রাত্রি এখন এগারটা। এপ্রিল মাস । গরমটা বেশ ভালই জানান দিচ্ছে ! অর্কর বিয়েতে এত লোকের সমাগমে সেটা সে বেশ ভালই অনুভব করেছে , এমনিতে তার ভিড়ভাট্টা পছন্দ নয় , তাই ভোজন পর্ব শেষ হতেই সুবর্ণ চঞ্চল হয়ে ওঠে কিন্তু অর্ক ও অন্যান্য বন্ধুরা চেয়েছিল সে যেন সারা রাত থাকে কিন্তু সুবর্ণ ওইসব আবদার পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে পড়ে। কৃত্রিম আলোর ঝর্ণা থেকে মুক্তি পেয়ে এখন সে প্রকৃতির আলোয় নিজেকে সংযুক্ত করে এক অপার্থিব আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে। চারিদিক জ্যোৎস্নায় যেন ধুয়ে যাচ্ছে ! কি মিষ্টি হাসি জোৎস্নার ! এমন মিঠে জ্যোৎস্নায় হাওয়ায় ওড়ার আনন্দ ফুর্তি ই আলাদা। ... ...
বাংলাদেশের একজন স্থপতি। পেশাচর্চার বাইরে বইপড়া, কিছু লেখালেখি, গান শোনা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা আর ফেসবুক বা ব্লগিং । ভীষণ রকম বাঙালিয়ানায় । বিশ্বাসে সংশয়বাদী , জীবনযাপনে মুক্তমনা, দিশা প্রগতির পথে ।
ম্যাট্রিকুলেশন পাশের পর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কলকাতার সিটি কলেজে ভর্তি হন। প্রথম দু'বছর সায়েন্স নিয়ে পড়লেও আগাগোড়া সাহিত্যের প্রতি অগাধ টান থাকায় আইএসসি থেকে বাংলা অনার্সে বিএ পাশ করেন। বাবা যদিও চেয়েছিলেন বটানি নিয়ে ছেলে পড়াশোনা করুক। ফরেস্ট অফিসার হোক। কিন্তু তা আর হওয়া হলো না। হলেন বিখ্যাত সাহিত্যিক, সম্পাদক এবং অভিনেতা। তিনি নিজেই এনসিসি করার কারণে মিলিটারির দিকে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর বাবার নিষেধের কারণে সেটা হওয়া হলো না। তাঁর বাবা বললেন, "ওই লাইফ তোমার পক্ষে ঠিক হবে না"। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এর কারণ জিজ্ঞাসা করতে, তাঁর বাবা উত্তর দেন- "আর্মিতে প্রতিটি বিষয়ে তোমার ঊর্ধ্বতনকে স্যালুট ঠুকতে হবে। সেটা তুমি ... ...
রাজনৈতিক সমাবেশ এবং ভবিষ্যৎ।যে মুহূর্তে এই লেখায় কলম চালাচ্ছি তার ঘন্টা কুড়ি বাদে জাতীয়তাবাদী দল বি এন পির রংপুরের বিভাগীয় সমাবেশ অনুস্টিত হতে যাচ্ছে। সামপ্রতিক বছর গুলো তে বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলনের নানা রুপ মেরুকরণ ঘটেছে। আন্দোলনের গতিপথ বদলাতে হয়েছে রাজনৈতিক দলকে আর বর্তমান সরকারকে। এক এগারোর পরেই ক্ষমতায় চলে আসা আওয়ামী লীগকে আর পিছু ফিরে যেতে হয়নি। দীর্ঘ ২১ বছর ক্ষমতার মসনদের বাহিরে থাকা দলটি একে একে রূপকল্প জনগনের সামনে আনতে থাকে । আওয়ামী নেতারা একপ্রকার বর্তমান সরকারের মেয়াদ , ২০২৫, কখনো কখনো ২০৪০ অব্দি হবে বলে ঘোষনা দিয়ে রাখা এখন মুখে মুখে । ইদানীং মন্ত্রীরা হরহামেশা বলেই বেড়াচ্ছে শেখ ... ...
প্রায় পাঁচশো বছর আগের কথা। তখনও ইউরোপ তার রেনেশাঁর বাণী লিখছে। মানবতাবাদের মহৎতত্ত্ব ঔপনিবেশিকের ঝোলা থেকে বের হয়নি। তবুও একদল মানুষ, তথাকথিত সংখ্যালঘু ক্ষমতাহীন, এক উচ্চশিক্ষিত যুবার নেতৃত্বে শাসকের থেকে আদায় করে নিয়েছিলেন তাঁদের দাবী। কীর্তনের অধিকার। সার্বজনীন হিংসা নয় গানের সুর হয়েছিল গণঅভ্যুত্থানের হাতিয়ার। সেই মধ্যযুগেও। তাঁদের মুখে ছিল সংকীর্তন,"সারঙ্গধর তুয়ার চরণে মন লাগুহ রে"। এই আন্দোলনের ধারা দীর্ঘদিন অব্যাহত ছিল। শুধু তো ভিনধর্মের শাসক নয়, নিজধর্মের ক্ষমতাবান মানুষের পুরানো বিশ্বাস ও আচরণের বিরুদ্ধে লড়াই। এই লড়াই করতে করতে সেই আন্দোলনের নেতা বিশ্বম্ভর মিশ্র ওরফে নিমাই ওরফে গৌরাঙ্গ - সন্ন্যাস পরবর্তী নাম শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য অলৌকিক ভাবে মারা যান। যাঁর সমস্তজীবন এত ... ...
স্বনির্মিত পথে কবি হাঁটবেন- এমন কি হয় কখনো? বিধিত বিধান ভঙ্গ করে নবনির্মাণে ছুটে চলাই না কবির কাজ।
কখনও কখনও আমরা বুঝে উঠতে পারি না, ভালোবাসা আমাদের জীবনে শক্তি হয়ে এসেছে, নাকি প্রচণ্ড রকমের দুর্বলতা? যখন আমরা নিজেরাই clueless হয়ে যাই, যে Love is a power নাকি Love is weakness, তখনই আমরা ভালোবাসার মানুষটা/ মানষগুলোর প্রতি আমাদের সবথেকে বড় কর্তব্যটাতে অবহেলা করে ফেলি, মনের অজান্তেই
একটা জিনিস বার বার মনে হয়েছে গত কয়েক মাসে ! কেউ কোভিড আক্রান্ত হয়ে হেল্পলাইনে ফোন করলে, সরকারি এম্বুলেন্স পৌঁছে যাচ্ছে বাড়িতে,আগে থেকেড্রাইভারের নাম্বার এসে যাচ্ছে এসএমএসে ,তারপর অসুস্থ মানুষটিকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেওয়া, সম্পূর্ণনিখরচায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা করানো এবং অবশেষে ছুটির পর বাড়ি পৌঁছে দেওয়াও হচ্ছে ! এটা হচ্ছে আমাদের দেশে, আমাদের রাজ্যে ! এই পুরো সময়টা, অনেকে অনুযোগ করছেন, রোগীর সঙ্গে বাড়ির যোগাযোগ করা যাচ্ছে না!
অঙ্কা বঙ্কা শঙ্কাভক্ষক বসে বসে গেলে কাঁচালঙ্কা তক্ষক ও রক্ষক কাজে লবডঙ্কা অঙ্কা টা ছুরি মারে বঙ্কা যে ভোট কাড়ে দুহাজার একুশেতে মনে বড় শঙ্কা ! ... ...