তোপসে ঘরে ঢুকে মুখটা হাঁ করার সঙ্গে সঙ্গে ফেলুদা বলল, "দ্যাখ, যদি ভুলেও বলেছিস আমি মরেছি, অ্যায়সা ক্যালাব না যে মগনলালের শরবত নাক দিয়ে বেরিয়ে যাবে।"
গড়িয়াহাট ওভারব্রিজের তলায় প্রায় ৭০টি পরিবারের সংসার। গত ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ "শহর সাফাই" অভিযানের নাম করে যখন এনাদের বাসনকোসন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছিল কর্পোরেশন ও পুলিস, বেধরক মারতে ছাড়ছিল না বয়স্ক মানুষ থেকে শিশু অব্দি কাউকেই, তখন খবর পেয়ে গেছিলাম আমরা বস্তিবাসী শ্রমজীবী অধিকার রক্ষা কমিটি-র পক্ষ থেকে। মিছিল করে বরো অফিস ও থানায় ডেপুটেশন দিয়ে সে'দফা এই আক্রমণ আটকানো গেছিল। _যে মানুষগুলো শহর সাফাইয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, শুকনো জঞ্জাল কুড়িয়ে আনেন, যা জঞ্জাল সাফাইয়ের প্রাথমিক ধাপ, তাদেরকেই কেন বারবার শহরের "জঞ্জাল" হিসাবে চিহ্নিত করে অভিযান চালায় সরকার বা প্রশাসন?_ আসলে তলিয়ে দেখলে দেখবো এর পিছনে গভীর ... ...
ওনেকদিন পর এলাম। বেড়ে হয়েছে নতুন গুরু।
*।। ছটপরব ।।* দীপাবলির পরের কুন ভোরসকালেই জাইগ্যা ওঠে দীপ্তি। পিপরাটোলির ঘরের বাইরে পাও রাইখ্যা দ্যাখে কাল যে মাটির দিয়াগুলান বারবার অসীম যতনে জ্বালিয়ে তুলিছিল দীপ্তি না বিক্কিরি হওয়া বাঁচাবুঁচা করৌঞ্জ এর তেলে, শীতের শিরশিরিয়ে ওঠা বাতাসের ছোবল বাঁচিয়ে, সেই মাটির প্রদীপ গুলো পইড়্যা আছে তেল শেষ হওয়া পরাজিত সৈনিকের মতো, তেল চুঁইয়া পইড়্যা আছে এইদিক উইদিকে, রঙ্গোলির রং বিখরে আছে চৌদিকি; ঐ বড় বাড়িটোর ফেলি দিওয়া আতসবাজির কাগজগুলান, দীপুটা কুড়িয়ে বাড়িয়ে আনি ওর পটাকা শেষ হওয়ার পর জ্বালিয়ে বারে বারে হাততালি দিয়ে নাচে। বাপটা বলিছে, আওয়াজ ওলা পটাকা না জ্বালাতি, সরকারের মানা, বড়লোকিরা শোনে না কিছুই। ... ...
পুজোর কটা দিন ওরা বাড়ি থাকে না । সারাটা বছর দুজনেই ব্যস্ত । ঈশান আর জিনা তাই প্রতি বছর পুজোয় কোথাও না কোথাও বেড়িয়ে যায় । ওদের বিয়ে এই বছরে পাঁচে পড়ল । এখনও ওরা ঝাড়া হাতপা । দুজনেই কর্পোরেটে চাকরি করে । নিখাদ নির্ঝঞ্ঝাট পরিবার বলতে যা বোঝায়, ওরা তাই । বিয়ের পর প্রথম বছর পুজোয় ওরা কাশ্মীর গিয়েছিল । জিনা সেবারের ট্যুরে কি মজা যে পেয়েছিল ! তারপরের তিনবছরও লম্বা ট্যুরই করেছিল । এবারে তো দূরে কোথাও যাওয়াই যাবে না । তাই ওরা এবারে ঠিক করেছে নর্থ বেঙ্গলে জিনার বান্ধবী সুজাতার বাড়ি যাবে । ওখান থেকেই যা হয় ... ...
তারা জানে না, স্থায়ীভাবে শিশুটির জন্য কোনো অন্নসংস্থানের ব্যবস্থা তারা করতে পারবে কি না। তারা এতটুকুই জানে, তাদের চালচুলোহীন বেকারত্বময় জীবনে অপ্রত্যাশিতভাবে এক সম্পদ যোগ হয়েছে। যে সম্পদের কোনো মূল্য নেই অন্য কারো কাছে। কোনো দাদু-দিদা-ঠাকমা-ঠাকুরদা-পিসি-কাকা-মামা-মাসি নেই তাকে দাবী করার… যত্ন করার… ভালবাসার। তাই তাকে আগলে রাখার দায়িত্বের চেয়ে বড়ো দায়িত্ব এই মুহূর্তে আর তাদের জীবনে নেই… কখনোই ছিল না। …সন্ধ্যা গাঢ় হচ্ছে। কাদের বাড়ির শাঁখে ফুঁ পড়লো। কোথাও থেকে বুঝি উলুধ্বনির শব্দ ভেসে আসছে। কাঁসরঘন্টা বেজে উঠলো কোথাও। এই মুহূর্তটা… ঠিক এই মুহূর্তটা দু'টো অপাংক্তেয় মানুষের কাছে কিভাবে ভাস্বর হয়ে উঠলো, সেটা গোটা পৃথিবীর কেউ জানলো না… কেউ না। ... ...
উপমহাদেশে ধর্মীয় পারিবারিক আইনে ইতিবাচক সংস্কার আনার সাথে সংখ্যা গুরু-লঘু ভেদবুদ্ধির একটা সম্পর্ক আছে বলে মনে হয়।স্বাধীনতার ০৯ বছরের মধ্যে ভারত হিন্দু বিবাহ আইন, ১৯৫৫; হিন্দু উত্তরাধিকার আইন ১৯৫৬; হিন্দু নাবালকত্ব ও অভিভাবকত্ব আইন ১৯৫৬ এবং হিন্দু ভরণপোষণ আইন ১৯৫৬ প্রণয়নের মাধ্যমে হিন্দু পারিবারিক আইনে যুগান্তকারী সংস্কার আনতে সক্ষম হয়েছে।অন্যদিকে, এর পাঁচ বছরের মাথায় ১৯৬১ সালের মধ্যেই মুসলিম আইনের ক্ষেত্রে যে সব সমস্যা ছিল তার মধ্যে নারীদের উত্তরাধিকারে অসমতা ও দত্তকের ব্যাপার দু'টি ছাড়া পারিবারিক আইনের বাকি সমস্যাগুলোতে কমবেশি সংস্কার আনতে সক্ষম হয়েছে পাকিস্তানও। ... ...
করোনা-কালিমার করালগ্রাসে কালো কলকাতাকে, করালবদনী-করুণাময়ী কালী কলঙ্কমুক্ত করুন !!
বৃষ্টি পড়ে ঝমঝমিয়ে, আবহাওয়াটি চমৎকারতাইনা দেখে ভূশণ্ডিতে ভূতের মেসো খুললে বার। সাজিয়ে রাখা রঙিন বোতল, সোডা এবং বরফদানহাস্কি ভয়েস পেত্নী হাজির
আধা পৃষ্ঠা টাইপ এর পর ব্রাউজার এড্রেসে x চিন্হে হাত পড়ে সব উধাও লগইন করে লেখা তবে অনেকক্ষণ জমাদিন করা হয় নি ;( এখন abar পাবলিশ স্ট্যাটাস বদলাবার চেষ্টা করতে giye পেজ রিফ্রেশ হলো এমনে চললে সারা দিনেও ব্যাটে bole হবেনানে আমার ইন্টারনেট ও মনে হয় স্লো হতেছে যে স্পীডে চালাই somebody should pay me যে আমার ইন্টারনেট কানেকশান আছে। জ্বালা app e ভালো হচ্ছে , তবে ক্রোম এ খুলেও ট্রান্সলেশন সিস্টেম বুঝি নি l ... ...
বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের জোয়ারের মাঝেই ভগিনী নিবেদিতা (২৮শে অক্টোবর ১৮৬৭ - ১৩ই অক্টোবর ১৯১১) আশঙ্কা করেছিলেন ভারতবর্ষ থেকে ব্রিটিশদের বিতাড়িত করতে যে বিপ্লববাদী কর্মকান্ডের সঙ্গে তিনি যুক্ত হয়েছেন তাতে যে কোনো সময়ে ইংরেজ তাঁকে গ্রেপ্তার করবে। নিবেদিতা নিজে লিখছেন তাঁর বিশেষ কাছের মানুষ মিস ম্যাকলাউডকে; "মানুষের চরিত্র পরিবর্তনের জন্যে জেলের জীবন কি বিশেষ কোনো সুযোগ এনে দেয়? তেমনটি তোমার মেয়ের (অর্থাৎ নিবেদিতারই) বিষয়ে বাস্তব হয়ে উঠুক তা বিশেষ ভাবে চাই (১৯০৬ সালের মে মাসের ৩০ তারিখে এই চিঠিটি নিবেদিতা লিখেছিলেন)। ... ...