তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের পর একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছিল। সেই ভিডিওতে দেখা যায় তালেবানি স্টাইলে কাপড় পরা বেশ কিছু যুবক অস্ত্র হাতে নাচছে।.পাশ্চাত্য ও দেশীয় প্রগতিশীলরা ওই ভিডিও দিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছিল তালেবানরা কত বর্বর। পরে অবশ্য জানা যায় ওই ভিডিওর সাথে তালেবানের কোন সম্পর্ক নেই। সীমান্ত অঞ্চলে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় যুবকরা নাচ গান করছিলো। ... ...
মনীষা যেমন বলেছিল, তার পরদিন সকাল এগারোটা নাগাদ শুভঙ্কর পালেরা তিলোত্তমা লজ ছেড়ে মেচেদার দিকে রওয়ানা দিল। অমিতাভ আর অলোক অফিসে চলে গেছে। মনীষা বেরোবার সময় দেখল ছ নম্বর ঘরে তালা মারা। বান্টি আর শুভঙ্কর আগেই নীচে নেমে গেছে। মনীষা ছ নম্বর ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে কয়েক সেকেন্ড কি ভাবল তারপর দ্রুতপায়ে নীচে নেমে গেল।দুলালের মনটা বেশ ফুরফুরে আছে । বরানগরে বাড়িতে একবার ফোন করে খবরাখবর নিল। শর্মিষ্ঠা এখন ভাল আছে। ওষুধপত্তর এখনও চলছে অবশ্য। ... ...
কুলদা রায় একজন বিপজ্জনক ব্যক্তি। এই জন্য নয়, যে, তিনি বিপজ্জনক শব্দ লেখেন। নতুন করে আর বিপজ্জনক কিছু লেখা তো সম্ভব নয়, সব শব্দই এখন কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে অভিধানে জমানো আছে। সব বাক্যই ব্যাকরণে বাঁধা। রবীন্দ্রগানের সব সুরই আছে স্বরলিপিতে। সব নদীই সমুদ্রে পড়ে, আর বিপ্লব শেষ করে সব পাখিই ঘরে ফেরে। আসল বিপদ তাঁর দেখার ভঙ্গীতে। কত লোকে কত ভাবে দেখে। কেউ আড়চোখে, কেউ সোজাসুজি। কারও দৃষ্টি ঘোরালো, কেউ চোখ পাকিয়ে তাকায়। কেউ কটাক্ষ করে, কেউ রাখে নজরবন্দী। কিন্তু দেখে একই জিনিস। সামনে সুচিত্রা সেনকে পেলে, সবাই 'মহানায়িকা'ই বলবে। কিংবা মোহময়ী। কিংবা মুনমুন সেনের মা। মানে, অভিধানে যা লেখা আছে। ফিল্মফেয়ারে ... ...
অন্তর্জাল অতি বিষম বস্তু। কিছুতেই শান্তি নাই। চলিলেও, আর না চলিলেও! মানুষের অন্ত করিয়া ছাড়িতেছে। আর ভালো লাগিতেছে না। মুঠোফোন ও লটপট ( ল্যাপটপের বাংলা সিরিয়ালীকরণ) নির্ভর জীবন হইয়া গিয়াছে। ইদিকে অন্তর্জালের যা বেগ....আর বলিলাম না!
বাপি ঘরে ঢুকে চায়ের গ্লাসটা ঠক করে ছোট নীচু টেবিলটার ওপর রাখল। অমিতাভকে জিজ্ঞেস করল, ‘বিস্কুট খাবেন?’ অমিতাভ বলে ‘না:, লাগবে না। তারপর তোর কি খবর? নতুন কিছু রিপোর্ট আছে?’— ‘না.... খবর আর কি হবে.... আমাদের লজে একজন বড় সাইনটিস এসেছে। কাল সকালে চলে যাবে। ওপাশে দুলালবাবুর সঙ্গে কথা বলছে কাউন্টারের সামনে বসে।’ — ‘তাই নাকি! বড় সায়েনটিস্ট এসেছে? কলকাতা থেকে? নাম কি?’ ... ...
দেওয়ালের রং হলুদ! আমি, আপনি সবাই রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে বাজার পড়ে, রাস্তার মোড়, ব্যস্ত গলি, খোলা মাঠ সেখানকার সব কিছুই আলাদা, মানুষ, সংস্কৃতি, ধর্ম, অর্থনৈতিক সাম্যতা !তবুও এক জায়গায় সব অংশের #বীরপুরুষ গণ #সাম্যবাদী সেটা হলো কয়েকটি নির্দিষ্ট #দেওয়াল
এক বছরে কোটি কমলে শতবর্ষে একশোমূদ্রাস্ফীতি ছেড়ে করো জনস্ফীতি ধ্বংস!একশো দিনের কাজমাথায় পড়ুক বাজমিত্রোঁ ইয়ে অচ্ছে নাইট শো!!
.
নিখিল রাস্তায় বেরিয়ে এসে কলটা রিসিভ করল— ‘ হ্যালো.... কি ব্যাপার ? ‘ওদিক থেকে মধুর ব্রীড়া মাখানো গলায় অনিন্দিতার কথা শোনা গেল— ‘ তুমি আমার ওপর খুব রাগ করে আছ, না ? সেটাই স্বাভাবিক.... কিন্তু বিশ্বাস কর ....’নিখিল অনিন্দিতার কথা আগে বাড়তে দেয় না। কড়কড়ে দশ হাজার টাকা বেহাত হবার শোক এখনও ফিকে হয়নি তার । সে বেশ কর্কশ ভঙ্গীতে বলল, ‘ ওসব ফালতু নকড়া ছাড়। অাসল ধান্দাটা কি বলতো সোনা ! ‘— ‘ তুমি এত রাগ করে থেক না.... আমার কোন উপায় ছিল না..... আমি বাধ্য হয়ে.... তোমার সঙ্গে দেখা হলে সবকিছু বলব.... ‘— ‘ আমার সঙ্গে কোথায় দেখা ... ...
দেখতে পাচ্ছে দেখতে পাচ্ছে সেই আশ্চয্য ভোরকে। অন্যদিন লেপ কাঁথা ছাড়তেই চায় না। আজ টলটল করা পায়ে উঠে পড়ার চেষ্টা করছে এক বছরের ছেলেটা। সবাই জেগে গেছে। কেন? একটা বছর বয়স বেড়ে যায়। ছেলেটা জেনে গেছে আজ মেলা। ফুফু এসে গেছে। ছেলেমেয়েদের নিয়ে। সবাই গাদাগাদি করে শুয়েছে। কাল রাতে এতোল বেতোল গপ্প জুড়েছিল ননদ ভাজে। বলে আর খিলখিল করে হাসে। কী ভাব কী ভাব! ফুফু বলছিল, যাই মায়ের ঘরে শুই।থাক না, এখানেই।শুনে তার কী আনন্দ। তার থেকেও ছোটো একটা ভাই আছে। সে শুয়েছে ওপাশে। মাঝে বড়দি।এখন মা বড়দি মেজদি কেউ নাই। তার চেয়ে এক বছরের বড় রিজিও নাই। সে বলে, ... ...
বাবার হাতে একটা প্রেসক্রিপশন্, বাইশ বছর বয়স এই দুই মাস হলো সন্তানসম্ভবা মেয়ে!জিজ্ঞাসা করেই বসলাম কে খরচ দেবে!
নিখিল দাসের বাড়ি বারাসাতের কাছাকাছি । ওখান থেকে একটা মর্মান্তিক খবর এল সকাল সাতটা নাগাদ। তার বড় মেয়ে ঐশীকে কাল ফাঁকা রাস্তা থেকে কারা তুলে নিয়ে গেছে। এখনও পাওয়া যায়নি। মেয়ের বয়স আঠারো উনিশ হবে। কলেজে সেকেন্ড ইয়ারে বি কম পড়ে । বাবার মতোই চালাক চতুর । তাকে অপহরণ করা খুব সোজা ব্যাপার না। ফোনটা এসেছিল স্থানীয় থানা থেকে। নিখিল সাত সকালে ওরকম একটা বার্তা পেয়ে প্রাথমিকভাবে বেশ ঘাবড়ে গিয়েছিল ঠিকই কিন্তু সামলে নিতে সময় নেয় নি। ... ...
যতই স্মার্ট হও 'শিট' আর 'ফাক' বলেগ্লোবাল ইংলিশে গাল দিয়েযতই 'সেন্ট্রাল' হবার ইচ্ছেয়হিন্দি চাল চষো হাল দিয়েদিনের শেষে সেই লোকাল ভাতই খাবেমাছের ঝোল আর ডাল দিয়েকারণ লোকালেই আগামী 'কাল' আছেগ্লোবাল শেষ হয় 'বাল' দিয়ে।এটা সোমনাথ রায়ের লেখা নয়, আমার লেখা। ন্যানোপুরানে এর একটা অন্য ভার্সান আছে। সোমনাথ এসব ফুক্কুড়ির ধার ধারেনা। কিন্তু মধ্যযুগ ছিল অন্ধকার, তারপর জল পড়িল, পাতা নড়িল, ফুল ফুটিল এবং সিরাজ বধ করিয়া, সগর্বে য়ুরোপ আসিয়া বাংলাকে গ্লোবাল করিয়া জ্ঞানের আলো দেখাইল, এইসব ঢপেচ্চ্পেও বিশ্বাস করেনা। সে রামপ্রসাদের ভক্ত। প্রগতি নামক লিনিয়ারিটিকে এন্তার দুচ্ছাই করে, বোধহয় একটু বেশিই করে। ইংরেজ এসে বাংলায় স্বর্গের সিঁড়ি বানিয়ে দিয়েছিল, সেই ... ...
বাপি যতই হতভাগা হোক তার একটা পোশাকি নাম আছে কিন্তু।তার নিতান্ত শৈশবেই পরলোকগতা মায়ের দেওয়া নাম— অর্জুন। পুরো নাম অর্জুন লস্কর। কোনদিন যদি স্কুলে যেত তাহলে হয়ত তাহলে নামটা নিশ্চয়ই কাজে লাগত। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেরকম পরিস্থিতির আগমন না ঘটায় ওই নামটা জীবনের ঘাস মাটির তলায় চাপা পড়ে পাঁশুটে হয়ে গেছে। কে আর সে আচ্ছাদন সরাবে ! তার বাবা রামকৃষ্ণ লস্কর যে লোক খারাপ তা না। কিন্তু দ্বিতীয়বার ঘরে বৌ এনে সর্বনাশ পাকিয়েছে।এমন কুটিলমনা আত্মসর্বস্ব মহিলা কমই দেখা যায়। বাপি তখন পাঁচ বছরের বালক।বাবার বিয়ের পরদিন থেকেই সে তার নতুন মায়ের চক্ষুশূল হয়ে উঠল।কারণে অকারণে তাকে মারধোর করত। খাওয়া বন্ধ করে ... ...
বিষয়টা বুঝলাম।
'শ্রীকান্ত মুন্সী'
অলোক খেতে খেতেই বলল, ‘অবস্থা খুব খারাপ। কালকে দুটো ইউনিয়নের সঙ্গে সিটিং ছিল ম্যানেজমেন্টের। গভর্নমেন্টের একজন রিপ্রেজেন্টেটিভও ছিল।সলিউশান কিছু বেরোয়নি। কোম্পানি আড়াইশো কোটি টাকার লস দেখাচ্ছে কারেন্ট ইয়ারে। বাঁচবার কোন রাস্তা আছে বলে মনে হচ্ছে না। ‘অমিতাভর মনে ভার চেপে বসল।সে বলল, ‘ ভি আর এস হবে বলে মনে হচ্ছে..... নাকি কোম্পানি হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিয়ে ওয়াইন্ড আপ করবে ? খবর পেয়েছ কিছু ?’— ‘ কলকাতায় হেড অফিসে দেবর্ষি রায়কে ফোন করেছিলাম। ও তো ভেতরের খবর সব রাখে। বলল, এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যাপারটা ক্লিয়ার জানা যাবে। ধরে নাও পুজোর আগেই.....’থালার ভাতে অরুচি মেখে গেল। অস্থির মনে খাবার বিস্বাদ লাগে।অমিতাভ ক্লান্ত ... ...
বাঙালির খাদ্য সিরিজ ৩প্রথমে টক, তারপর ভাজা। কিন্তু মাছ? বাঙালি মাছ ছাড়া বাঁচবে? ওইসব পাস্তা পিজ্জা হটডগ দুদিনের ব্যাপার। শেষ পর্যন্ত বাংলার জল হাওয়া পানি মাটি মাছ ভাতের ফেরাবেই।এবার মাছ ভাজা ও মাছের বড়া নিয়ে লিখুন বন্ধুরা।Emanul Haque ইমানুল হক সীমা দত্ত১.তোপসে ও ২.লোটে মাছ বেসন দিয়ে ভাজা ৩. লেটা মাছের পুর সর্ষে দিয়েউজ্জ্বল গোপ৪.ভেন্ডি দিয়ে চুনা মাছ ( ছোট মাছ ) ভাজা।৫. তেঁতুল দিয়ে চিংড়ি ভাজা৬. বেসন দিয়ে মাছের ডিম ভাজা৭. বেসন দিয়ে মাছের বড়া ভাজা ৮.. কড়া পাকে চারাপোনা ভাজা.৯. আলু পেঁয়াজ কুচি দিয়ে চুনোমাছ ভাজাসুব্রত গুহ, কাঁথি১০. সার্ডিন মাছ ভাজা। ১১.পমফ্রেট মাছ ভাজা।১২. ইলিশ মাছ ভাজা১৩.. পুঁটি মাছভাজা১৪. রুই মাছভাজা১৫. তোপসে মাছভাজা১৬. ... ...