এ এখন কারও অজানা নয়, যে, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আজ পর্যন্ত প্রাপ্ত ভোটের ইতিহাসে পয়লা নম্বরে আছেন জো বাইডেন। অর্থাৎ, এর আগে এত ভোট কেউ পাননি। কিন্তু যেটা নিয়ে তেমন কথা হচ্ছেনা, সেটা হল দুই নম্বরে কে। বিস্ময়কর হলেও সত্যি, যে, প্রাপ্ত ভোটের হিসেবে দুই নম্বর আলো করে আছেন শ্রীযুক্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাইডেনকে বাদ দিলে এত ভোট আর কেউ কখনও পাননি। এইটা কেন বলা হচ্ছে? কারণ একটাই। এইটুকু খালি বলা, যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনসমর্থন কিন্তু কিচ্ছু কমেনি। বরং আগের থেকে বেড়েছে। এবং ২০২০ ছাড়া অন্য যেকোনো নির্বাচনে এইরকম সমর্থন পেলে ট্রাম্প হইহই করে জিততেন। সেটা এবার হয়নি, দেখাই যাচ্ছে, ... ...
তুমি অমন করে হেসো না তো! তুমি অমন করে হাসলে আজকাল আমার ভীষণ অসুবিধা হয়, বুকের ভেতর ছলকে যায় পদ্ম পুকুর, মাইনাস সিক্স চশমা ফস্কে যায় খুব কাজের সময়, অন এয়ারে চলে যায় ভুলভাল সংবাদ। এবং আরো অনেক, যা তা ইতং। তাই বিনয় করে বলি, ওই সর্বনাশা হাসি এখন স্থগিত রাখ, কেননা তোমার হাসিতে আজকাল আমার বেশ সমস্যা হয়, পর পর ঘটে যায় আরো বেশকিছু অঘটন... আমার মা জানালেন, তোমার কাচভাংগা হাসিতেই এবার নাকি শহর রক্ষা বাধ বিপন্ন হয়েছে, ওই হাসিতেই এবার যমুনা ভাসিয়েছে সিরাজগঞ্জ, আমার বন্ধু কালায়ন চাকমার দাবি, তোমার হাসিতেই এবার মধ্য রাতে পাহাড়ে ঘটেছে প্রলয়, এরকম আরো বেশ কিছু লণ্ডভণ্ড ... ...
জ্যোৎস্নার বিষণ্ণ হরিণেরা / ধীরে নেমে আসে / বি টি রোড ধরে
সারাটা রাস্তা গাঁজার গন্ধ। সারা রাস্তা গাঁজার গন্ধ । আমি গর্ভস্থ ভ্রূণের মত নিজেকে জড়িয়ে নেই। বুড়ো আঙ্গুল চুষতে চুষতে ভেসে বেড়াই চরম মৌতাতে। সদ্য পাড়া ডিম বিক্রি হয় উচ্চস্বরে কুড়িটা কুড়িটা।
আর যাব না তোমার বাড়িতোমার সাথে এবার আড়িকথা দিয়ে ফেরাও খালিআসবো বলে দিচ্ছো ফাকি।আর যাব না- তোমার বাড়িতোমার বাড়ি নি:স্ব ভারিদিবা-রাত্রি একলা পুরিবুকের ক্ষতে জোড়ায় তালিস্বপ্ন দিয়ে কাথা শেলি।আর যাব না- তোমার বাড়িতোমার বাড়ি গারদ মুখিপানে-চুনে খসেই যদিকুটনা কাটে শাশুড়িনিননদিনিও কম না যায়শরীর জুড়ে কথা ফোটায়।আর যাব না- তোমার বাড়িতোমার বাড়ি ব্যথা ছড়ায়কথার তরে আমায় কাদায়।আর যাব না- তোমার বাড়িতোমার বাড়ি কষ্ট জাগায়তুমি নামের অসুক বাড়ায়। ... ...
মুজবান হকের প্রস্থান ওরা কখনো দেখেনি। তবে মাছের পেট চিরে যেমন পেটি গড়ায়, তেমনি প্রকাশ পেত ওর না থাকাটুকু। বাড়ির উঠোনের চার কোণে বিনীত অথচ অদম্য সেনাপতির মতন কাঠের ফ্রেমে ঝুলে থাকতো চারটে সাদা পাঞ্জাবী। প্রতিবার একই রকম নির্ভুল কাকতাড়ুয়া দৃশ্য রেখে মুজবান হক হারিয়ে যেত। প্রথমবার নিখোঁজের দিনগুলিতে স্ত্রী জয়তুন ভয়ে, অনিশ্চিয়তায়, সন্দেহে -স্বামী বশীকরণ, পলাতক লোক ফিরে পাওয়া, হারানো মানুষের সন্ধান, একান্তে কাছে পাওয়া, আশেকের সাথে মিলন, বাড়ি বন্ধ, শত্রু দমন, জ্বীন তাড়ানো, সুখ শান্তি লাভ- এরকম পঞ্চাশ রকমের তাবিজ গাছে ঝুলিয়েছিল, মাটিতে পুঁতে ছিল। ওদের ছেলে পানু ভাবতো পানি দিলে একদিন সারে সারে তাবিজের গাছ হবে ওদের ... ...
আমাদের ছোটবাড়ি আমি যখন ছোট ছিলাম সংসারে সব জড়, স্থাবর, অস্থাবর পদার্থ ছিল পরিবারের সদস্য, তাদের একটা করে নাম ছিল, নিজস্ব পরিসর, কর্তব্য, স্বতন্ত্র অস্তিত্ব ছিল। ফুল কাটা কাঁসার বাটি মানে মাঝারি মাপের, নীচে একটু টোল খাওয়া, বাবার রাতে দুধ খাওয়ার বাটি – সে কাজ অন্য কোন কাঁসার বাটি দিয়ে হবে না। বড় বাড়ি মানে আমাদের সাত পুরুষের মিত্র বাড়ি আর নববসু লেন এ আমার দাদার (ঠাকুর্দার) কেনা মাঠ ও বাগান শুদ্ধু দোতলা বাড়িটি ছিল ছোট বাড়ি – প্রবীণতার দাবীতে বরাবর এক পা পিছিয়ে রইল সে। আমাদের ছোট বাড়ি ছিল একটা ছোট দোতলা টালির ছাদ ছাওয়া বাড়ি, ... ...
করোনাক্রান্তির ভেতর আবারও সীমিত পরিসরে শুরু হচ্ছে পর্যটন। প্রতি বছর হাজারো পর্যটক এপারে বাংলাদেশের আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল রাংগামাটির কাপ্তাই লেক ভ্রমণ করে উপভোগ করেন প্রাকৃতিক শোভা। তাদের খুব অল্প অংশই জানেন, উন্নয়নের নামে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের নমুনা এই লেক সৃষ্টির ইতিকথা। ১৯৬০ সালে কাপ্তাই জলবিদ্যুত প্রকল্প করে রাতারাতি ৫৪ হাজার একর পাহাড়, বন ও চাষবাসের জমি লেকের পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। সে সময় উদ্বাস্তু হন প্রায় এক লাখ পাহাড়ি। তাদের অনেকে ভারতের ত্রিপুরা, অরুনাচল ও মিজোরামে পাড়ি জমান। বাদবাকীরা পরিনত হন পাহাড়ের অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুতে। আজো তারা পুনর্বাসিত হননি। পাননি কোনো ক্ষতিপূরণও। আর কাপ্তাই জলবিদ্যুত প্রকল্প থেকে যে বিদ্যুতটুকু তৈরি হয়, তার সুবিধাভোগি জনগণ ... ...