জয় বাংলা
আপনারা অনেকেই মধুমন্তী সেনগুপ্ত লিখিত "বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স" বইটির ব্যাপারে বারে বারে অনুরোধ করেছিলেন, বইটি এখন আমাদের সংগ্রহে এসেছে।
আমি যে ঠিকানায় থাকি তার একটা নাম আছে ধরে নি A/7 সুন্দর নগর, সেই ঠিকানার দোতলায় একটা ঘর। সাইজে 14 ফুট বাই 10. এই ঘরের ভেতরে অজস্র মুহুর্ত তৈরি হয়! একাকী অথবা যৌথ মুহুর্ত।
( দশম ও শেষ পর্ব ) দুশো মিটার শুরু হবার আগে স্পন্দন অনেকক্ষণ ধরে কথা বলল শুভর সঙ্গে। নতুন কোন পরামর্শ দিল না অবশ্য। টাইমিংটা যাতে ঠিক থাকে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে বলল। একশ মিটারের পর থেকে স্পীড তোলার কথা বলল।
পুলুর থেকে ফেলু হয়ে মিত্র করে ফাঁস- কেল্লা ফতে করে ছাড়ায় মছলি বাবার আঁশ!
পেনের টানে নন্টে ফন্টে কেল্টুরামের সৃষ্টি, বেড়াল বাহাদুরের নেইকো মাছের দিকে দৃষ্টি। বাঁটুলের আজ মন খারাপ শান্ত বাচ্চু বিচ্ছু, মন খারাপ কেল্টুদারও খাচ্ছে নাকো কিছু ।
সিএএ আইন প্রবর্তনের পর শাহীনবাগ এবং তৎপরবর্তী যে 'দাঙ্গা' হয়েছিল মাত্র দুবছর আগে, ২০২০ সালে, পরবর্তী দুবছরের করোনা পরিস্থিতিতে সেকথা অনেকটাই চাপা পড়ে গেছে। অথচ ভয়াবহতার নিরিখে এই ঘটিয়ে তোলা 'দাঙ্গা' অন্যান্য গণহত্যাগুলির চেয়ে কম কিছু নয়। 'দাঙ্গা' চলাকালীন, ২৭শে ফেব্রুয়ারি, কিছু সমাজকর্মী দিল্লির কিছু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। তাঁরা দেখেন, যে, পদ্ধতি এবং প্রকরণে নির্দিষ্ট সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করে তোলা হয়েছিল দিল্লিতে, তা ২০০২ এর গুজরাত বা ১৯৮৪ র দিল্লির 'দাঙ্গা'র থেকে পৃথক কিছু নয়। হত্যার সংখ্যা নিঃসন্দেহে অনেক কম, কিন্তু পদ্ধতি এবং নৃশংসতা একেবারে এক। ... ...
অভ্রর শরীরের ভিসেরা ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসতে সময় লাগবে। পাকস্থলিতে কোন বিষ ছিল কিনা সেটাও দেখা হবে। পেটে বিষ পাওয়া গেলে আত্মহত্যায় মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রবল হবে। নইলে আবার ঘোটালা .... ঘটনাটা বড় আকার নিল। কোন বিশেষ কারণে তদন্তটা স্থানীয় থানা থেকে লালবাজারে সরে গেল। চিত্রতারকার স্বামী বলে কথা।
কবি আজাদের মন খারাপ। দুপুরে ফোনের পর্দায় খবরটা দেখার পর চোখের কোণ থেকে জল ছিঁটকে বেরিয়ে এসেসংবেদনশীল যন্ত্র ভিজিয়ে দিয়ে যায়। মূহুর্তের মধ্যে বুকের বাম পাশটায় ভূকম্পে নেপালে পরিণত হয়৷ আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ ছাড়খার করে দেয় সমস্ত সম্ভাবনা। ঢাকাই সিনেমার জনৈক নায়িকা মা হতে চলেছেন। অথচ কবি আজাদ এসম্পর্কে অবগত নয়। দ্বিপ্রহরের আহার সেরেসবেমাত্র মোবাইলটা হাতে নিয়েছেন, এক ভক্তের বার্তা- 'আজাদ ভাই, নায়িকা তো মা হতে যাচ্ছে। আপনি কি হতে যাচ্ছেন?' ... ...
স্নানযাত্রা'র শেষে, সাগর পোড়ে জ্বরেলক্ষ মানুষেরে পূণ্যশ্রী করে! খেলছে রঙের তাসপ্রধান হবার আশমকর উল্টে মড়ক হলো সংক্রান্তির পরে!!
করোনা মহামারিকালে যখন জীবনযাপন ধীরেধীরে স্বাভাবিকের দিকে এগোচ্ছিল, স্কুল-কলেজ-অফিস-সিনেমা হল খুলতে আরম্ভ করেছিল, বাচ্চারা শুরু করেছিল যাওয়া মাঠে-ঘাটে খেলতে; ঠিক সেই সময়ই আবার করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশংকায় ঝুপ করে সব আবার বন্ধ হতে শুরু করেছে। আবার প্রায় ঘরবন্দি অবস্থা সকলের। আবার নানারকম বিধি-নিষেধের আরোপ : সপ্তাহে তিনদিন বাজার খুলবে, সিনেমাহল-জিম-পার্লার থাকবে বন্ধ, স্কুল-কলেজ আবার সব বন্ধ, লোকাল ট্রেন চলবে কমসংখ্যক এবং রাত ১০টা পর্যন্ত - এইরকম সব মিনি লকডাউন স্বরূপ নানারকম নিয়ম-বিধি-নিষেধ। ... ...
এর মধ্যে মোহিনীমোহন ও নিরুপমার মেয়ে জামাই বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ একদিন এসে হাজির। নিরুপমা ভাবলেন নিশ্চয়ই কোন উদ্দেশ্য আছে। অন্তত বছর তিনেক বাপ মায়ের কোন খোঁজখবর নেয় না। ছেলেমেয়েরা কেউ আসে নি অবশ্য। যেমন মেয়ে শর্মিষ্ঠা তেমন জামাই বাবাজি জয়ন্ত। দুটোই সমান মতলববাজ। যেমন দ্যাবা তেমনি দেবী। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে নিরুপমা অনুমান করল জোড়ে নিশ্চয়ই ছক কষছে মোহিনীবাবু মারা যাবার আগেই বাড়িটা নিজেদের নামে লিখিয়ে নেবার জন্য। ... ...
আমার এটা নিয়ে লেখার ইচ্ছে অনেক দিনের, কারন সাদা বাংলায় যেটাকে পাণু বলে সেটা দেখছিও অনেক দিন ধরে ৷ মনের মধ্যে বড় দ্বন্দ্ব তৈরি হয় ৷ মনের একটা সচেতন অংশ আছে যেটা দুটি মানুষের মিথোজীবীতার সম্পর্কে বিশ্বাস করতে চায় I বিশ্বাস অনেকটা আশ্রয়ের মত । আশ্রয়হীন হতে ভয় করে ৷ কিন্তু তবু শরীরের চাহিদা যখন পর্নোগ্রাফির দরজায় নিয়ে যায়, আর পর্ণগ্রাফি তার ভিসুয়াল সম্পদের দ্বার ফ্রি তে আপনি খুলে দিয়ে ডাকতে থাকে তখন সেখানে নিজের সব সত্য বিষর্জন দিয়ে ঢুকি ৷ ... ...
শত বছর ধরে ভূরাজনীতিবিদরা পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে তা তিনটি থিওরি দিয়ে ব্যাখ্যা করে আসছেন। ১. "Sea Power Theory" -- আমেরিকান ন্যাভাল অফিসার ও স্ট্র্যাটেজিস্ট Alfred Thayer Mahan এর মতে সমুদ্রের নিয়ন্ত্রণ যার হাতে থাকবে পৃথিবী সেই নিয়ন্ত্রণ করবে।
সুইডেনের অ্যাথলেটিক্স অ্যাকাডেমি জিএনএ-তে শুভর যোগদানের ব্যাপারটা আপাতত মুলতুবি রাখা হল। কারণ সুরিন্দরের সঙ্গে কথা বলে স্পন্দন জানতে পারল সিলেকশান কমিটি থেকে সানি ডিসুজার অপসারণ হয়েছে। নতুন করে কমিটি তৈরি হবে এবং তাতে সুরিন্দরের অন্তর্ভুক্তি প্রায় নিশ্চিত। নতুন করে ট্রায়াল হবে অলিম্পিক স্কোয়াডের জন্য। জামশেদপুরে যে মিটটা হবে সেটাই ফাইনাল ট্রায়াল বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। সুরিন্দর পরামর্শ দিল ওই ইভেন্টটার ওপর মনোনিবেশ করতে। বাকিটা সে দেখে নেবে। ... ...
প্রতিযোগিতার ব্যবস্থাপকরা অনুষ্ঠানটিকে বর্ণাঢ্য করে তুলতে কোন ত্রুটি রাখেন নি। স্টেডিয়ামের চারদিকে গোল করে লাগান নানা রঙের পতাকা উড়ছে। স্টেডিয়ামের বাইরেও অ্যাথলেটিক্সের নানা কোলাজ সহ বেশ কিছু আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপনী বোর্ড লাগান হয়েছে।