দুলালবাবু এই তিলোত্তমা লজে ম্যানেজারি করছেন প্রায় দশ বছর। মাস গেলে হাতে পান পনের হাজার টাকা। দোতলা আর তিনতলা মিলিয়ে তেরোটা ঘর। একতলায় ভাতের হোটেল। সবকিছুই দেখভাল করতে হয় দুলালবাবুকে।
মারামারি বন্ধ হোক, হানাহানি বন্ধ হোক। সাম্প্রদায়িকতা বন্ধ হোক!
সব কিছুই তেই রাজনীতি আছে,পদ্মশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে দেওয়ার কথা তার নব্বই বছর বয়েসে মনে পড়ল কেন্দ্রীয় সরকারের আপত্তির কথা। পুরস্কার কাকে কখন কোন সুপারিশের ভিত্তিতে দেওয়া হয় তার কোন প্রিফিক্সড গাইডলাইন ভারত সরকারের আছে কিনা জানিনা। এটা সুপারিশ ভিত্তিক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সময় বিজেপির সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় ছিলেন এবং বেশ জোরালো ভাবেই। তাহলে তিনি তখন সুপারিশ করেন নি কেন? ... ...
বহুমত ও বহুস্বরঃ কঃ বর্ষাকালে সজনেডাঁটা খাওয়া ঠিক নয়, আমার বিশ্বাস। খঃ আমার গভীর বিশ্বাস যে খাওয়া যেতেই পারে ও খাওয়া উচিত আমি বলব। গঃ গভীর বিশ্বাস হলেই কি পাওয়া যায় বর্ষাকালে? ঘঃ পাওয়া যায় তো আমাদের ওদিকে। গঃ ওগুলো সজনে ডাঁটা নয়। অন্য কিছু। কঃ আমি বিশ্বাস করি, পুঁই ডাঁটা ছাড়া অন্য কোনও ডাঁটা বর্ষাকালে... ... ...
ক্লাসরুম অভিজ্ঞতা অনেক সামাজিক সমস্যাকে তুলে ধরে। এমনি এক সামাজিক ব্যাধির অভিজ্ঞতা আমার ক্লাসরুমের মধ্যেই পাওয়া। ফি বছরের মত সেবারেও বিদ্যাসাগরের জন্মদিন স্কুলে পালন করা হচ্ছিল। বিদ্যাসাগরের দারিদ্রের সঙ্গে সংগ্রাম এবং তাঁর অপরিসীম মাতৃভক্তি ছিল নাটকের প্লট। স্কুলের যে ছেলেটি ভগবতী দেবীর চরিত্রে নির্বাচিত হল সে হল স্কুলের সবার কাছে “লেডিস” গোপাল পন্ডা (নাম পরিবর্তিত)। তার এই নামকরণের কারণ শুধুমাত্র তার শারীরিক গঠন বা বাচনভঙ্গি নয়, পাশের গার্লস স্কুলের কোন মেয়ের পরিবর্তে তার পাশে বসা ছেলেটির সঙ্গে অতি সখ্যতাও এর কারণ। ধীরে ধীরে শিক্ষকমহলেও তার পরিচয় হল "লেডিস" গোপাল। এহেন পরিচয়ে ছেলেটির কুণ্ঠাবোধ যে অপরিমেয়, তা তো অনুমেয়। বয়ঃসন্ধির এই ... ...
মৃত ব্যক্তিটার বালুঘাট করা হল— / শ্মশানের এক প্রান্তে। / গুটিকয়েক লোক সরকারি কর্মে ব্যস্ত—
এমনভাবে হাতজোড় করে দাঁড়াও -যেন ওই ভাবেতেই জন্ম হয়েছিল!আরো যে কত কারুকাজ এ ছাড়াও-জনারণ্যের তাতে কি এসে গেল?তারাও শিখছে একই ঢঙে দাঁড়াতেওই ভঙ্গী তে সবকিছু ভোলা যায়;ধূপ ধুনো আর ঘন্টার ধ্বনিতেপেটটা কখন উহ্য হয়ে যায়!সংশয় জাগে তোমার আবার ভুলসেকি সম্ভব হতে পারে কোনো দিন!তোমার পূজোতে কমলা রঙের ফুলসে না পেলে তো বাড়তেই পারে ঋণ।রাত পোহালেই আবার দাঁড়াবে তুমিঅগভীর সেই একই সমূদ্র পাড়ে!অজস্র ঢেউয়ে উঠবে ফেনিল স্তুতিতোমার মাঝে যে ঈশ্বর ভর করে!ভীড়ের মধ্যে কখন জোড়হাত খুলেউঠে এসেছে ঝাঁ চকচকে করাত!আসতে যেতে ধরাশায়ী এলেবেলেবেড়েছে কুবের ঘনিয়ে অচ্ছে রাত!! ... ...
এখন থেকে আমার সব লেখা হরিদাস পাল বিভাগে প্রকাশ পেতে থাকবে। ভুলে যাবেন না, এখনকার মতোই দয়া করে একটু নজর দেবেন ওদিকে।
বাঙালির খাদ্য সিরিজ ২ #ভাজাভুজি এর আগে টকের তালিকা তৈরি করতে বন্ধুরা সাহায্য করেছেন। ১৭০ রকমের টক পেয়েছি। এখন পর্যন্ত ২৭২ রকম ভাজা পেয়েছি এবার ভাজাভুজি তালিকা। বন্ধুরা পাঠান।
সুভাষ বসুর জন্মদিবসের প্রাক্কালে, দেখলাম, প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার আনন্দ পটবর্ধন দাবী করেছেন, সুভাষ বসুর সঙ্গে আরএসএস এবং হিন্দু মহাসভার আদর্শগত জোট ছিল। হয় সোজাসুজি, নয়তো মাঝে হিটলারকে রেখে। কোনটা, ইংরিজি ভাষার কারণে ঠিক স্পষ্ট নয়। তা, এতদিন আমরা জানতাম, কোনো কেন্দ্রীয় সরকারই সুভাষকে না পারে গিলতে, না পারে ওগরাতে। তারা একদিকে হইচই করে, ঢাকঢোল পিটিয়ে সুভাষের জন্মদিবস পালন করে, অন্যদিকে পুরোনো সোভিয়েতের রাশিয়ার কেজিবি আর্কাইভ খুলে গেলেও সুভাষের অন্তর্ধান নিয়ে অনুসন্ধান করতে সেদিকে উঁকি মেরে দেখারও প্রয়োজন মনে করেনা। আনন্দ পটবর্ধনের ফেসবুক পোস্টে সে ভুল ভেঙে গেল। ... ...
কাজের বাড়ির বাইরে পা দিয়ে শ্যামা এক সম্পূর্ণ অন্য মানুষ হয়ে যায় । বন্দির দশা কাটলে যেমন হয়। ও জানে বৌদিরা ঠিক কী চায়। তাই কাজের বাড়িতে প্রবেশের আগে শ্যামা গায়ে আঁচল দিয়ে নেয়। সেই সঙ্গে খুলে রাখে পায়জোড়। ছমছম শব্দ করে বাড়ির মধ্যে চলাফেরা করা কোনো বৌদিই পছন্দ করে না। এবং পায়জোড়ের সঙ্গে সঙ্গে ও খুলে রাখে ওর যাবতীয় ছমকছল্লোপন, ছয়ল ছবিলি চলন, ভ্রূভঙ্গিমা, নখরাবাজি। বাসন মাজতে মাজতে ছেলের স্কুলের কথা বলে । ... ...
মাটির মূর্তি ভগবান হয়ে যান, আবেগ আর বিশ্বাস জন্য। সেই আবেগ কাজে লাগিয়ে চলে রাজনীতি। গান্ধীজীর জনপ্রিয়তা কমাতে একটা রাজনৈতিক দল চেষ্টা করছে নেতাজীকে আরও সম্মান দিতে। তাই পাড়ায় পাড়ায় ছোট মেজো গুটকাখোর নেতারা হাজির
অবশ্যই মানুষের কারণেই প্রকৃতির এই খামখেয়ালিপনা। মানুষ শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে প্রকৃতিকে বিনষ্ট করে চলেছে নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য। মানুষের চাহিদার শেষ নেই। সে বাড়ি বানাচ্ছে, ফ্ল্যাট বানাচ্ছে এন্তার। গাছ কাটা চলছে পুরোদস্তুরে। তার জায়গায় নতুন গাছ তেমন ভাবে লাগানো হচ্ছে না। মানুষ পুকুর বোজাচ্ছে। গত কুড়ি বছরে শুধু কলকাতাতেই তিরিশ শতাংশ সবুজ আচ্ছাদন গায়েব হয়ে গিয়েছে। পুকুর নালার স্বাভাবিক বহমানতা শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রাকৃতিক নিকাশী ব্যবস্থা সব শেষ। তাই জল জমছে একটু বৃষ্টিতেই। ডাঙার তাপমাত্রা বেশি উষ্ণ হয়ে চলেছে। তাই দু তিন মাস পর পরই আসছে নিম্নচাপ ও সাইক্লোন। প্রকৃতিও প্রতিশোধ নিচ্ছে এত অত্যাচারের।। ... ...
1968 সালে যখন শেষমেষ গাছতলা নিম্ন বুনিয়াদি শিক্ষায়তনে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হলাম তখন বছরের প্রথম তিনমাস অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। স্কুলের আসা যাওয়ার পথের নিত্যসাথী একই পাড়ার সুনীল ভৌমিক ছাড়াও রাহুল, সম্রাট, বুদ্ধদেব আদি একদল নতুন সহপাঠীর ভিড়ের মধ্যেও আলাদা করে লক্ষ্য করেছিলাম চকচকে কালো রঙের এক এথলেটিক চেহারার সহপাঠী শচীন মন্ডলকে। আর ছিল বিহারী লছমন সাহানী। ... ...
জয়তু নেতাজী, অমর তুমি ধন্য হলো এ ভারতভূমি তোমাকে পেয়ে; তোমার জয়! তব অবদান ভোলার নয়।নেতাজী আছেন হৃদয়ে মোর।. হয়ে অনেকটা মনের জোর ।।
একটা এন টেন (ঘুমের ঔষধ) দাও খুব স্বাভাবিক ভাবে বললো ছেলেটি, কত বয়স হবে ঐ সতেরো বছর! বললাম নেই, তাহলে কি আছে? কিচ্ছু নেই, একটা দাও, নাহলে আবার মদ খেতে হবে।
নিজে থেকে অন্যকে খোঁচাতে ভালো লাগে। কিন্তু উল্টো যদি অন্য কেউ খোঁচা মারে তাহলে মাথা আর মাথা থাকে না, মাথা একটা পরমাণু বোমা হয়ে যায়। বলি তোর কি আমি বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছি?না তোর কাকাতো, মামাতো, মাসিতো বোনকে নিয়ে ভেগেছি? যদি ভেগেছিই তাহলে শালা তোর কপালে ঢের দুঃখ আছে।