দুর্নীতি নিয়ে অনেক অভিযোগ আসছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট পক্ষের নাম-ধাম করে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাইনি (এর আগে কিছু থাকলে দেখিয়ে দেবেন, জুড়ে দেব)। আজ ডাক্তার নেতা বিষাণ বসুর লেখা পেলাম । পুরোটা প্রাসঙ্গিক নয়, বড়ও, তাই নিজের মতো করে ছোটো করে লিখলাম। মূল পোস্টের লিংকও থাকবে নিচে, পুরোটা পড়ে নিতে পারেন। বিষাণ লিখেছেন, গত কয়েকবছর ধরেই ডাক্তারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র মেডিকেল কলেজগুলোয় বিক্রি হয়। পরীক্ষার কত ঘণ্টা আগে কে প্রশ্ন পাবে, তার উপর দাম নির্ভর করে। অর্থাৎ পরীক্ষার আধঘন্টা আগে পেলে একরকম দাম, দুই ঘণ্টা আগে পেলে আরেকরকম (বেশি দাম)।কেনাবেচা কিন্তু সবার জন্য নয়। প্রশ্নপত্র বিক্রির সার্কিটের মূল কেন্দ্র - রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়। সুহৃতা পাল যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, তখন থেকেই এই ব্যবস্থার শুরু। সঙ্গে চক্রের পরিচালক হিসেবে মূল - অভীক দে এবং বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। সুহৃতা উপাচার্য থাকাকালীন নিজের ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মেন্টর’ হিসেবে নিয়োগ করেন - ছেলে নিয়মিত মাসোহারাও পেত - নিয়োগ ঘটে পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ ছাড়াই। এছাড়াও ছেলের নবগঠিত কোম্পানিকে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের কন্ট্র্যাক্ট পাইয়ে দেন। সন্দীপ ঘোষ, সুশান্ত রায়, অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস প্রমুখ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে। ... ...
১। শতরূপ ঘোষ সন্দীপ ঘোষের ভাইপো। অসত্য ২। পুলিশের দাবী, ঘটনাস্থলে বাইরের লোক ছিলেন না। ( আগের সেকশনের পয়েন্ট ২০) আংশিকভাবে অসত্য। খুব সম্ভবত দুজন ডাক্তার ছিলেন, অভীক দে এবং বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। ( ১০০% নিশ্চিত না। কিছু বদল হলে বদলে দেওয়া হবে) ... ...
এটা আগস্ট ৩১ পর্যন্ত আমার ব্যক্তিগত নোট। যাঁদের ধৈর্য্য আছে একটু দেখতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাদ গেলে ধরিয়ে দেবেন। ভুল থাকার সুযোগ কম, তবু বাইচান্স কিছু থাকলে বলবেন। জুড়তেও থাকুন। আমিও থাকব। আপডেটও করব সময় মতো। সূত্রগুলোর লিংক সবকটা রাখা হয়নি। থাকলে সেটাও দেবেন। আমিও দেব। আর দয়া করে এই সুতোয় আবোলতাবোল লেখা থেকে বিরত থাকলে ভালো হয়, আমার কাছে এক নম্বর পয়েন্টটাই প্রতিবাদের জন্য যথেষ্ট। ... ...
অনেক ভারি-ভারি জিনিস লেখা হল, এবার অন্য কথা শুনুন। এটা জীবনস্মৃতির গল্প। রবীন্দ্রনাথ তখন সদর স্ট্রিটের বাড়িতে থাকতেন। কলকাতার রাস্তা সে সময় একদম ফাঁকা-ফাঁকা। ভোরবেলা বারান্দা থেকে এদিকে ফ্রিস্কুল স্ট্রিট, ওদিকে ভিক্টোরিয়া আর ওপাশে ভবানীপুর অবধি দেখা যায়। রবীন্দ্রনাথের তখন রাইটার্স ব্লক চলছে, তাই ভোরে উঠে বারান্দায় বসে থাকতেন, যদি কোনো অনুপ্রেরণা আসে। ভিক্টোরিয়ায় দেখতেন বুট-পরা সায়েব মেম, প্রাতঃভ্রমণে। ফ্রিস্কুল স্ট্রিট শুনশান। অন্যদিকে কিছু বাঙালি লোকজন, চটি পরে চলেছে। এক মহিলাকে প্রায়ই দেখতেন উচ্চকিত স্বরে কথা বলতে বলতে চলেছেন। যেমন জোরালো কণ্ঠ, তেমনই দাপট। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ আবার একটু বিষণ্ণ ধরণের লোক, এইসব দেখে কবিতা আসেনা। কিন্তু জেদ তো কম না, তাই বসেই থাকতেন। কাদম্বরী প্রায়ই এসে তাঁর পিছনে লাগতেন, তবু বসে থাকতেন। ... ...
কিছু মনে করবেননা, আপনাদের গোয়েন্দা-গল্পগুলো অত্যন্ত খাজা হচ্ছে। লালমোহনবাবুর রহস্যরোমাঞ্চের চেয়েও। কেউ কেউ অবশ্য এগুলোকে সাংবাদিকতাও বলছেন, কিন্তু এর নাম ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম হলে, আমার নামও মারাদোনা। একটা অডিও ক্লিপ নিয়ে আকাশ-থেকে-পড়া শুনে মনে হচ্ছে সত্যিই মঙ্গলগ্রহ থেকে আপনারা এইমাত্র ল্যান্ড করেছেন। সেই জন্যই আপনারা জানেনা, ক্লিপটা সত্যি হোক মিথ্যে হোক, পশ্চিমবঙ্গে ওইরকম করেই মৃত্যুসংবাদ দেওয়া হয়। শুরুতে ভাঙা হয়না। কাজটা ভাল না মন্দ সে অন্য কথা, কিন্তু ওইরকমই হয়। ওতে রহস্যের কিচ্ছু নেই। আত্মহত্যা বলার মধ্যেও কিস্যু রহস্য নেই। ... ...
সারা জীবনে এই প্রথম কোনো প্রশাসনিক প্রধানকে ফাঁসির দাবী করতে দেখলাম। অভিষেক আরও এক ধাপ এগিয়ে এনকাউন্টার বলেছিলেন, এখন বলেছেন, কই সন্দীপকে গ্রেপ্তার কর। পাবলিক এনিমি যখন হয়েই গেছে, ওই ব্যাটাকেই বলি দেওয়া যাক, এরকম ব্যাপার। পুরোটাই উন্মাদনা তৈরির চক্কর। এমনিতেই সন্দীপ ঘোষকে পারলে লোকে ধরে ফাঁসি দিয়েই দেয়। আরও ছজন ডাক্তারের নাম বাজারে ঘুরছে দেখলাম, "আমাদের হাতে ছেড়ে দিন" দাবী সহ। কে তালিকা বানায়, কে ছেড়ে দেবে, কার হাতে দেবে, কে জানে। এবার অবশ্য খুব কেয়ারফুলি মুসলমান নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। মোট কথা, সবাই সব জানে, শুধু সিবিআই ছাড়া। যেটা বাকি আছে, সেটা হল জাস্টিস ফর সঞ্জয় রাই পোস্টার বেরোনো। ... ...
তদন্তে নতুন ক্লু এসেছে। বাইরে কয়েকটা ফচকে ছোঁড়াছুড়ি স্লোগান দিচ্ছে, এজেন্সির বড়বাবু ওসবে কান না দিয়ে ক্লাস সেভেনের ব্যাকরণ বই খুলে বাগধারা চ্যাপ্টারটা পড়ছিলেন, চুড়ি-পরা বিষয়ে তদন্তের জন্য, এমন সময় ধড়মড়িয়ে ছোটোবাবু এসে বললেন, স্যার ওদের মনে হয় ভিতরে চর আছে। শুনুন কী বলছে। বড়বাবু কান খাড়া করে শুনলেন, বাইরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে স্লোগান হচ্ছেঃ পরব চুড়ি মারব চড় / জাস্টিস ফর আরজিকর। ... ...
এই ডামাডোলে, মূল দাবীটা কিন্তু ভুলতে দেওয়া যাবেনা, যে তদন্ত এবং বিচার চাই। আরেকটা জিনিসও কিন্তু নজর এড়াচ্ছে, যে, এই লম্বা সময়ে সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা কার্যত খোঁড়া। এমনি এমনি না, একজন ডাক্তার খুন হয়েছেন এবং জুনিয়ার ডাক্তারদের যথাযথ কিছু দাবীও আছে। দাবীগুলো সুসংহত ভাবে আসেনি, এক এক করে এসেছে। আদালতে আইনজীবী সুবিচারের জন্য সিবিআই তদন্তের দাবী করেছিলেন। তারপর আসে অধ্যক্ষ সহ কয়েকজন কর্মকর্তার অপসারণের দাবী। এবং নিরাপত্তার দাবী। এই কটা একসঙ্গে না এলেও, মোটের উপর যথাযথ। এবং সবই মোটামুটি নানা পক্ষ মেনে নিয়েছে। ... ...
বীরদের মিছিল আসছে। তাদের যে গপ্পোটা প্রথম থেকেই বিপুলভাবে ছড়ানো হচ্ছে হোয়াটস্যাপ এবং অন্যান্য সমাজমাধ্যমে, নিশ্চয়ই প্রায় সবাই পড়েছেন। হোয়াটস্যাপ ইউনিভার্সিটির বয়ান অনুযায়ী, ঘটনাটা কোনো একজন একা ঘটায়নি। ঘটানো সম্ভব না। খুনের আগে নিঃসন্দেহে হয়েছে গণধর্ষণ।যারা করেছে, তাদের মধ্যে আরজিকরের অধ্যক্ষ ছিলেন। তা ছাড়া, যারা সঙ্গে ছিল সবাই সংখ্যালঘু। একজন ছাড়া, যাকে তৃণমূল-নেতার ছেলে ভাবা হয়েছিল। এবং গল্পে আছে একটি মেয়েও, সেও সংখ্যালঘু, যে নাকি নির্যাতিতার বেস্ট ফ্রেন্ড, এবং পুরোটা চলার সময়, সে নির্যাতিতার হাত চেপে ধরে ছিল। ... ...
আদালতে ঠিক কী হয়েছে, এই নিয়ে নানা মাধ্যমে নানা জল্পনা চলছে। পুরোটা নিজেই পড়ে নিন। ট্রানস্ক্রিপ্টের অনুবাদ করা হয়েছে এআই দিয়ে। অনুবাদ আড়ষ্ট হতে পারে, ছোটোখাটো ভুলভ্রান্তিও থাকতে পারে, কিন্তু ব্যাপারটা মোটামুটি এই রকমই। একটু কষ্ট হলেও পড়ে নিয়ে মতামত তৈরি করুন। ... ...