নিবিড় বাঁশবনে ঘেরা ছোট্ট দীঘি। তরঙ্গহীন জলে ছায়ামাখা গোলাপী পদ্ম, গোল ঢেউ খেলানো পাতা। পানকৌড়ি হঠাৎ মুখ ডোবালেই স্থিরজলের তলায় শ্যাওলাদাম উঠত কেঁপে। তরঙ্গেরা ছুঁয়ে ফেলত পদ্মের পাঁপড়ি। ডাকঘরের মতো আকাশ জুড়ে মেঘেদের চিঠি দেওয়া নেওয়া চলত যখন, দীঘির স্বচ্ছ জলের আয়নাবুকে মিলত শরতের গন্ধ। সে গন্ধ এখনও পাই প্রবাসী বারান্দায়। সেই পদ্ম পাঁপড়ির রঙ রামধনু বেয়ে মিশে যায় বেগুনী ল্যাভেন্ডারের মঞ্জরীতে। সেই দিগন্তজোড়া কাশের ঢেউয়ের মিঠে ছলাৎ ছলাৎ শব্দ বয়ে আসে প্যানপাস গ্রাসের গমরঙা রেশমী চিরল রোঁয়ায়। মার্কিনদেশে মা এসেছেন গোলার্ধ পেরিয়ে। মহাসপ্তমীর আবাহনে দর্পণচর্চিত মহাস্নানের পর মায়ের ত্রিনয়ন জেগেছে কুশের প্রাণপরশে। এদেশের পুজোতে ছেলেবেলায় দেখা বাংলাকে খুঁজে পাই। মন্ডপসজ্জা ... ...
চরণদাস চোর - প্রখ্যাত হিন্দি সাহিত্যিক বিজয়দান দেথা’র কাহিনীর অবলম্বনে দিকপাল নাট্যব্যক্তিত্ব ছত্তিশগড় রায়পুরের হাবিব তনবীর গড়ে তুলেছিলেন এক নাট্য প্রযোজনা ‘চরণদাস চোর’। হাবিব স্বয়ং লন্ডন এবং ব্রিস্টলে ব্রিটিশ রয়াল আকাডেমি অফ ড্রামাটিক আর্টস ইত্যাদিতে আধুনিক নাট্যকলায় শিক্ষিত হলেও জর্মনীতে বার্টল্ট ব্রেখটের থিয়েটার ‘বার্লিনার এন্সেম্বল’ এর প্রযোজনা তাঁকে সবচেয়ে প্রভাবিত করেছিল বলে মনে হয়। ফিরে এলেন ছত্তিশগড়ে নিজের শেকড়ে, এবং গাঁয়ের লোকনাট্যের শিল্পীদের নিয়ে গড়ে তুললেন ‘নয়া থিয়েটার’। দলটির শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা ‘চরণদাস চোর’ --যা রবিন হুডের মত এক জনপ্রিয় চোরের গল্প--ওঁর হাতে হয়ে দাঁড়াল ছত্তিশগড়ি লোকনাট্য, এর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে গেল গ্রামাঞ্চলে । এই নাট্যপ্রযোজনাটি ১৯৮২ সালে এডিনবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ড্রামা ফেস্টিভ্যালে ফ্রিঞ্জ ফার্স্ট ... ...
অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ একটি লেখা। কিন্তু এইটুকুতে মন ভরল না। এই বিষয়ে একটি ধারাবাহিক লেখা চাই।
যাপন ২ আজ অরিজিতের বাড়ীতে প্রথমবার ছবি তুলতে এল সৌরদীপ।বাড়িতে ঢুকেই চারপাশে চোখ বুলিয়েই জিতের রুচির প্রশংসা না করে পারল না সে। এত যথাযথ অন্দরসজ্জা অনেকদিন বোধহয় চোখে পড়েনি। যদিও সে জানে তার বন্ধুদের সকলেই বেশ রুচিসম্পন্ন। তবুও রোজকার জীবনে এমন পরিশীলিত রুচি সম্পন্ন মানুষকেই তো চেয়ে এসেছে এতদিন।মনে মনে একটু হলেও ভাল লাগতে শুরু হয় সৌরর।কথায় কথায় সেটা প্রকাশ করতেও ভোলেনা। জিত এর আগে শুনেছে সৌর।কফি পেলে আর কিছু চায় না। কাজের ফাঁকে ফাঁকে কফির কাপ বেশ কয়েকবার পেয়ে বেশ খুশি হয় সৌর ।মুখে যদিও বলে, অভ্যেস খারাপ করে দিও না, এরপর সবসময় তোমায় না পেলে... কথা শেষ হওয়ার আগেই জিত ... ...
শুধু তত্ত্ব নয়, নিলামের উন্নততর নয়া প্রক্রিয়াও আবিষ্কার করেছেন এই জুটি -- লিখেছেন সীমন্তিনী মুখোপাধ্যায়পল মিলগ্রম এবং রবার্ট উইলসন। তাঁদের কাজের ক্ষেত্র নিলামের অর্থনীতি। নিলাম মানেই বিরল বিচিত্র সামগ্রী সংগ্রাহকদের প্রেস্টিজ-ফাইট নয়। ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিসেবা থেকে খনিজ দ্রব্য নিষ্কাশন, মায় আইপিএল পর্যন্ত আধুনিক জীবনের পদে পদে প্রযুক্ত হয় বিবিধ নিলাম-ব্যবস্থা। বস্তুত নিলাম ছাড়া দৈনন্দিন জীবন প্রায় অচল। আলোচনায় অর্থনীতির অধ্যাপক সীমন্তিনী মুখোপাধ্যায়। পুরোটা পড়ুন ... ...
নাসিমা সুলতানা জন্ম: ১৫ই জানুয়ারি, ১৯৫৭, কুষ্টিয়া। ১৯৮২তে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ। লেখালেখির শুরু স্কুল জীবনে। প্রথম মনস্ক আত্মপ্রকাশ ১৯৭৬ এ সমকাল পত্রিকার মাধ্যমে। "কবি নাসিমা সুলতানা মারা যান ১৯৯৭ সনে। আমৃত্যু ক্যান্সারের সাথে লড়েছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার কবিতাগ্রন্থ খুব সম্ভবত দুটি। এখন অবশ্য তার রচনাসমগ্র পাওয়া যায়। তিনি বেশকিছু গল্পও লিখেছিলেন।" ... ...
আমি অ্যাশবেরির কবিতা অনুবাদ করতে গিয়ে শূন্য মানুষটা নিয়ে হয়রান হলাম, ভালো কোন বিপ্লবী কবিতা চাইলাম। গিন্সবার্গের কাছে গেলাম, সিআইএ'র কীর্তিকলাপ পড়লাম, তারপর ছন্দে ছন্দে বোমা মারলাম, তারপর আমাদের কথা পড়লাম – আর এমন ভাবে বর্ষায় ভিজে চুপচুপে হয়ে গেলাম, আমার মাথার বিছানাবালিশ আমার কোমরে মুড়িগুড় সব এমন ভিজে গেল, এত সত্য আমি চাইনি, আমার পা অবশ হয়ে পড়ছে দুর্বল হয়ে পড়ছে, আমি প্রচণ্ড ভিঁজছি, আমাকে কোথাও তবু ভীষণ ভাবে যেতে হবে, আমার সাইন্সফিকশন আমাকে বাঁচাতে পারছে না, কি এক দৌড়ের মধ্যে আটকে গেছি, প্রচণ্ড বর্ষা, কোন কিছু ভাবতে পারছি না, রক্তের ভিতরকার কোন এক দৌড়ের স্মৃতি... আমাদের দৌড়ের স্মৃতি একাত্তর। ... ...
যদিও ছুয়া নাকাহারা জাপানে একেবারে সর্বজন পরিচিত নাম না, কিন্তু তার সবচাইতে নামকরা কবিতা "Sorrow Already Spoiled,"এর শিরোনাম এবং অংশবিশেষ অনেক প্রাপ্তবয়স্ক জাপানিরই জানা আছে।জীবিত অবস্থায় ছুয়া একটি মাত্র বই প্রকাশ করেছিল মায়ের টাকায়, - ছাগল গীতিকা, পঞ্চাশ কপির মত বিক্রি হয়েছিল। মৃত্যুর পর দ্বিতীয় বই ১০০০ কপি বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু ১৯৪৭ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত কপর্দকশূন্য জাপান ছুয়ার নতুন কালেকশন ২০,০০০ কপি কিনলো। সেই থেকে তার কাজের প্রতি আগ্রহ বেড়েই চলেছে। ৬৭ সালে ছয় ভলিউম নিয়ে তার কাজের কালেকশান বের হয়েছে।বেদনা অলরেডি ঘেঁটে গেছে আজকে আবারো একটু বরফ পড়লোসেই কষ্টের উপর যা এর মধ্যেই একটু ঘেঁটে গেছেআজকে এমনকি একটু বাতাসও হলোসেই ... ...
ফিলিপ লারকিন একজন বিখ্যাত কবি। আমি তার নাম আগে কোথাও শুনি নাই। কবিতা লেখার কায়দা কানুন বিষয়ে একটা বই পড়তে গিয়ে টের পেলাম তিনি খুব নামকরা কেউ। বইটা ইংরেজীতে ছিল, ব্লগার ইমন জুবায়েরের ব্লগ থেকে পেয়েছিলাম। বেশি দূর পড়া হয়নি। আরো নানান সুত্রে লারকিন এর নামোচ্চারন শুনলাম, এবং ভাবলাম একটু নেটে খুঁজেই দেখি না। This Be The VerseThey fuck you up, your mum and dad.They may not mean to, but they do.They fill you with the faults they hadAnd add some extra, just for you.But they were fucked up in their turnBy fools in old-style hats and coats,Who half the time ... ...
তার নাম নিয়ে অনেক কনফিউশান - লি বাই, লি পো - কিংবা আরো অন্যকিছু, কিন্তু নামে কিবা আসে যায় -কবিতায় যদি তাকে চেনা যায়। সে সময়টা ছিলো চীনা কবিতার স্বর্ণযুগ আজ থেকে তেরো শ' বছর আগে। শিক্ষিত লোকেরা ইমপেরিয়াল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসতেন তারপর সে অনুযায়ী রাজপদের অধিকারী হতেন। সেসময়ের অধিকাংশ কবিই ছিলেন এমন স্কলার-অফিশিয়াল। ব্যাপারটা স্বাভাবিক, তাদের মধ্যেই ভাষায় দক্ষ লোকজন বেশি। কিন্তু লি বাই? তিনি কখনো ইমপেরিয়াল পরীক্ষায় বসেননি। এদিকে মেধাবী হয়েও যে ব্যর্থ হচ্ছেন, তা নিয়েও কবিতা লিখেছেন, আর ইয়াংসি নদীর তীরে তীরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কবি-হিরো (knight-errant, Youxia) হয়ে। (খুবই দক্ষ তলোয়ারবাজ ছিলেন।) তার কবিতা আজ এত ... ...
আমি সব সময় চেয়েছি আরো মুক্ত কিছু - কবিতা বা গদ্য হবার দাবিতে বন্দী নয় এমন কোনো কাঠামোযা লেখক ও পাঠক একে অপরকে বুঝতে সাহায্য করবে, কষ্টের সামনে তাদেরকে উদোম না করে দিয়েইকবিতার মূল ব্যাপারটার মধ্যেই একটা অসভ্যতা আছে, এমন জিনিস টেনে বের করা যা আমাদের আছে বলেই আমরা জানি নাসুতরাং আমরা চোখ পিটপিট করি, যেন বাঘ একটা লাফ দিয়ে আলোয় এসে বসেছে এবং ন্যাজ নাড়াচ্ছেএজন্যই বলে কবিতা চলে এক শয়তানের কথায় - কিন্তু শয়তানটা আসলে একটা ফেরেশতা - এমন ভাবনা বাড়াবাড়িবোঝা মুশকিল কবিরা এত দেমাগ পায় কই, যখন প্রায়ই তারা নিজেদের দুর্বলতা প্রকাশ করে করে লজ্জায় পড়েকোন যুক্তিবাদী ভদ্রলোক ... ...
অনেক কবিতার ব্লগের পাশে একগাদা লিংক থাকে, তারমধ্যে কবিতাগল্পম্যাগাজিন হ্যানত্যান শেষ হবার পর থাকে অর্থনীতি হ্যানত্যান, ওরকম হ্যানত্যানও শেষ হবার পর এক লিংকে ক্লিকায়ে পেলাম এই। উইটগেনস্টাইন জুনিয়র। গুগুল করে বুঝলাম আসলটার নামের শেষে জুনিয়র ছিলো না। মানে আমি যার নাম জানি কিন্তু কাজ জানি না। এই জুনিয়র লোকটাও একই পেশার লোক। জুনিয়র আছে কেবল এই এক সাইটেই। তাকে নিয়ে লিখছে তার ছাত্ররা। কেমন যেন নিজেকে না ফুটিয়েও, এলোমেলো না হয়েও এলোমেলো বয়সের সে কথা লেখক লিখছে; কখনো কখনো কিছু কথা এত টাইমলি আসছে! লেখা পড়ে যাচ্ছি পড়তেপড়তে নিজের ছোটবেলা মানে পিচ্চি ইউনিকালের কথা মনে পড়েপড়ে। এমন প্যাশনেট লেখা। দুর্বল ... ...
পুজোয় এবার ঘুরবো না আমরা? পুজোয় এবার ঘুরবোই।কোরোনায় ধরলে, চিকিৎসা না পেলেডাক্তার আমরা ক্যালাবোই।কোরোনা হবে হোক, তবু ভিড় করবে লোক। শপিং করবো, হপিং করবো,হেথা-হোথায় গ্রুপিং করবো।
বারের বৈশাখ / তুমি বরণ করবে কি দিয়ে? / রক্ত দিয়ে নয় / চোখের পানি দিয়ে নয়
যৌনতা কখনও মানুষের পরিচয় না, তবুও তথাকথিত যৌনতার বাইরের মানুষের যৌনতা "অন্যযৌনতা" নাম পায়। "আরেকটি প্রেমের গল্প" নামে অভিহিত করার কিংবা আদারাইজেশনের খোপের বাইরে চোখ মেললে দেখব আসলে সবটাই টাকার এপিঠ ওপিঠ। আমরা ঘুম থেকে উঠে শুধুই যৌনতায় দাঁত মাজিনা কিংবা যৌনতা নিয়েই রাতে ঘুমোতে যাই না। আর সকলের মতো প্রেম-অপ্রেম ভালবাসা-খারাপবাসা রাগ অভিমান নিয়েই আমাদের যাপন। আর তাই এই "অন্যযাপনের" গল্প সকলের সাথে ভাগ করে নেওয়ার প্রয়াস... ... ...
আহ, শান্তিকি পরিশ্রমই না করেছি।শরীরে শরীর ভাসিয়েছিদেহের চাক থেকে মধু কেঁটেছি,লাঙল চালিয়েছি উর্বর জমির বুকেফালা-ফলে করেছি নরম মাটিবীজ ফেলে দিয়েছি।এখন শরীর জুড়ে তৃপ্তিআহ, ক্লন্তি জড়িয়ে আসছে চোখেঘুমিয়ে পড়ব।ফোঁসফোঁস করে কে ?কাঁদছে কি ও!কেন কাঁদবে?বিয়ে করে এনেছি, দলিল করে নিয়েছিআমার সম্পত্তি- যেমন চাইবো ব্যবহার করবকাঁদবে কেন?আমি কি পরপুরুষ?ধর্ষণ করেছি ?জোর অবশ্য একটু করেছিজোর না করলে কি এমন তৃপ্তি মিলে!বুকের মাংসে কি দাগ বসিয়েছি?ব্যথায় কাঁদছে ?একটা বোধয় উচিত হয়নি,তবে কি করবো?রোজ এক ঘ্যান-ঘ্যান, আজ না আজ নাতবে কবে?আমারটা খায় আমারটা পরেআর আমি হাত দিতে গেলেই-ঊম_ ভালো লাগছে নাআজ শরীর খারাপ,কেন?যখন চাইবো যেভাবে চাইবো দিতে হবেনা দিলে জোর করব।কাবিনে কিনেছি, আমি স্বামীজোর করার ... ...
মেজাজ খারাপ ? ওয়ার্ক ফ্রম হোম করে করে পিঠে ব্যথা ? প্রথম প্রথম ভালোই লাগতো , কিন্তু এখন মনে হচ্ছে অফিসই ভালো ছিল ? যে বরের সান্নিধ্যের জন্য হেদিয়ে যেতেন, মনে হচ্ছে তাকে অফিস পাঠিয়ে দিই ? ছেলেমেয়ে অন্য শহর থেকে চলে এসেছে ? তাদের আবার আলাদা হ্যাপা। তাদের ঘুমনোর টাইমিং আলাদা, খাবার ধরণ আলাদা। এখন মনে হচ্ছে যে যার জায়গায় ফিরে গেলেই ভালো। হচ্ছে না এমন বোধ ? স্বীকার করুন বা না করুন একটু তো এই সব পাপ চিন্তা আসছেই মনে।তার ওপর সামনেই পুজো। কিন্তু বাইরে যাওয়া বারণ। হতে পারে সেই তিনদিনই হেঁসেল ঠেলতে হবে। ভাবতেই মেজাজ তুঙ্গে। ভাবলেন ... ...
তখন সদ্য চাকরি করতে শুরু করেছি। পার্কস্ট্রিটে অফিস।অফিসের কাজে একবার বিলাসপুর যেতে হল। প্ল্যান ছকে নিলাম। সন্ধ্যে সাড়ে আটটায় ট্রেন। অফিস থেকে বেরিয়ে কোনো একটা রেষ্টুরেন্ট থেকে বিরিয়ানি প্যাক করে নেব। তারপর ট্যাক্সি ধরে সোজা হাওড়া স্টেশন। ট্রেন ছাড়লে আরামসে খেয়ে দেয়ে কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুম দেব। তখনও সংসারী হই নি, ভাড়ার বাসায় নিজেই ভাত ফুটিয়ে খেতাম। বিছানার চাদর মাসে একবার কাচা হত কিনা সন্দেহ। তাই অফিসের কাজে এদিক ওদিক যাওয়া মানে আমার কাছে রাজার হালে থাকা। সুতরাং রাজকীয় প্ল্যান এ কোনো ফাঁক রাখিনি।কিন্তু ওপরওয়ালা জল ঢেলে দিলেন আমার নিখুঁত প্ল্যানে, আক্ষরিক অর্থেই। বিকেল হতেই শুরু হল ঝড়বৃষ্টি। ... ...
ধরো আদল, তোরঙ্গসূচক / রাত্রিটির ইচ্ছুকতুলি যা আঁক কাটে
বাইরে পূর্ণিমার চাঁদের ফকফকা আলো, কিন্তু ঘরের ভেতর ঘুটঘুটে অন্ধকার। বুঝে উঠতে সময় লাগলো কোথায় আছে সে। হাতঘড়িতে সময় দেখে আঁৎকে উঠার অবস্থা। ভোর পাঁচটা বত্রিশ!! কাল রাতে মদ্যপান একটু বেশী হয়ে গিয়েছিল। স্ত্রীকে মিথ্যা করে বলেছিল ছোট একটা কাজে তার বন্ধুর সাথে দেখা করতে যাচ্ছে। রাত নয়টার মধ্যে ফিরে আসবে। বাসায় গেলে আজ খবর আছে। তার দুই বন্ধুও তার কাছেই শুয়ে আছে। ওদের নাম ধরে ডাকল কিন্তু কোন সাড়া শব্দ নেই। বেচারারা সম্ভবত গভীর ঘুমে। বার থেকে ফেরার পথে বড় বড় কয়েকটা কুকুরের দৌড় খেয়ে তাঁরা আশ্রয় নেয় এই পরিত্যক্ত পুরোনো বাড়িতে। একটা কুকুর তার পায়ে হালকা আঁচড় দিয়েছিল। ... ...