নিজের কৈশোরকালে জানতাম ছেলে হয়েও আমার ছেলেদের ভাল লাগে। হোমো শব্দটা হোমোসেপিয়েন্সের বদলে কেন যে হোমোসেক্সুয়াল বোঝাতে ব্যবহৃত হতো সে হিসেব আজও মেলেনি। জানতামও না টপ বটম কাকে বলে, মুঠোফোনের জমানা তখনও শুরু হয়নি। ইনটারনেট কম্পিউটার স্কুল জীবনে তখনও অধরা। হিজড়া পেশার মানুষজনদের দেখলে তখনও অবশ্য ভয় পেতাম তাদের চলন বলনে। কতি পারিক ডুপ্লি শব্দ জানলাম এইচ আইভি ইন্টারভেনশনের হাতধরে। আর সেই সুত্রে হিজড়া পেশার সম্পর্কে সম্যক ধারণায় ভয় ভেঙে ভালবাসায় পরিণত হল নিজেরই অজান্তে। তার আগেও ভাবতাম ধরাধামে আমিই বোধ হয় এমন ছেলে হয়েও সিনেমা দেখতে গিয়ে বা উপন্যাস পড়তে গিয়ে নায়কের স্বপ্নে বুঁদ হয়ে যাই । অথচ নিজেকে ... ...
মৃত্যুর কোনো প্রতিষেধক হয় না! / ফিনকি দিয়ে ছুটছে প্রাণের ধারা,
কর্ট ভোনেগাটের কিছু কন্সপিরেসি থিওরি উনি যে একটা কথা বলেছে নিজে নিজে একটা কবিতা লিখে ছিড়ে ফেলা - যেটা ভালো হয়েছে কিন্তু কেউ পড়েনি - নিজে নিজে জানা ভালো হয়েছে। ইমেজ রিসাইজ করতে হয় কিভাবে ? ইমেজ তো সব স্পেস নিয়ে নিলো। স্কুলে থাকতে এমন কাজ করেছিলাম - বেশির ভাগই কয়েকজনকে পড়িয়ে ছিড়েছি, কয়েকটা একদম যে পাশে ছিলো তাকে শুধু একটু দেখতে দিয়ে - ছিড়ে ফেলেছিলাম - ও বেশ হতভম্ব হয়েছিলো - তার অন্যতম কারণ যেটুক সে পড়তে পেরেছিলো সেটুক বেশ চিৎকার ছিলো - মানুষ চিৎকার দেখলেই রিয়েল মনে করে, এগুলো আসলে সত্তর আর আশির টেকনিক - সত্তর থেকে পৃথিবী কোথাও একটা বোকাবোকা গা-জোয়ারি মোনোপলি ... ...
এরকম একটা জীবনের বড্ড শখ ছিল। আজীবন এই নির্দ্ধারিত স্বপ্নের জাল বুনতে বুনতেই শেষ হয়ে যাব।
প্রতি বছর আজকের দিনটায় আসতেই হয়। আমার এই ছোট্ট ফ্ল্যাটের বারান্দা, জানালা সর্বত্র আজকের দিনটায় ও প্রদীপ জ্বালিয়ে সাজায়। অন্ধকারে পিছনে দাঁড়িয়ে আমি ওর প্রদীপ জ্বালানো দেখছি।
রাস্তায় নেই তৃণমূল, খোঁচা বিজেপির বন্ধের বিরোধিতায় এ বার কার্যত রাস্তায় নেই তৃণমূল। তা নিয়ে শাসকদলের মিছিল, সমাবেশও তেমন দেখা যায়নি। তৃণমূলের নেতাদের অনেকে জানিয়েছেন, যে সব কারণে বন্ধ ডাকা হয়েছে, সে সব কারণ তাঁরাও সমর্থন করেন। কিন্তু বন্ধ নয়। তৃণমূলের কয়েক জন নেতার বক্তব্য, ভোট-কাটাকুটির অঙ্কে এগিয়ে থাকতে বাম-কংগ্রেস জোটকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে পুরোটা পড়ুনসব ব্যস্ত কাচিয়ে কুচিয়ে নিতে ।..সময় যে নেই ।..ওরে তাড়াতাড়ি আরো এলোমেলো করে দে মা ।.লুটে পুটে খাই !! ... ...
ছোট বেলায় বিজয়া দশমীর আগে মা-কাকিমাদের নাড়কেলের নাড়ু, মুড়ির মোয়া, গজা ও নিমকি বানানোর তৎপরতা শুরু হয়ে যেত। পরিচিতরা ও পাড়ার ছোটরা বিজয়া দশমীর পরে এলে তাদেরকে মিস্টি মুখ করাতে হবে না? আর বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টকার্ড মা-মাসিদের জীবনের প্রায় শেষ সময় অব্দি পাঠাতে ও পেতে দেখেছি।
গঙ্গার পশ্চিমপাড়ে জগদ্ধাত্রী পুজোকে ঘিরে বেশ একটা সাজো সাজো ব্যাপার স্যাপার বাংলা বছরের শুরু থেকেই থাকে। চন্দননগর মা জগদ্ধাত্রীর মনোপলি একটা সময় পর্যন্ত নিয়ে ধরে রেখেছিল। গঙ্গার পশ্চিমপাড়ে ঠাকুরণ প্রায় আসতেনই না। শ্রীরামকৃষ্ণ ভাবান্দোলনের প্রভাবে বাঁকুড়ার জয়রামবাটী তে প্রায় একশো বছর ধরে জগদ্ধাত্রীর বেশ জনপ্রিয়তা। তবে এই জনপ্রিয়তার সঙ্গে ধর্মের মাত্রাতিরিক্ত প্রলেপ মিশে, যে সামাজিক সঙ্কট মোকাবিলা করতে সারদামণির গর্ভজননী শ্যামাসুন্দরী দেবী, জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন করেছিলেন, সেই প্রেক্ষিতটি কিন্তু ঢাকা পড়ে গেছে। ... ...
এই লাইনগুলো প্রয়াত গীতিকার মোহিনী চৌধুরী মহাশয় কবেই লিখে গেছেন।
---
আর একটা বসন্ত গেলো! / কতদিন বলিনা তাকে / মেঘের আড়ালে থাকা / সেই ভালোবাসার কথা। / কতদিন ধরে! / মেঘ বরাবরই খুব প্রিয়। / মেঘের আড়াল ঢাকা দেয় কতস্বপ্ন বাস্তবতা।