রাত আমাকে কিনে নিয়েছে / দিন তাই আসে না
আমেরিকান মোড় কে LED আলোর তলায় রেখে গাড়ির হ্যন্ডেল ডানদিকে ঘুরাতেই একরাশ ঠান্ডা হাওয়া মুখে এসে লাগলো। দুপুরের ঘুমোট গরমে ঘরগুলো ক্রমশ যখন যতুগৃহ হয়ে উঠেছে সেই সময়ে ভাবলাম শেষ বিকেলে নিজেকে একটা ঘুড়তে যাওয়া ট্রিট দেওয়াই যায়! বিশেষত রবিবার! যদিও এখন সবদিনই কমবেশি রবিবার! যাই হোক গাড়ি ডানদিকে ঘোরাতেই চোখ চলে গেলো স্কুটির ডিজিটাল স্ক্রিনে, সে জানান দিলো সামনের পাম্প থেকে পেট্রোল ভরাতেই হবে! আমার বহুদিনের ইচ্ছে যে একটা ব্যাট নিয়ে পেট্রোল পাম্পে আসবো! ৯৭-৯৮ টাকার এক্সট্রা প্রিমিয়াম ভরাতে গিয়ে সেই ইচ্ছে আরো বেড়ে গেলো। ১০০ হলেই শচিনের মতো ব্যট উঠিয়ে অনুপম রায়ে সুরে আকাশের দিকে তাকিয়ে ... ...
মহাকাশ বিজ্ঞান বা গবেষণা নিয়ে ফেসবুকে বিশেষ আগ্রহ দেখি না। কয়েকজন অবশ্য নিয়মিত পোস্ট করেন, ভালো ছবি-টবি থাকলে অনেকে সেই পোস্টে লাইক করে এগিয়ে যান। অথচ এখন প্রায় প্রতি সপ্তাহে, প্রতি মাসে, যুগান্তকারী সব আবিষ্কার হচ্ছে। হাবল টেলিস্কোপের নতুন নতুন ছবি আসছে, ইন্টারস্টেলার স্পেস থেকে ভয়েজর-১ আর ভয়েজর-২ এমন সব তথ্য পাঠাচ্ছে যে মহাকাশবিজ্ঞানীরা নড়েচড়ে বসেছে।ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইন্সটিটিউট অফ অ্যাস্ট্রনমিতে Coryn A.L. Bailer-Jones কয়েকদিন আগে ইন্টারস্টেলার নেভিগেশন নিয়ে একটা পেপার সাবমিট করেছেন, সেটা নিয়ে হইচই পড়ে গেছে। প্রসঙ্গত বলা ভালো ব্যাপারটা নতুন কিছু নয়, ভয়েজরের পাশাপাশি নিউ হরাইজনও 'হেলিওপজ' বা সোলার সিস্টেমের সীমানা অতিক্রম করে কিছুদিন পর আন্তনক্ষত্র মহাকাশে পৌঁছে ... ...
বইয়ের ভূমিকাতেই লেখক জানিয়েছেন, আনকোরা ও অশ্রুতপূর্ব বই কিনে পড়ার আগে তাঁর বাবা তাকে ভূমিকাটা পড়ে নিতে বলতেন। 'অপচ্ছায়া' বইটার ভূমিকা পড়ার সুযোগ আমার হয়নি। সব্যসাচী সেনগুপ্তের লেখা অন্যান্য জনপ্রিয় বইগুলোও আগে পড়িনি। কিন্তু ভূতের বই বলেই কিনা কে জানে, আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় মোটেও ভুল করেনি।গত কয়েক বছরের মধ্যে ভৌতিক ঘরানার যত বই পড়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে, নিঃসন্দেহে বলতে পারি, 'অপচ্ছায়া' তাদের মধ্যে সেরা। কিন্তু একটা ডিসক্লেইমার আগে থেকেই দিয়ে রাখলাম, দাঁত কপাটি লাগা ভূতের গল্প পড়ার ইচ্ছে হলে এড়িয়ে যেতে পারেন। এই বইয়ের লেখায় ভয় দেখানো ভূতের দেখা প্রায় মিলবে না বললেই চলে। ... ...
আমার প্রিয় বইয়ের অন্যতম হল পর্তুগিজ কবি ও লেখক ফের্নান্দো পেসোয়ার লেখা বই 'দ্য বুক অফ ডিসকোয়াইট'। তথ্যশূন্য এই আত্মজৈবনিক লেখাটা পেসোয়া প্রায় সারাজীবন ধরে লিখেছেন। প্রতিদিন রাতে এসে লিখতেন কয়েক পাতা। অস্পষ্ট রোজনামচা, খামখেয়াল অথবা দর্শন, চিন্তাভাবনা, আশাআকাঙ্খা, নিরাপত্তাহীনতা, বিষাদ... জড়মড় করে মিশে গেছে একে অপরের সঙ্গে। পেসোয়ার মৃত্যুর আশি বছরেরও পরে বইটা প্রকাশিত হয় এবং কয়েক বছরের অন্তরালে বিশ্বসাহিত্যে বরাবরের মত জায়গা করে নেয়। 'আত্মহত্যার সম্পূর্ণ বিবরণী' ইতিহাসে জায়গা করতে পারবে কি না আমার জানা নেই। হয়ত কয়েকজন আগ্রহী পাঠক বছর তিরিশ পর খুঁজে খুঁজে পড়বে বইটা, আবার হয়ত বছর দুয়েক পরেই আউট অফ প্রিন্টও হয়ে যেতে পারে। ... ...
আন্দালুসিয়ার শহরে একটা বইয়ের দোকানে ঢুকে কয়েকটা বই নজরে পড়েছিল। ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দীতে পর্তুগিজদের ভারতবর্ষে আসা নিয়ে লেখা, বিশেষত বাংলা ও বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের নানা দেশ আর রাজ্যের ওপর প্রভাব বিস্তার করার কাহিনী। মুর রাজাদের জাহাজ ব্যবহার করে পর্তুগিজ ব্যবসায়ীরা ভারতে পাড়ি দিয়েছিল, এদের মধ্যে অনেকেই পরবর্তী সময়ে কুখ্যাত হয়ে উঠেছিল জলদস্যু হিসেবে। স্বাভাবিকভাবেই বইগুলো ছিল স্প্যানিশ ও পর্তুগিজ ভাষায় লেখা।যাই হোক, বাংলার এই ইতিহাস নিয়ে স্পেনের দোকানে সারি সারি বই দেখে আমি বেশ অবাকই হয়েছিলাম। সেই যুগের ইতিহাস ও পর্তুগিজ শাসকদের বাংলা ঔপনিবেশবাদ গড়ে তোলা নিয়ে বাংলায় খুব কম লেখাই চোখে পড়েছে। ... ...
গোয়েন্দা গল্প পড়তে বসা আর ক্যাসিনোতে গিয়ে ভাগ্য পরীক্ষা করার মধ্যে বেশি তফাৎ নেই। ভাগ্য প্রসন্ন হলে পকেট ভারী হতে পারে অথবা চিত্ত চঞ্চল হয়ে দিনটা রোমাঞ্চকর হয়ে উঠতে পারে, আবার ঝুঁকিও কম নয়। বেগতিক দেখলে মাঝখান থেকে সটকে পড়া চলে না, কারণ এই দুই বস্তুর নেশা করা ব্যক্তি মানেই জানে, সেই অবকাশ অথবা মানসিক পরিস্থিতি আমাদের থাকে না।কলকাতা নুয়ার আপাদমস্তক গোয়েন্দা কাহিনী, ডিটেকটিভ ফিকশনের ক্লাসিক নিয়ম মেনে রচিত স্মার্ট রিড। ইতিমধ্যেই এই বইটা পাঠক প্রিয় হয়ে উঠেছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে যে বাংলায় এমন ঝানু গোয়েন্দার আবির্ভাব ঘটেনি, সেই নিয়েও কোন সংশয় নেই। বইয়ের তিনটে গল্পে একটা হল 'কালাপানির দিশা'। ... ...
Environmental Refugee/Migrant কথাটা আমাদের কাছে নতুন নয়। যারা পরিবেশ নিয়ে খোঁজ খবর রাখেন তাঁরা এ বিষয়ে পূর্ব পরিচিত। আমরা মতো মোটামাথার লোকজন বোধহয় একটু কনফিউজড, কেউ বলছেন কংক্রিটের বাঁধ চাই, কেউ বলছে ম্যানগ্রোভ গাছ পুঁততে হবে, মাটির বাঁধ চাই নয়তো পরিবেশের ক্ষতি হবে। নানা মুনির নানা মত কিন্তু সুন্দর বনের ভবিষৎ থেকে যায় অন্ধকারে। ... ...
ডোনা আমাদের পাড়ায় একেবারেই বেমানান। ওরকম নামের মেয়ে আমাদের পাড়ায় হয় না। আমাদের পাড়ার মেয়েদের নাম হবে লক্ষ্মী অথচ শরীরে কোনও লক্ষ্মীশ্রী থাকবে না। থাকবে কী করে? পেট পুরে কোনোদিন খেতেই পায় না। কিংবা নাম হবে সরস্বতী। যার পেটে এক আনাও বিদ্যে নেই।
করোনার অতিমারীতে অবসন্ন, বিপর্যস্ত মানুষের মনে অহরহ হানা দিচ্ছে মৃত্যুচিন্তা। অবশ্যম্ভাবী পরিণতি তো এড়ানো যাবে না। তবে মৃত্যুর পরে নরকবাস এড়াতে চাইলে বেঁচে থাকতে থাকতে অন্তত একটা ভালো কাজ করে যাওয়া ভালো। সুযোগ থাকলে পুঁতে ফেলুন একটা নিম গাছ, একটি পিপুল, একটি বট, দশটি ফুল-ফোটা গাছ বা লতা, দুটো ডালিম, দুটো কমলা আর পাঁচটা আম গাছ। বরাহপুরাণের (১৭২-৩৯) উপদেশ মতো এই কাজ করলে সমাজের মঙ্গল ছাড়া কারও ক্ষতি তো হবে না! বসুন্ধরা দিবসের সূচনা তো মাত্র ১৯৭৪ সালে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে এ বছরের স্লোগান "ইকোসিস্টেম রেস্টোরেশন" -- বাস্তুতন্ত্রের পুনরুদ্ধার। মানুষ যে নির্মম ভাবে সীমাহীন লোভে পরিবেশের স্বাভাবিক ছন্দকে ধ্বংস করেছে সেকথা আজ ... ...
(প্রতিবছর বিশ্ব পরিবেশ দিবস আসে আর যথানিয়মে চলে যায়। সেমিনার, সিম্পোজিয়ম, সচেতনতা শিবির, নানা ধরনের অনুষ্ঠান, টাকার শ্রাদ্ধ। অথচ মানুষের অসচেতনতা এবং মাত্রাতিরিক্ত লোভের কারণে প্রকৃতি রুদ্ররোষ ধারণ করছে প্রায়শই। উত্তরের পাহাড়, নদী, জঙ্গলে ঘেরা প্রকৃতিকে দুহাত দিয়ে লুটছে মানুষ। প্রকৃতি নিচ্ছে প্রতিশোধ। একুশের গৃহবন্দী পরিবেশ দিবসকে উত্তরের বিস্তীর্ণ ক্ষেত্রে খোঁজার চেষ্টাতে গুরুচন্ডালীর পাতায় উত্তরের পরিবেশ ভাবনা গৌতম চক্রবর্তীর কলামে)খামখেয়ালিপনার পরিণতি হচ্ছে ভয়ঙ্করপ্রকৃতি তার নিজস্ব খামখেয়ালিপনায় চলে। কিন্তু প্রকৃতির চেয়েও অধিকতর মানুষের খামখেয়ালিপনা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নামে প্রকৃতিকে বন্ধনে আবদ্ধ করার খামখেয়ালিপনার পরিণতি হচ্ছে ভয়ঙ্কর। অপরিকল্পিত পর্যটন শিল্পের রমরমা, অবৈজ্ঞানিক গৃহ নির্মাণ পদ্ধতি, যানবাহনের মাত্রাধিক্য চলাচজনিত গ্রীণহাউস এফেক্ট ইত্যাদি মনুষ্যসৃষ্ট ... ...
শিরোনাম বিষয়ক লেখা পেলে আনন্দিত হবো ।
আস্তে আস্তে সমস্ত পোশাক খুলে রাখবো একদিন। সব আবরণ একে একে ছেড়ে বেরিয়ে আসবো। এই পরিচয়ের ঢ্যারা বয়ে বেড়ানো অসম্ভব ক্লান্তিকর। যা কিছু দিয়ে দাগিয়ে নিচ্ছি নিজেকে, বা আশেপাশের মানুষ চিনে নিচ্ছে আমায়, আমি আসলে তা নই মোটেই। হলেও, শুধু সেটুকুই নই। এই যে পড়ি, পড়াই, লিখি, এর কোনোকিছুতেই নিজেকে পুরো খুঁজে পাই না। আমি যে আছি, নিজের কাছে এগুলো তার প্রমাণমাত্র। আমি নই। এর বাইরে, একে ছাড়িয়ে আমার মাথার উপর প্রবহমান আকাশ, তার মেঘ আমার পরিচয়ের একাংশ। সেই অংশের ভিতরে আবার গ্রীষ্ম-বর্ষা-শরৎ এমনভাবে আরও পরিচয়, তারও মধ্যে শুধু বর্ষাতেই হাজারখানেক পরিচয় আমার জড়িয়ে আছে মেঘের অবস্থানে, উপস্থিতিতে। একইভাবে, সূর্য, চাঁদ, ... ...
যে খাতে জীবন বইছে, টুকরো টুকরো আনন্দগুলোর আর কোনও জায়গা নেই। একদিন এই টুকরো আনন্দের টানে সারাদিন ঘরছাড়া থাকতাম। কত গ্রীষ্মের প্রখর দুপুর, কত বৃষ্টিভেজা মেঘলা দুপুর। মনে হতো, এটাই জীবন। তার বৃত্তের বাইরে সবই তুচ্ছ। এই সব পাকামিতেই থার্ড ইয়ারে ইংরেজি অনার্স কেটে গেল। তাতেও কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। প্রফুল্লদের বাঁশ ঝাড় থেকে বাঁশ কেটে মাচা তৈরি। মাথার উপর খড়ের চাল। বৈশাখ, জৈষ্ঠের দুপুরটা বেশ কাটত। মেয়েদের স্কুলের পিছনে শান্তিকাকুদের বাগান। সেখান গিয়ে আম চুরি। গালাগালি না খেলে আমচুরির মজাই নেই। বিকেল গড়ালে ভাগাড়ের মাঠে ক্রিকেট। তবে দুপুর আর সন্ধে তাসের আড্ডায় মন বুঁদ হয়ে থাকত আমাদের। আর থাকত গড়ের ... ...
কবিতা লিখে মাটিতে পুঁতে দেবো / কোনো এক ভবিষ্যতের জন্য
ঋষভ গম্ভীর হল - “শুধু কাগজের পাতায় লিখে, ফেসবুকে হাজারটা লাইক, কমেন্ট পেয়ে আল্টিমেট কি লাভ বলুন তো? এতো বিজ্ঞান মঞ্চের মানুষেরাও করে। চতুর্দিকে প্রচার করে ‘গাছ লাগান, গাছ লাগান’, কিন্তু আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি তাঁরা নিজেরা একটাও গাছ লাগায় না। আরে বাবা, অনেক তো জনগণকে জাগানো হল! আর তাঁদের জাগাবার দরকার নেই। তাঁরা জাগবার হলে অনেক আগেই জাগতো। ছাড়ুন ওসব তত্ত্বকথা। এবারে ইমপ্লিমেন্টেশন দরকার!” ... ...
প্রতি রোববারের রেডিও-বাণী-টাণী বাদ দিন। ও'সব যে আসলে মন কি বাত না গেঁটে বাত, সে আমিও জানি আপনিও জানেন। তার চেয়ে বরং --- পশ্চিমবঙ্গের 'গুরু'দের উদ্দেশ্যে বলা, অতিমারীর সময়ে আমরা অনেকেই মানসিক নানা বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছি। অনেকে তার সঙ্গে সমঝোতা করতে পারছি নিজেরাই; কিন্তু অনেকে পেরে উঠছি না একা হাতে, মনে হচ্ছে একজন কেউ যদি সাহায্যের হাত বাড়াতেন, বা অন্ততপক্ষে আমাদের সমস্যার কথা যদি তাঁর সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারতাম... 'দোসর'-এর প্রয়াস 'আলাপন' আপনার পাশে আছে। প্রশিক্ষিত মানসিক স্বাস্থ্যকর্মীরা আপনার জন্য উপস্থিত থাকছেন প্রতিদিন, বিকেল পাঁচটা থেকে আটটা খোলা থাকছে আলাপনের হেল্পলাইন। মনের যে কোনও দ্বিধা, আশঙ্কা, ভয় ও অসহায়তার কথা বলুন, সংশয় ... ...
"আপনি কেন হাসপাতালে গেলেন?" এই প্রশ্নটা আমাকে অনেকেই জিজ্ঞেস করছেন। উত্তরটা দেওয়ার আগে কয়েকটা জরুরী কথা বলে নেওয়া দরকার:১) যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে অবশ্যই এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে যাবেন। ২) মনে রাখবেন হাসপাতাল ছাড়া কোভিড-ইমার্জেন্সির ঠিকঠাক চিকিৎসা সম্ভব নয়। ৩) বেড না পেলে বন্ধুবান্ধবদের খুঁজতে দিন আর আপনি স্টপগ্যাপ হিসেবে প্রোনিং (উপুড় হয়ে শোয়া) করুন এবং দরকার হলে অক্সিজেন নিন। কিন্তু এদুটোর কোনোটাই স্থায়ী সমাধান নয়। হাসপাতালে বেড পাওয়া গেলেই সেখানে চলে যাওয়া দরকার। ৪) ঠিক সময়ে হাসপাতালে যাওয়াই হল বাঁচার একমাত্র উপায়।৫) হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নিয়ে অহেতুক আশঙ্কায় দেরী করে নিজের ক্ষতি করবেন না। আমার ক্ষেত্রে যেটা ঘটেছিল - ... ...
আদর্শ বাঙালির সিক্স প্যাক বা সেক্সী প্যাক কিছুই নেই। ভাতখেকো তাই ওপরে নিচের অংশটা সরু, পেটের দিকটা মোটা তাই আদুরে নাম পটলা। চায়ের দোকান থেকে খাবার টেবিলে ভীষন প্রতিবাদী তাই উপাধি পেয়েছি নকশালি। আরে একসময় দেখতেন না, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলেই আপনি হয়ে যেতেন মাওবাদী তেমনিই একটা ব্যাপার। তবে আমি নেতা মন্ত্রীদের বিরোধিতা তো দূরে থাক পাড়াতুতো রাজনৈতিক টিকটিকি গিরিগিটিদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলি নি কখনও। যত হম্বিতম্বি চেনাজানা মহলে আর কি। ... ...