনশানে নিজের রুমে অনেকক্ষণ পায়চারি করল সে। কলিগরা কী বুঝল কে জানে! আড়ালে-আবডালে হাসে। সুযোগ পেলে দু-একটা চুটকি ঝাড়ে। কুশল অবশ্য এসব গায়ে মাখে না। সবাই কী না ভাবে! তবু সাধনা ছাড়া চলে না। ক্লার্ক হয়েও তার অনেক অসুবিধায় পাশে আসে মেয়েটা। ... ...
আকাশটা আজ বড়ো অন্ধকার ফাঁক ফোকরে ভরে আছে কেমন যেনো দীর্ঘ শ্বাস হাহাকার
জীবনের প্রথম ছবি যেটি দেখেছি সে হল গুপি গাইন বাঘা বাইন। তারপর তাঁর ছবি দেখতে দেখতেই বড় হয়ে ওঠা। পাশাপাশি যখন অন্যান্য দেশি, বিদেশি পরিচালকদের কাজ দেখতে শুরু করলাম, তখনও তাঁর স্থানচ্যুতি ঘটেনি। ক্রমে প্রত্যাশা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই ক্রিটিক্যাল চোখ তৈরি হয়েছে। তাও সত্যজিত রায়ের অবদান বেশ কিছুটা। ছবি দেখতে দেখতে শেখা। মানে দেখতে শেখা। ভাবতে শেখা। কিছু কথা উঠেই আসে। তাঁকে প্রগাঢ় সম্মান জানিয়েই উঠে আসে। ... ...
রেতে আকাশে / তেঁনারা কি আসে?
পনের বছর ধরে সিংগুর নীতি আঁকড়ে থেকে, নিজেদের যাবতীয় ব্যর্থতার ভার 'নিচুতলার' একশ্রেণির কর্মীর ঘাড়ে ঠেলে দিয়ে সিপিএম ক্রমে জনবিচ্ছিন্ন এবং পরে বাংলার রাজনীতিতে অকিঞ্চিৎকর হয়ে উঠল। এই নির্বাচনে একঝাঁক তরুণ মুখ তুলে আনলেও, তাদের প্রায় সকলেই সিপিএমেরই নেতা-কর্মীরই বাড়ির সন্তান। তার বাইরে নতুন প্রজন্মের কাছে সিপিএমের গ্রহণযোগ্যতা নেই বললেই চলে। এমন কী নতুন করে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে এরকম কোনও দিশাও দেখাতে পারে নি দল। এই নির্বাচনে সিপিএমের সম্পূর্ণ ডেসিমেশন বিভিন্ন সামাজিক পরিসর ও মিডিয়াতেও তাদের গুরুত্বহীন করে তুলবে। এই প্রেক্ষাপটে আশি বছরের বামপন্থী, কমিউনিস্ট রাজনীতির পরিসরে এক বিশাল শূন্যস্থান সৃষ্টি হয়েছে। আমরা যদি ধরে নিই বিভিন্ন কারণে দেশের গরিব মানুষের সংকট ... ...
নেপোও মারে দই। কথা খেটে গেছে এবার তৃণমূলের জন্য। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কিছু বলতে চাই না ওটা তৃণমূল এর সংস্কৃতি। আজ যারা কমলা সবুজ পতাকা নিয়ে ঘোরাঘুরি জন্য মার খাচ্ছে, দশবছর আগে সি পি এম অফিসে তালা ঝোলানো দেখে, গুটি গুটি পায়ে বিজেপি শিবিরে ঢুকে ছিলো। কারণ সেইদিন পরিবর্তন চাই পরিবর্তন চাই স্লোগান দিতে দিতে সি পি এমের জঞ্জাল গুলো তৃণমূল ঢুকে ছিলো। ফলে আদর্শ হীন তৃণমূল কে বাঙালি কোন দিন ই পছন্দ করেনি। হলফ করে বলতে পারি, দশবছর আগেয় বিজেপি থাকলে বাংলায় শাষণ আজ বিজেপি করতো। পিসি সেইদিন বাম বিরোধী ভোটে জয়ী হয়েছিল। আজো মোদী বিরোধী ভোটে জয়ী ... ...
একবার একটা লম্বা গল্প পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে মধ্যপথে থেমে গিয়েছিলাম। তারপর আবার শেষ থেকে পড়তে থাকি। সমাপ্তি থেকে গল্পের মধ্যপথে পৌঁছনোর অভিজ্ঞতা পূর্বপাঠের থেকে আলাদা হয়ে যেতে থাকে এবং টের পাই, আপ ডাউনের রাস্তা বিলকুল আলাদা। এ' যাবৎ পড়া বই এর স্মৃতির ব্যাপারটা সেরকমই - মাঝপথে দাঁড়িয়ে জীবনের গোড়ার দিকের পড়া বই এর কথা ভাবছি যখন, মাথার ওপর চিলেকোঠার ছাদে অজস্র পায়ের আওয়াজ পাচ্ছি- মৃত ব্যক্তিরা ফিরে আসছে এক এক করে; এক একটি বই মানে এক একটি সম্পর্ক আর এক এক জন মানুষ। বই যেন নৌকো- বই বেয়ে বেয়ে বৈতরণী পার হয়ে তাঁরা আমার কাছে ফিরছে-দিদা ফিরল পাতলা এক ... ...
প্রত্যাশা নিয়ে গল্পের কাছে যাই নি তো। অক্ষরজ্ঞান হয়নি -প্রথম যখন গল্পের কাছে; মা রঙচঙে বই থেকে পড়ে শোনাচ্ছে, সেখানে একটা লাইন- আকাশ ভেঙে পড়েছে রে আকাশ ভেঙে পড়েছে; মা পড়ছে, আর বিশাল একটা কিছু আমাকে গিলে নিচ্ছে, মাথা, মুখ, নাক, কান আর চোখ ঢাকা পড়ছে, দমবন্ধ হয়ে আসছে - এইরকম অনুভূতি হচ্ছে আমার; কিন্তু বিশাল ব্যাপারটা যে কী আর বিরাটত্ব ঠিক কতখানি - সেইটা বুঝতে পারছি না। খাবি খাচ্ছি, তারপর তারস্বরে কেঁদে উঠছি একসময়। অথচ মা কে বারবার বলছি ঐ লাইনটাই পড়তে- ডুবে যাওয়ার অনুভূতি আবার পেতে চাইছি ; মা যখন বাড়ি নেই, বই হাতে আমি ঠাকুমার কাছে যাচ্ছি, তারপর ... ...
এ অরণ্যে পাখি নেইশুধু তোমার দিগন্ত ডুব শরীর, বিরোধী মিছিল থেকে তোমার বাবা বেপাত্তা হল যেদিন
তাকানো হয় না তোমার দিকে বহুদিন। নিজেকে সাজিয়ে তোলার ইচ্ছেটা একেবারেই মরে না গেলেও সেটা অনেকে ভালো চোখে দেখবেনা বলে দাঁড়াই না তোমার সামনে। কালো চাদরে ঢেকে রেখেছি তোমায়।
তুমি আসো / তাই ঘুম আসে না ...
এখনই দূরে যেয়ো না / কাছে, কাছে থাকো। / দূর আলোর স্মৃতি পড়ে আছে ছাতে
নেত্রী বলেছিলেন দুদিন পরে আধা সামরিক বাহিনী থাকবে না, তখন দেখে নেব। ভাইরা বলেছিলেন রেশন বন্ধ করে দেব। তাই, এটা হবে জানাই ছিল। শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের ভোটে তবু জয়ী গত বারের শাসক দল।
শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের ভোটে জয়ী গত বারের শাসক দল। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটে নয়, জিতেছে সাধারণ মানুষের ভোটে দলটি। একটা দল আজ বাংলা থেকে লুপ্তপ্রায় হয়ে গেছে। তাঁরা বাংলায় শিল্প গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের আমরা জমির দালাল হিসেবে বিতাড়িত করেছি।
বেলা বোস শুনছো, / তুমি বিয়ে করে নিতে পারো এবার / আগামী ৫ বছরে চাকরী নাই আর
শাহরুখ খান একটা ডাইলোগ মনে পরেছে হালকা হালকা। ঠিক মনে নেই, তবে বোধহয় কথাটা এরকম ছিলো হারকে ভি যো জিতা হে ওহি বাজিগর। মাফ করবেন আমার হিন্দি টা পিসিমার চেয়েও বাজে। আমার শুভ চিন্তকরা বলেছেন পিসিমার বিরুদ্ধে কথা বললে আমাকে সোসিয়াল মিডিয়া থেকে একঘরে করে দেবে। তবুও আমি হাজার বার বলবো।হেরেও জিতে গেল বিজেপি। না তিন থেকে ৮২ টা, প্রধান বিরোধী দল হয়েছে বলে বলছিলাম না তাঁরা সফল । এর পিছনে অন্য গল্প ও আছে। বেশীর ভাগ বাঙালি যখন আনন্দ উল্লাসে ব্যাস্ত বিজেপির মত একটা সাম্প্রদায়িক দলকে হারিয়ে। ... ...