(পঞ্চম ও শেষ পর্ব) দিন তো আর বসে থাকে না। মানুষের জীবনের ঘটনাগুলো চাকায় বেঁধে সে অবিরাম গড়িয়ে চলে। কৌশিক দত্ত আর মনোময় মৈত্র একদিন দুপুরবেলার দিকে শংকরকে আই এফ এ অফিসে নিয়ে গিয়ে সইসাবুদ করিয়ে আনল।নিয়মকানুন না মেনে উপায় নেই। মেঘলা দিন, বাদুলে হাওয়া বইছে থেকে থেকে। সারা ময়দান জুড়ে পড়েছে মেঘের ছায়া। ধর্মতলা আর ময়দানের আশেপাশে এলেই নানা সুরভিত স্মৃতির হাওয়ায় দোল খায় শংকরের মন। ... ...
পুরোনো কিছু ছাড়তে বড্ড মায়া হয় আমার, পুরোনো জামা, সাইকেল, ব্যাগ, পেন, ক্যালেন্ডার, এমনকি পুরানো পাড়ার গাবলু গাবলু নেড়ি কুকুরটাও যখন হাড়গিলে পুরানো হয়ে সবার বিরক্তির হয়, তখনও পুরানো ছাড়তে কষ্ট হয় আমার …
মেঘ ডাকছে যখন তখন নিম্নচাপের ফলে একলা ছাদে ললনা কার শুষ্ক কাপড় তোলে?মেঘবৃষ্টি লীলার ছলেজড়িয়ে ধরে শতদলেঝান্ডাই তো হয়নি তোলা আজাদী এই হালে!!
আমার ভূতের ভয় অন্য অনেকের মত আমিও ভূতে বিশ্বাস করিনা কিন্তু ভয় পাই। ছেলেবেলায় আমার ৪-৫ বছর বয়সের কথা যদ্দুর মনে আছে দুপুরে ঘুমিয়ে ওঠার পর একটা কেমন হতভম্ব, ভীতচকিত ভাবে আমি এদিক ওদিক এমন কি খাটের নীচে দেখার চেষ্টা করতাম স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসা পর্যন্ত। আবার আরো একটা অদ্ভুত উপসর্গ আমার ছিল যাতে আমার আশেপাশে যত ঘটনা ঘটছে সেগুলি ... ...
১ ভোরের কুয়াশা মাখা মায়াবি আলোয়, লেকের ধারে বেঞ্চে বসে, অনামিকা মন দিয়ে শুনছিলেন, কথকতার কথা, “আজকেই ফিরে গিয়ে বোমাটা ফাটিয়ে দাও, অনু”। অনামিকা হাসলেন, স্নিগ্ধ দৃষ্টি মেলে কথকতার দিকে তাকিয়ে বললেন, “বৌমাকে বোমা? ঠিকই বলেছেন। বলবো, আজই বলবো। আগে পেতাম না, আজকাল মনের মধ্যে বেশ একটা জোর পাচ্ছি।
সৌভাগ্যক্রমে এম আর আই রিপোর্টে তেমন গন্ডগোলের কিছু পাওয়া গেল না। ডান হাঁটুর পাশের দিকে লিগামেন্টে কিছুটা স্ফীতি আছে। ডক্টর মিত্র তিন চার রকম ওষুধ দিয়েছেন। অন্তত তিনমাস খেতে হবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল হাঁটুর ব্যায়াম। সেটা নিয়মিত করে যেতে হবে। সিজন শুরুর আগে অন্তত একমাস বল পায়ে মাঠে না নামাই ভাল।সেটা অবশ্য কার্যত অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে। অপারেশনের কোন প্রয়োজন নেই এই মুহুর্তে। পরে সুবিধেমতো লিগামেন্টের একটা ছোট সার্জারি করে নিতে পারলে ভাল হয়। ... ...
গল্পটির বাংলা এবং ইংরেজী অনুবাদ দিলামঃ অণুগল্পঃ আলোয় আনন্দ প্রদীপ দে ~ আনন্দ মাহাতো। জন্ম পুরুলিয়ার অঁজ পাড়াগাঁয়ে। বাবা মা গরীব। ঠাঁই হয় অনাথ আশ্রমে। বাপ মা আর ফিরে আসেনি। হয়তো ওরাও অভাবের দুনিয়া থেকে পালিয়ে গেছিল। সেই রকমই কিছু কথা শোনা যায়। যা একপ্রকার মেনেই নিয়েছিল আনন্দ। যা হোক টেনেটুনে অষ্টম শ্রেণীর গন্ডি পেরিয়েছিল সে। ... ...
Dancing in the sunlight, / Shining golden and bright, / You gave your radiant hands / To me, my heart and my soul.
প্রিয়তমাসু, ভালো আছ তো? আমি ভালো আছি। আজ বড় সাধ জাগল মনের কথা লিখতে। জান? বলা নেই কওয়া নেই কাল রাতের অন্ধকারে পায়ের মল ঝমঝমিয়ে দস্যি মেয়েটা এসে হাজির হল। গতকাল দিনের ঝলমলে আলোয় কিছুই আভাস পাই নি তার আসার। বেশ চলছিল কিছুদিন ধরে ঘন সবুজ শাল, মহুয়া, আসান, ইউক্যালিপটাস গাছের জঙ্গল আর সুনির্মল আকাশের ভালোবাসার পর্ব। দূরের সবুজ পাহাড়টা, যাকে তুমি অহঙ্কারী পাহাড় নাম দিয়েছিলে, সেও বেশ চোখের নজরের আওতাতেই ছিল। শীতের রোদ গায়ে মেখে সারাদিন ধরেই চেনা অচেনা পাখিদের ডাকাডাকি, কাঠবিড়ালি র লাফালাফি। প্রকৃতি রাণীর এত রঙ এত রূপকে না ভালোবেসে তুমিও থাকতে পারতে না, আমি জানি। আর অলস দুপুরে দূর থেকে হলদে পাখির ... ...
সবুজের সঙ্গে বাড়ি ফিরে শংকর দেখল কৌশিক দত্ত এবং আর এক ভদ্রলোক বসে আছে। দ্বিতীয় ভদ্রলোককে শংকর চেনে না। কৌশিকবাবু বললেন, ‘আরে ....এই তো এসে গেছে। এই দেখ কেমন ঘাঁটি গেড়ে বসে আছি। মাঠ থেকে সোজা এখানে আসছি। গরজ বড় বালাই ....’। শংকর বলল, ‘হ্যাঁ ... ভাল করেছেন। মাঠে দেখেছি আপনাদের।’ ... ...
ঠাকুমা (নানা) র বাপের বাড়ির দেশ ছিল সুকিন্দে। কে জানে কোথায় সে। একবারই মাত্র যাওয়া হয়েছিল সেখানে। কার যেন বিয়ে ছিল। বিরাট একটা বাসে চড়ে খুব ভোর ভোর রওনা দিয়েছিল ওরা। পৌঁছতে পৌঁছতে সন্ধ্যে পেরিয়ে রাতের হাত ধরেছিল প্রায়। বর-বউয়ের কথা এখন আর মনে নেই তুলির। শুধু মনে আছে, খাওয়া শেষ হতেই ঢালাও বিছানায় শুতেই ঘুম বুড়ি হাত ধরেছিল সবার। শুধু তুলির ঘুম আসছিল না। ... ...
অনেক ক্ষেত্রেই আমরা না বুঝেই কেবলমাত্র বিধি নির্ঘন্ট অনুযায়ী কিছু আচার অনুষ্ঠান পালন করে চলি নেহাতই সামাজিক ও ধার্মিক দায়বদ্ধতা থেকে। কিন্তু প্রতিটি আচারের গভীরে ঢুকে ব্যাখ্যা করলে দেখা যাবে, যে প্রয়োজনীয়তা থেকে আচার গুলির উদ্ভব আমরা তার থেকে অনেক দূরে সরে গিয়ে কেবলমাত্র জড় কাঠামোটিকেই আগলে ধরে বসে আছি, ফলে যে কারণে বা উদ্দেশ্যে আচারগুলির প্রচলন সেই মূল উদ্দেশ্য গুলিই আর সাধিত হচ্ছে না। ... ...
মাঠে মেডিক্যাল টিম বলতে তেমন কিছু নেই। এই ধরণের ম্যাচে থাকেও না। দলের অবৈতনিক ফিজিক্যাল ট্রেনার এবং দুজন রিজার্ভ বেঞ্চের প্লেয়ার মাঠে ঢুকে যতটা সম্ভব শুশ্রূষা করার চেষ্টা করতে লাগল। উৎকন্ঠায় অস্থির হয়ে ক্লাব সভাপতি প্রদীপ ঘোষ মাঠে ঢুকে গেলেন। কিন্তু রেফারির নির্দেশ মেনে তাকে আবার বাইরে চলে যেতে হল। একটানা ঠান্ডা পেন কিলার স্প্রে করতে লাগল ট্রেনার প্রত্যুষ সাহা। একটা পেন কিলার ট্যাবলেটও খাওয়াল শংকরকে। বরফ ঠান্ডা স্প্রের প্রভাবে শংকরের ব্যথা অনেকটা নরম হয়ে আসল। ... ...
বাইশ সালটা কেমন যাবে// সমীর ঘোষ বর্ষশেষে চর্চা শুরু ‘বাইশ সালটা কেমন যাবে’এবার ডিএ বাড়বে কিনা, পুজোয় ছুটি কটা হবে!
কৌশিক দত্ত মনোময় মৈত্রকে কনুইয়ের হাল্কা ঠেলা মেরে বললেন, ‘প্লেয়ারটার স্পট জাম্প দেখেছ? মনে হচ্ছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো স্টপারে খেলছে। এয়ারে এখন পর্যন্ত একবারও বিট হয়নি।’ — ‘হ্যাঁ সেটাই দেখছি ..... গ্রাউন্ডেও দারুণ স্ট্রং। দুর্দান্ত অ্যান্টিসিপেশান .... একটাও ট্যাকল মিস হচ্ছে না....
রশ্মির চাবুক পিঠে পড়ে আমি কাতরে উঠি
ছুঁড়ে দেখো আকাশে, একই চিহ্ন ফিরে আসে বারে বারে জিতে যায় রাজা!
My whole life of 18 years, / I have been a wallflower, / I have got no beauty / No brains and nothing at all,
শ্বেতশুভ্র অমায়িক বেশ ; খঞ্জনি মোহময়! অল্প চিনলে তিলক দেখে বোষ্টমই মনে হয়