আদর্শ বাঙালির সিক্স প্যাক বা সেক্সী প্যাক কিছুই নেই। ভাতখেকো তাই ওপরে নিচের অংশটা সরু, পেটের দিকটা মোটা তাই আদুরে নাম পটলা। চায়ের দোকান থেকে খাবার টেবিলে ভীষন প্রতিবাদী তাই উপাধি পেয়েছি নকশালি। আরে একসময় দেখতেন না, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলেই আপনি হয়ে যেতেন মাওবাদী তেমনিই একটা ব্যাপার। তবে আমি নেতা মন্ত্রীদের বিরোধিতা তো দূরে থাক পাড়াতুতো রাজনৈতিক টিকটিকি গিরিগিটিদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলি নি কখনও। যত হম্বিতম্বি চেনাজানা মহলে আর কি। ... ...
[২০১৬ সালে, ভ্যালেন্টাইন'স ডে-র প্রাক্কালে লিখেছিলাম। এখন বেনামে এই লেখা ফেবুতে মাঝেমাঝে দেখা থাকবেন অনেকে; whatsapp এ ফরোয়ার্ডও করে থাকবেন। এই প্রমাণ রেখে গেলুম গুরুর কাছে, এর রচয়িতা আসলে শ্রীশুভংকরঘোরাচৌ (আসল)।] ১। অঙ্কের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় রাম আর শ্যামের মাধ্যমে। দুজনেই গোপালের চেয়েও বেশি সুবোধ বালক। রাম চারটে লজেন্স নিয়ে খই ভাজছিল, শ্যাম এসে আরও পাঁচটা লজেন্স দিল তাকে। সব মিলিয়ে কটা হল? ৯টা। বন্ধুপ্রীতি দেখে আমার চোখে জলও এসে গেল। অঙ্কও মিলল। ২। একটু বড় হলাম। রাম-শ্যামও। এখন তারা আর অতো সহজ সরল নয়। সামান্য বালখিল্য দুষ্টুমি এসে জুটেছে। মার্বেল চুরি করা, তিনের পাঁচ অংশ পরোটা খেয়ে বাকিটা ফেলে দেওয়া, মাটির ... ...
আমার এক বন্ধু রসিকতার রাংতায় মুড়ে বিষাদের কথা শোনাল সেদিন। ❝ভালো লাগছে না রে! কিচ্ছু ভালো লাগছে না।❞একটু খুঁচিয়ে দিলাম, ❝কীরকম?❞❝ছোটবেলায় খেলাধুলা শেষ করে সন্ধেবেলা ঘরে ফেরামাত্র মা যখন পড়তে বসিয়ে দিতেন তখন কিচ্ছু ভালো লাগত না। আজকাল অনেকটা এইরকমই...❞ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন ঢল নেমেছে সংক্রমণের, মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর তখন মনের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে এহেন অবসাদের সাথে তুলনা টেনেছিল সে। তুলনাটি সঙ্গত ছিল কিনা, সে নিয়ে তর্ক কালক্ষেপের নামান্তর। কারণ একই পরিস্থিতিতে অবসাদের রং-রূপ ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান দপ্তরের হেলথ বুলেটিনে মানুষের বাঁচা-মরার হিসেব দেখতে দেখতে আমরা যে সবাই মাত্রা, রূপ ও আকার ভেদে ... ...
কবি ও চিন্তক শঙ্খ ঘোষের প্রয়াণের এক মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেল। আর সব কিছুর মতোই, আমরা এই শূন্যতার সঙ্গেও অভ্যস্ত হয়ে যাব। কিন্তু ২১শে এপ্রিল ভাবার চেষ্টা করছিলাম, এই মানুষটি নিজের সঙ্গে বাঙালির আর কী কী নিয়ে গেলেন! সেই সূত্রে আমার একটি ছোট্ট লেখা প্রকাশিত হয়েছিল আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকের পাতায়। গুরুদের সঙ্গেও ভাগ করে নিলাম এখানে। মতামত পেলে ভালো লাগবে। ... ...
'জীবনপণ' সুপার স্পেশালিটি বেসরকারি হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট চেম্বারে মিটিং চলছে খুব গোপনে। সুপারের টেবিলের সামনে মোট তিনজন বসে। তিনজনেই সিনিয়র ডাক্তার। এই হাসপাতাল শুধু নয় তাঁরা প্রত্যেকেই শহরের আরো বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে যুক্ত। "আজকের ভর্তি নিয়ে টোটাল ক'টা পেশেন্ট ?" খুব চাপাস্বরে সুপার জিজ্ঞেস করলেন। "শুধু কি কভিড পেশেন্ট বলব ?" ডা: সুবীর সরকার বললেন। "তা নয়ত কি, অন্য পেশেন্ট নিয়ে কথা বলতে বসেছি ?" সুপারের গলায় ঈষৎ ঝাঁজ। "আজকের নিয়ে টোটাল ছত্রিশ।" "ফিফটি আপ কজন ? আর কদিনের পুরনো ?" "স্যার, প্রায় কুড়ি জন ফিফটি আপ। আঠাশ জন কো-মর্বিডিটি প্লাস। তারমধ্যে বাইশ জন পুরোনো। আইসিইউতে রয়েছে আঠেরো। তার মধ্যে চারজন বিলো ফর্টি।" "ওই বাইশ জনের মধ্যে ... ...
শুধু ভালবাসায় ভর করে হাঁটা যায় যোজনপথ আমাদের সমস্ত শিল্পপ্রকাশই কোনও না কোনওভাবে প্রেম-ভালবাসার কাঙালপনা, আকুতি, চাওয়া পাওয়া, হারানো এই সমস্তকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। ভালবাসা এই চতুর্বর্ণে বর্ণমালা শেষ হয়ে যায়। শুধু ভালবাসায় ভর করে হাঁটা যায় যোজনপথ। প্রতিটি নারী অথবা পুরুষ নিজের মতো করে এক চিরন্তন রাধিকা বা বনমালী। ভালবাসা ক্ষমাপ্রবণ করে তোলে, শান্ত করে অস্থিরতা। বেঁচে থাকা রমণীয় করে তোলে দু’দণ্ড। প্রেমিক-প্রেমিকা, বন্ধু, মা-বাবা, স্বামী স্ত্রী, ভাই-বোন বা নামহীন অজস্র সম্পর্কের সুতোয় টান পড়ে কতবার। অথচ ‘ভালবাসি’ কথাটি সে ভাবে বলে ওঠা হয় না অনেকেরই। ভালবাসার কথা সেভাবে বলে ওঠা হয় না। বলে ওঠা হয় না ভালবাসি, সত্যিই ভালবাসি, ... ...
.
নমস্কার সবিনয় আবারো আপনাদের সকলের কাছে একটি আপতকালীন আর্জি! আমরা অর্থাৎ 'বিসর্গ' বিগত ২০০৭ সাল থেকে চোদ্দো বছর ধরে কেবলমাত্র নাটক করে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করি।এবং নাটকের পর মাধুকরী করে থাকি।তা থেকে যা উপার্জন হয় সেটাই আমাদের একমাত্র উপার্জন।এমতাবস্থায় আমাদের সকল প্রয়াস স্থগিত করা হয়েছে দেশের সুস্থতা কামনায়।সঙ্গে বন্ধ হয়েছে দিন আনি এর কর্মসম্পাদন।ভাড়ার শূণ্য!অগত্যা হাত পাতচ্ছি আপনাদের কাছে;আপনাদের আন্তরিক প্রশ্রয় বেঁচে থাকার রসদ সংগ্রহ করার জন্য আপনারা যদি আমাদের সহযোগিতা করেন এই আশায় একটি খোলা চিঠি। আমাদের সহযোগিতা করতে পারেন ঘরে বসেই,আপনার নির্ধারিত অর্থ সহযোগিতা পাঠাতে পারেন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এ! ACCT HOLDER- BARRACKPORE BISARGOPanjab National BankAccount - 0677010708579BRANCH- SBDO DUM DUM (PNB)IFSC- PUNB0067720 গুগল ... ...
নমস্কার
এটা কতটা পরীক্ষিত? 6 ঘন্টাই করোনা আসবে না কেন? প্রতি স্প্রেতে ছ’ঘণ্টা দূরে থাকবে করোনা, অভিনব আয়ুর্বেদিক মাউথ স্যানিটাইজার আনল হিন্দুস্তান অ্যান্টিবায়োটিকস লিমিটেড বিশ্বজিৎ দাস, কলকাতা: হলুদ, অ্যালোভেরা, গ্রিন টি’র নির্যাস সহ বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষধি দিয়ে তৈরি মাউথ স্যানিটাইজার আনল দেশের নামকরা কেন্দ্রীয় সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যান্টিবায়োটিকস লিমিটেড (হ্যাল)। সংস্থার দাবি, এই স্যানিটাইজার মুখের ভিতর স্প্রে করতে হবে। প্রত্যেকবার চার থেকে পাঁচটি স্প্রে করলেই অন্তত ছ’ঘণ্টা করোনাও থাকবে দূরে! এভাবে ছ’ঘণ্টা অন্তর পুরোটা পড়ুন ... ...
ওষ্ঠে তোমার আগ্নেয়গিরির লাভা / আমার পিপাসু সাধে আগুন জ্বালায়
আজ এক সপ্তাহ হল বাড়িতে, বিশেষ কোন কাজ নেই। বেশিরভাগ সময় কাটে গল্পের বই পড়ে আর মোবাইল ঘেটে।তাই হরদম ই মায়ের বকা শুনতে হয় যে আমি নাকি দিন দিন অলস হয়ে পরছি আর মোটা হয়ে যাচ্ছি। প্রথম কিছু দিন খুব একটা রিয়াক্ট করিনি , কিন্তু আজ নিজের বৈপ্লবিক রূপ ধারন করলাম , চিৎকার করে নিজের অভিমান জানালাম। কিছুক্ষণ পর আমার হাতে একটা ঝাড়ু ধরিয়ে দিয়ে বললো "আজ আমি ছুটি নিলাম তুই কর দেখি" । নিজেকে প্রমাণ করতে গিয়ে অগত্যা তুলতে হল ঝাড়ু। ঠিক মনে হল স্বচ্ছ ভারতের পুরো দায়টা পরল আমার ঘাড়ে। লেগে পরলাম ঝাড়ু নিয়ে ,পুরো ভারত পরিস্কার করতে। একবার এদিক ... ...
১বাঙালি ভ্রমনপাগল জাতি, চিরায়ত প্রবাদ। সেই আদিকাল থেকে তারা পাড়ি দিয়েছে নানা দেশে বিদেশে ভ্রমনের নেশায়। দেশে বিদেশে তো দিয়েছেনই তাছাড়া ও পাড়ি দিয়েছে বঙ্গভূমির নানা জানা ও অজানা প্রান্তে।সময়টা ১৮৭১ সাল । হুগলির বিজয়নারায়ণ কুন্ডু নামক এক মহাশয় প্রথম পাড়ি দিয়েছিল অবিভক্ত বাঙ্গলার পশ্চিমপ্রান্তে, বনে জঙ্গলে ঢাকা পাথুরে মালভূমি অঞ্চল সাঁওতাল পরগণায় । মধুপুর-গিরিডি শাখার রেল লাইন পাতার ঠিকাদারির কাজ নিয়ে। তখন সেখানে মানুষ বলতে ছিল আদিবাসী কোল,ভিল, সাঁওতাল।শিকার ছিল তাদের প্রধান জীবিকা।বন থেকে পেত ফল, মধূ।পরে সেখানেই থেকে যান তিনি। সেই থেকে শুরু হয় বাঙালির সাঁওতাল পরগনায় আসা।তারপর একেরপর এক বাঙালির চরনধুলো পরল সেই ভূমিতে, গড়ে উঠল একটি ... ...
বেচারা ঈশ্বর! সর্বশক্তিমান অথচ একা, একাকিত্বের উত্তম ও একমাত্র উদাহরণ। ঘর নেই, বাড়ি নেই, আত্মীয় নেই, পরিজন নেই- আছে কেবল দায়িত্ব, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের দায়িত্ব। জীব-অনুজীব-জড় পদার্থের হিসেব-নিকেশ; পাপ-পুণ্যের। নেই কোন বিশ্রাম। ঐশী ক্ষমতার বলে নিজের শ্রান্তিকে দূরীভূত করার এক অনন্য গুণ আছে বলেই তিনি ঈশ্বর, আর ঠিক তাই তিনি সদা জাগরুক বিশ্রামহীন ক্লান্ত পথিক। যার কোন গন্তব্য নেই, নেই কোন শুরু। কেমন অদ্ভুত ব্যাপার! বৃত্তাকারে বৃত্তবন্দি! সর্বত্র তার জয়জয়কার অথচ নিজের সৃষ্ট স্বর্গ-নরকের সুখ কিংবা যন্ত্রণা ভোগ করার নেই কোনো অধিকার। এ যেন বিশাল অট্টালিকার নির্মাণ শ্রমিক; নিজের সৃষ্ট কর্মের সৌন্দর্য ভোগ করার অধিকার রয়েছে, ফল ভোগের নয়! হায় ঈশ্বর যদিও গীতায় তিনি ... ...
ঋতুপর্ণ ঘোষের মৃত্যুদিনে ..."জানা হবে না নিজের মৃত্যুদিন" : স্মরণে ঋতুপর্ণ ঘোষ -- লিখেছেন শুভংকর ঘোষ রায় চৌধুরীতাঁর চলে যাওয়ার দিনে, আজ, মনে আছে শহরে বৃষ্টি হয়েছিল খুব। মনে আছে, যে গাড়িতে শায়িত ছিলেন তিনি, জলের ধারা গড়িয়ে পড়ছিল তার কাঁচ বেয়ে। যেমনটা নিজেই লিখেছিলেন, নিজের মৃত্যুদিন জেনে যেতে পারেন নি তিনি; পারে না কেউই। কারণ, মৃত্যু তো আসলে তাঁদের যারা রয়ে গেল সেই খবর শোনার জন্য। পুরোটা পড়ুন ... ...
রেড ভলান্টিয়ার্স আজ তিলোত্তমার অঙ্গে অঙ্গে রোগের ভ্রুকুটি। যেন সে এক নগ্ন রোগজর্জর শরীর নিয়ে হতাশ হয়ে বসে আছে। শুধু তিলোত্তমার নয় সহচরীদেরও একই দুরবস্থা। কিছুদিন তারা নিজেদের সামলে রাখতে পেরেছিল নায়িকার সাথে আড়ি আড়ি খেলার জন্য নিজেদের মধ্যে কেউ একটু ছিমছাম হয়ে থাকতে পেরেছিল। কিন্তু কি বলব. খেলা তো হরেক রকম। কত নতুন খেলার যে জন্ম হয় এ জগতে।যেমন ভোট ভোট খেলা। ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রিয় খেলা। সেই খেলাতে কেউ দূরে বসে থাকতে পারেনা রীতিমত গা ঘেঁষাঘেঁষি ঘসাঘসি সবই করতে হবে। যারা যত ঘেঁষাঘেঁষি হবে তত লাভ তাদের, অন্তত সেটাই সবাই ভেবে নেয়। সেই খেলাটা খেলতে ... ...