মেষরাশি - জাতকের প্রকৃতিতে হঠকারিতা ও স্বাধীনতাপ্রীতি দেখা দেবে। জাতক প্রায়শই নিজের মতে কাজ করবে। অন্যের পরামর্শের বিরুদ্ধে চলবে। জাতকের মেজাজ মাঝেমাঝেই খিটখিটে হবে। সহজেই রেগে যাবে, তার মধ্যে খেয়ালি ভাব থাকবে। জাতক বন্ধন ভালোবাসবে না। ধরাবাঁধা কাজ তার পছন্দের হবে না। একটা বিতৃষ্ণা ভাব থাকবে। কর্তৃত্ব করা পছন্দ করবে। তার কাজকর্মে কোনোরকম গোপনীয়তা বা রহস্য থাকা সম্ভব। তার উন্নতির পাশাপাশি পতন অসম্ভব নয়। লোকনিন্দা ও মিথ্যা অপবাদের সম্ভাবনা রয়েছে। খাওয়ার ব্যাপারে তীব্র ও রুক্ষ আহার পছন্দ করবে, বিশেষত শুষ্ক ও ভাজা জিনিস তার পছন্দের হবে। ডিম, মাংস প্রভৃতি উত্তেজক খাদ্য বর্জনীয়। তার মাথার কোনো অসুখ বা মাথায় কোনোরকম আঘাত লাগার সম্ভাবনা আছে। ... ...
ধর্ম টর্ম নিয়ে লেখালেখি করে একটুআধটু সুনাম অর্জন করব ভাবছিলাম। কিন্তু এ বাজারে সেটাও সম্ভব নয়। রামশ্যাম কে এ দল তাদের সম্পত্তি তে পরিণত করেছে, বাদবাকি যা ছিল সন্তোষী মাতা থেকে বিষ্ণুমাতা সব কিছু এখন আবার অন্যপক্ষের দখলে। প্রসঙ্গত বলি কথা যদিও আমার না - বাঙলায় একটা কথা আছে নিজের ঢাক নিজেই পাঠান। এ বছর সিংহাসন বেঁচে গেলে নিজেকে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার হয়ত তিনি দিয়ে দেবেন। ... ...
বেশ কিছুদিন তেমন কিছু লিখিনি। কেউ পড়ে না অথবা কেউ পড়বেনা ভেবে নয়। একটু ব্যস্ত ছিলাম নিজেকে নিয়ে। এবার বোধহয় একটু চমকে গেলেন? চমকানোরই কথা। হ্যা নিজেকে নিয়েই একটু ব্যাস্ত ছিলাম। কিছু নিজস্ব অভিজ্ঞতা শেয়ার করি আজ। যদিও এগুলো এই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা উচিত নয় শুনেছি। তবুও আমার মনে হয় আমার এই লেখাটা পড়ে হয়ত আর একজন আমার মত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবে। হ্যা একেবারে সঠিক শুনেছেন। আমি কয়েকবছর আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। না না, জ্বর, সর্দি কাশি অথবা কোন খুব গভীর শারীরিক কষ্টের রোগ নয়। রোগটা মানসিক ছিল। একেবারেই ঠিক শুনেছেন। রোগটা মানসিক ছিল। তবে, পাগল হয়ে যায়নি। সেই ... ...
স্বাধীনতার সাত দশক পেরিয়ে যাওয়ার পরেও প্রায় ৬৫ শতাংশ ভারতীয় কৃষিকাজের সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত। দেশের প্রায় ১৫-১৮ শতাংশ জিডিপি কৃষিকাজ থেকে আসে, এবং, বিদেশে রপ্তানীর প্রায় ১৫ শতাংশ কৃষিজ দ্রব্য। অতএব কৃষি সংক্রান্ত যে কোনো আইন ভারতের অধিকাংশ মানুষের জীবনজীবিকার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে এবং অবশ্যই সাধারন মানুষের ওপরেও এর প্রভাব পড়বে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কৃষি সংক্রান্ত তিনটে বিল আমাদের পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে পেশ এবং পাশ দুটোই হয়ে যায় এবং রাষ্ট্রপতি এই বিলগুলিতে সম্মতিও দিয়ে দেন ২৭ শে সেপ্টেম্বর ২০২০ তে। ... ...
হল্লা বোল, হল্লা বোল / ভোটের দামামা বেজেছে / হরি বল, হরি বল / গুড় দিয়ে রুটি মেরেছে।
আমাকে নেবে বলেই..... / এবার আমায় যেতেই হবে / আমার টিকিট হয়ে গেছে তাই
এই শহরটায় কত যান্ত্রিকতা। / এই শহরটায় কত বিষাদময়তা।
১৯৪৫ সালের ৩০ এপ্রিল। ঘড়ির কাঁটা বলছে সময়টা মধ্যরাত। গোটা বার্লিন শহর গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। শুধু ঘুম নেই এক নবদম্পতির চোখে। দুজনের প্রেম দীর্ঘ পনেরোটি বসন্ত পেরিয়ে এসে আজ পূর্ণতা লাভ করেছে। এই অনন্ত অপেক্ষার অবসানের দিনেও খুশির লেশমাত্র নেই তাদের চোখে মুখে। যে ছেলেটি কিশোরবেলায় দানিউব নদীর তীরে বসে তার ক্যানভাসে ঝড় তুলতো, যার তুলির মূর্চ্ছনায় প্রাণ পেতো পড়ন্ত বিকেলের ভেনিস থেকে রূপবতী অষ্টাদশী কন্যার মুখ সেই ছেলেটি আজ সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীর সঙ্গে গভীর উৎকণ্ঠায় নিঃশব্দ মৃত্যুর প্রহর গুনছে। ঘড়ির কাঁটা জানান দিচ্ছে রাতের বয়স ক্রমশ বাড়ছে। একসময় খবর এলো রেড আর্মি বার্লিন শহরের দখল নিচ্ছে। অতঃপর! আত্মহত্যা! ... ...
ভোররাত। নীলার খুব শীত করছিল। সূর্যের আলো চোখে পড়তে ঘুম ভাঙল। চোখ খুলে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের মাথায় পরীটার মধ্যে নিজেকে দেখতে পেল। পিঠের ডানা হাতের বাজনা সমেত পাথরের শরীর। শীতল। আশ্চর্যের বিষয় হল যে গোটা ব্যাপারটা তে তার যতটা চমকে যাওয়ার কথা ছিল তার ভগ্নাংশ ও সে চমকাল না। যেন এমনটাই হওয়ার কথা ছিল। ... ...
চারিদিকে অনেকেই বলছে নো ভোট টু বিজেপি নিয়ে সিপিয়াইএম ক্ষোভপ্রকাশ করছে নো ভোট টু বিজেপি নিয়ে সিপিয়াইএম এর ক্ষোভ বললে অত্যুক্তি হবে। সিপিয়াইএম এর অফিশিয়াল স্টেটমেন্ট, হান্নান মোল্লার বক্তব্য ও নো ভোট টু বিজেপির মিছিলে হাঁটা, সিপিয়াইএম অন্ধ্রপ্রদেশের টুইটার হ্যান্ডেল সবই বরং এর বিপরীতেই সাক্ষ্য দিচ্ছে। আসলে নো ভোট টুর প্রতি এত আক্রমণ মুখ্যত ফেসবুকীয় সেলেব হিসেবে খ্যাত সিপিয়াইএম সমর্থক ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের মধ্যেই মুখ্যত সীমাবদ্ধ। আর সমস্ত বাম মনোভাবাপন্ন ফেসবুক গ্রুপের মতো নো ভোট টুকেও হাইজ্যাক করার উদ্দেশ্য ছিলো এদের। শুরুর দিকে সেই উদ্দেশ্যেই ক্রমাগত গ্রুপটাকে ব্যবহার করতে চেষ্টা করেছে ফেসবুকের সিপিয়াইএম এর সমর্থক হিসেবে পরিচিত কিছু মুখ। সমস্ত লেফট স্পেসকে হাইজ্যাক করার ... ...
আসলে আমরা এখন সবাই ভুত / কিন্তু বলতে মানা!
খবরটা শোনার পর একেবারে স্তব্ধ হয়ে গেল শাঁওলি। সোফার ওপর ধপ করে বসে পড়ে, নির্বাক হয়ে রইল খানিকক্ষণ। তারপর, নিচু গলায় ধীরে ধীরে সৌমিলিকে জিজ্ঞাসা করল, তুই ঠিক শুনেছিস? কোনও ভুল হচ্ছে না তো?
হিটলার যে শুধুই একটি ধর্মের, মানে ইহুদি দের, বিরুদ্ধে ছিল ও তাদের ধবংস করেছিল তা নয়, একটি জাতি র বংশ লোপ করতে চেয়েছিল। ঠিক যেমন আজ মোদী সরকার NRC, CAA এর মাধ্যমে করতে চাইছে বলেই মনে হচ্ছে। কেন বলছি সেটা বিশদে বলার আগে "বাস্টার্ড" দের ইতিহাস একটু বলে নি - প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ফ্রেঞ্চ সৈন্য রা জার্মানির রাইন নদীর ধারের বিভিন্ন অঞ্চল দখল করলে ... ...
পুলিশি জেরার মুখে গিউলিয়া স্বীকার করে ১৬৩৩-১৬৫১ এই আঠেরো বছরে পাঁচশোর বেশি পুরুষকে সে হত্যা করেছে 'একুয়া তেফানা'- র সাহায্যে। শেষ পর্যন্ত ১৯৫৯ সালে বিচারে গিউলিয়া এবং তার সাহায্যকারীদের ফাঁসি হয়।
আমার মা সাজতে ভালবাসত, বিয়ের পর তার শাশুড়িসম অল্পবয়সে বিধবা বড় ননদ ফতোয়া দিয়েছিলেন নখপালিশ পরা হাতে ভাশুর দেওরদের পাতে ভাত দেওয়া মানায় না। পারলারে গিয়ে আই ব্রো শেপ করা, ঠৌঁটে ডার্ক লিপস্টিক ওসব নাকি ভদ্রঘরের বৌএদের মানায় না। তার অবিবাহিত ননদরা শুনেছিলেন, ছাদে কাপড় মেলতে গিয়ে কোথাও কোনও বাড়ীর বউ অন্যকারও সাথে প্রেম করত, আর তাই ছাদে উঠে আকাশ দেখা তো অনেক দূর কাপড় মেলাও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল একসময় মানুষটার। দ্বিগুন বয়সী পতিদেবটিও দিদি দাদা বৌদিদের সাথে তালে তাল দিতে ভুলতেন না। গ্রাম থেকে শহরে বিয়ের পর কলেজপড়ুয়া মেয়েটিও মুখবুজে মেনে নিয়েছিল সবকিছু শান্তি বজায় রাখতে। ... ...
অদ্ভুতুড়ে সব কান্ড কারখানা চোখে পড়ছে চারদিকে।এই মুহূর্তে সত্যি কারের ভুতের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। হামদো-মামদোয় দেশ ছেয়ে গিয়েছে। তাহলে অরিজিনাল ভুতেরা সব গেল কোথায়? আওয়াজ উঠেছে, "খেলা হবে, খেলা হবে"। আজ বাদে কাল ভোট। এতো দিন জানতাম,ভোট-পুজো। এখন শুনছি,এটা এক ধরনের খেলা। ভোটে হারজিৎ আছে। খেলাতেও তাই। স্পোর্টিং স্পিরিট নিয়ে সবাই এখনই ঝাঁপিয়ে পড়েছে। একেক দিন একেক রকমের অভিযান। সবাই সংবাদপত্রে শিরোনাম হতে চায়। খেলা না শেষ পর্যন্ত হয়ে দাঁড়ায় ভয়ঙ্কর খেলা ! ভুতের নাচ শুরু হলো বলে! ... ...
বিষাক্ত ঠোঁট, ভুলেভরা হাসি,শঙ্কায় জড়ানো স্মৃতি আরনা ভুলতে পারা, ভয়াবহ,নিউক্লিয়ার চুমু।মেঘের কান্না, রাস্তার একাকীত্ব,অসহায়ের ন্যায় দৃষ্টি আরনা ভাবতে পারা, দূর্বিনীত,নিউক্লিয়ার চুমু।প্রেমোদক বেলা, বিক্ষিপ্ত মন,বয়সজীর্ণ সময় আরনা বুঝতে পারা, সর্বনাশা,নিউক্লিয়ার চুমু।
এই বাংলার বুকেই একসময় দেওয়া হতো প্রকাশ্যে ফাঁসি আরও ভালোভাবে বলতে গেলে একসময়কার ভারতের রাজধানী কলকাতার বুকে প্রচলন ছিল এই প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার। হ্যাঁ চমকে ওঠার মতোই ঘটনা বটে, প্রকাশ্যে ফাঁসি তাও আবার খোদ কলকাতার বুকে!