কিন্তু আসল সত্য হচ্ছে উপরে যে ভিডিওর কথা বললাম তা। আপনারা বাংলা সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করেন ইংরেজিতে! বাংলা আসলে কোথায় মারা যাচ্ছে তা বুঝতে রকেট সাইন্স জানতে হবে না, মাথাটা একটু নরম হলেই খুব বুঝতে পারতেন। ওই ভিডিওটা দেখার পরে আমি কল্পনা করার চেষ্টা করলাম যে ঢাকায় একুশে বই মেলা প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা হচ্ছে, বিষয় বাংলা সাহিত্য আর কোন এক বাঙালী বক্তা ইংরেজিতে কুস্তাকুস্তি করছেন! কল্পনা করে আমি শিউরে উঠেছি, বেশিদূর যেতে পারি নাই কল্পনাকে টেনে নিয়ে। ... ...
কাজীদার পুরো নাম কাজী শামসুদ্দিন আনোয়ার হোসেন নবাব। যতদিন তিনি কলম চালু রেখেছিলেন ততদিন তিনি নবাবি করে গেছেন। সেই ষাট সাল থেকে শুরু, এর মধ্যে তিনি রাজ্য ছাড়েন নাই! আজকে নবাবের প্রস্থান হল। বিদায় নবাব। আজকে আর কিছুই বলার নাই আই লাভ ইউ ম্যান বলা ছাড়া! আই লাভ ইউ ম্যান, মানুষ হিসেবে নিজেকে আলাদা জায়গায় দাঁড় করাতে সাহায্য করার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ আপনার কাছে! রঙিন একটা শৈশব দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ, ধূসর শৈশব নিয়ে বড় হওয়া অনেককে যখন দেখি তখন বারবার বলতে ইচ্ছা করে কাজীদা, আই লাভ ইউ ম্যান! ভাল থাকুন। ... ...
আমাদের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল আমাদের দর্শক। নানা কারণে আমাদের সেই শক্তি এখন বড় শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের বাহিরেও আমাদের সমর্থকরা এখন সবচেয়ে অশিক্ষিত খারাপ সমর্থক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমরা আমাদের নিজেদের খেলোয়াড়দেরও ছাড় দেই না। ট্রল করতে করতে, মজা নিতে নিতে ক্রিকেটাররা যে মানুষ তা ভুলে যাই। ক্রিকেটারদের তো আছেই তাদের পরিবারকেও ছাড় দেই না। আমরা আশা করি আমরা যা ইচ্ছা বলব করব তারা খুব পেশাদার ভঙ্গিতে সব মেনে নিয়ে খেলে যাবে। না, আমরা এখন ওই পর্যায়ে যেতে পারি নাই। আমাদের ক্রিকেটের ইতিহাস খুব বেশিদিনের না। আমাদের বর্তমান প্রজন্মের আগের প্রজন্মই তো এদেরকে শিখিয়েছে? ... ...
এখন, এই কয়েকদিনের উত্তাল সময় পার করার সময় বারবার মনে হচ্ছিল ক্ষমতায় জামাত বিএনপি থাকলে কত সুবিধা হত আমার মত মানুষের। স্বপ্ন দেখতে পারতাম। ভাবতে পারতাম লীগ ক্ষমতায় থাকলে এমন হত না। স্বপ্ন দেখতাম আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসেই সাম্প্রদায়িকতার বিষকে নির্বিষ করে আমাদের মুক্ত করবে। কিন্তু তা আর হওয়ার না। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এবং সম্ভবত বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ক্ষমতার অধিকারী সরকার। তাহলে এখন আমরা কার কাছে যাব? কিসের স্বপ্ন দেখব? আমাদের সমস্ত আশার আলো নিভে যাচ্ছে, গেছে! ... ...
যখন সততা দেখানোর সময় আসে, যখন আপনার নৈতিকতার পরীক্ষার সময় আসে তখন আমাদেরকে সবচেয়ে বেশি দ্বিধায় ফেলে 'সুযোগ' নামের শব্দটা। আমরা ওই মুহূর্তে বেশির ভাগ সময়ে ডাহা ফেইল মারি। আমরা এইটাই তো সুযোগ বলে ঝাঁপিয়ে পড়ি। সততা, নৈতিকতা সব একদিকে ঠেলে ফেলে দিয়ে সুযোগটাকে কাজে লাগাই। এই পরিস্থিতি দেশের বেশির ভাগ মানুষের। যতক্ষণ পর্যন্ত সততার পরীক্ষা না দিতে হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা সৎ, অসৎ হওয়ার জন্য শুধু সুযোগের অপেক্ষা। ... ...
আমি আগ্রহ আরও হারিয়ে ফেললাম কারণ তিনি তখন মরিয়া হয়ে প্রথা ভাঙতে চাচ্ছেন। মৌলবাদের প্রতি প্রচণ্ড আক্রোশ তৈরি হয়েছে, ফলে ধর্মকে নানান ভাবে আঘাত করছেন, আঘাতের অস্ত্র সব সময় সুবিধার না। গাছে মাছে আক্রমণ চলছে তখন। এবং তখনই সম্ভবত দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। ধর্মকে আক্রমণ করে এর আগেও অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। তাদের প্রতি মানুষ এই রকম বিরক্ত হয়নি। তাদের কথা পছন্দ হয়নি, হয়নি, চুপ করে থেকেছে। কারণ তাদের বলার ধরন অন্য রকম ছিল, তাতে সম্ভবত সাহিত্যের গুণাগুণ বেশি ছিল। তসলিমা নাসরিন কোনমতেই আহমেদ শরীফের চেয়ে বড় নাস্তিক ছিলেন না, হুমায়ুন আজাদের চেয়ে কঠোর কথা তিনি বলেন নাই তাও হয়ত বলা চলে। এরপরেও তাঁকে এঁদের চেয়ে বেশি গালাগালি শুনতে হয়েছে। এর কারণ এক যা বললাম, বলার ধরন অনেকের পছন্দ হয়নি আর দ্বিতীয়ত তিনি নারী! নারীর মুখে এই সব শুনতে আমরা রাজি না। ... ...
নায়িকা দুধে ধোয়া তুলশী পাতা? না, তা নাই হতে পারে। সমস্যা হচ্ছে কেউই দুধে ধোয়া তুলশী পাতা না। রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিষ, শিরায় শিরায় দুর্নীতি। আপনে সব কিছু ফেলে ঝাঁপিয়ে পড়লেন নায়িকার উপরে। সমাজ নষ্ট করে দিচ্ছে, ছেলেপেলে উচ্ছন্নে যাচ্ছে সব। তরুণ সমাজকে উদ্ধার করতে নায়িকাকে বন্দী কর। নায়িকা বন্দী, এখন আর চিন্তা নাই, সমাজ রক্ষা পেল, দেশ উদ্ধার হয়ে গেল। দেশের আর কোন সমস্যা থাকল না, দুই তিনশ করে মানুষ এখন আর করোনায় মারা যাবে না, কালকে থেকে গণহারে সবাই টিকা পেয়ে যাবে, প্রতিটা হাসপাতালে আইসিউ বসে যাবে, অক্সিজেনের নহর বয়ে যাবে এখন থেকে। আমরা মূর্খ সুর্খ মানুষ, আমরা ভেদের খবর কি অত জানি? সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গেছে বাংলাদেশে, প্রতিটা নিউজ পোর্টাল ব্যস্ত নায়িকার বাসার ভিতরের ভিডিও নিয়ে, শোয়ার আর হাগার ঘরের ভিডিও নিয়ে! এমন সুযোগ বারেবারে আসে? এখন এইটাই খবর, বাকি সব ভুলে যাও। এক জিনিস বেশিদিন মনে রাখতে পারবেন না, তাই সামনে আরও নায়িকা, মডেল ধরা হবে। লকডাউন উপভোগ করতে থাকুন, আপনার বিনোদনের দায়িত্ব নিয়ে নেওয়া হয়েছে। ... ...
আব্বাকে নিয়ে একলা থাকার সময়টা আব্বা অসুস্থ হয়ে থাকার পুরো তিন বছর দশ মাস সময়ের মধ্যে অন্যতম সেরা সময় ছিল আমার। বারান্দায় বসায় দিতাম। উনি নানান দিক নির্দেশনা দিতেন আমাকে, ওই গাছের গোরায় একটু পানি দেও, এইখানে একটু পানি দেও, পাখিরা খাবে, গোসল করবে! আমি বলতাম, আল্লার দুনিয়ায় পাখির গোসলের জায়গার অভাব? আমি এইখানে পানি না দিলে গোসল হব না পাখির? উনি বলতেন হব, তবে তাতে তোমার কোন অবদান থাকব না, এই যা! আমি পানি দিতাম। আরেকদিন মাটির নিচে কি জানি একটা মাথা উঁচু করে রয়েছে, ওইটা উনার চোখে পড়ছে। ওইটা কী? আমি কী জানি ওইটা কী? বললাম আমি। কিন্তু কাজ হল না, ওইটা তুলে আনো! হুকুম হয়ে গেছে, তুলে না এনে গতি নাই। তুলে আনলাম, কী জানি একটা আবর্জনা জাতীয় কিছু ছিল। উনি হতাশ হয়ে বললেন, ধুর! আমি ভাবছি অন্য কিছু! লেবু গাছটা মরে গেল কেন এই চিন্তা সম্ভবত মারা যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত করে গেছেন। কেউ না বলে চুরি করে লেবু নিছে বুঝছ? এই জন্য লেবু ধরা বন্ধ হয়ে গেছে! আমি এই তত্ত্ব উড়িয়ে দিলাম। চুরি করলে লেবু গাছ মাইন্ড করে নাকি? উনি হা হা করে হাসি দিয়ে বললেন, তুমি বুঝবা এগুলা, দেও, পিঠটা একটু চুলকায় দেও! ... ...
পোটোকল ও মেট্রো ভিডিও’র ব্যানারে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ প্রযোজনা করেছেন সিঙ্গাপুরের প্রযোজক জেরেমী চুয়া, নির্বাহী প্রযোজক এহসানুল হক বাবু ও সহ-প্রযোজনা করেছেন রাজীব মহাজন, আদনান হাবিব, সাঈদুল হক খন্দকার। যতদূর জানা গেছে রেহনা মরিয়ম নূর একজন নারী শিক্ষকের গল্প, তার জীবন সংগ্রামের গল্প। নারী শিক্ষক চরিত্রে অভিনয় করেছেন আজমেরি হক বাঁধন। ছবিতে বাঁধন ছাড়াও অভিনয় করেছেন আফিয়া জাহিন জাইমা, কাজী সামি হাসান, আফিয়া তাবাসসুম বর্ন, ইয়াছির আল হক, সাবেরী আলমসহ অনেকে। ছবিটির সিনেমাটোগ্রাফার তুহিন তমিজুল, প্রোডাকশন ডিজাইনার আলী আফজাল উজ্জল ও সাউন্ড ডিজাইনার শৈব তালুকদার। ছবিটি সহ-প্রযোজনা করেছে সেন্সমেকারস প্রডাকশন। ... ...
স্কুল খোলা নিয়ে নানান তর্ক চলছে। তর্ক না হওয়াটাই অস্বাভাবিক হত। উন্নত বিশ্বে কোথায় কোথায় স্কুল কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে বা কোথায় একদিনের জন্যও স্কুল বন্ধ হয়নি তা একেকজন প্রচার করছে। এখানেই গোলটা বাঁধে। আমাদের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে আমরা ভুলে যায়। আমাদের বিপুল জনগোষ্ঠী সম্পর্কে আমাদের ধারনা থাকে না এমন মন্তব্য করার আগে। যারা আমেরিকা ইউরোপের উদাহরণ দিচ্ছে তাদের ধারনাও নাই আমাদের একেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ে যতজন ছাত্র পড়ে তা অনেক দেশের জনসংখ্যার সমান! কাজেই তাদের উদাহরণ আমাদের দেখিয়ে লাভ নাই। আমাদের সমস্যা আমাদের সমাধান করতে হবে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে সমাধানের পথে কেউ নাই। আমরা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের উদাহরণ নিতে পারি। আমি জানি না ওই দেশের স্কুল কলেজ খোলা কিনা। তারা কীভাবে সমাধান করছে এই সমস্যার তা আমাদের দেখা উচিত। জনসংখ্যা, ভৌগোলিক অবস্থা সব মিলিয়ে ভারতকে এই বিষয়ে অনুসরণ করা যেতে পারে। ওরাই যদি লেজেগোবরে অবস্থায় থাকে তাহলে আমাদের ভিন্ন পথে হাঁটতে হবে। আমাদের দেশে কত জ্ঞানী গুণীজন আছে, তাদের নিয়ে একটা সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। পরীক্ষা বা মুখস্থ বিদ্যা দ্বারা মেধা যাচাই ছাড়া আর কোন কোন উপায়ে ছাত্রদের মেধা যাচাই করা যায়, পড়াশোনার ভিতরে রাখা যায় এটা বের করতে হবে আমাদের। মোট কথা যেভাবে চলছে সেভাবে চলতে দেওয়া যায় না। ... ...