সুহৃদ,গুরু-ভাইবোন, বন্ধুরা, এককালীনও মাসিক সাবস্ক্রাইব করতে পাঠকদের নগদে নিবন্ধন করে গুরু’র বইপত্র তো আছেই এছাড়া নানান পরিসেবা গ্রহণের উদ্যোগটির জন্য আপনাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন। বিশেষ করে গুরু’র পরিকল্পনা ও পরিচালনা সদস্যদের দীর্ঘদিনের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সবচেয়ে বড় কথা, বাংলার পুস্তক প্রকাশনা, বিপণনে ব্যবসাটি দীর্ঘদিন থেকেই বড় পুঁজি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে "বাজারে আনন্দ" লাভের মধূ খেয়ে যাচ্ছে। এদের মতো আরো অনেক সংস্থার পুঁজির দাপটে প্রকাশনা নিয়ন্ত্রণ করে। আর বিজ্ঞাপন হতে তো এদের লাভের ভান্ডারকে স্ফীত করছে । কিন্তু আজকের দুনিয়ায় তথ্য প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতি ও তথ্যের অবাধ আদান-প্রদান বিস্তার, ক্রমশ এই নব প্রযুক্তিকে দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য উপাদান হিসেবে ব্যবহারের ফলে ,পত্র-পত্রিকা ও পুস্তক প্রকাশনার মোড়লদের একচেটিয়া মূনাফার বাজার আজ ... ...
ডিসেম্বর ডুবু ডুবু, সামনে জানুয়ারি। বিষে বিষে বিশ ক্ষয়, ওই দেখো আসছে একুশে! অতিমারির বছর ঘুরলো সর্বশেষে, বছর ঘুরলো গেরস্তের, যা সর্বনেশে!সব খারাপ জিনিসেরই আড়ালে একটা ভালো দিক আছে। অতিমারিই বা বাদ যায় কেন ? এই যেমন বাড়িতে অতিথি আসা যাওয়া বন্ধ। গৃহস্বামী খরচের হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন অতি সহজেই। চক্ষুলজ্জার কোনো বালাই নেই। গৃহিনীও শান্ত। ছেলে-মেয়েরাও সুবোধ বালক বালিকা। এটাও মন্দের ভালো নয়? বার্ষিক পরীক্ষা ছাড়াই নতুন ক্লাসে উঠে গেল সবাই। সেও তো অতিমারি হেতু। এজন্য সবাই খুশি। সামনে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। টেস্ট ছাড়াই পরীক্ষা হলে ঢোকার সুযোগ - এও বা কম কি?সব খারাপ অবস্থার পিছনে একটা ভাল ... ...
তুমি যতই সরে সরে যাও কিংবা ছদ্মবেশ নাও / চারিপাশে চক্রব্যূহ অতন্দ্র প্রহরী সাজাও
অফিস থেকে প্রতিদিনের মতোই বাড়ি ফিরছি। হাঁটছি এলগিন রোড ধরে। রাস্তার পাশের চায়ের দোকানের হ্যান্ডসাম চা ওয়ালাটা দোকান বন্ধ করার জন্য তৈরি হচ্ছে। ফুটপাতে থাকা হোটেলের কাকিমাটা অবশিষ্ট ভাত একটা বড় গামলায় ভরছে। পাশে তরকারি গুলো এলো করে রাখা। পথের দুটো কুকুর সেদিকে একদৃষ্টিতে চেয়ে আছে। বুঝতে পারলাম না কাকিমা তাদের ভাতে একটুকরো মাছ বা মাংস মাখিয়ে দেবে নাকি সবটাই নিয়ে চলে যাবে বাড়ি। হঠাৎ করেই একটা বিল্ডিং এর জানলার দিকে চোখ গেল। জানালাটা খোলা ছিল, ভিতরের আসবাবপত্র কিছুটা দেখা যাচ্ছিল। ছয় তলা বিল্ডিং এর ওটা সম্ভবত তিন তলা হবে। দেখলাম একটা বছর ছয়-সাতের মেয়ে বাইরে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে বসে আছে। ... ...
বাতাসে হিমের পরশ। শীত শীত ভাব। সকালের সোনালী রোদ ভারি সুখের! সুদূর সাইবেরিয়া থেকে ওরা ডানা মেলে আসছে, সাঁতরাগাছির ঝিলের পথ চিনতে কখনো ভুল হয়না। পরিযায়ী পাখি। কাগজের প্রথম পাতাটা ওদের মনে হয় কেনা, ছবি ছাপা হলো বলে!মানুষের নামের আগে পরিযায়ী তকমা বসাল কারা? ভাগ্য ছাড়া আর কিইবা বলা যায়? পাখির কোনো মানসম্মান বোধ নেই। আজ এখানে তো কাল ওখানে। কিন্ত মানুষের তো একটা ঠিকানা থাকবে, যার সে জন্ম মুহূর্তে অধিকারী হয়। তাহলে তাকে পরিযায়ী তকমা বয়ে বেড়াতে হবে কেন?লোক পথে নামে পেটের তাগিদে। কাজ খুঁজতে ভিন দেশে পাড়ি দেয়। যদি দানাপানি জোটে। আপেল তোলা, মোট বয়ে বেড়ানো, আরও কত রকমের ... ...
পাহাড়প্রমান চেহারা যেমন তেমনি গলার জোর / দেখলেই ওকে বিরোধীরা সব আঁটেন ঘরের দোর / গেরুয়া-লালেরা যতই চেঁচাক, শুনেও শোনে না কানে / কালীঘাট থেকে বকুনি দিলেও, তবু না বারণ মানে
যৌনসুখের জন্যে ধর্ষণ? পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার কোথায় আরম্ভ? মনুসংহিতাই বা কী বলে? একটা বড্ড সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে আলোচনার অসমসাহস দেখাচ্ছি। আমার নারীজাতীয় শুভানুধ্যায়ীরা আমাকে মাফ করবেন। চিরটা কাল আমাদের ঘিলুতে গজাল ঠুকে ঠুকে বোঝানো হয়েছে নারীধর্ষণ হয় কেবলমাত্র যৌনসুখের অথবা নারীশরীরের জন্য। তাই কি? একটা যন্ত্রণাকাতর রক্তাক্ত আছাড়িপিছাড়ি খাওয়া শরীর - যে শরীরটা পুরুষটিকে সামান্যতম প্রত্যাদর করতে পারছে না - তার থেকে কি কেউ সুখ পেতে পারে? আসুন না আমরা একটু ইতিহাসে নজর দিয়ে দেখি ইতিহাসবাবু কি বলেন? ইতিহাসবাবু বলছেনপ্রাচীন মানবসভ্যতা ছিলো সম্পূর্ণ ভ্রাম্যমাণ একটা সভ্যতা। ... ...
বাজারে কুমড়া দেখেছেন? আমি একটা কুমড়ো। না, না, চেহারাটা শুকনো লঙ্কা মতো। বৌ নেই তো, হাতে বিছানা সঙ্গ তাই আর কি। সাতসকালে নিজেকে খিস্তি দিয়ে মন ভালো করতে চাইছি আর কি, তাই এই লেখাটি পড়ে হতাশ হতে পারেন। কুমড়ো বলছি কারণ, উপরটা এখনও লাল, তবে পাড়ার দাদাদের সামনে পড়লেই একটুখানি সবুজ, কিন্তু ভিতরে ভিতরে পুরোপুরি কমলা হয়ে গেছি। ... ...
রাজনীতি অনেক সময়ই ধর্মকে প্রভাবিত করে। তাই কিছুদিন আগেই আমরা দেখেছি বাঙালি এবং অবাঙালি হিন্দুদের মধ্যে সাংস্কৃতিক পার্থক্যের চিত্রটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তখন চিন্তা হল সত্যি কি দেবদেবীদের মধ্যেও "ওদের-আমাদের" হতে পারে। আমি বারবার বলতে চেষ্টা করি ধর্ম একটা সমাজ বিজ্ঞান। তাই বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতির পার্থক্য যেমন থাকবে, তেমন পূজিত দেবদেবীর চরিত্রের পার্থক্য হতে পারে। যেমন, বাঙালি মাত্রই মাতৃশক্তির আরাধনাতে বিশ্বাসী। বাঙালির লৌকিক দেবদেবীর প্রতি বিশ্বাস বেশি। তবে বাঙালির দেবদেবীরা পরে ব্রাহ্মণ্যবাদীদের দ্বারা স্বীকৃতি পেয়ে গেছে। ... ...
সকালে উঠে একটা আরশোলার সাথে দেখা -গুন্ গুন্ করে গান ভাঁজছে - মনে খুব স্ফূর্তি - হঠাৎ একটু থমকে দাঁড়ালো - সকালের আধো ঘুমে, আধো জাগরণের আমেজ - একটু আড়মোড়া ভাঙলো - চোখ দুটো দেখে মনে হলো পুরোটা খুলতে পারে না - অনেকটা টোসিস্ - রোগগ্রস্ত - এর মতো আমাকে গলা খাকারি দিয়ে উইশ করলো খাঁটি হিন্দি তে : शुभ प्रभातভব্যতা'র স্বার্থে বললুম সুপ্রভাত - আরশোলা মুখ ভেংচে উঠলো , বললো : ধ্যাৎ ! থামুন তো মশাই, আপনাদের এই মুশকিল বাংলায় কথা বলেন, বাংলায় সব ভাবেন, বাংলায় সব করেন - আবার মাঝেই মাঝেই ইংরিজিতে বুকনি মারেন, নিজেদের ভাবেন ইন্টেলেকচুয়াল - ইন্টেলেক্ট তো ... ...
#সকালের_লড়াই_আর_চায়ের_কাপ _________________ আমার প্রতিটা সকালই প্রানোজ্জল থাকে। সকালে উঠে চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে মেয়ের মুখটা দেখার পর মনে হয় পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর জিনিসটা দেখালাম বোধহয়।আর যদি আমার থাকাকালীন মেয়ে ঘুম থেকে উঠে যায় তো কথাই নেই।যতক্ষন থাকি আমার কোলে ঘুম জড়ানো চোখে মাথাটা গুঁজে থাকে। এই পাওয়াটা অনেক বড় আমার কাছে। ঠিক অমরত্ব পাওয়ার মতই। যাক এবার আসল কথায় আসি।আজকেও যথারীতি সকালে উঠে চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে মেয়ের ঘরে গিয়ে ওর মুখটা দেখে এসে চেয়ারে বসে চায়ে চুমুক দিলাম।দেখলাম “মন” একবার নক করল হাসিমুখে ।সকালের এই ঘুম থেকে ওঠা আর অফিসের জন্য বাড়ি থেকে বেরোনোর মধ্যেকার সময়টা বড় অদ্ভুদ আমার কাছে। প্রতিদিন ... ...
অনেকক্ষণ ধরে অনেকগুলো দোকানে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। অবশেষে যেরকমটি চাইছিলেন, ঠিক সেরকমটি নাহলেও কিছুটা কাছাকাছি ধরনের পেলেন। সেই সস্তার যুগ তো আর নেই ! এখন সবই অগ্নিমূল্যের বাজার। তাই ভাবনার চেয়েও বেশ কিছু গুণ বেশিই পকেট থেকে খসলো। তা কি আর করা যাবে...! এখন মূল্যেও উচ্চ আর গুণমানে নিম্ন, এটাই ভবিতব্য বলে মেনে নিতে সকলেই একপ্রকার বাধ্য। বস্তুটিকে পরম যত্নে হাতের ছোট্ট ব্যাগটিতে ভরে শালের আড়ালে সেঁধিয়ে ফেললেন। যেন লোকচক্ষুর নজরে না পড়ে, সেই ভয়ে। শীতকাল পড়লেই মনটা ভীষণ উচাটন হয়ে যায়। ডিসেম্বরের বেলা সাড়ে এগারোটাতেও হনুমান টুপি, মাফলার, পায়ে মোজা পরে পাম্প শু, ফুলহাতা সোয়েটারের ওপর দিয়ে শাল জড়িয়ে তবে বের ... ...
তমসা অরণ্যকে ভাবতে নিলে ক্যান্সার হাসপাতালের দোতলায় একটা দুপুর মনে পড়ে যায়। সারে সারে পর্দার আড়ালে শুয়ে আছে চেয়ার পাশাপাশি, কাছাকাছি। কেউ কাউকে দেখছি না অথচ টের পাচ্ছি পানির বোতল খুললো কেউ, একজন ফোনে নাতীর জুতোর মাপ জানাচ্ছে, খুুক করে কাশি, আল্লাহ বলে পাশ ফিরলো কেউ, একজন বানান করছে C cat, B boy, D David, W water, J joy 804-333, বাঁধের মতোন খুলে গেল চিপসের একটা প্যাকেট, নাক ডাকছে কেউ যেন একটা খেঁকশিয়াল দরজা খুলে হুক্কাহুয়া ডেকে দুম করে আবার বন্ধ করে দিল দরজা। আমার পাশের চেয়ারে এক বৃদ্ধা এসেই জানালার পর্দা সরিয়ে খবর ছড়িয়ে দিলেন- what a pretty sky! ... ...
রাত্রি এখন এগারটা। এপ্রিল মাস । গরমটা বেশ ভালই জানান দিচ্ছে ! অর্কর বিয়েতে এত লোকের সমাগমে সেটা সে বেশ ভালই অনুভব করেছে , এমনিতে তার ভিড়ভাট্টা পছন্দ নয় , তাই ভোজন পর্ব শেষ হতেই সুবর্ণ চঞ্চল হয়ে ওঠে কিন্তু অর্ক ও অন্যান্য বন্ধুরা চেয়েছিল সে যেন সারা রাত থাকে কিন্তু সুবর্ণ ওইসব আবদার পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে পড়ে। কৃত্রিম আলোর ঝর্ণা থেকে মুক্তি পেয়ে এখন সে প্রকৃতির আলোয় নিজেকে সংযুক্ত করে এক অপার্থিব আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে। চারিদিক জ্যোৎস্নায় যেন ধুয়ে যাচ্ছে ! কি মিষ্টি হাসি জোৎস্নার ! এমন মিঠে জ্যোৎস্নায় হাওয়ায় ওড়ার আনন্দ ফুর্তি ই আলাদা। ... ...