চারটে স্তম্ভ ফ্যাসিবাদ মনুবাদ কখনো মরে না।তাকে হত্যা করতে হয়৷যেভাবে ফ্যাসিবাদ দলিত-আদিবাসী মেয়ের ওপর অকথ্য হিংসা করে, তারপর তার লাশ বাহিনী দ্বারা পুড়িয়ে দেয়।আর তার বেকার প্রেমিক'কে এই শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ অস্পৃশ্য বানিয়ে রাখে, হাসপাতাল চাকরি আর কারখানায়।যেই তথ্যের কোনো বিচার নেই; এই সংবিধান শপথেরন্যায়ালয়ের হাতুড়ি আর কলমের সামনে।যেনও সেখানেও ন্যায়ালয় সমস্ত মেয়ের ওপর অকথ্য হিংসা করে, বাজেয়াপ্ত করে তাদের মা-মানুষের মাটি।এই সর্বহারা-অল্পহারা প্রলেতারিয়েতদের হৃদপিণ্ড জমতে থাকে মনুবাদের কোষাগারে।ঠিক যেনও পৈতেবাদ ফল খায় ফ্যাসিবাদের ঘাড়ের ওপর চেপে৷বাজেয়াপ্তি হওয়া লেখক, মানবাধিকার, নাগরিকের হৃদপিণ্ডের লালরস গুলো শুকোতে থাকে।ম্যাজিস্টেট থেকে ন্যায়ালয় সকলে জানে তাদের হাতুড়ি আর কলমের থেকেও শক্তিশালি, হাতুড়ি আর কলম আছে নাগরিকদের।আছে এক ... ...
সকাল থেকে টেনশনটা হচ্ছিল। অনেকদিন পর নিজের ছোটবেলার ছোঁয়া পাবে, এ কি কম? হুইল চেয়ারের চাকা ঘুরিয়ে বার-দুই ঘর-বাহির করে তোর্সা। মা-ও ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন, কী রে অনেকটা পথ তো, জামাইয়ের এত দেরি হচ্ছে কেন? তোর্সা আবার মোবাইলে আবিরকে ধরার চেষ্টা করে। আবার পরিষেবা সীমার বাইরে। মায়ের প্রশ্নের কোনো জবাব না দিয়ে থমথমে মুখে ঘরে ঢুকে যায়। একটা ফোন তো করা উচিত। একটা পোলিও মেয়েকে নিয়ে দু-আড়াই ঘন্টা রাস্তা তো কম নয়। শোকেস আলমারির সামনে এসে দাঁড়ায় চেয়ারটা। তোর্সা মুখ তোলে, যেখানে উজ্জ্বল হয়ে হাসছে আবিরের মুখ। ছবিটা এতটাই সজীব। মানুষটার দিকে তাকিয়ে তোর্সা নিজের চোখদুটো বোজে। ... ...
ঘুম থেকে উঠে একটা কেমন যেন অন্যরকম ঠেকছে চারপাশ। চোখ খুলতেই মাথার উপর একটা নোংরা মশারি। তাতে নানা সাইজের ফুটো। কয়েকটা ফুটো আবার সেলাই করা। কয়েকটা সেফটিপিন মারা। তার উপরে কাঠের কাঠামোতে বাঁশের ছাউনির ছাদ। তেলচিটচিটে বালিশ মাথায় শুয়ে আছি। একটা বেডকভার দিয়ে আমার শরীর ঢাকা। সেটাও তেলচিটচিটে। উঠে বসলাম। মনে পড়ল কাল সন্ধ্যায় আমার ছোটবেলার বন্ধু কেতকী দত্তের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম। এসেছিলাম বলতে হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্ত। কলকাতার এই মেকী জীবনযাত্রা ভাল লাগছিল না। ক্লান্ত হয়ে উঠছিলাম কোম্পানির ব্যালেন্সশীট ঘাঁটতে ঘাঁটতে। টার্নোভারের গ্রাফ চড়ছে তো চড়ছেই। ... ...
ডাক্তার পূর্ণেন্দু ঘোষ ও লালগঞ্জের স্মৃতি [ তার মৃত্যুদিনে (৪ঠা মে) একটি শ্রদ্ধার্ঘ্য ] রাঙাডাক্তার গ্রামের পথ দিয়ে ফিরে আসছেন। ভাঙড়ের বাগবাড়ীতে তাদের সংগ্রাম পর্যুদস্ত হয়েছে। মন তার ভারাক্রান্ত।
প্রখর দহনে / তুমি শান্ত করা / বারি ঝরা মেঘ
ছোট্টবেলায় দেখেছিলাম গুপী বাঘা হিরক রাজ
শ্রমের দাম দেয় না কেউ / সবাই শুধুই টাকা দেখে
প্রেমের চলন জানি সঙ্গোপন নয়তবুও আকুতি থাকেগোপন থাকার খিদে।যত কোলাহল দূরগামী, নিকটকামীএবং অস্তগামীসবাই তুচ্ছ নয়যদিও ইচ্ছেটা সেরকমই হয়। গ্লানিযদিও জানিসহজে মিটিবার নয়যত গ্লানিজীবন কহানিশুধু বাজে কথা নয়সকলেই কিছু তুচ্ছ নয়,প্রেম, খিদে, বিদ্রোহ, ভালবাসাজয়-পরাজয়, গ্যালারিতে ছয় সকলেই বুঝে গেছে -বিপন্ন সময়।
সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় নন্দনে৷ সে বছর তিরিশেক আগের কথা৷ খালি এটুকু মনে আছে যে হঠাৎ ঘুম ভেঙে উঠে দেখলাম একটা বড় অন্ধকার ঘরে বসে আছি আর সামনের পর্দায় কিছু একটা হচ্ছে! আসলে সে দিন বাবা মা দাদার সঙ্গে ঘুরতে গেছিলাম৷ চিড়িয়াখানা, যাদুঘর, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দেখে নন্দনে যখন "হীরক রাজার দেশে"র স্পেশাল শো তে গিয়ে বসলাম তখন আর জেগে থাকতে পারিনি৷ ঘুম ভেঙেছিল একদম দড়ি ধরে মারো টান এর পরে৷ বলাবাহুল্য সেদিনের ঘোরাঘুরির কিছুই আমার মনে নেই৷ সবটাই পরে শোনা৷ কিন্তু ঐ অন্ধকার হলের মধ্যে ঘুম ভেঙে ওঠাটা দিব্যি মনে আছে৷স্মৃতি ব্যাপারটা বেশ গোলমেলে৷ "যখন ছোট ছিলাম" এ ... ...
ক্রমশই রাত্রি গভীর হচ্ছে / সকাল হারিয়ে যাচ্ছে
তুমি বসবে গদীতে
ধরা যাক আমরা সবাই দুশো বছর বাঁচবো। অর্থাৎ একশো আশি হলে বুড়ো, একশো পঞ্চাশে মাঝবয়সী, একশো তে যুবক, আর পঞ্চাশে শৈশব।