#পাহাড়যাপন বনপাহাড়ের দেশ। সবুজ ঘন জঙ্গল। মাথার ওপর গাছের শাখা প্রশাখায় একসুরে ডেকে চলেছে দোয়েল, ময়ূর, ম্যাগাপাই, আরও কত নাম না জানা পাখি। মাটির রং খয়েরি সবুজ, মনে হয় খানিক আগেই হয়ে গেছে একপশলা বৃষ্টি। কচি সবুজ পাতাগুলো থেকে এখনও জল চুঁইয়ে পড়ছে। টুপ,টুপ,টুপ টুপ...নাকে ভেসে আসছে বৃষ্টির সোঁদা গন্ধ। মুক্ত আসমানি শামিয়ানার নিচে একখানা মাত্র বাড়ি, তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে মস্ত এক গাছ। বাড়ির রোয়াকে বসে কলকেতে টান দিচ্ছে এক বৃদ্ধ, তাকে কোথায় যেন দেখেছি। মন দিয়ে দেখে চিনে ফেলি। আমারই প্রতিরূপ, তবে ভারি আনমনা। কোত্থেকে আমদানি করা হল একে? তাজ্জব! কেসফাইলের দরকার পড়ে না, সব কিছু আপনা হতেই স্পষ্ট হয়ে ... ...
এটা সে সময়ের কথা, যখন আমি কলেজে পার্ট-টাইমার, আর ছুটির দিনে বাড়িতে প্রাইভেট টিউটর। প্রাইভেট টিউটর কিসের – না ইংরাজি অনার্সের। অর্থাৎ কিনা, চসারও জানি, চাটনিফিকেশনও জানি। সে এক আশ্চর্য সময়, সে এক দুঃসহ সময়।এমনই এক সন্ধেয়, কলেজের কাজ সেরে বাড়ি ফিরে সবে হাতমুখ ধুয়ে বসেছি, হাল্কা একটা গান চালিয়েছি আপনমনে অ্যারিস্টোক্র্যাটিক ফুর্তি করবো বলে, এমন সময় ফোন।-হ্যালো?-“Hello, is this Suvankar Sir? Me ………… Banerjee!”, নারীকণ্ঠ।-বলছি।-You teach in private? এমনিতেই বাঙালী সাহেব-মেমরা ফোন করে ইংরাজি ঝাড়লে প্রচণ্ড মাথা গরম হয়। আমি উল্টে সাধারণ ইংরাজি কথাগুলোকেও বাংলা করে বলতে শুরু করি। বললাম, “হ্যাঁ, আমি বাড়িতে পড়াই।” “আমাকে পড়াবেন please?”, বলেই সে বলল যে ... ...
আধার হেসে কয়, …"ভাবার কিই বা আছেআলো যে মোর পিছে রয়বিরহীর চোখেই তো প্রেম নাচে!"
আর পাইনি কোথাও। আর অন্য কোথাও পাওয়ার জন্য ছুটে বেড়াতেও চাই না। সব, সঅ..ব যেন এক জায়গায় থিতু হয়ে আছে। সকাল থেকে নিদাঘ দুপুর পেরিয়ে আরক্তিম সন্ধ্যা এখানে সব থমকে থেকেও কেমন যেন অবিরাম, নির্বাধ! কী এক অন্তরালের ফল্গুধারা বয়ে চলেছে। দাঁড়িয়ে থাকি বড়ো চাঁপা গাছটার নীচে, কেউ এসে পিছন থেকে কাঁধে আলতো হাত ছুঁয়ে বলে... "এসো জ্যোতির্ময়, এসো!" আমি যাই... হাসি... তুমুল গল্প চলে... সেখানে দুঃখী হতে ভালোবাসার কোনো দুঃখবিলাস চলে না। যথার্থ দুঃখীর কথা, নিরন্নের কথা, আর্তের আরতির কথা চলে... কাজ কাজ কাজ... এবং বেলা গড়ায়। যে বলেছিল "এসো জ্যোতির্ময়, এসো", সে-ই বলে, " সন্ধ্যা হলো মা... এবার ... ...
আজকাল গ্রুপে অনেকে ইংরেজি বইয়ের রেকামেন্ডেশন দিচ্ছে দেখে এই বইটা সাজেস্ট করার ইচ্ছে হল। অসম্ভব জনপ্রিয় বই, অনেকেই পড়ে থাকতে পারেন। না'হলে পড়ে দেখতে পারেন। টাইমলাইনে বছরখানেক আগে লিখেছিলাম, সেটাই কপি পেস্ট করে দিলাম।অ্যামাজন বেস্টসেলারের তালিকায় থাকা কোন বই হাতে পেলে আমি ভয়ে ভয়ে থাকি। কয়েকবার রাম ঠকান ঠকেছি, মাঝখানে বই ছেড়ে দেওয়া আমার নীতিবিরুদ্ধ, ফলে বইটা শেষ করতে গিয়ে রীতিমত নাকানি চোবানি খেতে হয়েছে। এই বইটা নিয়েও আমার দ্বিধা কম ছিল না। আমাজন বেস্ট সেলার লিস্টে এক নম্বরে বিরাজ করছে, কিন্তু তেমন কোনও আলোচনা নেই কেন? ভয়ে ভয়ে বইটা পড়তে শুরু করেছিলাম। আমার ইংরেজি ভাষাজ্ঞান খুবই সীমিত, লিটারারি স্টাইল নিয়ে ... ...
বহুকাল, আক্ষরিক অর্থেই বহুকাল পর নিজের শহরে ফিরছে দু ভাই আর তিন বোন। পাঁচজনই অবশ্য সহোদর নয়। আগের প্রজন্মের দুই ভাইয়ের ছেলেমেয়ে। একদিকে সনাতন বাবুর এক ছেলে কল্যাণ এবং দুই মেয়ে কল্যাণী ও শিবানী আর আর এক দিকে বঙ্কুবিহারীর এক ছেলে ইমন আর এক মেয়ে দূর্গা। পাঁচ ভাইবোন আজ বহুদিন পর ফিরছে নিজেদের জন্ম ভিটেয়। ভিটে বলতে অবশ্য আর বাকী কিছুই নেই। পোড়ো বাড়ি হয়ে গেছে। ... ...
ভালো খবর - দশ লক্ষ টাকা করে ঋণ পাবেন ছাত্ররা। চড়া দামে আজ উচ্চ বলো মধ্য বলো আর প্রাথমিক বলো - সব শিক্ষা কিনতে হয় আমাদের। সেখানে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস। কিন্তু ভালো লাগতো সরকার যদি এই মূল্যটা মানে এই ফি গুলো যদি নিয়ন্ত্রণ করত। কিন্তু এই ঋণ পাবেন ঘোষণা করে অনেকগুলো দায়ভার ঝেড়ে ফেলতে পারবেন এখন। যেমন রাজ্যে উচ্চশিক্ষার পরিকাঠামো নেই। বাইরে চলে যাও। ... ...
ত্রাণ দিয়ে কী হয়? ত্রাণ দিয়ে কী হয়? ত্রাণ নিয়ে কী হয়? এইসব ভাবতে ভাবতেই লোকটি পৌঁছে যায় এক কংক্রিটের রাস্তায়। গাড়ি ওঠে না উঁচু রাস্তায়। অগত্যা হাত ধরাধরি করে নামাতে হয় চালের বস্তা। চালকের সঙ্গে হাত লাগাতে গিয়ে হাঁফিয়ে রায় করোনার সদ্য আধ সেরে ওঠা লোকটি। একটু আগে কৌতূহল বসে দেখেছে অক্সিমিটার। ৯২। যন্তর ভুল। না আরেকজনের আঙুলে দেয়। ৯৮।নিজেকে বোঝায় কোথাও ভুল হচ্ছে।লোকটি-- আমাদের আধ চেনা লোকটি; আসতো না।এক সাংবাদিক খবর করেছিলেন।সাংবাদিককে পছন্দ করেন আমাদের আধচেনা লোকটি। কী সব জরুরি কথা আছে।সাংবাদিকের একটা চায়ের দোকান ছিল স্টেশনে। তা বন্ধ। লক ডাউনে।সাংবাদিকতা তাঁর নেশা। চা বিক্রি পেশা। গাদাগুচ্ছের রোগ ও ঝামেলা বাধিয়েছে সাংবাদিকটি পরোপকার করতে ... ...
আমার স্ত্রীর নাম সত্যবতী। আমার নাম শান্তনু। থুড়ি পরাশর। কোনও পূর্বাভাস ছাড়া হঠাৎ-ই এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেল। গাইডের ভাষায় অবশ্য বৃষ্টি পড়ে এখানে বারো মাস, তেমনটাই নাকি সাধারণ পূর্বাভাস।
তোমার সহিত আমার কোনোদিন বিবাহের কথা হয় নাই। প্রণয়ের সুযোগও বালক-বালিকা বেলায় ঘটে নাই। কোনও সন্তানসূত্রেও তোমার সহিত আমার কোনো গ্রন্থি রচনা হয় নাই। তারপরও তুমি আমার এবং আমি তোমার নিয়তিতে জুড়িয়া যাই।
হটীমৌসুমী ঘোষ দাস ১৭৭৪ সালের এক সকাল। স্থান কাশীধাম, দুর্গামন্ডপের অনতিদূরে ‘কুরুক্ষেত্র তালাও’। দূরদূরান্তের মানুষ এসে ভিড় জমাতে শুরু করলো সেখানে। ওরা খবর পেয়েছে আজ একটা মস্ত বড় তামাশার আয়োজন হয়েছে। তামাশাটা হল বিশুদ্ধ সংস্কৃত ভাষায় তর্কযুদ্ধ। যদিও ওই অং বং চং ভাষা জনসাধারনে বোঝে না, বোঝার আগ্রহও নেই। তবুও তারা উৎসাহিত এই তর্কযুদ্ধ দেখতে। কারণটা হল, পুরুষের বেশে একজন স্ত্রীলোক আজ অংশগ্রহণ করছেন। যিনি পুরুষের মতো কাছা দিয়ে ধুতি পরেন, উর্ধাঙ্গে পিরান( ঢিলেঢালা জামা) এবং নামাবলি, মুন্ডিত মস্তক, দীর্ঘ টিকি, হাতে কানে গলায় কোন অলঙ্কার নেই, কেবলমাত্র একটি রুদ্রাক্ষের মালা, কোন অবগন্ঠন বা পর্দার বালাই নেই – সর্বসমক্ষে পুরুষের সঙ্গে ... ...
এখন বাড়িতে কম খরচায় ১ কিলো ওয়াট এর উপর সোলার প্ল্যাণ্ট বসিয়ে অন গ্রীড পরিষেবা নেওয়া যাবে। এই পরিষেবায় ইলেক্ট্রিক বিল অনেক কমে যাবে। ইচ্ছুক ব্যক্তিরা আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমার দূরাভাষ - ৮০১৭৩৫৩৮২২। এই নম্বরে হোয়াটস আ্যাপ ও আছে।
কাশেরা এখনো দেয়নি দোলা / পদ্মে আসেনি কুঁড়ি; / শিউলি ঝরেনি বর্ষা সরে নি / শরতের লুকোচুরি।
ঝিমপাহাড় আর সবুজ বনের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে গ্রামটা। দূর থেকে দেখলে 'হ্যামলেট' কথাটাই মনে আসে প্রথমে। গ্রামের এক প্রান্তে অতলস্পর্শী খাদ, সেখানে অতিকায় বৃক্ষরা জড়ামড়ি করে নেমে গেছে অরণ্যের বুকে। অন্যদিকে সবুজের সিড়ি ধাপে ধাপে উঠে গেছে বরফাচ্ছাদিত চুড়ার উদ্দেশে। ইজারায়েলের ব্যাকপ্যাকাররা বছর চল্লিশ আগে খুঁজে বের করেছিল এই রত্ন, চার দশকের শত হাঙ্গামাতেও তার ঔজ্জ্বল্য একফোঁটাও মলিন হয়নি। হয়নি যে, সেটা সত্যি আশ্চর্য! মাত্র ঘন্টা চারেকের দূরত্বে অবস্থিত পার্বতী নদীর ধারে একটা কংক্রিটের জঙ্গল গড়ে উঠেছে প্রায়। পার্টি ক্রাউডের জ্বালায় গ্রামের মানুষ তো বটেই, বনের পাখিরাও অস্থির। কিন্তু তা সত্ত্বেও অবিশ্বাস্যভাবে এই গোপন গ্রামটা বেঁচে গেছে। ভাগ্যিস! এই অচিনপুরের ডাকে ... ...
খাড়া পাহাড়ের চূড়ায় একজনই দাঁড়াতে পারেন। সুতরাং যিনি দাঁড়াতে পারেন তাঁর মূল্যায়ন কে করবেন? আর তাঁকে মূল্যায়ন করার সাহসই বা কার হবে? এই যেমন, একই স্বীকৃতি বিজ্ঞানে আছে, চিকিৎসা শাস্ত্রের আছে, সাহিত্যেও আছে আবার শান্তিতেও আছে। তাঁর সৃষ্টিতে লুকিয়ে আছে এক বিশ্বব্রম্ভাণ্ডের যে সাহিত্য, তার কাছে পৃথিবীর সমস্ত স্বীকৃতি অতি তুচ্ছ। আবার যে স্বীকৃতি শান্তিতে আছে সেই স্বীকৃতি সুরে নেই! কেন নেই, এর উত্তর আমি জানি না!! থাকলে কবীর সুমনের সুরের কাছে নোবেল কমিটির অনেক আগেই নিঃস্ব হয়ে যাবার কথা। ... ...
পরশু ছিলাম ইঞ্জিনিয়ার / আজকে সেজেছি আমলা / কাজ ফুরোলেই উকিল সেজে / লড়া বাকি আছে মামলাঝুলিয়ে স্টেথো দেখছি রোগী / লিখছি ওষুধ হরদম