মার্কেট কী করে কাঁপানো যেতে পারে? সোস্যাল মিডিয়াতে ঝড় তুলে দেওয়া যায় কী করে? কী করলে সবার মনে হবে যে আমি ফাটিয়ে দিচ্ছি? হাসবেন না। গভীর সমস্যা এটা। সাজেশান প্লিজ।
নাঃ! এবারও হল না! অশোকদা যখন একের পর এক, কে কোন চরিত্রে বলে যাচ্ছে আর ওরটা পার করে আরও খানিক এগিয়ে গেছে, তখন অনেকদিন বাদে পার্থর সহদেবদার মুখটা মনে পড়ে গেল। সহদেবদা ওদের বাড়িতে দুধ দিত। শুধু ওদের বাড়ি কেন, বস্তুত ওদের পাড়ার বেশির ভাগ বাড়িতেই ভোরবেলা মানে সহদেবদা। বড়দের ভাষায় সহদেব গোয়ালার একচেটিয়া মৌরসিপাট্টা। ... ...
(আজকাল খুব ভয়েভয়ে থাকি) সত্তর সালের মাঝামাঝি, সদ্য শেষ হয়েছে রেল স্ট্রাইক, আর ক'দিন পর ঘোষণা হবে কুখ্যাত স্টেট এমার্জেন্সির নোটিফিকেশন, এটা সেই সময়ের কথা - জায়গাটি গৌহাটিতে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের প্রধান কার্যালয়, মালিগাঁওয়ের রেলওয়ে ইন্সটিটিউট। সেখানে উল্লেখিত দুটি ঘটনার ঠিক মাঝখানের সময়টুকুতে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা দলের একাধিক একাঙ্ক নাটক দেখেছিলাম। নাটকগুলো কি ছিল, কেমন ছিল, তার অধিকাংশই আজ আর মনে নেই। ... ...
এলগিন মোড়ে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছি। হাঁটার পথটা পেরিয়ে এসে আমার প্রিয় বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। এদিক ওদিক দিয়ে নানারকম যানবাহনের আপন গতিতে ছুটে চলা দেখতে বেশ ভালোই লাগে এই সময়টা। পাশে নানা লোকজনের নানা রকম মুখের ভাজ দেখতে আরও ভালো লাগে। মুখের ভাঁজ গুলো অনেক রকমের হয়। যেমন বাস দেরি করে আসার একরকম ভাঁজ আবার বাস মিস হয়ে যাবার আর এক রকম ভাঁজ। নানা-রকম ভাঁজের মাঝে নিজেকেও গুলিয়ে ফেলি মাঝে মাঝেই। কারণ আমারও বিরক্ত লাগে বাসের জন্য দশ মিনিটের বেশি দাঁড়াতে। আজ সেই বিরক্তিই হচ্ছিল। প্রায় পনের মিনিট দাড়িয়েও বাসের দেখা পাচ্ছি না। মনে মনে রাগও ধরছে। ... ...
রুমির কবিতা পড়তে গিয়ে লোকে যেখানে ভুল করে তা হলো অত্যাধিক পরিমাণে ভালোবাসা জাতীয় শব্দ দেখে মনে হতে পারে এ কেবল মানব মানবীর প্রেম আর তাই নিয়েই যত আলোচনা কিন্তু এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া মারাত্মক ভুল। এই ভালোবাসা, এই বিরহ কেবল সৃষ্টি ও স্রস্টার মধ্যকার এসব কোনো পার্থিব ভালোবাসা নয় বরং ঐশ্বরিক!রুমির কবিতার অনেক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্যতম হলো খুব বেশি পরিমাণে সুন্দর সুন্দর উপমার ব্যবহার আর এর স্বার্থকতা গগণচুম্বি!সবচেয়ে যে বিষয়টি আরো টানে তা হলো আপনি যতই মনোযোগ সহকারে পড়েন না কেনো পড়ার শেষে মনে হবে আমি ঠিক বুঝলাম তো নাকি?না আরো মূল্যবান কিছু লুক্কায়িত রয়ে গেলো আমার অজান্তে যা ... ...
ভালবেসে ভালবাসার প্রতিদিনের রোজনামচায় থাকাটা সমাজের নির্মাণ। নাকি সেটা আসলে আত্মপ্রেম প্রতিদিনের আত্মপ্রত্যয়। নিজেকে খুঁজে পাওয়া.. প্রতিদিনের থোড় বড়ি খাড়া প্রেম কিংবা রাঁধার পর খাওয়া নয়তো খাওয়ার পর রাঁধা সম্পর্কের অভ্যাসটা আপাতদৃষ্টিতে সুখের সংজ্ঞা হলেও সে সুখ বোধ হয় কেউ কেউ চায়না তাই তো "সুখে থাকতে ভুতে কিলোয়"। এলোমেলো ভাবনার ভুত। স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় অনুভুতি গুলোর চাওয়া পাওয়ার সাথে সাথে আমার মধ্যেও অন্য একটা আমি আছে। ভালবাসাটাও নিজের কাছে নিজের অ্যাসাইনমেন্ট। "মধুর তোমার শেষ যে না পাই... " ... ...
তিলোত্তমা মহানগরী বারে বারেই তার রূপ বৈচিত্রে ভারতবর্ষের অন্য শহর গুলোর থেকে স্বতন্ত্র । আর তিলোত্তমার গর্বের মুকুটে শুধু ভিক্টোরিয়া বা হাওড়া ব্রিজ নয়, মহানগরের ট্রাম ও এই শহরের এক অন্যতম আকর্ষণ । ইতিহাস ও আধুনিকতার মিশেলে এ এক অনবদ্য উপস্থাপনা । ব্রিটিশ গভর্নর লর্ড কার্জনের প্রচেষ্টায় এশিয়ার প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রাম চালু হয় ১৮৭৩ এর ২৪ শে ফেব্রুয়ারি আর্মেনিয়ান ঘাট থেকে শিয়ালদহ অবধি , যদিও পরিকল্পনার অভাবে সেই বছর ২০ শে নভেম্বর তা বন্ধ হয়ে যায় । এরপর একটি লন্ডন কোম্পানির পরিকল্পনায় ও ভাইসরয় লর্ড রিপনের প্রচেষ্টায় পুনরায় আর্মেনিয়ান ঘাট থেকে শিয়ালদহ অবধি ঘোড়ায় টানা ট্রাম চালু হয় ২২ শে ... ...
“সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারা দিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি।” প্রথম ভাগের ছড়া ভোলা কঠিন, অথচ হাবভাব দেখে মনে হয়না, কেউ মনে রেখেছেন! আদৌ ছড়াটি পড়েছেন বা কানে গেছে কোনো দিন, তাও ধরে নিতে কষ্ট হয়, এ কোন সকাল দেখছি আমরা?
বিবাহের বয়স অথবা পিডোফিলিক সমাজ । গৌরীদান ও শিবঠাকুরের আপন দেশে । দীপঙ্কর খবরের কাগজ মানেই দুঃসংবাদ । ভালো খবর টবর বিশেষ থাকে টাকে না । তিন বছর ছ বছর আট বছর কোনও শিশুও ছাড় পায় না । শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন হলে প্রথম পাতায় সম্ভব হলে সচিত্র খবর হয় । যতদূর আকর্ষণীয় আর উত্তেজক করা যায় আর কি ! শিশুধর্ষণ এক ভয়ঙ্কর বিকৃতির প্রমাণ । এটা কে পিডোফিলিয়া বলে অর্থাৎ কিনা যৌবনোদ্গমের আগের শিশুদের ধর্ষণের ইচ্ছা । একে ঘেন্না করুন । মনে হয় ধর্ষককে সামনে পেলে তার শিশ্নটা কাঁচি দিয়ে কেটে দিই । ... ...
১ক্রান্তীয় সমুদ্রবীচে দাঁড়িয়ে দেখি ভাঙাদরজার পাল্লায় হাত-রেখেসাদা বিধবাদের কঙ্কাল থেকে ঝরা চুনআর ফসফেট-গুঁড়ো —চাঁদ ক্রমে অজানা উড়ন্ত বস্তুর মতোবিবর্ণ নষ্ট হয়ে গ্যালো।আইসক্রিম স্টলগুলি ছাতা মেলেঅপরিবর্তিতভাবেচলে গেল হাইওয়ের দিকে;কার্তেজীয় তল ছেড়ে আভাঁগার্দ লেখকেরাক্রমশ পরিদৃশ্যমান।সবুজ সাইনবোর্ডে লেখা: সাবধান!ভিয়েনার পুরোনো গলিতেঅমুক মেটামডার্নিস্ট এখন নিকেলের ঘড়িবেচে খায়। ২অন্ধকার হলওয়ের মাথায় দাঁড়িয়ে দেখিদৈর্ঘ্যের শেষপ্রান্তেএকটা অ্যালুমিনিয়াম দরজা।সামান্য আলো ছিটকে আসছেদৃশ্য-বর্ণালীর ভেতর,সাটিনের পর্দাগুলি মৃদু হাওয়ায় সঞ্চারণশীল —মৃত্যু সম্পর্কে এই পর্যন্ত: জেগে উঠি বেডে;মনে পড়েনা কেন হাসপাতালে এসেছি,বিশেষত মধ্যরাতেযখন ফোঁটা-ফোঁটা স্যালাইনসময়ের হিসেব রাখছেআর ব্যাকইয়ার্ডে তিনটে অ্যাম্বুলেন্সমুখোমুখি স্থির।আলো নেভানোর পরেকোনো নন-ইউক্লিডিয়ান স্পেসেঢুকে যাচ্ছে স্বপ্নেরা: প্রেইরীর কুকুর,নদীতীরে তাঁবু আর ছাইরঙা নুড়ি;দূরে এক মহিলা জিওলজিস্ট হাঁটুগেড়েপরীক্ষা করছেন পাথরের রীতি। ৩বন্ধ কারখানার ভেতর দাঁড়িয়ে ... ...
আদর্শ ধুয়ে মুছেরাজনীতি করি ভাই,রাজ্য কে লোটা শেষ....এবার দেশকে লুটব তাই ।।
শুভেন্দু অধিকারী আজ একটি ইন্টারেস্টিং কথা বলেছেন- তিনি আগে যে দল করতেন সেইটা নিষ্ঠার সঙ্গে করতেন বলে তখন বিজেপি হঠাও স্লোগান দিয়েছিলেন। আজ থেকে যে দল করবেন, সেটিও নিষ্ঠার সঙ্গে করবেন বলে তোলাবাজ ভাইপো হঠাও স্লোগান দিলেন। অর্থাৎ, দলের প্রয়োজনে যা দরকার, দল যে কাজ দেবে সেটা পেশাদারি দক্ষতায় করবেন। নিষ্ঠা, দক্ষতা দিয়ে দলের কাজ করা আসল। কিন্তু, কী কাজ করছেন সেইটি কি নয়? একবছর আগে সি এ এ বাতিল করো, এন আর সি বাতিল করো বলতেন, নিষ্ঠার সঙ্গে বলতেন, এমনভাবে বলতেন যে তাঁর স্লোগান শুনে নিজেদের কর্মীরা উদবুদ্ধ হবে, পথচলতি মানুষ নিজের অবস্থান পালটে ফেলবেন। আজ তিনি সেইভাবেই এন ... ...
আমার আর এলগিন রোডের সম্পর্কটা দিনদিন আরও দৃঢ় হচ্ছে। পথ চলতে গিয়ে এক টুকরো ঘটনা থেকেও আমি একটা গোটা গল্প খুঁজে পাই। আর যেরকম ভাবে ভাবা যায়, সেইভাবে লেখাটা বড় মুশকিল। তাই শব্দের প্যাচে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে একটা ছোট্ট ঘটনাকে গল্পের রুপ দেওয়াটাই আমাদের কাজ। আজ সকালে বাস থেকে নেমে অফিসের দিকে রওনা দিয়েছি। মাথায় হুডির টুপি হাত জোড়া জ্যাকেটের ভিতর। বেশ জোড়ে জোড়েই হাঁটছি। জোড়ে হাঁটলে শরীর টা একটু গরম হবে। বেশ ঠান্ডা পড়েছে আজ শহরে। রাস্তার ফুটপাতের সেই হ্যান্ডসাম চা-ওয়ালা তখন সবে দোকান খুলছে। পাশে দুজন ভদ্রলোক তার স্পেশাল চা খাওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে কাঁপছে। হোটেলের কাকিমার আলু, বেগুন আর সম্ভবত মূলো ... ...
শীতকাল এলেই বেশ চার্চে যাওয়ার জন্য মন কেমন করে , কিন্তু ভিড় আমার না পসন্দ আর সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল এর বাইরে কোথাও যাওয়ার ফন্দি করছিলাম । উপায় বাতলে দিলেন পিতৃদেব - বললেন যাও সেন্ট জনস চার্চ ঘুরে এসো । আমিও ক্যামেরা সঙ্গী করে বেরিয়ে পড়লাম আর অফিস কেটে চলে এলাম হেস্টিং স্ট্রিট ও কাউন্সিল স্ট্রিট এর সংযোগ স্থলে সেন্ট জনস চার্চে । রাস্তার পাশেই প্রবেশদ্বার , আর প্রবেশ মূল্য ও খুব সামান্য । ভিতরে ঢুকে কি দেখব ভাবছি এমন সময় আলাপ হল বৃদ্ধা অনিতা গোমস এর সাথে, তিনিই ঘুরিয়ে দেখালেন সবকিছু বোঝালেন কলকাতার বৃহত্তম বা প্রাচীনতম না হয়েও কোথায় এই যীশু ... ...
আপনি কি দেশপ্রেমী? -- লিখেছেন Rajkumar RaychaudhuriRajkumar Raychaudhuri আপনি দেশপ্রমী না সিপিএম? পুরোটা পড়ুন