বাঙালির খাদ্য সিরিজ ৩প্রথমে টক, তারপর ভাজা। কিন্তু মাছ? বাঙালি মাছ ছাড়া বাঁচবে? ওইসব পাস্তা পিজ্জা হটডগ দুদিনের ব্যাপার। শেষ পর্যন্ত বাংলার জল হাওয়া পানি মাটি মাছ ভাতের ফেরাবেই।এবার মাছ ভাজা ও মাছের বড়া নিয়ে লিখুন বন্ধুরা।Emanul Haque ইমানুল হক সীমা দত্ত১.তোপসে ও ২.লোটে মাছ বেসন দিয়ে ভাজা ৩. লেটা মাছের পুর সর্ষে দিয়েউজ্জ্বল গোপ৪.ভেন্ডি দিয়ে চুনা মাছ ( ছোট মাছ ) ভাজা।৫. তেঁতুল দিয়ে চিংড়ি ভাজা৬. বেসন দিয়ে মাছের ডিম ভাজা৭. বেসন দিয়ে মাছের বড়া ভাজা ৮.. কড়া পাকে চারাপোনা ভাজা.৯. আলু পেঁয়াজ কুচি দিয়ে চুনোমাছ ভাজাসুব্রত গুহ, কাঁথি১০. সার্ডিন মাছ ভাজা। ১১.পমফ্রেট মাছ ভাজা।১২. ইলিশ মাছ ভাজা১৩.. পুঁটি মাছভাজা১৪. রুই মাছভাজা১৫. তোপসে মাছভাজা১৬. ... ...
পাঁচু পাঁচিকে প্রেম নিবেদন করিয়া পাত্তা না পাইয়া গরগর করিতেছে। পাঁচি অতঃপর পঞ্চাননের কাছে ঘেঁষিয়া মিউমিউ করিয়া পাত্তা না পাইয়া জন্মশত্রু হইয়া উঠিল। সংসারে ইত্যাকার অ্যাসিডিক বাতাস বহিবার মাঝে বুস্টার ডোজ আসিয়া পড়ে। পাঁচু, পাঁচি ও পঞ্চানন একই লাইনে দাঁড়াইয়া শুনিল উত্তপ্ত ডিসকাশন, বুস্টার একটি ধাপ্পা। কর্পোরেট ও সরকারের সিনিস্টার নেক্সাস। ইতোমধ্যে সম্মুখের দিকে এক সুযোগসন্ধানীকে সন্তর্পণে লাইনে ঢুকিতে প্রয়াস পাইতে দেখিয়া পাঁচু, পাঁচি, পঞ্চানন ব্যস্ত হইয়া উঠে। ‘বার করে দাও শুয়োরের বাচ্চাকে’ ও অন্যান্য সিংহগর্জনের মাধ্যমে দুর্নীতিটি দমন করা হইল। বুস্টার আজ ভালোয় ভালোয় পাওয়া যাইলে হয়।পুঃ এমিল সিওরান বলিয়াছেন, ‘To suffer is the great modality of taking the ... ...
তিলোত্তমার দোতলায় ছ নম্বর ঘরটা একেবারে একফালি। খুবই ছোট। লাগোয়া বাথরুমও নেই। এ ঘরটায় সপ্তাহে পাঁচদিন থাকে অমিতাভ। অমিতাভ ভট্টাচার্য। একটা বেসরকারী আর্থিক লগ্নি সংস্থায় কাজ করে । কোম্পানির হাল খুব খারাপ। নানারকম সরকারি নিয়মকানুন আসছে মাঝেমাঝেই। সে সব মেনে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া মুশ্কিল । কোম্পানি গুটিয়ে যেতে পারে যে কোন দিন। অমিতাভ ছাড়া তার একজন সহকর্মী অলোক সিনহা তিলোত্তমায় থাকে সপ্তাহে পাঁচদিন, সোম থেকে শুক্র। শুক্রবার অফিস করে কলকাতায় ফেরে দুদিনের জন্য। দুজনের মনেই চাপা শঙ্কা এবং উদ্বেগ চাকরি হারাবার। ... ...
(১) শেষ বারের মত নিজের বাকাঁন বিষদাঁতটা পনেরো বছরের শরীরে জোর করে ঠেলার পরও যখন সাড় পেল না তখন চেৎরে যাওয়া, সুখ না হতে পারা জন্মগর্ত টাকে সালি বাঁচোদ বলে গালি দিয়ে একগাদা থুতু ফেলে শরীরটাকে ভাসালো মহানন্দায়। নিজের আক্রোশেই শালী রেন্ডি বলে পাশের দেশটাকে একগাদা গালি দিয়ে বাকি বোতলটায় মন লাগালো মুজিব। ওপারের সীমান্ত গ্রামের ডাকসাইটে পাচারকারী। পুরো নাম মুজিব দেওয়ান মুন্নি। ... ...
পরদিন সকাল নটা নাগাদ নিখিল উদভ্রান্তভাবে সারা লজে ছোটাছুটি করতে লাগল। সে নাকি ঘুমোচ্ছিল। ঘুম থেকে উঠে দেখে অনিন্দিতা বিছানায় নেই। বিছানা থেকে উঠে দেখল বাথরুমে কেউ নেই। ঘরের দরজা খোলা। নিখিল দেখল টেবিলের ওপর রাখা সুটকেসের ডালায় ফাঁক। নিখিল পোড় খাওয়া লোক। তার বুক ছ্যাঁত করে উঠল। দুলাল বলল, ‘ কিরে অ্যাত হাঁফাচ্ছিস কেন ? ‘— ‘ আরে কি বলব, পাখি উড়ে গেছে। সুটকেস থেকে আমার দশ হাজার টাকা ঝেড়ে পালিয়েছে। শি ইজ এ হোর..... অ্যাবসোলিউট হোর। নিজের ভাসুরের সঙ্গে ফিজিক্যাল রিলেশান ছিল .... কি জিনিস বুঝতে পারছ ! ‘ দুলালকে জিনিসটা পুরোপুরি বোঝানো যেন তার আশু কর্ত্তব্য ... ...
কাকা, পুজোর চাঁদা টা .....অফিস ফেরত পাড়ায় ভজনদার দোকানে চা বলে মাস্ক টা খুলতে যাব এমন সম্মোধন এ চমকে উঠি ..... জানি সোয়েটার মাস্ক মাফলার টুপিতে চেনা দায় তবুও কাকা ?? এ বলেকি ?? ওমা, ঘুরে তাকিয়ে দেখি বছর আট থেকে বারোর গোটা দশেকের গ্যাং । - কাকা, চাঁদা ২১টাকা- কিসের ? - ওই যে, সরস্বতী পুজোর চাঁদাপাশ থেকে নেতা গোছের এক হাফপ্যান্ট বলে ওঠে- কাকা আমাদের কিন্তু কুপন না, ছাপা বিল হাতে নাম লেখা... চমকে উঠি আর মন চলে যায় টাইম মেশিনে চেপে প্রায় ১৫বছর আগে ... ...
ঘন কুয়াশায় ঢাকা সকালে কারই বা মন ভালো থাকে বল। চারপাশ প্রয়ান্ধকার। অদেখার আড়ালে ভয়ঙ্কর বিপদ। টুকটুকের মা টিটি আর বাবা ডোডো, কিছুতেই টুকটুককে বেরোতে দিচ্ছে না। কিন্তু টুকটুক জেদ ধরে বসে আছে, ও বেরোবেই। এই ঝুপসি কুল গাছে, পাতার আড়াল দিয়ে তৈরী করা ওদের একটা ছোট্ট বাসা। আকাশের মুখ ভার দেখে, টুকটুকের ডোডো বাবা কয়েকদিনের জন্য খাবারও জোগাড় করে রেখেছিল। শুঁয়োপোকার ছানা, চিকমিকে পোকা, বিন্নীর মায়ের ফেলে দেওয়া চাউমিন ..এইসব ... ...
সম্প্রতি বিখ্যাত ফুটবলার ও কোচ সুভাষ ভৌমিক প্রয়াত হলেন। তার ফুটবল ও কোচিং জীবনের অনেক কথাই আলোচনা হয়েছে। কিন্তু উনি যে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন কাজে বাংলা ভাষার ব্যাপক প্রসারের সমর্থক ছিলেন সেই ব্যাপারটি জানতাম না। জানালাম এই গুরুতে একটি লেখা পড়ে। লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই অজানা দিকটিতে আলোকপাত করার জন্য। আরো ভালো লাগলো এর কারণটি জেনে। সুভাষ ভৌমিক মহাশয় কে যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে বাংলা তে সমস্ত দোকানের সাইন বোর্ড লিখতে হবে এই আন্দোলনে অনেক বুদ্ধিজীবিদের সাথে আপনিও এসেছেন কেন তখন উনি বলেছিলেন বাংলা ভাষা না বাঁচলে বাঙালির ফুটবলও বাচঁবে না। কথাটা কত খাঁটি এখন তো রোজই দেখছি। খোদ পশ্চিম বাংলার ... ...
বেলা এগারোটা নাগাদ বরানগরে বাড়িতে পৌঁছল দুলাল। বড় মেয়ে ঈশিতা বাড়িতে আছে। প্রিয়াঙ্কা কলেজে গেছে। তার শ্যালক দিব্যেন্দুকে দেখা গেল খাটের ওপর বসে চা খাচ্ছে। শর্মিষ্ঠা বসে আছে বালিশে হেলান দিয়ে। মুখে তেমন রোগের চিহ্ন নেই আপাতত:। দুলালকে হঠাৎ দেখে একটু অবাক হয়ে গেছে। ‘একি তুমি ! ....’ শর্মিষ্ঠার স্বরে বিস্ময় ও আনন্দ একসঙ্গে মাখামাখি। — ‘ এ..ই চলে এলাম.... ফুচার ফোন পেলাম ... এখন কেমন ? ... ...
সাধের স্বাধীনতা হয়ে অঙ্কুরিত বৃক্ষ যদিবা হত দুষ্ট পোকায় তা বিনষ্ট!
দুলালবাবু এই তিলোত্তমা লজে ম্যানেজারি করছেন প্রায় দশ বছর। মাস গেলে হাতে পান পনের হাজার টাকা। দোতলা আর তিনতলা মিলিয়ে তেরোটা ঘর। একতলায় ভাতের হোটেল। সবকিছুই দেখভাল করতে হয় দুলালবাবুকে।
মারামারি বন্ধ হোক, হানাহানি বন্ধ হোক। সাম্প্রদায়িকতা বন্ধ হোক!
সব কিছুই তেই রাজনীতি আছে,পদ্মশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে দেওয়ার কথা তার নব্বই বছর বয়েসে মনে পড়ল কেন্দ্রীয় সরকারের আপত্তির কথা। পুরস্কার কাকে কখন কোন সুপারিশের ভিত্তিতে দেওয়া হয় তার কোন প্রিফিক্সড গাইডলাইন ভারত সরকারের আছে কিনা জানিনা। এটা সুপারিশ ভিত্তিক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সময় বিজেপির সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় ছিলেন এবং বেশ জোরালো ভাবেই। তাহলে তিনি তখন সুপারিশ করেন নি কেন? ... ...
বহুমত ও বহুস্বরঃ কঃ বর্ষাকালে সজনেডাঁটা খাওয়া ঠিক নয়, আমার বিশ্বাস। খঃ আমার গভীর বিশ্বাস যে খাওয়া যেতেই পারে ও খাওয়া উচিত আমি বলব। গঃ গভীর বিশ্বাস হলেই কি পাওয়া যায় বর্ষাকালে? ঘঃ পাওয়া যায় তো আমাদের ওদিকে। গঃ ওগুলো সজনে ডাঁটা নয়। অন্য কিছু। কঃ আমি বিশ্বাস করি, পুঁই ডাঁটা ছাড়া অন্য কোনও ডাঁটা বর্ষাকালে... ... ...
ক্লাসরুম অভিজ্ঞতা অনেক সামাজিক সমস্যাকে তুলে ধরে। এমনি এক সামাজিক ব্যাধির অভিজ্ঞতা আমার ক্লাসরুমের মধ্যেই পাওয়া। ফি বছরের মত সেবারেও বিদ্যাসাগরের জন্মদিন স্কুলে পালন করা হচ্ছিল। বিদ্যাসাগরের দারিদ্রের সঙ্গে সংগ্রাম এবং তাঁর অপরিসীম মাতৃভক্তি ছিল নাটকের প্লট। স্কুলের যে ছেলেটি ভগবতী দেবীর চরিত্রে নির্বাচিত হল সে হল স্কুলের সবার কাছে “লেডিস” গোপাল পন্ডা (নাম পরিবর্তিত)। তার এই নামকরণের কারণ শুধুমাত্র তার শারীরিক গঠন বা বাচনভঙ্গি নয়, পাশের গার্লস স্কুলের কোন মেয়ের পরিবর্তে তার পাশে বসা ছেলেটির সঙ্গে অতি সখ্যতাও এর কারণ। ধীরে ধীরে শিক্ষকমহলেও তার পরিচয় হল "লেডিস" গোপাল। এহেন পরিচয়ে ছেলেটির কুণ্ঠাবোধ যে অপরিমেয়, তা তো অনুমেয়। বয়ঃসন্ধির এই ... ...
মৃত ব্যক্তিটার বালুঘাট করা হল— / শ্মশানের এক প্রান্তে। / গুটিকয়েক লোক সরকারি কর্মে ব্যস্ত—