শিল্পী সুলতানের কথা আমার বলার অধিকার আছে? আমি জানি না। উনার কিংবদন্তী কাজ গুলো সম্পর্কে তো খুব অল্প জানি। এদিক সেদিকে কিছু কাজ দেখার সুযোগ হয়েছে। যা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তা আমাকে করে ছিল। ক্ষেতে খামারে কাজ করছে কিন্তু একেকজনের কী পেশিবহুল শরীর একেকজনের। সুলতান লেখককে ব্যাখ্যা করেছে কেন তার চরিত্ররা এমন দারুণ স্বাস্থ্যের অধিকারী। তিনি বলছেন বাঙালিকে দুর্বল ভাবার কোন সুযোগ নাই। যারা প্রতি বছর ঝড় বন্যার সাথে যুদ্ধ করে ক্ষেতে খামারে কাজ করে টিকে আছে তারা কীভাবে দুর্বল হয়? তিনি এই খেটে খাওয়া মানুষদের ভিতরের শক্তির ছবি এঁকেছেন! তখন প্রশ্ন আসছে উনার আগের ছবিতে কেন এমন চরিত্র আঁকেন নাই? তখন কি তিনি তেমন ভাবতেন না? সুলতান জবাব দিয়েছেন তখনো তিনি তেমনই ভাবতেন। কিন্তু আঁকেন নাই। কেন? কারণ হচ্ছে তখন বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি! মুক্তিযুদ্ধের পরে উনি যা এঁকেছেন সব জায়গায়ই এমন পেশিবহুল মানুষের আনাগোনা। উনার কথা হচ্ছে পরাধীন একটা জাতিকে এমন শক্তসমর্থ করে আঁকলে তা বিশ্বাস যোগ্য হত না। কী দারুণ না! ... ...
"উঠোন পেরিয়ে বিষন্ন বদন যে ভবনটির সামনে এসে সাধনার আপিস বাড়ি। ভয়ে ভয়ে দরজা পেরিয়ে ঘরে ঢুকলাম। চোখে সবকিছু ধাঁধা ঠেকল। অন্ধকার যেন ঝাঁপিয়ে পড়ল। আর সেই আধার সাঁতরে যখন চোখটা একটু সয়ে আসল, দেখি, চৌকোনো এক মস্ত ঘর, চারধারে টেবিলের সারি। তাতে কর্মচারীরা নিবিষ্ট মনে কাজ করছেন। ওই মস্ত ঘরে সাকুল্যে দুটি ৪০ পাওয়ারের বাতি। বাইরের আলো থেকে ঘরে ঢুকলে হঠাৎ কিছু চোখে পড়বে না। তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। নিমে তথা ফতুয়াধারী লোকগুলোকে কেন যেন জ্যান্ত লাশ মনে হচ্ছিল - নড়াচড়া নেই, কথা নেই, ঘাড় খুঁজে কী সব আঁকিবুকি কষছে! আর একেবারে সামনে নড়বড়ে টেবিলে নিমে গায়ে যিনি বসে, বিজ্ঞাপনে তার চেহারা এত সহস্র বার দেখেছি যে তাকে চিনতে কষ্ট হলো না মোটে।" ... ...
এখন কি হেফাজতের নেতারা খুশি। কারণ তারা তীব্র আন্দোলন তৈরি করেছে। মানুষ মরেছে, পুরো দুনিয়া দেখেছে মোদি আমাদের দেশে কত অজনপ্রিয়, মানুষ কত তীব্র ভাবে মোদির সফর ত্যাগ করেছে।পুলিসের ভূমিকায় তাদের এই কাজ সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এখন? এর চেয়ে বড় প্রচার তো আর সম্ভব না, তাই না? পুলিস যদি চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকত, আপনারাও চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকলে তো এমন দৃশ্য পেত না কেউ, তাই না? হেফাজত বা আন্দোলনকারীরা যা চেয়েছে তা পেয়েছে, এখন কী হবে? যে পরিবার গুলো তাদের প্রিয়জন হারিয়েছে তাদেরকে কি হেফাজতের নেতারা গিয়ে বলবে আপনার সন্তানের, আপনার প্রিয়জনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমাদের আন্দোলন পুরো দুনিয়ার নজরে এসেছে? এবং এতে করে ওই পরিবারের সবার মনে শান্তি নেমে আসবে? সাথে এই নেতারা কি এটাও বলবে যে এই আন্দোলন আসলে কোন উপকারে আসে নাই। যে ঘটনার জন্য এই প্রতিবাদ তার উপরে খুব একটা প্রভাব পড়বে না! বরং এই দেশে কত উগ্র ধর্মালম্বীরা বাস করে এইটা প্রমাণ করে মোদি আরও বেশি করে সাম্প্রদায়িকতার প্রচার ও প্রসার করে যাবে! এমন কী এর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের ফলাফলেও পার্থক্য তৈরি হতে পারে! এই খবরে নিশ্চয়ই নিহতের আত্মা শান্তি পাবে? ... ...
পাকিস্তানীরা যাওয়ার আগে আক্ষরিক অর্থেই সমস্ত কিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছিল। একটা জাতি স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্ণ করছে, এটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, কত বড় অর্জন তা আমাদের বুঝা উচিত। কত শঙ্কা, কত বাধাবিপত্তি পারি দিতে হয়েছে। ধ্বংস হয়ে যাবে, হারিয়ে যাবে, ভারত নিয়ে নিবে, পাকিস্তানের হাত থেকে ভরতের খপ্পরে পড়ল বাঙালি, এদের দিয়ে কিচ্ছু হবে না, ঋণের তলেই অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে যাবে, এরা খেলাধুলা পারে না, দুর্বল জাতি, অপুষ্টিতেই বেশি ভুগে এরা, বন্যায় শেষ করে দিবে এদের, এত জনসংখ্যা এদের যে এর চাপেই শেষ হয়ে যাবে এমন হাজারো কথা বলা হয়েছে আমাদের নিয়ে। পঞ্চাশ বছর, কী অপূর্ব একটা মুহূর্ত! আমরা আমাদের পরিচয় দিতে পারি এখন। কত কমতি আছে তার হিসাব না হয় আজকে আর নাই নিলাম। কোথা থেকে কোথায় আসছি তার দিকে কি নজর দিব না আমরা? ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিনিক্স পাখির মত উত্থান না আমাদের? যুদ্ধ পরবর্তীতে আমাদের কী ছিল? কিচ্ছু না, একেবারে খাটি বাংলায় বললে বলতে হবে যে আমাদের কিচ্ছু ছিল না, সোজা কিচ্ছু ছিল না। অর্থনীতি বলতে কিছু ছিল না। আজকে আমরা কই? আমাদের অর্জন গুলা আমরা আজকে গর্ব করে বলব না? হানাহানি, দলাদলি তো করছিই প্রতিনিয়ত, আজকেও কেন আমরা তাই করব? আজকে তো গর্বের দিন। বেঁচে থাকলে আবার হীরক জয়ন্তী করবেন, প্লাটিনাম জয়ন্তী করবেন। আজকে সুবর্ণ জয়ন্তী পেয়েছি আমরা আমাদের মাঝে, তা আমরা উদযাপন করব না? ... ...
যে তুমি ফোটাও ও ফুল ঘ্রাণে ভরো ব্যাপক সবুজ জমিতে বিছিয়ে দাও ধান শিম খিরোই তরমুজ কুমড়োর সুস্বাদ, যে তুমি ফলাও শাখে ফজলি আম কামরাঙা পেয়ারা, বাতাসে দোলায় গুচ্ছগুচ্ছ জাম, যে তুমি বহাও নদী, পাললিক নদীর ভেতরে লালনপালন করো ইলিশ বোয়াল স্তরেস্তরে, যে তুমি উঠাও চাঁদ মেঘ ছিঁড়ে নীলাকাশ জুড়ে বাজাও শ্রাবণ রাত্রি নর্তকীর অজস্র নূপুরে , যে তুমি পাখির ডাকে জেগে ওঠো, এবং নিশ্চুপে বলিকার সারা দেহ ভরে দাও তিলেতিলে রূপে আর কণকচাঁপার গন্ধে আর ভাটিয়ালি গানে, যে তুমি বইয়ে দাও মধুদুগ্ধ গাভির ওলানে খড় আর ঘাস থেকে, যে তুমি ফোটাও মাধবী আর অজস্র পুত্রকে দাও ছন্দ- করে তোলো কবি, যে তুমি ফোটাও ফুল বনে বনে গন্ধভরপুর- সে তুমি কেমন করে, বাঙলা, সে তুমি কেমন করে দিকে দিকে জন্ম দিচ্ছ পালেপালে শুয়োর কুকুর? ... ...
দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলার কাজী পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে আয়শা সিদ্দিকা নামের এক নারী কাজী পদের জন্য আবেদন করেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও শুধু মাত্র পুরুষের জন্য এই পদ এমন কিছু লেখা ছিল না। আর যেহেতু তিনি আর বাকি সব দিক দিয়ে যোগ্য ছিলেন তাই তিনি আবেদন করে দেন। যথা সময়ে পরীক্ষা হয়, তিনি প্রথম হন। তার সাথে আরও দুইজন নারী আবেদন করেন। এবং পরবর্তীতে পুরো প্যানেলকেই বাদ দেওয়া হয় শুধু মাত্র নারী এই যুক্তিতে। শারীরিক সীমাবদ্ধতা, রাত বিরাতে বিয়ের জন্য যেতে হবে ইত্যাদি নানান কারণ দেখিয়ে তাদের না করে দেওয়া হয়। এবার শুরু হয় আয়শার লড়াই। ২০১৪ সালে তিনি আদালতে যান। আইনের কোথাও নারী হিসেবে নিকাহ রেজিস্টার হতে পারবে না এমন কথা না থাকার পরেও এতদিন পরে আদালত এই রায় দেয় যে নারী বিবাহ পড়াতে পারবে না। আয়শা সিদ্দিকা আবার আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন। কি হতে পারে এখনই অনুমান করা যাচ্ছে। বিশেষ করে মানুষের যে পরিমাণ সমর্থন এই কয়দিনে আদালত পেয়ে গেছে তাতে আরও সহজ হয়ে গেছে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। আমার দুইটা কথা না বললে ভাল লাগছে না তাই লিখতে বসছি। ... ...
নিকোলাস পাড়া। নাফাখুম থেকে প্রায় চার পাঁচ ঘন্টা ঝিরি পথ দিয়ে হেঁটে পাহাড় টপকে এক অদ্ভুত জায়গায় পৌছালাম।এই পাড়া প্রতিষ্ঠা করেছে নিকোলাস ত্রিপুরা। পদ্মা নদীর মাঝির হোসেন মিয়ার মত নতুন এক নতুন ঠিকানা তৈরি করেছে নিকোলাস। তার গল্প পুরোপুরি আমি জানি না, আমি যা এখন পর্যন্ত জানি তা হচ্ছে এ এক অদ্ভুত জায়গা। আমরা এসে পৌছাতে পৌছাতে সন্ধা নেমে এসেছিল। তারপর থেকেই জাদুবাস্তবতার জগতে চলে গেছি যেন। এখানে পাহাড়ের কোলে কুসুম গরম সুর্য টুপ করে ঢলে গেল। কয়েক বাড়ি আদিবাসিদের সন্ধ্যা আসল সরল পথে। যে সমাজ আমরা দেখে অভ্যস্ত তার সাথে তুলনা কই? শিশুরা অবাক দৃষ্টিতে আমাদের দেখছে। আমরা আমাদের নিয়ে ব্যস্ত। খাড়া পাহাড় উঠে আমরা ক্লান্ত, তারচেয়ে আসলে আমরা ব্যস্ত নতুন জায়গার চারপাশ দেখতে। এরপরই যেন শুরু হল জাদুর খেলা। শা করে তারা চলে আসল আমাদের কোলে। ঝকঝকে লাখ লাখ তারা যেন আমাদের ঘিরে নেচে চলছে। আমাদের সাথে মজা নেওয়ার জন্যই যেন দুই একটা তারা দৌড়াচ্ছে এদিক ওদিক। হুট করেই খেয়াল করলাম আমাদের সকল কাজের সমাপ্তি হয়েছে। আগামীকাল ভোরে নতুন পথে রউনা হওয়ার আগে আমাদের ঘুম আর খাওয়া ছাড়া কোন কাজ নাই। এই গ্রামের মানুষ অন্য সময়ে কী করে এই সময়ে? সন্ধ্যায় চা নাস্তা খাওয়া মানুষ আমরা। এরপর নানা অকাজে ব্যস্ত থাকা আমরা বুঝেই উঠতে পারছি না এদের জীবন। এই গ্রামে পানির ব্যবস্থা নাই। পানি নিয়ে আসে ওরা অনেক নিচে থেকে। নেই কোন পয়নিস্কাশনের সুস্থ কোন ব্যবস্থা। নেই মানে নেই। বন হচ্ছে এদের ভরসা স্থল। এই সমাজ কীভাবে আমাদের বুঝে আসবে? আসার কোন সম্ভাবনা আছে? আমার মনে হয় না। ছনের ঘর। ঘর উঁচু করেছে বাঁশ দিয়ে খুটি দিয়ে। তাড়াই বাঁশের বেড়া হচ্ছে মেঝে। আমরা যা দেখি তাই মুগ্ধ হই, বা মুগ্ধ হওয়ার ভান করি। কৃত্রিমতায় পূর্ণ জীবন কি জানে সত্যিকার মুগ্ধ হওয়া কাকে বলে? ... ...
আমি এক ঝটকায় সব ছেড়ে দিলাম। সোজা আব্বার পাশে। শুরু হল আমার সংগ্রাম। আমার মনে হয়েছে আমি লোক রেখে আমার মন মত সেবা আমার বাবাকে দিতে পারব না। আমার মনে হয়েছে এখন আমার বাবা উনার পাশে উনার কাছের একজনকে খুঁজবে। এখানে বলে রাখা ভাল যে আমার মা মারা গেছেন ২০১২ সালে। এবং তখন থেকেই আমি বুঝতেছিলাম যে আমাদের এই বিশাল ভাই বোনের পরিবারে আমি আর আমার বাবা এখন বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। দুইজনই ব্যাচেলর। সবাই যার যার সংসারের নানান সমস্যায় জর্জরিত। তাদের চিন্তার, তাদের কাজের সেন্টার অফ গ্রেভেটি পরিবর্তন হয়ে গেছে। তাদের বৃত্তের কেন্দ্র এখন আমার বাবা না। সন্তান, স্বামী তারপরে হয়ত শ্বশুরবাড়ি তারপরে আব্বা। কাজেই চাইলেও তারা পারবে না পুরোপুরি সময় দিতে। কাজেই এ কাজ যে আমার তা আমি পরিষ্কার বুঝতে পারেছিলাম। ... ...
এই যে দুই দুইটা সম্প্রদায় প্রবল ভাবে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেল। একজনের রক্তে আরেকজনের হাত রঞ্জিত হল, এত কিছুর পড়েও তো আমরা একদিন বুঝতে পারলাম আমরা আসলে এক। আমাদের জাতি পরিচয় এক। ৪৭ সনের দুঃখ ভুলতে আমাদের বেশি সময় কিন্তু লাগেনি। সময় আমাদের আবার একটা সুযোগ দিয়েছিল। দুই সম্প্রদায় সমস্ত নীচতা, সমস্ত কালিমা ভুলে গিয়ে ১৯৭১ সালে মিশে গিয়েছিল। গোলাম মুর্শিদ তাঁর হাজার বছরের বাংলা সংস্কৃতি বইয়ে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনায় লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতার কথা। সেবার দুর্গা পূজায় পূজা মণ্ডবে দুর্গা প্রতিমার সাথে বঙ্গবন্ধুর ছবি রাখা হয়েছিল! উনাকে অমিতাভ চৌধুরীর স্ত্রী সুনন্দা চৌধুরী তাঁর একমাত্র ভাইয়ের সাথে একত্রে বসয়ে দিয়েছিলেন ভাই ফোঁটা! ভাই ফোঁটা দিয়ে ভাই হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন তাকে। এমন অজস্র উদাহরণ তৈরি হল সে সময়। এর আগের সমস্ত কালিমা নিমিষে দূর হয়ে গেল। হাওয়ায় উড়ে গেল যেন ধর্ম বর্ণ, ঘটি বাঙালি সহ যত বাধা ব্যবধান! ... ...
স্বাদের কথা যখন বললাম তখন আরেকটু বলি। বড় ঈদ মূলত খাওয়ার ঈদ। কোন পরিসংখ্যান আছে কিনা জানা নাই আমার। আমার ধারনা এই ঈদের পরে মানুষ বেশি অসুস্থ হয়। কারণ সবার ঘরে ঘরে গোরুর মাংস। সকাল বিকাল সন্ধ্যা রাত চলছে গোরু খাওয়া। এখন অনেক ধরনের রান্না হয় মাংস। আগে তা হত না। আম্মাকে দেখতাম বড় এক পাতিলে অনেক মাংস একবারে রান্না করত। ওই এক জিনিসই। চলত জ্বাল দেওয়া আর খাওয়া। একদিন পর থেকে স্বাদ পরিবর্তন হয়ে যেত। যতই দিন যেত ততই নতুন স্বাদ পাওয়া যেত। দুইদিন তিনদিনের মাংসের যে স্বাদ তা রীতিমত স্বর্গীয় লাগত আমাদের। জ্বালে জ্বালে মাংস আর মাংস থাকত না, সব মিশে অন্য কিছু একটা হয়ে যেত, যার কোন তুলনা নাই। ঈদের পর দিন আমাদের বাড়িতে খাওয়া হত গোরুর মাংস আর পরোটা। কেউ কেউ চালের গুড়ার রুটি খেত, আমাদের এখানেও হত। লা জবাব স্বাদ! এখন নানান ধরনের রান্না হয় মাংস। কাবাব হয়, কোরমা হয়, টিকিয়া হয়, সাদা মাংস রান্না হয়, এবং আরও নানান ধরনের রান্নায় এখন ঈদ জমে যায়। ... ...