ডেক্সটার অ্যান্ড স্মিথের গেটের উল্টোদিকে একটা মাঝারি আকারের ধাবা। একটা পাঞ্জাবী বুড়ো আর একটা বুড়ি সেখানে বসে আছে দুপুর বারোটা থেকে। ধাবার ভিতরে অবশ্য বসে নেই তারা। ধাবা মালিকের অনুমতি নিয়ে বসে আছে ধাবার বাইরে পাতা একটা বেঞ্চে। তাদের নাকি গাঁওয়ের কোন লোক আসবে। এখানে তাদের অপেক্ষা করতে বলেছে। বুড়ো বুড়ি ঝোলা থেকে বের করে কুটকুট করে মাঝে মাঝে কি যেন খাচ্ছে, আবার ঝোলায় ঢুকিয়ে রাখছে। ... ...
#রম্যরচনাঃ " আমি শয়তান কৃষ্ণ " প্রদীপ দে ~হরে কৃষ্ণ তুমিও কৃষ্ণ আমিও কৃষ্ণ লা জবাব! যাকে মেরেছি সেও কৃষ্ণ আমি মেরেছি আমিও তো এক কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ …লাও ঠেলা সামলাও তোমারই বানী! গঙ্গা জলে গঙ্গা পূজো! খুব বড় পলেটিশায়ান না তুমি? কিছু উত্তর আছে ? পারলে দিও… ! এক ভক্ত - সেও কৃষ্ণ, আমাকে অনেক বোঝালো, ---- তুমি ভুল বুঝে ভুল ব্যাখ্যা করছো। আমি হেসে ফেললাম ... ...
কলতানের ফ্ল্যাটে কিচির মিচির পাখির ডাক ডেকে উঠল সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ। ঠিকানাটা কলতানই জানিয়ে দিয়েছিল। দরজা খুলে কলতান বেশ খানিকটা চমকে গেল। দেখল একজনের বদলে দুজন দাঁড়িয়ে আছে। ইরাবান আর শ্রুতি।— ‘ আরে ... এস এস একেবারে দুই ভাইবোন একসঙ্গে। তা ভালই করেছ। আমার খাটুনি বাঁচিয়ে দিলে।’ কলতান বলে।ইরাবান আর শ্রুতি সংকোচজড়িত ভঙ্গীতে ঘরে ঢুকে সোফায় বসল।— ‘ হ্যাঁ বল .... ‘ , কলতান ওদের মুখোমুখি বসে।ইরাবান একটু চুপ করে থাকার পর বলল, ‘ আমরা দুজনেই খুব ভয়ের মধ্যে আছি। ... ...
সন্ধেবেলা নীলাম্বরবাবু ফোন করে জানালেন যে উচ্চমাধ্যমিকে তার ছেলের ‘পাস আউট ইয়ার’ দু হাজার নয় এবং মেয়ের দু হাজার কুড়ি । কলতান জানাল, ‘ ঠিক আছে ধন্যবাদ। আমি দুদিন বাদে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করব। এই দুদিনের মধ্যে আপনার কেসটা সলভড হয়ে যাবে বলে আশা করি। তবে আপনি কিন্তু বাড়ির মধ্যেও সাবধানে থাকবেন। সাবধানের মার নেই।ঠি ক আছে রাখছি এখন ..... গুড নাইট ।’কুলচা নতুন মামলার তীব্র রহস্যের গন্ধ পেয়ে আজ আর আর মামার বাড়ি থেকে নড়তে চাইল না। ... ...
পর্ব ৪ বিয়ের পর এই প্রথম কোথাও যাচ্ছে জয়িতা অর্ণবের সাথে। অনেকটা মধুচন্দ্রিমা যেন। বিয়ের পর কোথাও তাদের যাওয়া হয়নি তাদের। অর্ণবের নতুন চাকরি। সংসার করার চাপে অর্ণব একটা কলেজে পার্ট টাইম লেকচারারের কাজ নিয়েছে। জয়িতাও কয়েকটা জায়গায় অ্যাপ্লাই করেছে এখনও উত্তর আসেনি। জয়িতা দুবেলা বেশ কিছু ছাত্র পড়ায়। দুজনের সংসারে টানাটানি হলেও চলে যাচ্ছে। যেটুকু অভাব আছে সেটা ভালবাসা দিয়ে পূরণ করে তারা। ... ...
একে ভরা শ্রাবণ, তার ওপর নিম্নচাপ অক্ষরেখা দানা বেঁধেছে গভীরভাবে। ভর দুপুরেও আকাশ অন্ধকার। আকাশ থেকে জল ঝরেই যাচ্ছে কাল রাত থেকে। বউবাজার কলেজ স্ট্রীটে জল থইথই। গোটা রাস্তায় বাসে ট্রামে এ গাড়ি সে গাড়ি ঠেলায় রিক্শায় লেবড়ি চেবড়ি একেবারে। ট্রাফিক পুলিশ নাকানি চোবানি খাচ্ছে মহাত্মা গান্ধী রোডের মোড়ে। রাস্তার হাঁটুজল ঠেলে ঠেলে আপাদমস্তক বর্ষাতিতে ঢাকা একটা লোক বঙ্কিম চ্যাটার্জী স্ট্রীটের মুখে একটা পুরনো বাড়ির দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়াল। ... ...
আমি মানুষটা বড় বাজে / আসবো না জানি কোন কাজে। / তবে বলছি " দাদা, মাইরি / ভীষন ভীষণ ভেরী sorry / একদম ভুলে গেছি আজ যে / একুশে ফেব্রুয়ারী।"
ক্রুশবিদ্ধ পাখি / প্রতিদিন আমি সন্ন্যাসী সেঁজে ট্রেনে যাই। / দাড়াই স্টেশনে, স্টপিজে। / মানুষ অন্ধ-বিশ্বাসি হয়ে আমার সামনে নিচু হয়। / আমি জানি এই ঈশ্বর ধারণা আদিকাল থেকে / কি'ভাবে বয়ে এসেছে।
তুমি চলে যাবার / ঠিক একশো বছর পর / একদিন / শবালয় থেকে উঠে আসবে / যেসব অতৃপ্ত আত্মা, কিংবা
ওরা উড়ছে দেখো খুব! / আমার পেরিস্কোপে চোখ, / দিয়ে অতল জলে ডুব / তবু একটা কিছু হোক।
বাংলায় কথা বলি... তাই , / আমরা খুব সহজেই অন্যভাষায় কথা বলতে পারি / আমাদের লেখায় ছড়িয়ে পড়ে ভারতের রঙ
' বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্ৰ মেদিনী ' / পাশাখেলার আয়োজনে ধূর্ত শকুনি!
সমকামিতা একটা সময় কার্যত নিষিদ্ধ ছিল। জেল-জরিমানা হত। ঠিক সত্তর বছর আগে, ১৯৫২ সালে বিশ্ববিশ্রুত বিজ্ঞানী অ্যালান টুরিং বিলেতের আদালতে সমকামিতার অপরাধে 'অপরাধী' প্রমাণিত হন। তাঁকে কারাবাস এবং হরমোন-'চিকিৎসা'র মধ্যে, যেটা খুশি বেছে নিতে বলা হয়। টুরিং হরমোন চিকিৎসা বেছে নেন। এবং তারপর এই অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে বছর দুয়েকের মধ্যে টুক করে আত্মহত্যা সেরে নেন।এর পরে অবস্থা বদলায়, জেল-জরিমানা না হলেও, সমকামিতা অসুস্থতা হিসেবে চিহ্নিত থাকে বহুদিন। মানসিক অসুস্থতা বা ডিজঅর্ডারের তালিকায় দীর্ঘদিন ঢুকেছিল সমকামিতা। ... ...
অনেকেই গুরুর বইয়ের দত্তক নিয়েছেন, বা ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তাঁদের ধন্যবাদ। তার চেয়েও বেশি এসেছে প্রশ্ন। গুরুর বইয়ের দত্তক,কী কেন ? যেহেতু অনেকগুলো প্রশ্ন এসেছে, ছোটো করে লিখেই রাখি।আমরা বইয়ের দাম কম, খুবই কম রাখি। নীতিগতভাবেই। ফলে বইয়ের বিক্রি খুবই ভালো হলেও, আমাদের মেরেকেটে টাকাটা উঠে আসে। কখনও সামান্য কিছু লসও হয়, কিন্তু সেটা অ্যাবসর্ব করে নেওয়া যায়। এগুলোর কোনোটাই কোনো সমস্যা না, কারণ আমরা প্রফিটের জন্য এই খেলায় নামিনি। সমস্যা এই, যে, এইভাবে চললে আমাদের টাইটেলের সংখ্যা প্রত্যাশিতভাবে বাড়ছেনা। ... ...
আমি জানি না, / বিদায় দিতেও ইচ্ছে হয় না / আবার ধরে রাখার সাহসও হয় না
এই যে ভগবান, তুমি যা বলবে আমি ঠিক তার উল্টোটাই করবো।আমি কানে একেবারেই কম শুনি, একটু চিল্লিয়ে বললে ভাল হয়! -- কি? পাপ দেবে ? -- তা দাও দেওয়ার জন্যই তো তুমি! সকাল বিকাল কতো কি-ই তো চাইছি - শুনতে পাও না? তুমিও কি কালা? -- চাইলেই পাবে না ! -- ঢং ! তাহলে কি কাজে আসো তুমি ?-- বিশ্বের সৃষ্টি স্থিতি আর বিনাশ!-- বড় বড় ডায়ালগ আর জ্ঞানের ভাষনে তো বাজার গরম করে দিচ্ছো। ... ...
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় বিষয়ক একটি পোস্টের কমেন্টে দেখলাম একজনের প্রশ্ন, ‘বুড়িটা কে?’ উত্তর-ও প্রচুর। ইউটিউবে একটি লম্বা মনোলগের এক জায়গায় কবীর সুমন বলেছেন, গান রেকর্ডিং-এর আগে সন্ধ্যা বলেছিলেন ‘সুমন তুমি আমার ডিপার্চার ঘটিয়ে দাও’। ‘ডিপার্চার’ কথাটার বহুমাত্রিক সম্ভাবনার কথা ভাবলে বলা যায়, সুমন হয়তো চেয়েছিলেন বা ট্রাই করেছিলেন। আমাদের প্রজন্মটি এখন শেষ যৌবনে। হাফপ্যান্ট পরে স্কুলে যাই এইরকম একটা সময়ে দেখলাম, উত্তমকুমার দাঁড়িয়ে আছেন। সুচিত্রা সেন বসে আছেন। ... ...
I am like a fallen angel, with my wings broken, / Suffering for centuries from incessant pain, / My limbs numb, my chastity begone, / I'm left behind, all sad and alone
(বাইশ গজের বাইরে বইমেলা ২০২১ সংখ্যায় প্রকাশিত। লেখকঃ বিশুপাল) হঠাৎ ভীষণ শীত করছে। সকালে যদিও এমন কোনও পূর্বাভাস ছিল না। আর বছরের প্রথম বসন্তদিনের মতই। বাতাসে হিমঋতুর রেখে যাওয়া জমাট শৈত্যের অধঃক্ষেপটুকু বাদ দিলে বাকিটা দিব্যি শরৎ বলে চালিয়ে দেওয়া যায়। ঘুম ভেঙে বাইরে বেরোতে তবু কিছুটা দেরি হয়ে গিয়েছিল।স্বাভাবিক, বয়স হয়েছে--- আজকাল শরীর আগের মত সাড়া দেয় না। ... ...
Every touch of you, every single touch / Makes me so insane and crazy so much, / Every piece of my cloth itself sheds down / Like dry leaves falling from autumn trees brown.