শ্বাস তো নেব বুক ভরে, বিশুদ্ধ বাতাস পাব তো ( এক অসহনীয় সময়কাল চলছে। মানুষ বড়ই কষ্টে আছে। চারিদিকে অসহায়তা, আতঙ্ক, উদ্বেগ। করোনা জনিত সংকটের কারণে আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা সংকটজনক আকার ধারণ করেছে। গুরুচন্ডালির কলামে তারই বিভিন্ন আঙ্গিকে পর্বভিত্তিক আলোকপাত। আজ প্রথম পর্ব)কেউ কেউ না হয় সু-বাতাস পাচ্ছি, কিন্তু সকলেই কি শুদ্ধ বাতাস পাচ্ছি ?বাড়ির ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে বুক ভরে শুদ্ধ বাতাস টেনে নেওয়ার এমন সুযোগ তো পাওয়া যায়নি বহু বছর। গ্লোবাল কার্বন প্রোজেক্ট প্রকাশিত পরিসংখ্যান জানাচ্ছে বিশ্ব জুড়ে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমেছে পাঁচ শতংশেরও বেশি। কারণ, করোনা অতিমারির প্রকোপে গোটা বিশ্ব কার্যত স্তব্ধ। সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দেশের তালিকার প্রথম ... ...
পশ্চিমবঙ্গের সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারর্পব শেষ হবার পরে ওঁরা নিশ্চয়ই স্বস্তি পেয়েছিলেন। মানে বাংলার বুদ্ধিজীবীদের একাংশ - কতিপয় বিদ্বজন, অবসরপ্রাপ্ত আমলা, রাজনৈতিক নেতা এবং বৃহৎ সংবাদপত্র গোষ্ঠী- যাঁরা বিচলিত ছিলেন এই চিন্তায় যে গেরুয়া রাজনৈতিক শিবির বাংলার মনীষীদের উত্তরাধিকারের দাবিদার হতে চাইছে-এমনকি সুনিপুণ প্রচার কৌশলে উত্তরাধিকার আত্মসাৎ করার চেষ্টাও করতে পারে। বিচলিত হওয়ার একটি জুতসই কারণ হাতের কাছেই ছিল- এই বাংলায় গেরুয়া শিবিরের মাথার উপর এমন কোনো সর্বজনমান্য মনীষী নেই যাঁর গৌরবগাথা ভোটের প্রচারে নিত্যদিন স্মরণ করা যাবে। ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি গেরুয়া শিবিরে নিত্যস্মরণীয়। উনি শুধু হিন্দু মহাসভার প্রতিষ্ঠাতা নন, স্বাধীনতার অব্যবহিত আগে এবং পরে হিন্দু সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষার জন্য আমৃত্যু নিবেদিত ... ...
প্রেম রক্তাক্ত হয় কিসে? / জানতে পারলেম
রেললাইনে ছড়িয়ে থাকা হালকা পোড়াদাগওয়ালা কটি হাতরুটি, তাতে রক্তের ছিটে, এই ছবি আমাদের অনেককেই তাড়া করে ফিরেছে গত বছরের বেশ কিছুদিন। ‘পরিযায়ী শ্রমিক’, ওই যারা শতেকে হাজারে হেঁটে চলে মাইলের পর মাইল হাতে পিঠে বোঁচকা আর ঘাড়ের উপর বাচ্চাকে বসিয়ে। এমনিতে এ রাজ্যে আন্য রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক আমরা দেখে আসছি বরাবরই, কিন্তু লকডাউন বোধহয় আমাদের প্রথম দেখায় এঁদের সংখ্যার ব্যপ্তি, দুর্দশার বিস্তার। পশ্চিমবঙ্গ থেকে এঁরা অন্যত্র যাচ্ছেন বহুদিন। মালদা থেকে দিল্লিগামী ট্রেন ফরাক্কা এক্সপ্রেস, যাকে মালদার লোক বলেন ‘লেবার ট্রেন’, লোকবোঝাই হয়ে চলে যায় দিল্লিতে শ্রমিকের যোগান দিতে। ওইরকম আরো ট্রেন চলে যায় মুম্বাই, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর, কেরালা মায় উত্তরাখন্ড ... ...
ফিরেছে আবার প্রেমের জোয়ার / পলি খসাবার পালা / এইতো সুযোগ তরী ভাসাবার / দেরীতে ভাটার খেলা
হাসপাতালের হাসিটুকু গেছে উড়ে / মিলেমিশে বহু, একশয্যা জুড়ে! / 'সাগরে শয্যা; শিশিরেই কিবা ভয়' / ভাইরাস-মনে মহামারী কে জয়
ভিনদেশে কর্মরত শ্রমিকদের প্রতি মানবিক হোক রাষ্ট্র গৌতম চক্রবর্তী (তুলে আনলাম আত্মনির্ভশীল ভারতের কোলাজ যেগুলো ঠাঁই পেয়েছিল সংবাদপত্রের এককোণে বছরখানেক আগে। ভারতীয় অর্থনীতি এবং বর্তমান শ্রমনীতি নিয়ে দ্বিতীয় দফা এবং আগত তৃতীয় দফার করোণা সংক্রমনের প্রাক্কালে তাই ফিরে দেখা এই সময়কাল গুরুচন্ডালীর খেরোর খাতায়। দ্বিতীয় পর্ব ) করোনাকালে ভারতের বর্ণাশ্রমে নতুন বিভাজন? শিকড় উপড়ে গেলে যেমন গাছ বাঁচে না, তেমনই শ্রমিক বেঁচে না থাকলে সমাজ বাঁচে না। সমাজ না থাকলে রাষ্ট্রের কল্পনাও করা যায় না। করোনা এসে ভারতের বর্ণাশ্রমে নতুন বিভাজন দেখিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ সমাজে দু’টি শ্রেণি। ধনী আর দরিদ্র। কে কোন ধর্ম সম্প্রদায়ের, কোন বর্ণের, কোন জাতের সেই খোঁজ আর রাখে নি কোনও ... ...
সদিচ্ছা থাকলে এড়ানো যায় যে কোনো অকল্যাণগৌতম চক্রবর্তী (তুলে আনলাম আত্মনির্ভশীল ভারতের কোলাজ যেগুলো ঠাঁই পেয়েছিল সংবাদপত্রের এককোণে বছরখানেক আগে। ভারতীয় অর্থনীতি এবং বর্তমান শ্রমনীতি নিয়ে দ্বিতীয় দফা এবং আগত তৃতীয় দফার করোণা সংক্রমনের প্রাক্কালে তাই ফিরে দেখা এই সময়কাল গুরুচন্ডালীর খেরোর খাতায়। প্রথম পর্ব ) বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে গত বছরের ঘটনা। টুকরো খবরের কোলাজগুলো বেড়িয়েছিল বিভিন্ন সংবাদপত্রের স্বল্প পরিসরে চোখে না পড়ার মত খবর হয়ে। আসলে খবরগুলো কোন কেষ্টবিষ্টুদের খবর নয় যে খুশী হয়ে বিজ্ঞাপনের অর্থে এক শ্রেণীর সংবাদপত্রের তবিল স্ফীত হবে অথবা পেইড নিউজের অর্থে খবরের স্থানবিশেষ জায়গা পরিবর্তিত হবে সংবাদপত্রের পাতায়। তাই ছোট আকারের খবর জায়গা পেয়েছিল সংবাদপত্রের ... ...
অনুপস্থিতির শব্দ' : সঙ্ঘমিত্রা হালদার সঙ্ঘমিত্রা হালদারের 'অনুপস্থিতির শব্দ' পড়বেন কেন?এমন এক কবিতাভাষার প্রকাশ ঘটেছে এই বইতে, যা সম্পূর্ণ নতুন না হলেও, পরিবর্তনের একটা আভাস দেয় বটে। নতুন কিছুর সম্মুখীন হওয়ার যেমন আনন্দ ও ধাক্কা খাওয়ার ভয়, দুইই থাকে, এই বই কিছুটা তেমনই নতুন। প্রায় প্রত্যেকটি লেখায় এক ধরণের মাঝপথে ঝুলে থাকার যে অনিশ্চয়তা, যে হতাশা, তা কাজ করছে। আধুনিক জীবনে দাঁড়িয়ে সে অবস্থানের সঙ্গে নিজেকে যোগ করা কঠিন নয়। তাকে আরো সহজ করে দেয় সঙ্ঘমিত্রার লেখায় ফিরে ফিরে আসা এক ধরণের ব্যঙ্গ, বিদ্রূপ নিজেদের প্রতি। সম্পূর্ণ প্রকাশভঙ্গী যে নতুনত্বে ঠাসা, এমন নয়। প্রথাগত কাব্যভাষা বা কাব্য-ইমেজের ব্যবহারও আছে। 'ফাঁকা একটা হৃদয় চাই' ... ...
প্রতিপদ পেরিয়ে গেল, তবু বহু জায়গায় এখনও জল নামেনি সামান্যও। ঘরের ভিতরে অব্দি জোয়ার-ভাটা খেলছে। সুন্দরবনে যাঁদের পাকা বাড়ি, তাঁরা রীতিমতো privileged দের পর্যায় পড়ছেন এই মুহূর্তে, কারণ সে-সব বাড়ি আংশিকভাবে বিপন্ন হচ্ছে শুধু। মাটির বাড়ি গলে, ভেসে যাচ্ছে।যাঁরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণকার্যে যাচ্ছেন, একটিই পরামর্শ --- survey করে ত্রাণে নামুন। সাহায্য যাঁদের প্রয়োজন, তাঁদের হিসেবে আমাদেরই সাধ্য সীমিত। কাজেই, সেই প্রতিবন্ধকতা মেনে নিয়েই যা করার করতে হবে। গতবার আমফানের পর রায়দিঘি সংলগ্ন একটি গ্রামে ত্রাণকার্যে গিয়েছিলাম, সে সময় আমাদের কিছু প্রাক্তন ছাত্ররা দু' দিন আগে থেকে survey করে একটা নীল-নকশা বানিয়েছিল ত্রাণের। যে জায়গায় যাচ্ছেন, সেখানে পরিচিত কেউ থাকলে ভালো, ... ...
নির্জনতা কাটিয়ে ফের মেতে উঠুক শিক্ষাঙ্গনভাইরাসের আতঙ্কে আর কতদিন গৃহবন্দী থাকবে ছাত্রসমাজ?করোনা ভাইরাস এক বছরেরও কিছু সময়কাল প্রায় গোটা বিশ্বকে ভীত-সন্ত্রস্ত করে রেখেছে। গত বছর যখন যাব যাব করছে শীত, ঋতুর হিসেবে বসন্ত ছিল সমাগত, গাছে গাছে এসেছিল নতুন কুঁড়ি, নতুন পাতা। উদাসী হাওয়া বইছিল উত্তরের মাঠঘাট-বনজঙ্গল-পাহাড় জুড়ে, ঠিক তখন থেকেই এই ভাইরাসের আতঙ্কে একপ্রকার গৃহবন্দি মানবসমাজ তথা ছাত্রসমাজ। একটাই বার্তা ছিল এই ভাইরাস মোকাবিলা করতে আমাদের সর্বদা সচেতন থাকতে হবে এবং মানসিকভাবে জোটবদ্ধ হয়ে যথাসম্ভব পৃথক থাকতে হবে। না হলে একে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারগুলো একযোগে জোরকদমে এই ভাইরাস প্রতিরোধে প্রচার চালিয়ে গেছে ... ...
ঝড় থেকে কলকাতা বাঁচলো বটে, কিন্তু যাঁদের ক্ষতি হওয়ার, ঠিকই হলো। সুন্দরবন মূলত প্রস্তুতি নিয়েছিল ঝড় সামলানোর, গতবছরের অভিজ্ঞতা থেকে। কিন্তু এবার ঝড়ের চেয়ে বেশি এসেছে জল। ওদিকে চাকরি করি, তাই অনেকেই যোগাযোগ করছেন ওদিকের খবর জানার জন্য। খবর যা পাচ্ছি, বলছি ---রায়দিঘি, কঙ্কনদিঘি এলাকা প্লাবিত। জল ঢুকে গেছে লোকালয়ে, চাষজমিতে, দেওয়াল ভেঙে জল ঢুকে পড়েছে কলেজ কম্পাউন্ডে। রাস্তা থেকে জল নামেনি।পাথরপ্রতিমা, মইপিঠে স্থলভাগ আর তেমন অবশিষ্ট নেই। জলই খেয়ে নিয়েছে সব। গতবছরের থেকে আস্তে আস্তে সামলাচ্ছিল জমিগুলি। আবার নোনা জল ঢুকে সবজি চাষ তিন বছরের মতো বন্ধ হয়ে গেল।সাগরের ঘোড়ামারা দ্বীপ এই মুহূর্তে ১০ ফুট জলের তলায়। নদীর কাছে ... ...
রাজ্যে চিত্রটা আজ ভয়াবহ। অনেকেই এখানে প্রকৃত দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে পোস্ট করছে। এক ধরনের প্রতিক্রিয়াশীল চক্র এটা। সম্পূর্ণ প্রশাসনিক ও সরকারি ব্যর্থতা এটা মেনে নিতে হবে। কারণ কত হাজার কোটি টাকা কবে বরাদ্দ হয়েছিল সুন্দরবনের নদীবাঁধ নির্মানের জন্য। এখনও ১২ বছর পরেও কেন সেই কাজ সম্পূর্ণ হল না এই প্রশ্নই সমীচিন এখন। আয়লা থেকে ইয়াস এর মত ঝড়ের কাছে অসহায় ভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে। আর তোমাদের ত্রান নিয়ে ভিক্ষারির মতো বেঁচে থাকবে? ... ...
ডলি আর আমার প্রেম মহাকাব্যিক। সেই সময়টায় ডলি আর আমাকে যখন তখন যত্রতত্র যেভাবে দেখা যাচ্ছিল, তাতে এ ঘটনা ঘটারই কথা! ওরকম একে অপরের দিকে নিষ্পলক, তা-ও যেখানে সেখানে। ঠিক ভাবে বলতে গেলে কোথায় নয়? নন্দন চত্ত্বরে, সিটি সেন্টারে, শুধু অরিজিনালেই নয়, এমনকী টু-তেও।
।।সরকারি খাতা-১।। ।।কৌশিক সরকার।। ভারতীয়রা আজকের দিনে দাঁড়িয়ে নাগরিকত্ব আইনের বহ্নিশিখার সম্মুখ সমরে, সেখানে সার্বভৌমত্ব একটা বড় প্রশ্নচিহ্নের টানাপোড়েনের সামনে। সেখানে পরিবেশ, নদী এগুলো অবাঞ্ছিত ও অবহেলিত। আমরা অতিমাত্রায় সব কিছু কেই প্রতীকি শব্দের বেড়া জালে আবদ্ধ রাখি। নিজেদেরকেও আবদ্ধ রাখি একই বেড়াজালে। যেমন ধরে নিতে পারেন নদী আমাদের "মা"। আপামোর ভারতবাসীর 'গঙ্গা' কে কেন্দ্র করে ধারনাটা সেই রকমই। অস্বীকার করার উপায় নেই। ধারণাটা কিন্তু বেশ ভালো। তা দেশে বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা বেড়ে ওঠার সঙ্গে সম্পৃক্ত। সাথে সাথে নদী "মা" কেও আমরা কী ভাবে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাচ্ছি। একটু বুঝিয়ে বলি। নদীকে নদী মনে করা কয়েকজনের ... ...
উলঙ্গ রাজার সেই বাচ্চা ছেলে যেন আজকের দিনের সংবাদিকরা। তাই কিছু মানুষের চক্ষুশূল হয়ে যাচ্ছে তারা। রাজনৈতিক নেতাদের অভিনয় আপনাদের চোখে পড়ে না, কিন্তু সাংবাদিকদের নাটক আপনাদের চোখে পড়ে সহজেই। TRP নিয়ে অনেকেই আজ কথা বলছেন। কিন্তু সত্যিই কি এইসব সংবাদিকরা খুব মোটা মাইনের চাকরি করেন? খোঁজ নিয়ে দেখেছেন কি? ... ...
ঝড়ের সঙ্গে আলাপ করতে / নদনদী বন পাহাড় ভেঙ্গে / রোদবৃষ্টিকে অনেক অনেক
লাগাতার কাজ শুরু হওয়া প্রয়োজন ছোটদের পরিসর থেকে। ভিন্নমত প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে তর্ক করা অমূলক সময় নষ্ট; বেশিরভাগেরই কান নেই, মুখ আছে। বরং সমমনস্ক কিছু প্রাপ্তবয়স্ক জোট বাঁধলে তবু একটা ব্যাপার। কিন্তু জোট বেঁধে, তারপর? আবার তর্ক? ঝগড়া? "আমাদের দাবি মানতে হবে"?সে চলতেই পারে; বিকল্প ভাষ্যে যৌথ পরিবারের মতো এরা। কিন্তু এই সবই আগাছার পাতা ছেঁটে শিকড় রেখে দেওয়ার মতো ব্যাপার। গঠনমূলক কাজ অনেক, অনেক বেশি প্রয়োজন বুনিয়াদি স্তরে, ছোটদের সঙ্গে/ জন্য। আসলে আমাদের গবেট মাথায় রাজনীতি এতটাই 'বড়দের বিষয়' যে বড়দের ওদিকে ব্যস্ত রেখে রাষ্ট্রচালিত শিক্ষাব্যবস্থা ছোটদের apolitical কুচুসোনা প্রকল্পের অংশ করে নেয়। এ এক আশ্চর্য মজা! 'অরাজনৈতিক' ইতিহাস, 'অরাজনৈতিক' ... ...