মন খারাপের বিকেল মানে মেঘ করে, সুমন বলেছেনঃ মেঘেদের রাজ্যে এখন ভীষণ ব্যস্ততা। বর্ষা সবে এসেছে। পুরুষ মেঘেরা গভীর আলোচনায়। কোন মেঘ কোথায় যাবে, কোথায় কতটা ঝরে পড়বে, এসবেরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। কোন নারী মেঘ অবশ্য এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছে না। না, মেঘেদের রাজ্যে নারী পুরুষ বিভেদ নেই। তবে নারী মেঘেরা অন্য কারণে ব্যস্ত। তারা সকলেই গর্ভবতী। প্রচুর প্রচুর নবজাতক মেঘের জন্ম দিতে হবে। সারা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে দিতে হবে নবজাতক মেঘেদের। তবু, এত যে মেঘ, এত যে ঝরঝর বরিষে ধরা মাঝে শান্তির বারি হয়ে। একটা প্রশ্ন কিছুতেই হয় না সমাধান। আজ পর্যন্ত উত্তর খুঁজে পায় নি মেঘেরা। কি প্রশ্ন? সেই যে, কবি সেই ... ...
আমি ঘর খুঁজছি। নিছক থাকবার জন্য কয়েকটা কামরা নয়। একটা আশ্রয়। মায়ের মত, কোল ভরে হাসি। মায়ের বাড়ি যেমন, কোনো পাহাড় বা টিলার ওপরে অবস্থিত। মিষ্টি ফুলগাছের ঝোপে ঢাকা পথ। চুনকাম করা ভরা আশ্রয়। গভীর মেঘের মত, অঢেল বিশ্রামের সৌজন্যে তৈরি। দিনের শেষপ্রান্তে টিলার ধারের কোনো জানালায় একটু আলো। কাঁচের ওপর আলো, বাইরে অনেকদূর পর্যন্ত তার বিকাশ। মনের মধ্যে বাড়ি, ঠিক একপেশে কামরা নয়। ... ...
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে ঘিরে কিছুটা এমনই স্মৃতি আমাদের অনেকেরই। ...হেমন্তচর্চা: কিছু গান, কিছু স্মৃতি -- লিখেছেন শুভংকর ঘোষ রায় চৌধুরীআমাদের অনেকের বাড়িতেই টেপ রেকর্ডারে বেজে গেছে হেমন্তের গান, একের পর এক। কখনও ঘোরের মধ্যে শুনেছি, কখনও বহুদিন পর, কখনও কিছুদিনের তফাতে। কিছুটা আলো-আঁধারের গান গেয়েছেন হেমন্ত; কখনই শোকে সম্পূর্ণ নিমজ্জন নেই সেই কণ্ঠে, আবার আনন্দের পাল তরতরিয়ে ছুটেছে, এমনও নয়। একটি একটি করে গান গাইতে গাইতে তিনি এগিয়েছেন, জড়িয়ে গেছে আশেপাশে কত নাম তাঁর সঙ্গে। সলিল চৌধুরী, নচিকেতা ঘোষ বললেই এঁদের মানিকজোড় নামটি হেমন্তের; এমনকি মহানায়ক উত্তমকুমার বললেও হেমন্তই মহানায়কের কণ্ঠ। পুরোটা পড়ুন ... ...
আজ প্রকাশিত 'আরেক রকম' পত্রিকা র আষাঢ় সংখ্যায় আমার একটা প্রবন্ধ রয়েছে। ৬ এর দশকে নির্মিত আপোসহীন সোভিয়েত বিরোধী বামপন্থা , সমাজের শুধু অর্থনৈতিক ভাবে না , সামাজিক ভাবে নিপীড়িত , বিপন্ন সমস্ত মানুষের পৃথক পরিচিতির প্রতিনিধিত্বের দাবীকে তত্বায়ন করার কাজে অভ্যস্ত নতুন বামপন্থা (আক্ষরিক অর্থে সে আমলের নিউ লেফট) , হঠাৎ একবিংশ শতকের নতুন ধরনের গণতান্ত্রিক মান্যতা পাওয়া আধিপত্যবাদের সামনে খানিকটা দিশেহারা হয়ে সর্বত্রই মহাজোটের কথা বলছে এবং একই সঙ্গে রাষ্ট্রপরিচালনা বিষয়ে মূলতঃ প্রশাসনিক ভাষ্যে আস্থা রাখছে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলিকে ৫ এর দশকে গড়ে ওঠার সময়কার গরিমায় ফেরাতে চাইছে, এটা আমার কাছে একেবারেই কাকতালীয় নয়। ট্রাম্পের ধাক্কায় আমেরিকার ... ...
ফাগুন মাসের মাঝামাঝি এক সান্ধ্য অনুষ্ঠানে, / তোমার মনে'র মৃত্যুদন্ড মেনে নিলে অভিমানে!
বহুবছর এই লাইনে যাতায়াত। কলকাতায় কাজ থাকলে সারাদিনের কাজ সেরে ফেরার পক্ষে এর জুড়ি নেই। সপ্তাহের কজের দিনগুলোতে ট্রেনে জায়গা পাওয়া যেত না। ডেইলি প্যাসেঞ্জারদেরদের ভিড়। জায়গা পাওয়া একটা টেনশন এর বিষয় ছিল।
প্রাত্যহিক জীবনের টুকরো কথা
তবে না হয় থাক / তোমাকে আর প্রেমের অজুহাতে / নাটক নাটক খেলা খেলতে হবে না
পেন্সিলে লেখা জীবন খুব মনোগ্রাহী। শ্রদ্ধেয় অমর মিত্র কে ধন্যবাদ আমার কিছুটা ছেলেবেলা কে ফিরিয়ে দেবার জন্য। ষাট সত্তরদশকের বড়ো হওয়া অনেক টা একই রকম। লেখাটা পড়ে ছেলেবেলার গোপন গন্ধ পেলাম। সৌম্য চক্রৱৰ্তী
শ্রী শিবরাম চক্রবর্তী মশাই তাঁর "বাড়ি থেকে পালিয়ে" বইখানিতে লিখেছিলেন : "তারিয়ে তারিয়ে খেতে হলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাও!" আজ রোববার বলে কথা। ফ্লুরিস, ক্যালকাটা ক্লাব, হায়াতের বো-টাই আর stiff upper lip ওয়ালা ব্রেকফাস্ট তো অনেক হলো.... আজ বেরিয়ে পড়ুন!
#ভ্রমণসাহিত্য কালকে একটা হাসির বইয়ের সন্ধান দিয়েছিলাম। আজ একটা অসাধারণ ভ্রমণের বই সম্পর্কে জানিয়ে যাই। ব্যক্তিগত ভাবে আমি ভ্রমণ সাহিত্যের ভক্ত বলে খুঁজে খুঁজে সমসাময়িক লেখকদের লেখা পড়তে চেষ্টা করি। উমাপ্রসাদ, প্রবোধ কুমার স্যানাল, শম্ভু মহারাজ, নবনীতা দেব সেন, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়দের লেখা তো অনেকেই পড়েছেন, কিন্তু এখনও একাধিক লেখক নিয়মিত এই ধারায় অনবদ্য লেখালিখি করছেন। সেই নিয়ে আলোচনা হয় না বললেই চলে।আগে আমার প্রিয় কিছু লেখক আর বইয়ের কথা জানিয়ে দিই। আমি নিশ্চিত, এদের কলমের স্বাদ পেলে পাঠকরা এদের মাথায় বসিয়ে রাখবেন। সমসাময়িক ভ্রমণ সাহিত্য নিয়ে যে কিছুটা ধোঁয়াশা আছে, তাও কাটবে ধীরে ধীরে। ভ্রমণ সাহিত্যের অনুরাগী হিসেবে আমার পাঠকদের প্রতি ... ...
ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে মজার গল্প আর হাসির গল্পের বইয়ের রেকমেন্ডেশন খুঁজতে গিয়ে দেখলাম সমসাময়িক সময়ে হিউমার মিশিয়ে হাসির গল্প প্রায় লেখাই হয়নি। কয়েকটা উজ্জ্বল ব্যতিক্রম বাদে সবই হয় ভৌতিক নয় থ্রিলার। বাদবাকি ঐতিহাসিক বা অন্যান্য জনরা। হাসির বই নিয়ে প্রশ্ন উঠে এলে অধিকাংশ পুরোনো বইয়ের কথাই সামনে আসে। যেমন ভ্রমণের বই খুঁজলে উমাপ্রসাদ আর শম্ভু মহারাজ বাদে সমসাময়িক ভ্রমণ লেখকদের নিয়ে তেমন কথা হয় না। গত দু' তিন বছরে নির্মল হাসির যে বইগুলো পড়ে মেজাজ খোলতাই হয়েছে, সেই বইগুলো নিয়েও বিশেষ আলোচনা দেখি না। আমি নিজেই একটা ভালো বইয়ের সন্ধান দিয়ে গেলাম। না পড়ে থাকলে পড়ে দেখবেন। ... ...
আমার বাবার অনেক ভাইবোন ছিল । তাদের সব অদ্ভুত অদ্ভুত ডাকনাম ... বড় পিসির নাম কুকু, মেজ জেঠুর নাম বুবু, ছোট কাকার নাম লুলু । বাবার নাম টাই মাঝখান থেকে কে যে খোকা রেখেছিল, জানা যায় না । পরবর্তী সময়ে এনারা সব কেউ শিকাগো, কেউ রোম, কেউ লন্ডন এ গিয়ে সেটল্ করেছিলেন । এক আমরাই পড়ে রইলাম এই কোলকাতায় ...ইটালিতে থাকার সময় আমার ছোট কাকার একটা অদ্ভুত নাম দিয়েছিল ওখানকার স্থানীয় লোকেরা । কি সেই নাম, কেউ বলতে পারবে ? ... ...
মে মাসের প্রথমদিকে আমরা যখন কোভিডে আক্রান্ত তখন আমাদের এক প্রতিবেশিনী আমার স্ত্রীকে ফোন করে আমাদের খোঁজ নিচ্ছিলেন। কথায় কথায় তিনি আমার স্ত্রীকে জানান যে দিন দুয়েক আগে তাঁর স্বামী এবং মেয়ের সামান্য জ্বর এসেছিল কিন্তু দুদিনেই সেরে গিয়েছে। এইটা শুনে আঁতকে উঠে আমার স্ত্রী আমাদের প্রতিবেশিনীকে অনুরোধ করেন তিনজনেরই RTPCR করানোর জন্য। বলাই বাহুল্য যে ওনারা আমাদের কথা শোনেননি।এই ঘটনার সপ্তাহখানেক পরে আমাদের কমপ্লেক্সে একটা RTPCR ক্যাম্প করানো হয়। এই ক্যাম্পে আমাদের প্রতিবেশিনী এবং তাঁর স্বামীর কোভিড ধরা পড়ে। মেয়ের টেস্ট ওনারা করাননি কারণ "বাচ্ছাদের জন্য RTPCR খুব বেদনাদায়ক" ! ওনাদের কোনো সিম্পটম-ও ছিল না। তবে প্রোটোকল মেনে ওনারা ... ...
আগামীকাল অরুন্ধতী রায়ের 'The Pandemic is a Portal'- এর দ্বিতীয় পর্বের ভাষান্তর আসবে। তার আগে, প্রথম পর্বে লেখিকা যা যা আলোচনা করেছেন, একবার দেখে নেওয়া যেতে পারে।ভাষান্তর: প্যান্ডেমিক একটি পোর্টাল / অরুন্ধতী রায় (পর্ব - ১) -- লিখেছেন শুভংকর ঘোষ রায় চৌধুরীআমার দেশ, আমার আমির-গরীব দেশ, ফিউডালিজম আর ধর্মীয় মৌলবাদের মাঝে, শ্রেণীভেদ আর পুঁজিবাদের মাঝে কোনো একখানে ঝুলতে থাকা, অতি দক্ষিণপন্থী হিন্দু জাতীয়তাবাদ-শাসিত ভারতবর্ষ -- তার কি খবর? পুরোটা পড়ুন ... ...
তারপর ধীরে ধীরে সূর্যের আলো অস্তমীত হতেই, লম্বা শীর্ণ ছায়ার দল নিজের রঙেই মিলিয়ে গেলো। আলো আঁধারীর খেলায় অস্তিত্বের খোঁজে ছায়ারা, হিংস্র মানুষের দম্ভকেউ বিলিন করতে পা ফেলল সড়কের উপর। অভুক্ত শেয়ালের খুবলানোর শক্তি ছড়িয়ে পড়ল মাঠে-প্রান্তরে।মানবিকতার রেহাই নেই এই দুনিয়াই। যে যত বেশি হিংস্রতাই প্রভাবশালী, জয় অবধারিত তারই। মায়ের কোলেই মাতৃত্বকে লুন্ঠিত হতে হল আবার। অন্ধকার শয়তানের রাজ্যে যদি গাছ, মাটি, ঘাস, আকাশ, বাতাস এদেরও হাত-পা থাকত, শীর্ণকায় ছায়ার দল অর্বাচীন হত না। তবে বাঁচত পৃথিবী। এমন আকালে মহাকালও ছাই ভষ্মে ধ্যান মগ্ন। মহিষাসুরের ধ্যান ভগ্নদ্যোত সে নর্তকী কৈ, আর একবার ধ্যান ভঙ্গে কি আসবেনা সে? চেষ্টা তো করুক, ... ...
“আরে, তোর মনে নেই, ছোটবেলায় আমরা গঙ্গায় কত ঘুরতাম!”, বন্ধু অমিতকে খুব উৎসাহ নিয়ে কথাগুলো বলছিল বলছিল অনিমেষ। “ধুর! কোন মান্ধাতার আমলের কথা। ওসব কী আর মনে থাকে?” পাত্তাই দিল না অমিত। দুই বন্ধুর পরস্পরকে পাত্তা দেয়া বা না দেয়া নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। কিন্তু কথা হলো পুরনো দিনের কথা বলতে গিয়ে রাশেদ কেন মান্ধাতার আমলের কথাটি উল্লেখ করলো? শুধু অনিমেষ নয়, এই শব্দযুগল আমাদের অনেকেরই প্রাত্যহিক জীবনে বহুল ব্যবহৃত শব্দে পরিণত হয়েছে। প্রশ্ন আসতেই পারে, কে এই মান্ধাতা? কী এমন হয়েছিল তার আমলে যে তিনি এত বিখ্যাত হয়ে গেলেন? চলুন তবে জেনে আসা যাক মান্ধাতার আমলের বৃত্তান্ত। মান্ধাতা এক ... ...
তুমি কিন্নরী / তুমি সুন্দরী কিন্তু আততায়ী / পিছন থেকে অলক্ষ্যে আঘাত হানো
আজ ১২ই জুন। আজকের দিনটা উৎসর্গ করা হয়েছে শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে । ঠিক গতকাল ইউনিসেফ এবং ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন একটি রিপোর্ট পেশ করেছে যেখানে গত চার বছরে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা কত বেড়েছে জানেন ? ১৬ কোটি ! বছর চারেক আগে এই সংখ্যাটা ছিল ৮৪ লক্ষের আশেপাশে।