তুমি বসবে গদীতে
ধরা যাক আমরা সবাই দুশো বছর বাঁচবো। অর্থাৎ একশো আশি হলে বুড়ো, একশো পঞ্চাশে মাঝবয়সী, একশো তে যুবক, আর পঞ্চাশে শৈশব।
যারা বাংলায় আছেন ও ভ্যাকসিন নেবেন। আমার ট্যু সেন্টস— আমি ২২ এপ্রিল কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিই। প্রথম শট কোভিশীল্ড অপ্রতুল হওয়ায় একটি প্রাইভেট সেন্টারথেকে কোভ্যাক্সিন নিই। ২২ তারিখ দুটোর সময় শট নিই। রাত পর্যন্ত কোনো উপসর্গ ছিলনা। মাইল্ড হাতে ব্যথা ছাড়া।
বিমল করের 'সুখ' গল্পটার কথা মনে করিয়ে দেয় এই ছবি।বছরের এই দিনটি এঁদের কাছে না গেলে মন বর্ণহীন হয়ে ওঠে।যাওয়া ঠিক হবে কি?দ্বিধান্বিত।ফোন করি।এসো।আমার বাবা-মায়ের কাছে গেলে যে শান্তি পেতাম, এ যেন তার মতোই।কলকাতার শেষ সামাজিক মানুষ। শেষ সামাজিক দম্পতিও। আমাদের পার্টি সমাজ, ক্লাব সমাজ, গোষ্ঠী সমাজ, ধর্মীয় সমাজ, ফেসবুকে খাপে খাপ সমাজ --- সামাজিক সমাজ মরে গেছে।শঙ্খ ঘোষের বাড়িতে সবাই যেতে পারতেন। পরস্পরের গলা কেটে নেওয়ার ইচ্ছে নিয়ে পাশাপাশি বসে থাকতে বাধ্য হতো লোকে, লেখকে। ... ...
চারদিকের অসম প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা অসম্ভব / এ সত্য বুঝে গিয়েছিল মেয়েটি, উপলব্ধি করতে পেরেছে / যে জালে জড়িয়েছে তা থেকে তার মুক্তি মিলবে না ইহজনমে
মৃত্যু মিছিল। এবারে বড় কাছে, বড় ঘনিষ্ঠ। এমন কেউ যার সঙ্গে স্কুলে এক্কা দোক্কা খেলেছি। কলেজে আড্ডা মেরেছি, অফিসের অবসরে লাঞ্চ খেয়েছি, সন্ধ্যায় এক কাপ কফি নিয়ে তুমুল তর্ক বিতর্ক করেছি। শৈশবে স্নেহ কেড়েছি। তারা এমন চলে গেল, যেন এত সহজে চাইলেই যাওয়া যায়! যেন পর্দা তুলে এ ঘর থেকে ওঘর যাওয়া। অথচ এরপর হাজার লক্ষ বার চাইলেও সেই পর্দা তুলে আর কখনও এ ঘরে ফিরে আসা যাবে না। পূর্ণচ্ছেদ। অসুখ? এমন অসুখ হয়? নিঃশ্বাস না নিতে পেরে অতল জলের তলায় ডূবতে ডুবতে , শেষ সময়ে আপনজনের চোখে জল না দেখে, পৃথিবীতে ভালবাসা যে এখনও বেঁচে আছে এই বিশ্বাসটুকু সঙ্গে ... ...
রাতের তারারা আজ ধূসর / চাঁদের গায়ে আগুনের লেলিহান দাগ।
কতোটা টানবে, শ্বাস / কতোটা ধরে রাখবে / এসব মন্ত্রী ঠিক করবে / তাছাড়া কারা যেন বলে
নন্দি ভিঙ্গি রা বাড়ি পালিয়েছে। কৌলাশে তাই বাসন মেজে রান্না করে দিন কাটাচ্ছেন শিব । মা দূর্গার কতোগুলো হাত , হাত ধুতে স্যানেটাইজার করতেই সারাদিন চলে যায়। গনেশ বিপদে পড়েছে, তার জন্য কোন মাক্স নেই, নাক ঢাকছে না। কার্তিক সব ছুটি বাতিল, অক্সিজেন ঘাটতি মেটাতে তাকেে তার সেনাবাহিনী নিয়ে তৈরি থাকতে হয়েছে। মা দূর্গার কতো দুঃখ মেয়েদের অনেক দিন দেখতে পারছে না।লক্ষ্মী শুনালাম একটু মোটা হয়েছে। নারায়ণ বলেছেন করোনা সময় ঘুমিয়ে কাটাবেন। তাই একার জন্য লক্ষী রান্না বান্না করেছেন না। হোম ডেলিভারি তে খাচ্ছেন , জং ফুড খেয়েই তিনি তাই মোটা হয়েছেন নিন্দুকেরা বলছেন।নারদ মনমরা হয়েই বসে আছে, খাওয়া দাওয়া ... ...
ভারতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি Covid-19 Wave: Urgent StepsThe Lancet Covid-19 Commission, India Task Force ভারতের বর্তমান (১০’ই এপ্রিল, ২০২১) কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে বিখ্যাত ল্যান্সেট পত্রিকার তত্ত্বত্তাবধানে সদ্য একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এই রিপোর্টের উদ্দেশ্য হচ্ছে পাব্লিক পলিসি নির্ধারণের জন্য সামগ্রিক ভাবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কয়েকটি গাইডলাইন স্থির করা। আজ আমি এই পোস্টের মাধ্যমে রিপোর্টে প্রকাশিত প্রায় সব তথ্য এবং প্রস্তাবিত গাউডলাইন গুলোকে খুব সংক্ষেপে এবং পয়েন্ট আকারে লিখবার চেষ্টা করলাম - ভারতে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে কিছু নতুন তথ্য ঃ ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ’র সাথে প্রথম ঢেউ’র কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য পাওয়া গেছে। প্রথম পার্থক্য হচ্ছে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার যা এবার অনেক বেশি। ... ...
কাটারির কোপ, নেমে আসা / এক অভিশাপ অতি
ফুটপাথে দাঁড়িয়ে ফল কিনতে গিয়ে হঠাৎই ওর পেছনটায় হাত দিয়ে চলে যায় লোকটা। অসহ্য লাগতেই ঘুরে তাকায় মানসী অথচ কিছুই হয়নি এমন ভাব করে লোকটা দ্রুত পায়ে হেঁটে অনেকটা এগিয়ে গেছে ততক্ষণে, দেখে মনে হচ্ছে বয়েস মাঝ বয়েস ছাড়িয়ে পা রেখেছে বুড়োর খাতায়, তবুও স্বভাব পাল্টায়নি। মনে হচ্ছিলো কলারটা ধরে টেনে দুটো চড় লাগায়। তারপরেই যা শুনতে হবে সেটা ভেবে একটু দমে গেলো..হয়ত বলবে 'রাস্তায় চলবেন কারো সাথে ধাক্কা লাগবেনা তা হয়! এবার থেকে বাড়িতে থাকবেন নাহলে প্রাইভেট কারে যাবেন বুঝেছেন ম্যাডাম। যত্তসব, নারীবাদ। এদের জন্যই এত সমস্যা।'কাল অনুকে দেখতে আসবে তাই টুকটাক কিছু বাজার করতে মানসীকেই বেরোতে হয়েছে।এই বয়সে ... ...
বাবার বিয়ের দিনটা আবছা মনে পড়ে রূপকথার,ওকে দুধটা খাইয়ে দিতে দিতে সুধামাসি বললো,"এই যে রূপি খেয়ে নাও দুধটা চুপটি করে একদম নক্কীসোনা হয়ে বুঝেছো তো।" রূপকথা বলেছিলো," বাপি কোথায়?আমি দুধ খাবোনা..বাপির কাছে খাবো।" "বাপি আজ ব্যস্ত আছে রে মা,তার এখন অনেক কাজ। আজ তার বে না?আমাদের রূপির নতুন মা আসতিছে কত মজা।" গোল গোল চোখ করে মাসির দিকে তাকিয়ে ছিলো রূপকথা। "বে টা কি? মা আবার নতুন হয় নাকি?" কোনরকমে দুধটা খাইয়ে একটা ঢাউস পুতুল দিয়ে ওকে বসিয়ে রেখে সুধামাসি কাজ সারছিলো। আর রূপকথা ওর মেমসোনাকে জড়িয়ে ধরে বলছিলো,"আচ্ছা বলতো মেম বে কি?" ... ...
"ও মা একটু তাতানদার সাথে খেলতে যাই। যাব তো ? যাই না গো ,আমার তো পড়া হয়ে গেছে। আর হোমওয়ার্কও শেষ। যাই না মা?" এই এক অশান্তি হয়েছে, সারাক্ষণ শুধু খেলা আর খেলা এই মেয়েকে ঘরের তলায় রাখাই মুশকিল। কোথা থেকে যে এরা এল হঠাৎ কে জানে? মলি মাসিমারা যাবার সময় এই এক ভাড়াটে বসিয়ে দিয়ে গেলেন বাড়িতে। দেখে তো মনে হয় কোনরকম টানাটানি করে চলে। ওদের সাথে কি আমাদের স্ট্যাটাস ম্যাচ করে? অথচ রিনিটার সাথে যে কি করে বন্ধুত্ব হলো ওদের কে জানে?ভীষণ বিরক্ত হয় পলি। কোন ফাঁকে মেয়ে ছুটে বেরিয়ে যায় বাড়ি থেকে, পলির বুটিক সামলে ... ...
মৃত্যুমিছিল শুরু হয়েছে সারাটা দেশ জুড়ে। হাহাকার চলছে অক্সিজেনের জন্য। হাসপাতালের বেডের জন্য। শ্মশানে চিতার কাঠ কম পড়ছে। মৃতদেহ পড়ে থাকছে ঘন্টার পর ঘন্টা, সরকারি গাড়ি আর আসছে না। কত কত পরিচিত মানুষ, কত কত পরিজন জীবনকে শূণ্য করে দিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। কত কত মানুষ কত কত মানুষকে হারানোর দুঃখ বাকি জীবন বয়ে বেড়াবেন জানি না। কিন্তু দেশে রমরমিয়ে আইপিএল খেলা চলছে। তার কদিন আগে গনতন্ত্রের সর্ববৃহৎ মচ্ছব চলেছে। মানুষের মৃত্যুমিছিলের মাঝেই কুম্ভমেলা হয়েছে এই কদিন আগে। ২১ শে মার্চ, দৈনিক নতুন সংক্রমণ যখন একলক্ষের কাছাকাছি প্রধানমন্ত্রী কুম্ভমেলায় অংশ নেওয়া ভক্তদের দুহাতে ওয়েলকাম জানাচ্ছেন। ... ...
ভাত বঙ্গ জীবনের অঙ্গ, দুবেলা দুমুঠো ভাত না হলে বাঙালির চলে না। তবে সবকিছুর মধ্যেও পান্তা নিয়ে বাঙালির যা মাতামাতি তা অন্য কিছুতে নেই। আগের দিনের ভাতকে সুস্বাদু করতে তাতে জল ঢেলে কাঁচা লঙ্কা, পেয়াজ, ভাজা আর চচ্চড়ি দিয়ে পান্তা খাওয়ার চল সেই প্রাচীন কাল থেকেই।
আপনি কিন্তু পারবেন না, স্যার। আপনি হেরে যাবেনই। আপনার সমস্ত ভাগাভাগির চেষ্টা ব্যর্থ হবেই। আসলে আপনি তো জানেনই না এই দেশের, এই উপমহাদেশের আসল চরিত্র। আপনি জানেনই না, ইউরোপ-আমেরিকার কোনো দেশে কোনো ভারতীয়-পাকিস্তানির দেখা হলে তাঁরা কতটা আন্তরিকভাবে "একবার গলে মিলনা হ্যায়, ইয়ার"- বলে থাকেন। বাংলাদেশী ভাই ভারতীয় দিদির কাছ থেকে ট্যাক্সি ভাড়া না নিয়ে, "রেখে দেন আপা, আমার নাম করে কফি খেয়ে নিবেন" বলে থাকেন। টুইটারে '#helpindia' লিখে চাপ সৃষ্টি করা আর এমন কি! গত বছরও আমরা দেখেছি, তিরিশ ঘন্টা পরে সামনে খাবার দেখে কেঁদে ফেলা পরিযায়ী শ্রমিক ছেলেটির পিঠে একটি হাত এসে পড়েছিল ঠিক, "মাত রোও বেটা, পহঁছ যাওগে সহিসালামত। খা লো।" এবারও ... ...