অসাধারণ।
আমি, চিত্রাঙ্গদা নই। / কুরূপা নই, সুরূপাও নই, / আমি অপরূপা, বিশ্ববীণার গান; / এ গান কোন দ্বার খোলার চাবিকাঠি নয়।
নারী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সময়ের কয়েকটি লেখা। কি লাভ হয়েছে, কিছুই না। / চিরশ্রী দেবনাথ / পুনর্বার / যত সব দুঃখদুয়ারী মেয়েরা / আমি তাদের মধ্যে নেই / কত হাজার সংগ্রামে যাদের কেটেছে পা
#বইমেলাবইমেলা এসে গেল। নাহ এবার বই পড়তেই হবে। ঘুম থেকে উঠে ঠিক করে নিলাম রোজ বই পড়ব। বইমেলা যাব । বেশ কিছু বই কিনে রাখব আর সারাবছর বই পড়ব। না না আর ফেসবুক হোয়াটসআপে সময় নষ্ট নয়। সব লগ আউট করে দেব। জীবনটা আর বেহিসেবি কাটাবনা। আজ থেকে আমি প্রতিজ্ঞা করলাম………ইত্যাদি ইত্যাদি। তারপর সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এসে উপস্থিত হয়। বইমেলা ঢোকার সাথে সাথে নিজেকে বেশ একটা আঁতেল আঁতেল মনে হয়। ... ...
প্রলয় নাচন আসতে এখনো বাকি / অস্ত্রপচারে পুণ্য স্রোতেই থাকি!
আঁধারবেলা শেষ হয়ে এল, / এখন নিবিড় অমাবসনা রাত্রি / তারার মালা পরে প্রতীক্ষায়, / শুভলগ্ন সমাগতপ্রায়।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন !
চৈতি বাতাসে / মাঠে জঙ্গলে হাত পা ছড়ানো সোনাদীঘি বেনো জলে / বক মাছরাঙা বসন্তবৌরি বসে, / চৈত্র বাতাসে ঝুরো পাতা ওড়ে
আমরা স্কুলে থাকতে পড়েছিলাম, ‘সকলেই আড়চোখে সকলকে দেখে’। লেখা হয়েছিল তারও পঞ্চাশ বছর আগে। আজ দুহাজার বাইশ খ্রীষ্টাব্দে মানুষ কখন কি দেখে ও কেন দেখে তার হিসেব নিজেই রাখতে পারে না। মানুষের ইন্দ্রিয় ক্রমে এটাও ঠিক করতে পারবে না কোনটা ফেসবুক বা ইউটিউবে দেখেছিল ও কোনটা জলজ্যান্ত রাস্তায়। পাঁচ সাত বছর আগেও বিভিন্নজন প্রচন্ড ফোর্সের সাথে বলতেন, ভার্চুয়্যাল ভার্চুয়্যালই। ওটা রিয়েলিটি নয়। তাঁদের তখনও নেট ব্যাঙ্কিং ছিল। এবং হোয়াটস্যাপ ছাড়া শ্বাসকষ্ট হত। ... ...
আমার লেখালিখির মধ্যে / তোমার সঙ্গে সেক্স করার চাহিদাটা আছেই / ওটা কথায় কথায় ফিসফিসিয়ে না জানান দিয়ে / লেখা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উপায় নেই ৷
বসন্তে পাখিদের কলরবে, / ভেঙ্গে যায় নির্জনতা। / শিমুলের কড়ি ভরিয়া উঠে, / সিমু' র কোঁড়চা।
জামিল রেললাইনের পাশ দিয়ে প্রাণপণে ছুটছিল। তিনজন তাড়া করেছে তাকে। পাশের রেলিং-এর তলা দিয়ে একটা কাঠবিড়ালির মতো শরীর গলিয়ে ওপাশে চলে গিয়ে অ্যাঁকাব্যাঁকা গলি গুঁজির জালে মুহুর্তের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেল। ওরা রেলিং পেরোনোর ঝুঁকি নিল না। অন্য এলাকায় ঢোকায় ঝুঁকি আছে। একটা ছেলে ছুটন্ত জামিলকে লক্ষ্য করে ওয়ান শর্টার থেকে একটা গুলি ছুঁড়ল। গুলিটা গিয়ে গেঁথে গেল একটা ঝোপড়ার দেয়ালে। ... ...
শুন মাস্টার, কুড়ানী শোনালো- ' এককালে আমার শরীল টাও সলিড গতর ছিল ' কুড়ানী রোজ ঘরের বাইরের বারান্দাতে সংসার পাতে। সারাদিন কি করে খোঁজ রাখি না। একটা আধ ন্যাংটো সর্দিঝরা ছেলে কে নিয়ে দিনভর কোন দুয়ারে যায় খবর রাখি না। সন্ধ্যে নামার আগেই বারান্দাতে এসে বসে। সঙ্গী আধ ন্যাংটো ছেলেটা। ... ...
প্রেম_যৌনতা_সৃষ্টি_নিয়তিরই হাতে প্রেমে যৌনতা সৃষ্টির … মানস প্রেম নান্দনিক … চরমতম এই দুইয়ের সমন্বয়েই …
আঠাশের যুবা বেশি জনপ্রিয় হলে- / ঘর থেকে স্থান হয় লাশকাটা ঘরে! / যে সিঁড়িতে উঠে এলে,তাকে ভূলে গেলে- / দেওচা,পাচামি রবে দুয়ারে খবরে।
ঝিকিমিকি ঝিকিমিকি ................................ লাল নীল সবুজ কমলা / সব রঙ মিশে হয় বেরঙা / মানে — সাদা। / আবার রঙ যখন অগোচর / তখন ... কালো।
এখন হাওয়ায় গোলা-বারুদের গন্ধ, / অণু অণু মৃত্যু, পলে পলে, রন্ধ্রে রন্ধ্রে / মিশে যাচ্ছে-ঘাড়ের উপর বরফ শ্বাস, / হৃদয় ভুলে যাচ্ছে উষ্ণতার ভাষা।
তুমি আর সে / কত বদলে গেছ তুমি আর সে। / এলোমেলো হয়ে গেছে রোজকার দিনলিপি, / অগোছালো জীবন যেন আজকাল,
সুজিত রয় মরে গেছে এত তাড়া-তাড়ী ঘুম ভাঙ্গে না কখনো। এই নিয়ে প্রায় মা বকুনি দেয়।তাতে কি?রোজ রোজ এমন গালাগাল শুনতে শুনতে প্রত্যেক মানুষের আর জবাব দেয়ার কিছু থাকেনা। এটা অনেকটা, যে বলার সে তা বলবেই বরঞ্চ না বললেই তার অমঙ্গল হবে। আর যে শোনার সে তা হজম করবেই এটা নিয়মের মতো। বাবা মার এমন সস্তা বকুনি হজম করার ক্ষমতা নীলার আছে।আর বেকার হলে কথাই নেই। বেকার ছেলেমেয়েরা কখনো মাছের মুড়ো পায়না। ... ...