কী এসে যায় মরলে মানুষ // সমীর ঘোষ রাতের আকাশে তারাবাজি যেনরংমশালের বাহারিদীপাবলী ভেবে ভুল হয় বড় আসলে যুদ্ধ লহরী। ক্ষমতা ধরেন রাষ্ট্র নেতারা ইচ্ছে হলেই হামলাছুটে আসে যত,সেনা শত শতনা মানার দায়,সামলা।তিনি চাইলেই মিসাইল ছোটেকিছু টুকটাক ভ্রান্তি ছারখার করে লক্ষ জীবনতিনিই ফেরান শান্তি।ইরাক,সিরিয়া বা ইউক্রেনপাল্টায় শুধু দেশটাকাল জর্জ বুশ,আজকে পুতিনঢেকুর তোলেন শেষটা। গোটা আট-দশ রাষ্ট্র নেতার খুশিতেই চলে দুনিয়াকী এসে যায় মরলে মানুষকী লাভ দেহ গুনিয়া! ... ...
ফাগুনের দখিনা হাওয়ায়, / মন উতলা করে। / কেই বা জানে মন আমার, / ফড়িং এর মত উড়ে;
আমার এক পৃথিবী অতীত আছে, / দুঃখ, ব্যথা, একাকিত্ব, কালো ছায়া, / শুক্লা প্রতিপদের ক্লিষ্ট চাঁদের কাছে, / শুকনো পাতা, কাঁটার ডালে ছাওয়া।
রাত্রে কলতান একটা ফোন করল আশুতোষ মৈত্রকে । — ‘ আজ্ঞে বলুন স্যার ‘— ‘ হ্যাঁ .... আশুবাবু একটু ডিস্টার্ব করছি। ওই যে দেবযানীদেবীর কথা বলছিলেন....— ‘ হ্যাঁ হ্যাঁ ... দেবযানী ঘোষ... কেন কি হয়েছে ?’— ‘ না .... কিছু হয়নি , ওনার অ্যাড্রেসটা দিতে পারবেন আপনি ? ওটা পেলে সুবিধে হয়।’— ... ...
ভালোবেসে কি না পূরণ করতে পারতাম, / বেঁচে আছি। এই বেঁচে থাকার গুরুত্ব পালনে। / আমাদের কোনো গণতন্ত্র নেই, রাষ্ট্রের / আসলে পঞ্চবার্ষিকি একানায়কতন্ত্র, এই অচলায়তনে।
প্রতিটি কবিতার জন্ম, তুমি চাও বা না-চাও, হয় রাজনীতি থেকে। প্রতিটি শিশুর জন্ম, সঙ্গমের ফলে শুধু নয়, নিবিড়-নিবিড়তম রাজনীতি থেকে। রাজনীতি মানে আমি মানুষকে ঘৃণা করা, মানুষকে রুদ্ধশ্বাস ভালোবাসা বুঝি, এবং, মানুষ চিনি নাম দিয়ে নয়, ক্ষমা কোরো, কাজ দিয়ে, পার্টি দিয়ে চিনি।হে আমার গণতন্ত্রী প্রাণীশাবকেরা, তোমাদের সাথে আমি শুয়ে আছি ভাগাভাগি তেঁতুলপাতায় সে কেবল তোমাদের ফুসলে নেব বলে। তারপর,“ইটস ইওর টাইম কমরেড মাউজার...” [জয়দেব বসুর ‘ভবিষ্যৎ’ কাব্যগ্রন্থের ‘বাম ও গণতান্ত্রিক ঐক্য বিষয়ে’ কবিতা] ছেঁড়াখোঁড়া যে-সব স্বপ্নের শেষে ‘আত্মঘাতী’ জয়দেবইমানুল হক১. ‘উঃ, এত গণতন্ত্র নিয়ে যে কী করি...!’ আক্ষেপ গণতন্ত্র নিয়ে, নাকি যাবতীয় ন্যাকামি ও আরোপিত বিষাদ ছুঁড়ে ফেলে দিতে; বিষ্ঠার সমুদ্রে ডুবিয়ে দিতে অনন্তের প্রার্থনা –– আমাদের পাওয়া ... ...
সকাল নটা কুড়িতে আশুতোষবাবু হাজির হয়ে গেলেন। কলতান দরজা খুলে দেখল বছর ষাটেকের মাথায় কাঁচাপাকা চুলওয়ালা মোটাসোটা চেহারার এক ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে আছেন। হাতে একটা গুটিয়ে রাখা ছাতা।
না যুদ্ধ নিয়ে কোনো কাব্য হয় না। গদ্য দু'লাইন হলেও হতে পারে। কিন্তু তাতে যুদ্ধের কিছু আসে যায় না । আজ পর্যন্ত কোনো যুদ্ধই আসল যুদ্ধবাজদের কেশাগ্র পর্যন্ত স্পর্শ করতে পারে নি। সাধারণ মানুষ তার ট্যাক্সের টাকা দিয়ে যুদ্ধের খরচ চালায়, যুদ্ধে সাধারণ মানুষ মরে, সাধারণ মানুষ উদ্বাস্তু হয়, সাধারণ মানুষের আর্থিক অবনতি ঘটে। সাধারণ মানুষ কাঁধে বন্দুক নিয়ে যুদ্ধে যায় আর একজন সাধারণ মানুষের লাশ ফেলে বীরচক্র নিয়ে বাড়ি ফেরে দেশভক্তির ঠুলি পরে বা সামরিকবাহিনীতে চাকুরির দায়ে। ... ...
কলতান দুটো খবরই পেল ঋজুর কাছ থেকে। মোবাইল লোকেশান ট্র্যাক করে জানা গেছে শ্রুতি টালীগঞ্জ এলাকায় ছিল। আর, সৌভাগ্য ভান্ডার ইরাবানেরই দোকান। কিন্তু গত তিনদিন ধরে বন্ধ আছে। অর্থাৎ কাল দোকানে থাকার কথাটা ডাহা মিথ্যে কথা।
যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। চটপট একটা বইপ্রচারের পোস্ট করে কেটে পড়ছি। ১) রাশিয়া যে একদিন ইউক্রেনে সামরিক অনুপ্রবেশ করবে, সেটা প্রায় নিশ্চিত ছিল। সারা দুনিয়ার পলিটিকাল স্ট্র্যাটেজিস্টরাই জানত, এ শুধু সময়ের অপেক্ষা। ইউএস আর ন্যাটোর অন্যান্য সদস্যরাই পরোক্ষভাবে রাশিয়াকে এ জন্য কাঠি করেছে। প্রথমে ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য আর প্রশিক্ষণ দিয়ে, তারপর তাদের ইইউতে ঢোকানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রচুর ফেক নিউজ সার্কুলেট করা হয়েছে, গুজবও ছড়ানো হয়েছে কম নয়। ... ...
প্রচ্ছন্ন রামধনুর দেবী, বলো, এ আকুলতা / কখন যাবে চুপিসাড়ে, বিদায়ী কৈশোরের ব্যথা, / অনাগত যৌবনের যন্ত্রণা কত আছে বাকি?
ডেক্সটার অ্যান্ড স্মিথের গেটের উল্টোদিকে একটা মাঝারি আকারের ধাবা। একটা পাঞ্জাবী বুড়ো আর একটা বুড়ি সেখানে বসে আছে দুপুর বারোটা থেকে। ধাবার ভিতরে অবশ্য বসে নেই তারা। ধাবা মালিকের অনুমতি নিয়ে বসে আছে ধাবার বাইরে পাতা একটা বেঞ্চে। তাদের নাকি গাঁওয়ের কোন লোক আসবে। এখানে তাদের অপেক্ষা করতে বলেছে। বুড়ো বুড়ি ঝোলা থেকে বের করে কুটকুট করে মাঝে মাঝে কি যেন খাচ্ছে, আবার ঝোলায় ঢুকিয়ে রাখছে। ... ...
#রম্যরচনাঃ " আমি শয়তান কৃষ্ণ " প্রদীপ দে ~হরে কৃষ্ণ তুমিও কৃষ্ণ আমিও কৃষ্ণ লা জবাব! যাকে মেরেছি সেও কৃষ্ণ আমি মেরেছি আমিও তো এক কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ …লাও ঠেলা সামলাও তোমারই বানী! গঙ্গা জলে গঙ্গা পূজো! খুব বড় পলেটিশায়ান না তুমি? কিছু উত্তর আছে ? পারলে দিও… ! এক ভক্ত - সেও কৃষ্ণ, আমাকে অনেক বোঝালো, ---- তুমি ভুল বুঝে ভুল ব্যাখ্যা করছো। আমি হেসে ফেললাম ... ...
কলতানের ফ্ল্যাটে কিচির মিচির পাখির ডাক ডেকে উঠল সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ। ঠিকানাটা কলতানই জানিয়ে দিয়েছিল। দরজা খুলে কলতান বেশ খানিকটা চমকে গেল। দেখল একজনের বদলে দুজন দাঁড়িয়ে আছে। ইরাবান আর শ্রুতি।— ‘ আরে ... এস এস একেবারে দুই ভাইবোন একসঙ্গে। তা ভালই করেছ। আমার খাটুনি বাঁচিয়ে দিলে।’ কলতান বলে।ইরাবান আর শ্রুতি সংকোচজড়িত ভঙ্গীতে ঘরে ঢুকে সোফায় বসল।— ‘ হ্যাঁ বল .... ‘ , কলতান ওদের মুখোমুখি বসে।ইরাবান একটু চুপ করে থাকার পর বলল, ‘ আমরা দুজনেই খুব ভয়ের মধ্যে আছি। ... ...
সন্ধেবেলা নীলাম্বরবাবু ফোন করে জানালেন যে উচ্চমাধ্যমিকে তার ছেলের ‘পাস আউট ইয়ার’ দু হাজার নয় এবং মেয়ের দু হাজার কুড়ি । কলতান জানাল, ‘ ঠিক আছে ধন্যবাদ। আমি দুদিন বাদে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করব। এই দুদিনের মধ্যে আপনার কেসটা সলভড হয়ে যাবে বলে আশা করি। তবে আপনি কিন্তু বাড়ির মধ্যেও সাবধানে থাকবেন। সাবধানের মার নেই।ঠি ক আছে রাখছি এখন ..... গুড নাইট ।’কুলচা নতুন মামলার তীব্র রহস্যের গন্ধ পেয়ে আজ আর আর মামার বাড়ি থেকে নড়তে চাইল না। ... ...
পর্ব ৪ বিয়ের পর এই প্রথম কোথাও যাচ্ছে জয়িতা অর্ণবের সাথে। অনেকটা মধুচন্দ্রিমা যেন। বিয়ের পর কোথাও তাদের যাওয়া হয়নি তাদের। অর্ণবের নতুন চাকরি। সংসার করার চাপে অর্ণব একটা কলেজে পার্ট টাইম লেকচারারের কাজ নিয়েছে। জয়িতাও কয়েকটা জায়গায় অ্যাপ্লাই করেছে এখনও উত্তর আসেনি। জয়িতা দুবেলা বেশ কিছু ছাত্র পড়ায়। দুজনের সংসারে টানাটানি হলেও চলে যাচ্ছে। যেটুকু অভাব আছে সেটা ভালবাসা দিয়ে পূরণ করে তারা। ... ...
একে ভরা শ্রাবণ, তার ওপর নিম্নচাপ অক্ষরেখা দানা বেঁধেছে গভীরভাবে। ভর দুপুরেও আকাশ অন্ধকার। আকাশ থেকে জল ঝরেই যাচ্ছে কাল রাত থেকে। বউবাজার কলেজ স্ট্রীটে জল থইথই। গোটা রাস্তায় বাসে ট্রামে এ গাড়ি সে গাড়ি ঠেলায় রিক্শায় লেবড়ি চেবড়ি একেবারে। ট্রাফিক পুলিশ নাকানি চোবানি খাচ্ছে মহাত্মা গান্ধী রোডের মোড়ে। রাস্তার হাঁটুজল ঠেলে ঠেলে আপাদমস্তক বর্ষাতিতে ঢাকা একটা লোক বঙ্কিম চ্যাটার্জী স্ট্রীটের মুখে একটা পুরনো বাড়ির দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়াল। ... ...
আমি মানুষটা বড় বাজে / আসবো না জানি কোন কাজে। / তবে বলছি " দাদা, মাইরি / ভীষন ভীষণ ভেরী sorry / একদম ভুলে গেছি আজ যে / একুশে ফেব্রুয়ারী।"
ক্রুশবিদ্ধ পাখি / প্রতিদিন আমি সন্ন্যাসী সেঁজে ট্রেনে যাই। / দাড়াই স্টেশনে, স্টপিজে। / মানুষ অন্ধ-বিশ্বাসি হয়ে আমার সামনে নিচু হয়। / আমি জানি এই ঈশ্বর ধারণা আদিকাল থেকে / কি'ভাবে বয়ে এসেছে।
তুমি চলে যাবার / ঠিক একশো বছর পর / একদিন / শবালয় থেকে উঠে আসবে / যেসব অতৃপ্ত আত্মা, কিংবা