Bury my heart at wounded knee - An Indian history of the American west বইটি লিখেছেন আমেরিকান লেখক ডি. ব্রাউন। বাংলায় অনুবাদ করে আমার মত মূর্খকে এই দারুণ করুন ইতিহাস কে জানতে সহায়তা করেছেন দাউদ হোসেন। অনুবাদক এর বাংলা নাম দিয়েছেন “আমারে কবর দিও হাঁটুভাঙ্গার বাঁকে”। অনুবাদ মোটামুটি ভাল, পাঠযোগ্য। যেহেতু এটা উপন্যাস না তাই উপন্যাসের রস জাতীয় কিছু এখানে নাই। এর রস যা আছে তা পুরোটাই ইতিহাস। পৃথিবীর ইতিহাসের কালো দিক গুলোর মাঝে অন্যতম আমেরিকা মহাদেশ থেকে রেড ইন্দিয়ানদের নিশ্চিহ্ন করার ইতিহাস। স্পর্শকা ... ...
পূর্ববঙ্গের ইতিহাসের উপরে গবেষণা ধর্মী বই লিখেছেন মুনতাসীর মামুন। বইয়ের নাম “কোই হ্যায়?” বইয়ের ফ্লাপে লেখা আছে - “পূর্ববঙ্গে ইংরেজ সিভিলিয়ানদের জীবন চর্চা, কর্মকাণ্ড নিয়ে ইতোপূ্র্বে কোনো গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। পূর্ববঙ্গের ইতিহাস রচনার পথিকৃৎ ড. মুনতাসীর মামুনের বর্তমান গ্রন্থ সেই অচেনা অজানা বিষয় নিয়ে। দীর্ঘদিন গবেষণার পর পূর্ববঙ্গ সম্পর্কিত সিভিলিয়ানদের লেখা ১৯টি স্মৃতিকাহিনীর ওপর ভিত্তি করে রচিত ‘কোই হ্যায়’। গ্রন্থের প্রথম পর্বে ইংরেজ বা ইউরোপিয়দের এ দেশে আগমন, ক্ষমতাদখল ও ঔপনিবেশিক শাস ... ...
গুজব নিয়ে সেই মজা নেওয়া শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু চারটা লাশ আর চারজন ধর্ষণের গুজব কি গুজব ছিল না? এত বড় একটা মিথ্যাচার, যার কারনে কত কি হয়ে যেতে পারত, এই জনপথের ইতিহাস পরিবর্তন হয়ে যেতে পারত অথচ রসিকতার ছলে এই মিথ্যাচার কে হালকা করে দেওয়া হল। ছাত্রলীগ যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা অস্বীকার করার কোন রাস্তা আছে বা সরকার যে তরীকায় অগ্রসর হল শেষের দিকে তা কোন মতেই কাম্য নয় কারো কাছে। কিন্তু লাশের গুজব ভিন্ন জিনিস। যখন লাশের সাথে তুলনা হবে লাঠির বাড়ি তাহলে তখন লাঠি পেটা অনেক সহনীয় মনে হবে। না চাইতেও একটা স্বস্তি ... ...
আজকে এক বাঙ্গালি বীরের জন্মদিন। আজকে শহীদ আজাদের জন্মদিন। মাগফার আহমেদ চৌধুরী আজাদ। মুক্তিযুদ্ধে ঢাকার কিংবদন্তীর ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য, রুমির সহযোদ্ধা এবং অবশ্যই অবশ্যই মোসাম্মাৎ সাফিয়া বেগমের সন্তান। শহীদ আজাদ হচ্ছেন এমন একজন মানুষ যার কথা বলতে গেলে তার মার কথা বলতে হয় অবধারিত ভাবেই। মার কথা বলব তার আগে আজাদের কথা বলি।
শহীদ আজাদের জন্ম ১৯৪৬ সালের ১১ জুলাই। নিউ ইস্কাটনে থাকতেন। বাবা তৎকালীন সময়ের বড় ব্যবসায়ী ইউনুস আহমেদ চৌধুরী। বাবার দ্বিতীয় বিয়ের পর আজাদ কে নিয়ে আলাদা থাকা শুরু ক ... ...
একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই। সহজ ও সোজা একটা কথা। কিন্তু এই সহজ ও সোজা কথাটার মাঝে অনেক কিছুই লুকিয়ে আছে। লুকিয়ে আছে জাতি হিসেবে আমাদের সবচেয়ে বড় গৌরব কে অবহেলায় ফেলে রাখার লজ্জা, আছে জাতি হিসেবে আমরা কতখানি নির্বোধ তার পরিচয়, এর মধ্যেই আছে রক্তের দামে কেনা স্বাধীনতার বর্তমান অবস্থা।
বিশ্বের বড় বড় গণহত্যার থেকে কোন অংশে কম হয়নি একাত্তর সালে এই বাংলায়। নয় মাসে ত্রিশ লক্ষ মানুষ কে মেরে ফেলা।এত অল্প সময়ে এত সংখ্যক মানুষ কে মেরে ফেলা, এমন নজির পৃথিবীর ইতিহাসে নেই আর। সংখ্যাট ... ...
ছোটবেলা থেকেই হিন্দু বাড়ির অন্দরমহলে সহজেই ঢুকে যেতাম। বেশি ছোট বেলায় কেউ কিছু মনে করছে কিনা তা বুঝতেই পারতাম না। একটু বড় হলে বুঝতে পারি আমার হুট হাট করে বাড়ির মধ্যে ঢুকে যাওয়াতে হয়ত উনাদের সমস্যা হচ্ছে। ভুলে খেয়ে ফেলতাম যা মনে হত তা। আবার আরেকদিন বেমক্কা গিয়ে হাজির হতাম। প্রশ্রয় ছিল বেশ ভাল ভাবেই, আর তাই আমার যা ইচ্ছা তা বা যখন ইচ্ছা তখন হুট করে কারো বাড়িতে হাজির হতে বিন্দুমাত্র ভাবতে হয়নি।
আমার বাড়ির অগ্রজদের দেখতাম হিন্দুদের মত করেই মুরুব্বীদের মাসি, পিসি বলে ডাকতে। আমি সেসব ঝেড়ে ফে ... ...
ঈদ ঠিক ঈদের দিন হয়না। ঈদ শুরু হয় রোজার শুরু থেকে। ঈদের দিন ঈদ শেষ হয়। দৈনিক ঈদ হচ্ছে এখন বাংলাদেশে আনাচেকানাচে, সর্বত্র। ছোট শহর থেকে বড় শহর, মেগা শহর। ঈদের আমেজ তৈরি হয়ে গেছে। ঈদের দিন তার সমাপ্তি হবে শুধু। শপিং নামের যুদ্ধ না শুধু, ঈদের আমেজ ঈদ আসছে এ কথার মাঝেই বেশি। ঈদের দিন কে কি করবে তার পরিকল্পনায় ঈদের ফুর্তি, ঈদের ছুটিতে ছুটতে ছুটতে বাড়ি ফেরাতে ঈদ, বাড়ি ফিরে বহুদিন পড়ে বন্ধুর মুখ দেখার মাঝে ঈদ, রাত পার করে দেওয়া বন্ধুদের সাথে আড্ডায় ঈদ, চানরাত পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের সারা বছরের মূল ব্যবসা কর ... ...
সন ১৭৪০ সাল। দক্ষিণ আমেরিকার গহীন জঙ্গলের মধ্যে এক ইন্ডিয়ান উপজাতির কাছে গিয়ে হাজির হন এক প্রিস্ট। ধর্ম প্রচার করতে এসেছেন। খ্রিস্ট ধর্মের শান্তির বানী শোনাতে, ধর্মের পথে আনাই তার উদ্দেশ্য। ভদ্রলোকের নাম গেব্রিয়াল, ফাদার গেব্রিয়াল। তিনি এখানে আসার আগে আরেকজন এখানে এসেছিল, তবে তিনি সুবিধা করতে পারেনি। কিন্তু ফাদার গেব্রিয়াল কিছুদিনের মধ্যেই মোটামুটি একটা অবস্থান তৈরি করে ফেললেন ইন্ডিয়ানদের মাঝে। তিনি মিশন স্থাপন করলেন সেখানে। সান কার্লোস মিশন স্থাপন হলো। তৎকালীন সময় এই স্থান ছিল স্প্যানিশদের দখলে ... ...
বর্ণিল রোজা করতাম ছোটবেলায় এই কথা এখন বলাই যায়। শীতের দিনে রোজা ছিল। কাঁপতে কাঁপতে সেহেরি খাওয়ার কথা আজকে গরমে হাঁসফাঁস করতে করতে অলীক বলে মনে হল। ছোট দিন ছিল, রোজা এক চুটকিতে নাই হয়ে যেত। সেই রোজাও কত কষ্ট করে রাখছি। বেঁচে থাকলে আবার শীতে রোজা দেখতে পারব হয়ত, তখন কি ছোটবেলার স্বাদ পাওয়া যাবে খুঁজে?
বর্ণিল কেন বললাম? কারন এখন রোজার দিনে আর কোন রঙ খুঁজে পাই না। বয়সের দোষ? যে বয়সের রোজাকে বর্ণিল বললাম সেই বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে সেই রঙ দেখি না কেন? মানুষ বেশি মাত্রায় যান্ত্রিক? হবে হয়ত!! < ... ...
আমরা বিশ্বাস করি মত প্রকাশের স্বাধীনতা শুধু আমার থাকবে, অন্য কেউ এর আওতায় পড়বে না। আমার থাকবে, আমার মত যারা ভাবে তাঁদের থাকবে, আমার আশেপাশের মানুষের থাকবে। ভাল কারা? এই প্রশ্নের উত্তর একজন দিয়েছিল, ভাল হচ্ছে আমরা আর মামারা!! তার মত করেই বলি, আমরা অনেকেই মনে করি মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে আমাদের আর মামাদের।
আমরা নিজের মনের মত করে নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে ভাবতে পছন্দ করি। যখন পছন্দের ব্যক্তি আমার মতের বিপরীতে কোন আচরণ করে বা আমার বুঝের বাহিরে কোন আচরণ করে তখন আমাদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পর ... ...