এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কারাগার, বধ্যভূমি ও একঝাঁক স্মৃতি বুলেট

    kallol
    অন্যান্য | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ | ১৩৪৭৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kallol | 213.94.228.210 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ২২:২২695507
  • ১৯৬৯। ক্লাশ নাইনে পড়ি। বাবা আইসিআইতে কেরানী। মার্কেন্টাইল ফেডরেশন করা তখনকার সিপিএম, যারা ঘেরাও করত, দরকার হলে ম্যানেজার ঠ্যাঙ্গাতো। বাবার সুবাদে বাড়ীতে মার্ক্স থেকে মাও-চে। সেইসব নেড়ে ঘেঁটে বন্ধুদের সাথে বাবার আড্ডা/তর্ক শুনে শুনে বড় হওয়া। বাবা খুব ভালো শচিনকর্তার গান গাইতো। আগরতলার মানুষ বলে, কলকাতায় শচিনকর্তার কাছে গানও শিখেছে।
    তখন নকশালবাড়ীর আগুনে পুড়ে শুদ্ধ হচ্ছে বাম আন্দোলন। বাবা কেন জানিনা সারাজীবন সিপিএম রয়ে গেলেন। কিন্তু আমার নকশাল হয়ে যাবার কারনে কোনোদিনও একটা বিরূপ শব্দও উচ্চারণ করেননি।

    পড়তাম একটা সাংঘাতিক অ্যান্টি কমিউনিষ্ট স্কুলে-সেন্ট লরেন্স। আমাদের মরাল সায়েন্স নামে একটা বিষয় ছিলো। তাতে পাশ-ফেলও ছিলো। আমাদের প্রথম এবং একমাত্র আন্দোলন হয়েছিলো - ক্লাশ ৯,১০,১১-এ মরাল সায়েন্স তুলে দিতে হবে, এই দাবী নিয়ে।
    সেটা ছিলো এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি। টিফিনে, ছুটির পরে মাঠে বসে সিনিয়ারদের সাথে মিটিং। কি করা যায়। আমি তখন মার্ক্স থেকে মাও-চে খামচে পড়া ক্ষুদে তাঙ্কিক হাত মুঠো কারে মাথার ওপর ঝাঁকিয়ে অনেক কিছু বলার চেষ্টা করছি। বড়রা বাড়ি ফেরার রাস্তায় নানা বিষয়ে পরামর্শ কারছে। ফাদাররা নজরে রাখছিলেন সব।
    একদিন হঠাৎ শোনা গেলো আমাদের বাংলার মাষ্টারমশাই সান্যাল স্যারকে মামু অপমান করেছে। মামু মানে ফাদার ডি-কক, সিনিয়ার স্কুলের প্রিফেক্ট। সেকেন্ড পিরিয়ডে তেওয়ারী স্যারের বুক-কিপিং ক্লাশের মাঝখানেই ১১-র অমিতাভদার সাথে আরও জনা কুড়ি ১১ আর ১০ এর ছাত্র এসে বলল আমরা ক্লাশ বয়কট করেছি, তোমরাও চলে এসো। তেওয়ারী স্যারের হতভম্ব মুখের সামনে দিয়ে সবার আগে বের হলো মুকুট, তার পরই আমি, তার পর পুরো ক্লাশ। বাইরে তখন ৯,১০,১১-এর দুটো করে সেকশন মিলিয়ে ছটা ক্লাশের প্রায় ২০০ ছেলে ফাদার রেক্টরের ঘর ঘেরাও করে আছে। আমরা ভেবেছিলাম পুলিশ আসবে। সন্ধ্যা নেমে এলো। পুলিশ এলো না। ফাদাররা জানতো, ১৯৬৯-এর ১৪,১৫,১৬ বছরের ছেলেরা সন্ধ্যার পরে বাড়ীর বাইরে থাকতো না। সূর্য ডোবার আগে ঘরে ফিরে হাত-পা ধুয়ে জলখাবার খেয়ে পড়তে বসতে হতো। তাই ঘেরাও উঠে গেলো। পরদিন স্কুলে ঢুকতে গিয়ে দেখি মেইন গেটে তালা। নোটিশ ঝুলছে - আজ থেকে গরমের ছুটি শুরু। কবে খুলবে তা স্টেটসম্যানে জানিয়ে দেওয়া হবে। মুকুটটা শুধু বলল যা: মাইরী শেষে স্কুলেও লক-আউট!
    সেবারের গরমের ছুটি চলল দুমাস। স্কুল যখন খুলল তখন আন্দোলন-টন সবাই ভুলে গেছে। একমাত্র এক ক্ষুদে তাঙ্কিক কিছু বলার চেষ্টা করেছিলো। তাকে বোঝানো হলো - ওরা যে দুমাস স্কুল বন্ধ করতে বাধ্য হয়ছে সেটাই আমাদের জয়।
  • kallol | 213.94.228.210 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ২২:২৪695618
  • ফাদাররা সব নজরে রাখছিলেন। সেবার আমি আর অমিতাভদা প্রায় সব বিষয়ে ফেল করলাম। আমাদের টি । সি নিতে বলা হলো। বাবা সব শুনলেন। একটা বিরূপ কথাও বলেন নি। শুধু বললেন - দেখি।
  • kallol | 213.94.228.210 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ২২:২৭695729
  • তখন ক্রিসমাসের ছুটি চলছে। একদিন ভোর রাতে তারা এলেন। আধোঘুমে থাকা ১৪ বছরের ক্ষুদে তাঙ্কিÄক কিছু বোঝার আগেই সরকারী অতিথি হয়ে গেলো। টালিগঞ্জ থানার লক আপে নানা জাতীয় লোকজনের সাথে এই সহাবস্থান বেশ মজার ছিলো। মেনকা সিনেমার ব্ল্যাকার (পরে কতো যে টিকিট পেয়েছি বিনা লাইনে), ওয়াগন ব্রেকার, চোর, চোলাই বিক্রেতা (এরা আজও আমার বন্ধু, রাস্তায় দেখা হলে সুখ দুক্ষে্‌খর কথা হয়)। এরা সকলেই সাত দিনের লক আপ বাসে আমায় যে ভাবে সাধ্যমতো আগলে রেখেছিলো, তা আমার সারা জীবনের সুন্দরতম সঞ্চয়গুলোর একটা। আমার উঠে দাঁড়াতে, হাত তুলতে কষ্ট হতো। এরা আমায় খাইয়ে দিতো। পেচ্ছাপ-পায়খানা করিয়ে দিতো।
    বাইরে তখন উত্তাল ঢেউ তার তুঙ্গে। জেলে খবর আসছে কালিঘাট ফাঁড়িতে অ্যাকশন হয়েছে। ফাঁড়ি উড়ে গেছে। গোপীবল্লভপুর-ডেবরা থেকে গণফৌজ মার্চ করছে। কলকাতার চন্ডীতলা, অশোকনগর , অন্ধ্রের শ্রীকাকুলাম মুক্ত।
    আমার বয়স আঠেরোর কম বলে আলিপুর স্পেশাল জেলের বাচ্চা (জুভেনাইল) ফাইলে রাখা হয়ছে। আমিই আলিপুর স্পেশাল জেলের কনিষ্ঠতম নকশাল। তখন পার্টির লাইন, বুর্জোয়া আদালত মানি না। ফলে কারুর মামলায় কোনো উকিল নেই। আমি ছোটো বলে, জেল কমিটি আমায় ছাড় দিয়েছে। বলেছে যত তাড়াতাড়ি পারো জামিন নিয়ে নাও। সেই প্রথম আমি ফলিত অনাথ। বন্ধ থাকার সময়টুকু আমার বন্ধু পশুপতি-পার্ট টাইম ওয়গন ব্রেকার, ফুল টাইম চোর, সত্যিকারের রসিক মানুষ। ওর কাছে চুরি আর ওয়াগন ভাঙ্গার সত্যি-মিথ্যে গল্প শুনে শুনে ""বড়"" হয়েছি আমি।
    সেদিন কেমন যেন একটু থমথমে সবাই। কেমন যেন অন্যমনা। সেদিন চেৎলার লাল্টু, পল্টু, রাসবিহরীর দেবুর, পরিতোষের কোর্টের দিন। পশুপতি কেন জানিনা সারাদিন আমায় খুব একটা পাত্তা দিলো না। কিছু জিজ্ঞাসা করলেই বলছে, মেয়েটার কথা মনে পড়ছে। বিকালের ছাড়া পাবার সময়টা হঠাৎ খুব লুডোর ঝোঁক চাপলো। আমিও ভাবলাম যাক মন খারাপটা তো গেছে।
    লুডো চলছে। বিকেল গড়িয়ে আসছে, কোর্টভ্যান ঢোকার আওয়াজ পেলাম। সামান্য নিস্তব্ধতা, একটা হঠাৎ হৈ হৈ, দুটো গুলির আওয়াজ। সাথে সাথে সারা জেল আচম্‌কা ফেটে পড়ল লক্ষ মেঘের বজ্রনির্ঘোষে - নকশালবাড়ী লাল সেলাম, শ্রীকাকুলামের বীর কৃষক লাল সেলাম, দিকে দিকে বিপ্লবের আগুন জ্বলছে জ্বলবে, অত্যাচারের মুখে লাথি মেরে জেল ভাঙ্গা চলছে চলবে ।।।।।।।।।।।।।।।
    আমি লাফ দিয়ে উঠে বাইরে যেতে চাইছি আর পশুপতি আমায় জাপটে ধরে অন্যদের চিৎকার করে বলছে দরজা বন্ধ করে দিতে। আমি জানালার দিকে ছুটে গেলাম, এক ঝলক দেখতে পেলাম চার-পাঁচ জন ওয়ার্ডার দেবুকে মাটিতে ছ্যাঁচ্‌ড়াতে ছ্যাঁচ্‌ড়াতে হাসপাতালের দিকে নিয়ে গেলো। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে আরও পাঁচ-ছ জন ওয়ার্ডার পরিতোষকে টানতে টানতে নিয়ে এলো আমাদের ওয়র্ডের সামনের শান বাধানো জায়গাটায়। দুজন পরিতোষের হাত আর পা টান করে ধরে রইলো আর বাকিরা খুব মোটা লাঠি দিয়ে পরিতোষের উপর রুটি বেলার মত করে বেলতে লাগলো। আমাদের চোখের সামনে পরিতোষ একটা কেঁপে কেঁপে ওঠা মাংসপিন্ড হয়ে গেলো। কতক্ষন ধরে জানিনা তবে পরিতোষ যতক্ষন একটুও কাঁপছিলো সারা জেল জুড়ে শরীরের সব শক্তি দিয়ে আমদের অসহায়তা ক্রোধ হয়ে ফেটে পড়ছিলো - শহীদ পরিতোষের প্রতিটি রক্তবিন্দুর বদলা চাই।
  • kallol | 220.226.209.2 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১২:০৪695819
  • জামিনে ছাড়া পেলাম একটা শর্তে তিন বছর কলকাতায় ঢুকতে পারবো না।
    খড়্‌গ্‌পুরে আইআইটিতে ক্যাম্পাসে এক আত্মীয়ের বাড়ী। উনি আইআইটিতে হিউম্যানিটিজ পড়াতেন। সেখান থেকে হায়ার সেকেন্ডারী দিলাম।
    তখন টালমাটালের শুরু। ডেবরা-গোপীবল্লভপুরের লড়াই মার খাচ্ছে। শ্রীকাকুলাম-অশোকনগর-চন্ডীতলা অলীক মায়ার মত উবে গেছে। সারা দেশের আন্ত:পার্টি যোগাযোগ বলে কিছু নেই। পার্টিতে পুলিশের লোক ঢুকে পড়েছে। এমনকি পার্টির পত্রিকা দেশব্রতী পুলিশও ছাপাচ্ছে। সেই দেশব্রতীতে নানান মুক্তাঞ্চলের খবর ছাপা হচ্ছে। হঠাৎ ছাপা হলো চটেরহাট-ইসলামপুর মুক্ত। ওগুলো ফাঁদ। তখন লোকাল ইউনিটগুলো ছত্রভঙ্গ। পুলিশ খুঁজছে। শেল্টার নেই। ফুটপাথে, হাসপাতালের এমার্জেন্সিতে রাত কাটাতে হচ্ছে। পুলিশ নিয়মিত হানা দিচ্ছে ফুটপাথে, হাসপাতালের এমার্জেন্সিতে। ফুটপাথে ঘুমন্ত মানুষের মুখে বারো সেলের টর্চ-উল্টোদিকের চোখ ধাঁধানো অন্ধকারে ধুতি-শার্ট পড়া রিভলভার হাতে ""খোচোর""। ভদ্রলোকের মতো চেহারা দেখলেই তুলে নিয়ে যাচ্ছে, নয় সোজা দানা খাইয়ে দিচ্ছে। পরদিন সকালে, যুগান্তর, আনন্দবাজার, স্টেটসম্যানে ""এনকাউন্টার""এর গল্প। হাসপাতালের এমার্জেন্সিতে রোগীর বেড নাম্বার জানতে চাইছে, এϾট্র পাস দেখতে চাইছে। সামান্য সন্দেহ হলেই - গ্রেফতার বা ""এনকাউন্টার""। এরকম অবস্থায়ও যারা কোনক্রমে টিঁকে থাকছে, তাদের অনেকেই ঐ নকল দেশব্রতীর নকল মুক্তাঞ্চলের ফাঁদে পা দিচ্ছে। সারা বাংলা এমনকি সারা ভারত থেকে সিপিআইএম-এল এর এই তাড়া খাওয়া বিদ্ধস্ত যোদ্ধারা মুক্তাঞ্চলের খোঁজে এসে ধরা পড়ছে।
    সত্তরের দশক - মুক্তির দশকের লড়াই, গ্রাম দিয়ে শহর ঘেরার লড়াই, স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানলের লড়াই, ঘাঁটি এলাকা গেরিলা যুদ্ধের লড়াই - তখন মৃত্যুপথযাত্রী আহত যোদ্ধার ব্যথাতুর গর্জন।
  • sm | 202.63.56.114 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১৩:২৪695830
  • কল্লোল,

    লাল সালাম

  • Lyadosh Chandra Mitra | 24.5.216.83 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১৪:২৪695841
  • ঐ অগ্নিগর্ভ সময়ের এত জীবন্ত বিবরণ.. এক গভীর বিশ্বাস ও বিশ্বাসভঙ্গের ইতিহাস...
    পড়ে মনে পড়ল, আমার এক পরিচিত যিনি এই ইতিহাসের অংশীদার ও সাক্ষী ছিলেন, পরে সম্পুর্ন নির্লিপ্ত, রা কাটতেন না, কেবলমাত্র একবারই তার মুখ থেকে একটা comment শুনেছিলাম... আজকের এই কমরেড-রা কত 'কম red'...
  • Samik | 61.95.167.91 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১৫:১১695852
  • কল্লোল,

    শুধু ভাল লাগছে বললে কিছুই বলা হয় না।

    একটা অনুরোধ। একটু ক্রনোলজিকালি শুরু করবেন প্লিজ? ব্যাকগ্রাউন্ডটা তৈরি হলে বাকিটা জমে যায়। ... আপনার বাবাকে নিয়ে লিখুন প্লিজ আগে। তাঁর আদর্শ, তাঁর স্বপ্ন, স্বপ্নভঙ্গ, সমস্ত কিছু, তার পরে আপনার বেড়ে ওঠার পরিবেশ, তারপরে বরং এই গল্পে আসুন।

    আপনার বাবার কথাও খুব জানতে ইচ্ছে করছে।
  • Parolin | 213.94.228.210 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১৫:২৯695863
  • শমীক , খুব ভালো বলেছো। তবে কিনা এই লেখা টইয়ে থাকলে কোথায় হারিয়ে যাবে। কল্লোল , গুরুচন্ডা৯র আগামী ইস্যুর জন্যে লিখুন না। বেশ বড় করে।
  • r | 61.95.167.91 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১৬:১৬695874
  • কল্লোলদা, একটা একটু বেয়াড়া প্রশ্ন করছি যা আজকের মুডের একটু বিপরীতে যাবে বলেই মনে হয়। তবে যেহেতু গুরুচন্ডা৯-তে আসেন তাই সাহস করে জিজ্ঞাসা করেই ফেলি: এতদিন নক্‌শাল আন্দোলনের যত ইতিহাস, স্মৃতিকথা পড়েছি তাতে কলকাতা শহরের এবং আরও শহরতলির মধ্যবিত্ত শিক্ষিত যুবকদের গৌরবোঙ্কÄল আত্মত্যাগের কথাই পড়ে এসেছি। অথচ গ্রাম দিয়ে শহর ঘেরার আন্দোলনে নিশ্চয় গ্রামের অশিক্ষিত দরিদ্র জনসাধারণের অংশগ্রহণ ছিল। তাঁদের কিন্তু বিপ্লবী কিন্তু মৌন জনতার অংশ ছাড়া অন্য কোনোভাবে দেখি নি। তাঁদের পৃথক কন্ঠস্বর কোথাও শুনতে পাই নি। তাঁরা কোথায় গেলেন?
  • sumeru | 59.93.206.234 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১৬:২০695508
  • ওফ, পল্লিন আবার মিসগাইড করে। শমিকেরও সেই ধান্দা।
    কল্লোলদা কোনো ক্রোনোলজির হিসেব করো না। যেমন খুশি লেখ।

    বাকি কথা পরে হবে। :)))
  • J | 160.62.4.10 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১৬:২৩695519
  • কল্লোলদা, উদ্‌গ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছি এর পরের লেখাগুলোর জন্যে।
  • Parolin | 213.94.228.210 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১৬:২৫695530
  • আমি আবার মিসগাইড কল্লুম কোথা ? শুধু বল্লুম যে এমন মুক্তোগুলি আলাদা করে সাজিয়ে রাখার কথা , অজস্র টইয়ের ভীড়ে হারিয়ে যাতে না যায়।
    কল্লোল , কাটিয়ে দেন । শুধু লিখুন , যেভাবে খুশি আর যত খুশি। পড়ে ধন্য হই।
  • kallol | 220.226.209.2 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১৬:৪৬695541
  • কেন জানিনা কথাটা পরে খুব চালু হয়ে গেলো, এখনো চলে - ""৭০-৭১-রের সময়"", ""৭০ দশকের লড়াই"", ""৭০-এর প্রোডক্ট""..............
    অথচ ১৯৭০ থেকেই তো শেষের শুরু। পূর্ব বাংলার অস্থিরতার খবর চুঁইয়ে আসছে। চুঁইয়ে আসছে, কারন কোন মিডিয়াই (মিডিয়া বলতে খান চারেক খবরের কাগজ-যুগান্তর, আনন্দবাজার, সত্যযুগ, স্টেটসম্যান আর রেডিয়ো- আকাশবাণী) কোন ধরনের প্রতিরোধ, লড়াই এসব খবর ছাপতো না। ছাপলেও খুব দায়সারা গোছের, ছোট্ট করে ছাপতো। কি জানি, ওসব খবরে যদি ভেঙ্গে পড়া নকশালরা.....
    ১৯৭১। ভাঙনের শুরু। পূর্ব বাংলার মুক্তিযুদ্ধের মূল্যায়ন নিয়ে পার্টি দুভাগ। চারুবাবুর লাইন - মুজিব হলো ভারতের দালাল। সোভিয়েৎ সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ আর তাদের পা চাটা কুত্তা ভারতীয় সম্প্রসারণবাদীরা, চেয়ারম্যানের চীনকে ঘিরে ফেলার চক্রান্ত করছে। যে কোন মূল্যে এই চক্রান্ত রুখতে হবে। কমরেড্‌স, বিপ্লবের কাজ ত্বরান্বিত করুন। পূর্ব বাংলার বিচ্ছিন্নতাবাদী দালাল মুজিব চক্রকে পরাজিত করুন।
    ডেবরা-গোপীবল্লভপুর থেকে অসীম-সন্তোষ পাল্টা লাইন দিলো - মুজিব যে উদ্দেশ্যেই শুরু করুক না কেন, এখন লড়াইয়ের রাশ জনগনের হাতে চলে গিয়েছে। ফলে এটা মুক্তিযুদ্ধই। কিন্তু এ তো একটা বিষয়। অন্য নানা নীতিগত প্রশ্নে নিয়েও আলোচনা শুরু হলো। খতমের লাইন নিয়ে, গণসংগ্রাম বাদ দিয়ে শুধু গেরিলা লড়াইয়ের লাইন নিয়ে তুমুল বিতর্ক। নিজেদের মধ্যে যোগযোগহীন, পুলিশের তাড়ায় আত্মগোপন করে থাকা, শেল্টার নেই, ঠিকমত খাওয়াও জোটে না অনেকের, তার মধ্যে এই তাঙ্কিÄক লড়াই, চলল সারা ভারতের সমস্ত নকশাল দলগুলোর ভিতর, এমনকি জেলেও। শেষ পর্য্যন্ত পার্টি ভাগ হলো। বিহারের কৃষক নেতা সত্যনারায়ন সিনহার নেতৃত্বে অসীম-সন্তোষ আলাদা হয়ে গেলো।
    আমাদের মধ্যে প্রশ্ন উঠছিলো অনেক আগে থেকেই। কিন্তু প্রকাশের জায়গা ছিলো না। পার্টি গোড়া থেকেই গোপন। ফলে আমাদের মতো ছোটো-খাটো কর্মীদের কথা বলার, তর্ক তোলার কোন জায়গা ছিলো না। আমরা প্রতিদিনের অভিজ্ঞতায় বুঝতে পারছিলাম কোথাও একটা গন্ডোগোল হচ্ছে। মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি।
    এর বেশ কয়েক বছর আগে, সিপিআইএম-এল এর কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ষীয়ান নেতা সুশীতল রায়চৌধুরী, চারুবাবুর খতমের লাইন নিয়ে, গণসংগ্রাম বাদ দিয়ে শুধু গেরিলা লড়াইয়ের লাইন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু তখন জোয়ারের সময়। লড়াই চলছে জোরদার। তার বিরোধীতা কেউ আমলই করলেন না। পার্টি থেকে প্রকৃতপক্ষে বিচ্ছিন্ন, আত্মগোপন করে থাকা অবস্থায়, হুগলীর এক নার্সিংহোমে মারা যান তিনি। পার্টি ভাগ হবার পর আবার সুশীতলবাবুর সেই দলিলটা নিয়ে কথা শুরু হয়।

  • kallol | 220.226.209.2 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১৭:০১695552
  • র - একদম ঠিক জায়গা ধরেছো। গ্রামের সাধারন মানুষের ভুমিকা। লিখবো। আমি যা দেখেছি, বুঝেছি - সব লিখবো।

    এই লেখা শুধু তোমাদের তোমাদের তোমাদের জন্য সম্ভব হলো। বহুদিন ভেবেছি, কিন্তু ঠিকঠাক ইচ্ছেটা করেনি। তোমরা করিয়ে দিলে। বন্ধুদের ধন্যযোগ বা বাদ এমনকি দু:খিতও বলতে নেই-এটা আমার বিশ্বাস। তাই গুরুচন্ডালীর সক্কলকে আমার হৃদয় ভেঙ্গে টুকরো করে বিলিয়ে দিলাম।
  • Arjit | 128.240.229.3 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১৭:০৬695563
  • চারুবাবু কেন খতমের লাইন বেছে নিলেন সেটাও আমার কাছে একটা প্রশ্ন। অনেক রকম মত শুনি। সেটাও একটু লিখবেন?
  • r | 61.95.167.91 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১৮:০৭695574
  • একটা কনফিউশন হচ্ছে। দীপ্তেনদা "আমার সত্তরে" লিখছেন: "সে সময় অসীম চট্টোর গ্রুপ চীনা পার্টির সরকারী লাইন বরাবর এই যুদ্ধের খুব বিরোধিতা করেছিলো এবং রাজাকারদের দেশপ্রেমিক পাকিস্তানী জন্তা বলে খুব সমর্থন করতো।" কল্লোলদা উলটো কথা লিখছেন। বুঝতে পারছি না।
  • dam | 202.54.214.198 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১৮:২২695585
  • দীপ্তেনদা আজও অন্য থ্রেডে বেশ জোর দিয়ে লিখেছেন সেকথা। একটু কনফিউসড হয়ে গেলাম।

  • Tirthankar | 130.207.93.156 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ২২:২০695596
  • অবিশ্বাস্য ! এই টই-এ অমূল্য জিনিস জমা হচ্ছে! সেলাম কল্লোলদা। দীপ্তেন্দা ফাঁকে ফাঁকে কিছু মণিমুক্তো গুঁজে দিলে টইটা একটা বাড়তি ডাইমেনশন পাবে।
  • Tirthankar | 130.207.93.156 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ২২:২৭695607
  • শমীক আর পারোলিনের দাবি সাপোর্ট করছি। কল্লোলদার কাছ থেকে গুরু-র নেক্সট ইস্যুতে লেখা চাই।
  • J | 84.72.45.237 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ২২:৩০695619
  • আমার একটা দাবী আছে। কল্লোলদা কল্লোলদার মতো লিখুক, ডিডি ডিডির মতো লিখুক। এখুনি দুজনকে প্রশ্নোত্তর কত্তে বসিয়ে দিলে লেখাগুলোর ফ্লো নষ্ট হবে।
    অবিশ্যি এটা আমার দাবী। কাজেই।
  • tan | 131.95.121.127 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ২২:৩৪695630
  • আমি য কে সেকেন্ড করলাম।
    কল্লোলদার লেখাগুলোর জন্য উদগ্রীব অপেক্ষায় আছি।

  • kallol | 221.135.208.36 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ২৩:০৬695641
  • দীপ্তেনকে অনুরোধ, এই সুতোটায় জড়িয়ে যাও। স্মৃতি আমায় ছেড়ে গিয়েছিলো। তুমি না ধরলে, দ্যাখোতো কি সাংঘাতিক একটা ভুল থেকে যেতো।
    পূর্ব বাংলার মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা অসীম-সন্তোষ করেছিলো চীনা পর্টির লাইন ধরেই। চারুবাবুর লাইন ছিলো ইয়াহিয়া আর ইন্দিরা দুই বাহিনীর বিরুদ্ধেই একসাথে লড়ুক মহম্মদ তোহাদের ইপিসিপিএম-এল। ""এখন এই লড়াইয়ের রাশ জনগনের হাতে"" এটা অসিত সেনের লাইন ছিলো। উনি এর বেশ কিছু আগে, প্রায় সিপিআইএম-এল এর প্রথম দিকেই পার্টি ছেড়ে দ্যান।
    এই প্রসঙ্গে একটা কথা মনে পড়লো, কি সব কান্ডো হতো! অন্য একটা দেশের কমিউনিষ্ট পার্টি তাদের লড়াই কিভাবে লড়বে সেটা ঠিক করে দেবে আর একটা দেশের কমিউনিষ্ট পার্টি! তেলেঙ্গানা-তেভাগা থেকে পূর্ব বাংলার মুক্তিযুদ্ধ সেই ট্র্যাডিশন.........
  • dd | 202.122.18.241 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ২৩:১২695652
  • না কল্লোল, তোমার কথাই শুনতে চাই। লেখো।

    তুমি সেন্ট লরেন্স ? ৭০ -৭১- মনে কি পরে গর্মেন্ট কোয়ার্টারের (বি সি রোড) দীপুকে? চিনতে? নাম জানতে?

    হয়তো দু একজন চেনা জানা বেরিয়ে যাবে।
  • bozo | 129.7.154.66 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ২৩:১৪695663
  • কল্লোল দা, মাইরি বলছি লেখাটার কপি রাইট নিয়ে রেখো।
    দীপ্তেন দা কেও বলি। সে কি আর আমার মত বড় দের কথা শোনে? চ্যাংড়া ছোকরা।

    এই লেখা এক করে পি ডি এফ কে করবে? কে আছো জোয়ান হও আগুয়ান।

    মামু পুরো লেখা টা এক সাথে তুলে গুরু নয় তে দিয়ে রেখো। অনেক পরে লোকে যখন টই খুঁজে পাবে না, সহজে পেয়ে যাবে।
  • dam | 61.246.18.117 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ২৩:২১695674
  • পি ডিএফ নিয়ে ভেবো না। আমি আছি।

    কল্লোলদা,
    আপনি আপনার মত করে লিখে যান। যেমনভাবে লিখতে ইচ্ছে হয় সেইভাবেই লিখুন।
  • Layadosh Chandra Mitra | 128.48.203.140 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ২৩:২৫695685
  • এই তো - চলতে থাকুক স্মৃতিচারণের এই অসাধারন যুগলবন্দী। এ যেন লাইভ কমেϾট্র.. সময় যেন ৩০-৪০ বছর পিছিয়ে গেছে... আরো চাই...
  • Ru | 65.87.185.18 | ২৮ অক্টোবর ২০০৬ ০২:০৬695696
  • অসাধারন কল্লোল দা, লিখে যান, পড়তে পড়তে চোখের সামনে যেন ছবি ভেসে উঠছে।
  • Paramita | 143.127.3.10 | ২৮ অক্টোবর ২০০৬ ০২:১২695707
  • ঈশান, এই লিংকটা আমি দু-একজনকে ফরওয়ার্ড করছি, এটাও কি পাল্টে যেতে পারে?
  • dri | 199.106.103.254 | ২৮ অক্টোবর ২০০৬ ০৭:২৫695718
  • এই থ্রেডটা আজ আমি প্রথম পড়লাম! রোজ ভাটে ভাটিয়ে চলে গেলে এই হয়। কল্লোলদা আমিও সেন্ট লরেন্স। তবে আপনার চেয়ে অনেক জুনিয়ার। আমার ছিয়াশি মাধ্যমিক। অবক্ষয়ের গোড়াতে (৭০ এ) জন্ম। নকশাল পিরিয়ডের বিশেষ কোন স্মৃতি নেই। শুধু খুব ছোটোবেলায় মনে আছে একবার বাবা বাজার থেকে বাড়ি ফিরল, জামা পুরো রক্তাক্ত। মা হুড়মুড় করে ছুটে এল। কিন্তু বাবার কিছু হয়নি। কিন্তু বাবার প্রায় চোখের সামনেই একটি লোক ড্রেন পরিস্কার করছিল, এমন সময় একটি ঐ ড্রেনের মধ্যে ফেলে দেয়া একটা বোম বার্স্ট করে। লোকটি রক্তাক্ত অবস্থায় এসে বাবাকে জড়িয়ে ধরে। বাবা রিকশা ডেকে ওকে শিশুমঙ্গলে ভর্তি করে দিয়ে আসে। পরে খবর নিয়ে জানা গিয়েছিল লোকটি মারা গেছে।

    যাই হোক, আপনি আরো লিখুন। বড় করে। অত আগের ব্যাচে কাউকে চিনি না। কিন্তু আপনাদের চেয়ে একটু জুনিয়ার ব্যাচের অমরকে চিনতেন কি? পুপাইঅকে?
  • Riju | 124.7.96.173 | ২৮ অক্টোবর ২০০৬ ১০:১২695730
  • কল্লোল দা অসাধারন।দীপ্তেন দাও লিখুন আরো।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন