সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের জীবনে বিভিন্ন ধরণের ইচ্ছের জন্ম নেয়। এই ইচ্ছেগুলোকে কেন্দ্র করে বামনার জীবনে এক ছোট অংশ তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
সামাজিক সুরক্ষা আর কোভিড১৯ কে কোথায় দাঁড়িয়ে
২২শে আগস্ট ছিল ওয়ার্ল্ড ফোকলোর ডে। লোকসংস্কৃতির ছাত্র হওয়ার সুবাদে দিনটির মাহাত্ম্য আমার অজানা নয়। প্রতিবছর এদিনে লম্ফঝম্প কিছু কম হয় না, কিন্তু এবছর সবই ডিজিটালি, ফিজিক্যালি হওয়ার নো চান্স!
গত আড়াই দশক ধরে কল্পনা অপহরণের মতো এতো বড় মানবাধিকার লংঘনের দায় বাংলাদেশ নামক কথিত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বহন করে চলছে! তার পাহাড়ি বন্ধুরা সহকর্মী হারানোর বেদনা বহন করে চলেছেন ওই আড়াই দশক বছর ধরেই।...
করোনা প্রকোপে মানুষের বেঁচে থাকা নিয়ে ছোট একটা কবিতা , ভালো লাগলে জানাবেন
সেদিনও ছিল ৭ আগস্ট, বাইশে শ্রাবণ। সালটা ছিল ১৯৪১ খ্রিঃ (১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) বৃহস্পতিবার। কবিকে ততদিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে আনা হয়েছে। ঠাকুরবাড়িতে আগের রাতে (রাখী পূর্ণিমার রাতে) কেউ ঘুমোয় নি। ভোর থেকেই বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের আনাগোনা বেড়েছে। একটা আশঙ্কা চারদিকে কেমন একটা চঞ্চলতা তৈরী করেছে। ততক্ষণে ঈশ্বরের উপাসনা ও ব্রহ্মসংগীত শুরু হয়েছে। কবি গুরুর খাটের পাশে মাথার কাছে দাঁড়িয়ে রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় উপাসনা করলেন আর তাঁর পায়ের কাছে পণ্ডিত বিধুশেখর শাস্ত্রী এসে মাটিতে বসে ঔপনিষদিক মন্ত্র উচ্চারণ করলেন ... ...
কালকূট ছদ্মনামে লেখক সমরেশ বসু শাম্ব উপন্যাসটি লিখেছিলেন। এটি ১৯৭৮ সালে দেশ পত্রিকার শারদীয়া সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়। দু বছর পরে ১৯৮০ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পায়। পুরানের একটি গুরুত্বহীন কাহিনী ও চরিত্র এই উপন্যাসের মূল কাহিনী ও চরিত্র।
শান্তিনিকেতনে বসে গানে সুর দেওয়া, নাটকের সংলাপ লেখা এমন কি নাটকে অভিনয় ও করেছেন। চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্য ও লিখেছিলেন। ১৯৩০খ্রিঃ জার্মানি গেলে, একটি জার্মান সংস্থা ইউএফএ চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্য লিখতে অনুরোধে করে। তাঁরই ফলে তিনি "The Child" চিত্রনাট্য লিখেছিলেন। পরে এর অনুবাদ করে "শিশুতীর্থ" নাম দেন।
জয়তী ঝড়ের বেগে ঘরে ঢুকে বলল, ‘ ওঠ ওঠ .... বেলা নটা বাজে ... আর কত ঘুমোবে। ওঠ তাড়াতাড়ি। আজ রোববার। ঘরের ঝুল ঝাড়ব। পড়ে পড়ে ঘুমোলে জীবন চলবে ? ‘ অর্ণব কথা না বাড়িয়ে বিছানা ছেড়ে বাইরে বেসিনের দিকে যায়। সেখানে তখন তার সাত বছরের ছেলে চিন্টু দাঁত ব্রাশ করছে। আজ রবিবার বলে দেরিতে দাঁত ব্রাশ। বাবাকে দেখে মাজনের ফেনা ভরা মুখে বলল, ‘ বাবা বাবা ...... আমাদের স্কুলে না সায়েন্স একজিবিশান হবে নেক্সট স্যাটারডে অ্যান্ড সানডে। সবাইকে হান্ড্রেড রুপিজ করে দিতে হবে। দেবে তো ? ‘ চিন্টুর শিশুমনে এই মুহুর্তে এইটাই চিন্তা ও উত্তেজনার প্রধান বিষয়বস্তু। ... ...
“এতটা কনফিউজড জীবনে হইনি!” জয়েন্টটা অ্যাশট্রেতে ঘষে বাল্মিকী, “আচ্ছা একটা কথা বলুন, তারা যদি এ ঘরেই থাকেন তাহলে দেখা যাচ্ছে না কেন? যেমন আপনাকে দেখছি?” “কারণ আমার অ্যাবসার্ডিটি অনেক বেশী। একজন রাজকন্যা, পাঁচ হাজার বছর ধরে ঘুমন্ত, বয়স তার বাড়েনি, কেউ তাকে জাগানোর সাহস করেনি – এহেন আমাকে এখানে বাস্তবায়িত হতে হলে অনেক বেশী জোরালো চরিত্র হতেই হত। সেই জোর একজন রেটোরিকাল লেখক আর তার অর্ধস্বচ্ছ ধান্দাবাজ বিবেকের চরিত্রে কী করে থাকবে? তাই ওরা ধোঁয়া হয়ে আছেন।” ... ...
ভালোবাসার অপেক্ষায়,কি জানি কাকে হারায়ে খুঁজি
যদি সমাজের নিয়ম না মানো তবে তুমি দূরাচারী।
অমলেন্দুবাবু অনেকদিন বাদে চারতলার ছাদে উঠলেন। চারতলার ছাদে চিলেকোঠার ঘর। ঠাকুর্দার করা একান্নবর্তী পরিবারের এতবড় বাড়ি । বাড়িতে লোক অনেক। কিন্তু বাড়ি দেখভাল করার মতো মানুষের নিতান্তই অভাব।
চিন আর ভারতের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই হয় একবার ১৯৯৬ সালে এইচ ডি দেবগৌড়ার সময়ে আর আর একবার ২০০৫ সালে মনমোহন সিং-এর প্রধানমন্ত্রীত্বের কালে। চুক্তি অনুযায়ী মোদ্দা কথা হল, নিয়ন্ত্রণরেখার দু কিলোমিটারের মধ্যে কোন পক্ষই গুলি গোলা বোমা পটকা কোন কিছু নিয়ে মাস্তানি করতে পারবে না। শুধু পেছনে হাত ভাঁজ করে রেখে ভদ্দরলোকের মতো আলাপ আলোচনা করতে পারে। ... ...
ওয়াশিংটনে পৌঁছলাম সন্ধেবেলায়। ক্যাব ড্রাইভার বলল যে আটলান্টায় নতুন করে ঝামেলা তৈরি হয়েছে। পুলিশের গুলিতে একজন ব্ল্যাক মারা গেছে।সেই নিয়ে ওখানে বিরাট গন্ডগোল হচ্ছে
২৫শে মে-র আগের মিনিয়াপোলিস আর ২৫শে মে-র পরের মিনিয়াপোলিসে অনেক ফারাক। পিটারের পরিবার আগে মিনিয়াপোলিসে থাকত। চুপচাপ সাতে পাঁচে না থাকা একটা জায়গা। এখন সেখান থেকে প্রতিবাদের গর্জন উঠে আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে গোটা আমেরিকায়।
নিউ ইয়র্ক সিটি।আমি অনাবিল চ্যাটার্জি । এদেশে এসেছি বছর তিনেক হল । খুব জমকালো রাস্তাঘাট ।ঝলমলে দোকানপাট। রাত নামলে আলোয় ঝলমল করতে থাকে গোটা শহর। অজস্র শপিংমলের ঔজ্জ্বল্যে ভেসে যায় চারপাশ। বসন্ত যেন দিনরাত আকাশে বাতাসে হেসে খেলে নেচে নেচে বেড়ায় ।
তেমন গরম পড়েনি এখনও। সন্ধের ঝটকা হাওয়ায় ধুলো উড়ছে এলোমেলো। পার্বতী মেঠো উঠোন ঝাঁট দিচ্ছে সনিষ্ঠ যত্নে।বসে থাকলে চলে না। সে বসে গেলে পরিবারও বসে যাবে।আরো তিনটে ছেলেমেয়ে আছে। কাঁচা বয়েস, কাঁচা মন। তবে পেকে যাচ্ছে অকালের বাতাসে।
সাগরের খাড়ির ধারে ও-ই মস্ত উঁচু টাওয়ারে পতাকাটা শনশনিয়ে পাক খাচ্ছে কদিন ধরে। ঘোলাটে আকাশ । বাতাসে ভিজে ঢেউ। জব্বর একটা ঝড় আসছে নাকি। ম্যানগ্রোভের সংসারে যেন কিসের শংকা। কড়াক লড়াইয়ের প্রস্তুতি। ঝরঝর ঝরঝর করে বেপরোয়া ডাকাবুকো হাওয়া জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে দৌড়োদৌড়ি করছে যুদ্ধবাজের মতো।