ঝড়ের সঙ্গে আলাপ করতে / নদনদী বন পাহাড় ভেঙ্গে / রোদবৃষ্টিকে অনেক অনেক
লাগাতার কাজ শুরু হওয়া প্রয়োজন ছোটদের পরিসর থেকে। ভিন্নমত প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে তর্ক করা অমূলক সময় নষ্ট; বেশিরভাগেরই কান নেই, মুখ আছে। বরং সমমনস্ক কিছু প্রাপ্তবয়স্ক জোট বাঁধলে তবু একটা ব্যাপার। কিন্তু জোট বেঁধে, তারপর? আবার তর্ক? ঝগড়া? "আমাদের দাবি মানতে হবে"?সে চলতেই পারে; বিকল্প ভাষ্যে যৌথ পরিবারের মতো এরা। কিন্তু এই সবই আগাছার পাতা ছেঁটে শিকড় রেখে দেওয়ার মতো ব্যাপার। গঠনমূলক কাজ অনেক, অনেক বেশি প্রয়োজন বুনিয়াদি স্তরে, ছোটদের সঙ্গে/ জন্য। আসলে আমাদের গবেট মাথায় রাজনীতি এতটাই 'বড়দের বিষয়' যে বড়দের ওদিকে ব্যস্ত রেখে রাষ্ট্রচালিত শিক্ষাব্যবস্থা ছোটদের apolitical কুচুসোনা প্রকল্পের অংশ করে নেয়। এ এক আশ্চর্য মজা! 'অরাজনৈতিক' ইতিহাস, 'অরাজনৈতিক' ... ...
আয়লা, আম্ফান থেকে আমরা শিক্ষা নিই নি, শুধু ভিক্ষা নিয়েছি - সমীরণ মন্ডল সুন্দরবনের মানুষের মনের কথা বলেন তার পোষ্টে, সেখান থেকেই এ লেখাটির কথা মনে হল। বিনামূল্যে আপনি চাল পাবেন, ডাল পাবেন, সব পাবেন কিন্তু শিক্ষা পাবেন না, কারণ, শিক্ষিত মানুষরা প্রশ্ন করতে পারেন। গিয়েছিলাম ওখানে তিন বছর পর। দেখেছিলাম তখন ধান চাষ করতে পারছিলো মানুষরা। সেই স্মৃতি এখনও ফিরে আসছে বারে বারে। ত্রাণ এবার জুটবে বা জুটবে না - সেই প্রশ্নর উত্তর আছে নেতাদের কাছে। টাকা নাকি কম এসেছে। ঐ অঞ্চল দিয়ে ঝড়টা ঠিক যাচ্ছিল না বলে। রাজনৈতিক নেতারা রাজনীতি করবে। লড়াইটা একাই লড়বে সুন্দরবনের মানুষ। ওরা এখনও লড়ছে। ... ...
হয়তো আর কিছু সময় পরেই landfall হবে সাইক্লোন ইয়াসের। দীঘা থেকে এই মুহূর্তে আশি কিলোমিটার দূরে তার অবস্থান। বালেশ্বর থেকেও প্রায় সমান দূরত্বে।আন্দাজ, এইবারে দক্ষিণবঙ্গে, বিশেষত সুন্দরবন অঞ্চলে আর সংলগ্ন উপকূলের জেলাগুলোতে ঝড়ের/ হাওয়ার দাপট কিছুটা কমের দিকেই থাকবে; অন্তত আগের বছর যা সামলাতে হয়েছে, সেই তুলনায় কম তো বটেই। যদিও মেদিনীপুর ঝড়ে সাঙ্ঘাতিকভাবেই exposed থাকবে বলে মনে হয়।কিন্তু এই মুহূর্তে চিন্তা বৃষ্টি নিয়ে, বা তার চেয়েও বেশি -- পূর্ণিমার জোয়ার নিয়ে। জলস্ফীতি এবার সবচেয়ে ক্ষতি করবে বলে আশঙ্কা করছি। প্লাবন, বাঁধ-ভাঙা, চাষের জমি নষ্ট --- এর জন্য প্রস্তুত হতে হবে আমাদের। ... ...
আমফানের স্মৃতি নিয়ে এগিয়ে আসছে ইয়াস। তবে অভিমুখ আলাদা; উপকূলবর্তী সকলে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করে আছেন, আশা রাখি। গত বছরের অভিজ্ঞতার পর দক্ষিণবঙ্গ এবার বেশি সচেতন।
বাসের মধ্যে সিনিওর সিটিজেন সীটে বসা নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্ক লেগেছে। একজন বলছে- আমি বেশী বয়স্ক, আমি বসবোআর একজন বলছে- ধুর মশাই আপনার চুল এখনো কালো, কি বলছেন!- আরে! চুল সাদা মানেই বেশী বয়স?- ঠিক আছে,আপনার আধার কার্ড বের করুন, দেখি আপনার বয়স- এ রে! আমার আধার কার্ডে ডেট অফ বার্থ ভুল এসছে!- চলবে না, আধার কার্ডে যা থাকবে, সেটাই মানা হবে। কনডাকটর্ দাদাও এটাই বললো- আপনারা নিজেদের মধ্যে মেটাতে পারেন না যখন, তখন আধার কার্ডের জন্মসাল দেখেই মিটমাট হোক!এটা শুনে অন্য এক মধ্যবয়স্ক প্যাসেঞ্জার বলে উঠলো- বাহ! আমার আধার কার্ডে জন্মসাল এত ভুল এসছে যে সেই হিসেবে আমার বয়স এখন ... ...
জনপ্রিয় এই গান টি শোনেননি এমন বাঙালি পাবেন না। "এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হতো তুমি বোলো তো" সুন্দর এই পৃথিবীতে, মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে, যারা লম্বা হাঁটতে ভালোবাসেন বা যারা ট্রেকিংই যান, তাদের উত্তর যে "ভালোই হতো" হবে এটা বলাই বাহুল্য। সুগস্পিৎজে ট্রেকিং এর শুরুতে আমাদের ও ঠিক তাই মনে হয়েছিল কিন্তু পরের দিকে আমাদের দলের মধ্যে কারো কারো হয়তো মনে হচ্ছিলো "কতদূর আর কতদূর বলো মা"। আসুন দলের সাথে পরিচয় টা আগে করে দি, চার জনের টীম, চারমূর্তি। আমি, আমার স্ত্রী, আমাদের পুত্র ও কন্যা। এমনিতে বছরে দু থেকে তিনবার আমরা এদিক ওদিক বেরিয়ে পড়ি, যার মধ্যে ... ...
সেই একই খবর। নতুন কিছু খুঁজছিলাম। পাঞ্জাবের এক পুলিশ কনস্টেবল একটা ডিম চুরি করেছিল বলে, তাও আবার কাঁচা ডিম, তাকে নাকি সাসপেন্ড করা হলো।
আমোদগেড়ে আমোদগেড়ে বলে একটা কথা নতুন শিখেছি। বাংলা সিরিয়াল দেখে এই তিন কুড়ি বয়স পার হয়ে। এরা সবকিছুতেই বড় আমোদ পায়। তা এতদিন জানতুম আমাদের রাজ্যেই একজনা আছেন যিনি নাকি বড্ড আমোদ আনন্দ করতে ভালোবাসেন। আর সেজন্য কতকত উৎসব হয়, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচা হয়। কেলাবে কেলাবে দেশী বিদেশী পানের জন্যকত কত টাকা দান করেন। আবার দেশী পান বেশি বা বিষ হয়ে লোক মরলে তাতেও লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও দিয়ে দেন। দুগ্গা পুজোয় লক্ষ টাকা কোটি টাকা চাঁদা পাবার পরও আবারো টাকা দিয়ে কত সাহায্য করে দেন। আমোদে যেন কমতি না হয়।. এমন আমুদে দিদি পিসি কজনের ভাগ্যে জোটে ... ...
#কাদামাটির হাফলাইফ ১০৭অ্যাটেনশন অ্যাটেনশন টেলিপ্রিন্টার যন্ত্রটা অস্বাভাবিক আওয়াজ করছে। খেতে বসছি। একজন বললেন, দেখ তো কী হলো?দেখি একটা একটা একটা করে অক্ষর দিয়ে। A T T E N T I ONএই রকম বার তিনেক এলো। তখন নেট কল্পনাতেও ছিল না। ই-মেল, গু গুলদাদাও অনুপস্থিত।দেখি, আসছে, অ্যাসাসিনেশন।অ্যাসাসিনেশন।তারপর একটু থেমে, রাজীব গান্ধী অ্যাসাসিনেটেড। চেঁচিয়ে ফেলি।ছুটে আসেন এক ব্যক্তি।আমরা দুজন দুজনকে পছন্দ করতাম না।আমি সরে যাই।রাতের সাংবাদিক ছিল সুপ্রিয়দা। ভালো মানুষ।বলল, তুই ফোন ধরি ফোন এলে।লিখে রাখবি, কী খবর পাচ্ছিস, কলকাতার সুপ্রিয়দা আরেকটা ফোনে ব্যস্ত।#এরমধ্যেই চলে এলো চন্দন বসুর ফোন।জ্যোতি বসু সেদিন মাদ্রাজে।চিন্তা ।অনিলদা বললেন, আমার সঙ্গে একটু আগে কথা হয়েছে। ঠিক আছেন। কাল আমরা বন্ধ সমর্থন করছি।অনিদ্রা ... ...
সকালে আজকালে প্রকাশিত (১৯শে মে ২০২১) লেখায় শোকোচ্ছ্বাসকে আপনি যতই কুশলী আমলার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় আবেগহীনতার শক্ত খোলসে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করুন না কেন, ডাবের ভেতরে যে নরম শাঁস থাকে আমরা সবাই সেটা জানি। মনে হচ্ছিল আপনি যেন তিন কন্যার এক কন্যা অপর্ণা সেনের মতো ছেলেমানুষী করছেন। কোঁচড়ে লুকিয়ে রেখেছেন কাঠবিড়ালি। সেটা যে বেরিয়ে পড়বে সে খেয়াল নেই। শেষ অনুচ্ছেদের শেষ কতিপয় লাইন পাঠ করার সময় আমার চোখ সহসা ভিজে গেল। ... ...
চা খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ পূর্ণ বিষয়। যদিও নয়ের দশকে আমাদের ছেলেবেলা, তখন ধারণা ছিল চা খেতে যাওয়া মানে বে থা করবার কথা বলবে হয়তো। কারণ সেই যে বিখ্যাত গান "সায়েদ মেরা সাদিকা খেয়াল, দিল মে আয়া যায়, মাম্মি নে মেরি তুমহে চেয়ে পে বুলায়া হ্যায়"। কফি উইথ করণ থেকে বুঝলাম চা চক্র আলোচনার জায়গা। ... ...
ভোট মিটে গিয়েছে। মোদী-শাহের আর দেখা নেই। গত দুই-তিন মাস যেভাবে মোদী-শাহ নিয়মকরে বাংলায় ঘুরে গিয়েছেন, মনে হয়েছিল তাঁদের মতো বঙ্গপ্রেমী আর দুটি নাই। ভোট শেষ, তাঁরাও ডুমুরের ফুল। আসলে, এই মুহূর্তে বঙ্গে বড় কিছু হেতু নেই। আপনি বলবেন, ক্রমহ্রাসমান করোনা পরিস্থিতি কি সেই হেতুর মধ্যে পড়ে না। ভোটের থেকে বড় কিছু নয়। ভোট হল এমন মোহ, সেখানে সব কিছুর মাফ আছে। ভালবাসা আর যুদ্ধে এত দিন সব ভুল মাফ ছিল। বাংলার নির্বাচনের পর মনে হয়েছে, ভোটেও যা কিছু করা যায়, তার জন্য সব মাফ হয়ে যায়। ভোট প্রচারে এই লাখো লাখো লোকের সমাহারে করোনা পরিস্থিতি কি আরও ভয়ঙ্কর হবে ... ...
পুরুলিয়া জেলা নিয়ে ইতিহাস ভূগোল রাজনীতি অর্থনীতি কোনো লেখা পেলে ভালো হয় ।পশ্চিমবর্ধমান নিয়ে ও ।
অপরাজিত মুক্তিপ্রাপ্তির সময় চলেনি। পরবর্তীতে ভেনিসে গোল্ডেন লিও জেতার পর আবার একবার মুক্তি পায় যতদূর শোনা যায়, তাও চলেনি। এখন এই চলা আর না চলার অচলায়তন থেকে চলচিত্রের মুক্তি নেই বলেই বোধহয় এই প্রসঙ্গ দিয়ে প্রবন্ধ শুরু করতে হল, তবে শিল্পমাধ্যম হিসেবে সিনেমা যে এদেশে মুক্তি লাভ করেছিল তার কান্ডারী শ্রী সত্যজিৎ রায়। এ আমরা জানি কেবল নয়, প্রায় উপপাদ্যের স্বতঃ সিদ্ধ। এখন প্রশ্ন ওঠে শুধুই কি আমরা বিশেষত: এই প্রজন্ম এটাই জানব যে তিনি একজন মহামানব কিংবা এক অসীম প্রজ্ঞার অধিকারী যা একাধিক শাখায় পল্লবিত! নাকি নন্দলাল বসুর সুযোগ্য ছাত্রটির শিল্পসুষমার ভেতর প্রবেশ করার অসামান্য সাহস আমরা দেখাব! আপাতত: ... ...
অপেক্ষাই নাকি ভালোবাসার, চরমতম বহিঃপ্রকাশ ; / স্বপ্নদোষে রয়ে গেছে আমার, সিমেন সিক্ত অন্তর্বাস।
শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ের ঘোড়ায় চড়া নেতাজিকে দেখে নয়নের চোখে বিদ্যুতের ঝলকানি খেলে গেল। মারুতি অমনি থেকে নেমে ফুটপাতের দিকে পা বাড়ালো। ভাড়া আগেই মিটিয়ে দিয়েছিল। চোদ্দশো টাকা। সামনেই চোখে পড়লো সেই গোলবাড়ি রেস্টুরেন্টটা, যেখানে বছর কয়েক আগেই সে এসেছিল বাবার সাথে কষা মাংস আর ঘিয়ে ভাজা পরোটা খেতে। আজও সে এসেছে। একা। পকেটে সীমিত পয়সা। ... ...