এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ফেসবুক থেকে কিছু পুরনো লেখা

    sosen
    অন্যান্য | ১৮ আগস্ট ২০১২ | ১৮২১৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ঐশিক | 213.200.33.67 | ১০ অক্টোবর ২০১২ ১৪:২৫570007
  • কিছুই বলার নেই, খুউউউব ভালো লাগলো
  • কৃশানু | 226.113.128.239 | ১০ অক্টোবর ২০১২ ১৪:৫৭570018
  • সোসেন, লেখাটা খুব ভাল্লাগলো।
  • aranya | 78.38.243.161 | ১১ অক্টোবর ২০১২ ০৭:১৮570029
  • অসম্ভব ভালো লেখা।
  • sosen | 111.62.54.76 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ১৮:৪৫570040
  • ___________________________________________________________________________________________________

    সবুজ জল। জলের নিচেও যতদূর যাও, আরো জল, আরো জল, আস্তে আস্তে সবুজাভ কালো, ঘূর্ণি, চারদিক থেকে বাঁকাচোরা মোশনে এগিয়ে আসা কচুরিপানার দঙ্গল। ফুসফুসে ক্রমশ কমতে থাকে হাওয়া। আর কি দেখতে পাব না নীল রং, মায়ের বিনুনির আগায় লাগানো লাল ক্লিপ, দুলতে থাকা প্রদীপের রংহীন প্রভা, এই সবুজ আস্তে আস্তে ঢেকে নেবে আমায়? ছটফট ছটফট করতে থাকি, ধমনীর রক্তস্রোত অব্দি যেন ঠান্ডা আঁশটে জল হয়ে আসছে, মাথা জলের ওপর ওঠে আবার ডুবে যায়, আর খুব কাছেই কিন্তু বাঁশের ঘাটে হাঁটু মুড়ে বসে এক দুই বিনুনি বিষণ্ণমুখী কন্যা আমার পানে হাত বাড়িয়ে থাকে। না আমি ধরতে পারিনা সেই হাত। শুধু খাবি খেতে খেতে দেখতে পাই তার অমানুষিক বড় বড় করুণ দুই চোখ, ফুলকাটা ফ্রকের গলার কাছে ফ্রিল, কলা বিনুনির উপর পাকে লাল ফিতের ফুল ঠিক যেন অস্তমান সূর্য। সমস্ত পৃথিবী যেন এসে অস্ত যাচ্ছে ওই কঙ্কাবতীর ঘাটের পিছনে, আর আমাকে কেউ বলে দেয়, এই যে বাড়ানো ছোট ছোট হাতদুটি ধরতে না পারা, এই যে আলোর রং ঘোলাটে সবুজ হয়ে আসা, এই শ্বাসের ভিতর জলের ফোঁটার ছোঁয়া, এর নাম মরে যাওয়া।

    আমি পা ছুঁড়তে থাকি, হাত ছুঁড়তে থাকি, নিজেকে ভাসিয়ে দেওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করতে থাকি, তারপর এক সময় ঘেমে নেয়ে পর্যুদস্ত হয়ে উঠে বসি বিছানার উপর। ঘুম ভেঙ্গে যায়।
    শৈশবের শেষ থেকে দীর্ঘ দীর্ঘ দিন এই এক স্বপ্ন দেখেছি আমি। রোজ রোজ এক স্বপ্ন দেখে ভয় পেয়ে উঠে বসা। মৃত্যুভয় আমার কাছে জল। ঠান্ডা, কালো, একটু ভারী সবজেটে জল। তার মধ্যে মুখ খোলে আর বন্ধ করে অগুন্তি ছোট ছোট মাছ। যেন জলের হৃদয় ধক ধক করে। অথবা মৃত্যুর।

    তখন বয়েস হয়ত দশ। যে পাড়ায় থাকি, তার চতুদ্দিকে পুকুর। আমাদের বাড়িটি দুটি পুকুরের মাঝে। আমাদের পাড়ায় রয়েছে এক অনবদ্য পুকুর সংস্কৃতি। পুকুরে আমাদের দিন শুরু হয়, শেষ ও হয়। আমরা পাড়ার কুচে কাঁচারা ভোর পাঁচটায় উঠি। ফ্রকের নিচে লম্বা ফ্লানেলের প্যান্ট, কিংবা ছেলেরা হাফপ্যান্ট পরে ঘুম জড়ানো চোখে এ ওর জানলায় ধাক্কা দি। আধো অন্ধকারের রাস্তা ধরে স্কুলের মাঠের দিকে আমাদের জগিং শুরু হয়, সামনে নিন্কা কাকা, সদ্য মিলিটারির চাকরি থেকে অবসর নিয়ে বাড়ি এসে বসেছেন। ছেলেমেয়েদের স্বাস্থ্যের দায়িত্ব ওনার, বিকেলে খেলার দায়িত্ব ওনার, আর বাঁদরামি কল্লে চাট্টে চড় মারার প্রভিশন ও। কাজেই ছুটতে ভালো লাগে যার সে-ও ছুটতে বেরয়, না লাগে যার সে-ও। দৌড়ে আমরা যাই দমদম্পার্ক ইস্কুলের মাঠে। সেখেনে ড্রিল হয়। পুকুরের থেকে হেমন্তের ধোঁয়া ওঠা দেখতে দেখতে ল্যাকপেকে সিং আমি যে কোনো আসন অবলীলাক্রমে করে দি। তা-ও আমায় সবাই "সোনার খনি " বলে। ব্যাগের থেকে ব্রাশ বের করে আমরা মাঠের ধারের কলে দাঁত মাজি। দুধঅলা কাকুরা ঠুনঠুন সাইকেলে দুধ নিয়ে বেরিয়ে পড়ে, আর কাগজের ক্রিং ক্রিং। ছটার মধ্যে দৌড়ে বাড়ি ফিরি আমরা, সামনে মিলির চুলে বাঁধা হর্স টেইল এর উপুড় ঝুপুর দোলা দেখতে দেখতে। দলের অনেকেই আবার এখানেই ইস্কুলে আসবে, হেঁটে বা সাইকেলে , তাদের অবিশ্যি খুব হিংসে হয়না। আমি ইস্কুল বাসে করে যাব, সেই বাস নটায় আসবে আমাদের পাঁচিল ঘেরা পাড়ার গেটে। তার আগে আছে স্নান।

    স্নান , জল পুকুর এসবের সঙ্গে দাস্ভিলা -দমদমপার্ক অঞ্চলের সুনিবিড় সম্পর্ক। আমি নটায় বেরুই, তাই আমরা দ্বিতীয় লটের স্নান করিয়ে। সাতটা সাড়ে সাতটায় একদল আপিস যাত্রী স্নান করে যান। আমি জলে নামি আটটায়, মা সাড়ে আটটায় চিত্কার করবে, নৈলে আমি উঠবোই না। অথচ মজার কথা শুনুন, আমি সাঁতার জানিনা। আমি গলা অব্দি জলে ডুবে বসে থাকি, মা বাবা ভাবে শিগগিরই শিখে যাব, আমিও এই শিখে ফেলবো ফেলবো করছি। কিন্তু শিখিনি এখনো। এদিকে সাঁতার কাটতে পারিনা বলে এই জলকেন্দ্রিক বন্ধুমহলে নাজেহাল অবস্থা হয় আমার। সক্কলে মাঝপুকুরে সাঁতরে গিয়ে গোপন কথা গল্প করে, ভাসতে ভাসতে। আমার সে সব শোনা হয়ে ওঠেনা। সকালে ডুবিয়ে স্নান, বিকেলে খেলার পর আরেকদফা, এই রুটিনে ফিট হচ্ছিনা কিছুতে, তবে আশা আছে, আশা থাকে যে এই ফ্রকের কোচড় ফুলিয়ে বেলুন করে ভাসতে ভাসতেই একদিন হঠাত জল আমাকে আপন করে নেবে, রশ্শি তুলে দেবে হাতে।

    সে ছিল এক শনিবার। ইস্কুল ছুটি। প্ল্যান হয়েছে, ঝিলমিল যাব। হ্যাঁ-অ্যাঁ, ঝিলমিল, তখন ও সে নিক্কো পার্ক হয়নি। টয় ট্রেনে চড়ব। আমি , মা, পাশের বাড়ির কৃষ্ণা মাসি, আরো যেন কে কে। মা বলল-যা: চটপট স্নান করে আয়। বেশি ডুবাস না। শিগগির চলে আয়, বেরোতে হবে।
    ছুট্টে পুকুর। পুকুরে /নদীতে ডুবানোর নেশা যে কি সে যারা জানেন তারা জানেন। জল নেশা দেয়। টানতে থাকে। চোখ লাল টকটক করে। চামড়া কুঁচকে আসে। তবুও জল থেকে উঠতে ইচ্ছে করেনা। সেদিন ও করেনি।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.240.114 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ১৯:১৩570051
  • তারপর?
  • sosen | 111.62.54.76 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ১৯:২৩570062
  • মস্ত পুকুর, বড় পুকুর বলি তাকে। দুইদিকে তার লাল মেজের ঘাট, তকতকে সিঁড়ি নেমে গেছে কালো জলের নিচে। ঘাটে লাল সিমেন্টের বাঁধানো বেঞ্চিতে বসে গল্প করে সকলে। দুদিকের রানা থেকে জলে ঝাঁপ দিয়ে ডাইভিং প্র্যাকটিস করে সাঁতারুরা। চারদিক বাঁধানো। জলে আছে অজস্র তেলাপিয়া মাছ, তারা সারফেসেই ঘোরাঘুরি করে। আর ঘাটে কেউ বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে কুটুস কুটুস করে কামড়ে দেয়। আছে মস্ত লম্বা জলঢোড়া সেগুলো কামড়ায় না। আর আছে কিছু কচুরিপানা ধারের দিকে। আর আছে জলের তলায় কোথাও এক লুকোনো ঘূর্ণি। যা কেড়ে নেয় দু-এক বছর অন্তর অন্তর কাউকে না কাউকে।

    সেদিন ঘাট ফাঁকা , শুনশান। জলের মধ্যে সময় কাটাতে কাটাতে যে দু চার জন ছিল তারাও উঠে গেল। আমি যে পর্যন্ত আমার গলাজল, সেই সিঁড়িতে এদিক ওদিক করি। কখনো একটু উঠে এসে সিঁড়ি ধরে সাঁতার কাটি, এতোল বেতোল ভাবি। মা চেঁচালেই উঠে পড়ব ভাবি। ঘাটে একজন কেউ এসে কাপড় ধুচ্ছে। আমি সময় কাটাই। আর হঠাত আমার পা পিছলে যায়।

    এক সিঁড়ি , দু সিঁড়ি করে আমি আস্তে আস্তে চলে যাচ্ছি জলের অভ্যন্তরে। প্রথমটা ভাবি সামলে নেব, একটু পা ছুঁড়লেই পেয়ে যাব থৈ। আগেও এমন কতবার হয়েছে। কিন্তু না, এবার পাইনা। যতই পা ছুঁড়ি, পায়ের নিচে শুধু জল। আমার ফুসফুস আতান্তরে পড়ে। আমি চিত্কার করে কাউকে ডাকতে চাই, কিন্তু বাতাস পাইনা। প্রত্যেক চেষ্টার সাথে একবুক করে জল খাই। একবার ভেসে উঠি, দেখতে পাই লাল ঘাট, কৃষ্ণচূড়া, দূরে আমার বাড়ির জানলা, ঘাটে নিশ্চিন্ত মনে কাপড় ধুচ্ছে কেউ-কারোর কাছেই আমার ডাক পৌঁছয় না। আমি ডুবি -উঠি। ডুবি-উঠি। আর এইবার ভয় পাই। সবুজ ভয়।

    চতুর্দিকে মিষ্টি, নেশার মত বুনো গন্ধ ওলা জল। যার সাথে ভাব করতে চেয়েছি সেই কবে থেকে। এইবার সেই জলের টান আমায় অতলে নিতে থাকে। আমার লজিক গুলিয়ে আসে, হাত ভারী হয়ে আসে। যতবার উঠি বাতাসে খাবি খাওয়ার জন্য, দৃষ্টি হয়ে আসে অস্বচ্ছ। আবছা মনে পড়ে, কাল আনন্দমেলা বেরোবে। আর আজ বিকেলে নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই আইসক্রিম খেতাম। আবছা মনে পড়ে বাবার ফ্যাক্টরিতে লাল চুল্লির গনগনে আগুন। আর এই জল এত ঠান্ডা আর আঠালো হয়ে আসছে কেন? অন্ধকার হয়ে আসছে দিন। কতক্ষণ, কতক্ষণ ভেসে ওঠার এই চেষ্টা করতে হবে ? ক্লান্তি গ্রাস করতে থাকে আমাকে। আমার মনে পড়েনা আর কিছু, জল ছাড়া। যেন জন্মজন্মান্তর এই করে চলেছি আমি। খাবি খাওয়া। ওই ভেসে থাকার চেষ্টা বাঁচিয়ে রেখেছিল আমার ব্রেনের অক্সিজেন সাপ্লাই। প্রায় দশ মিনিট। তারপর অন্ধকার। স্মৃতি জলের মত একরঙা, বোধহীন। আমি হাত ছেড়ে দিই। পা ছোঁড়া বন্ধ হয়। আমি জলের নিচে যেতে থাকি, ভারী ইঁটের মত। ডুবে যাই, সোজা কথায়।

    আরো পাঁচ ছ' মিনিট পর চুলের মুঠি পাকড়ে পুকুরের পাশের বাড়ির জিতেনকাকা জ্ঞানশূন্য নীল আমায় তুলে আনে।
  • কল্লোল | 111.63.250.124 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ১৯:৩৭570073
  • ওপাড় ছুঁয়ে এসেছো তাই এমন করে লিখতে পারো
    (তোমার) লেখায় তাকে ছুঁতে পাবো, লিখতে থাকো আরও আরও
  • sosen | 111.62.54.76 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ২০:০৮570084
  • লোকে বলে ব্রেন ইসকিমিয়া। আমি বলি, মাথার মধ্যে জলস্রোত। অন্ধকারের মধ্যে একটু একটু টের পাই শত মাছের কামড় পাঁজরে। রোগা পিঠের উপর ভারী হাতের পাম্পিং টের পাই। ঘাটের রানায়, শক্ত সিমেন্টে নাক ঘষে যায়, জ্বালা করে। আস্তে আস্তে চিন্তায় সাড় ফেরে , মাথার মধ্যে থেকে জলস্রোত মুখ নাক তেতো করে বেরিয়ে আসে। চোখ খোলার চেষ্টা করি, পারিনা, চোখের পাতার ওজন যেন দু:সহ। মনে হয় অনেক দূর থেকে গুঞ্জনের মত কোলাহল ভেসে আসছে। অনেক লোক, অনেক লোক, কিন্তু আমি নড়তে পারিনা। দেখতে পাই না। শুনতে পাইনা। আমার শরীর কাঁপতে থাকে , ঠান্ডায় নয়, ভয়ে নয়, আপনা আপনি। কারা যেন কম্বল দিয়ে জড়িয়ে তুলে নেয় আমায়, অমনি উপুড় করে। খানিক বাদে আমি গন্ধ পাই। আঁশটে গন্ধ। আমার গা গুলোয়, বমি উঠে আসে, তেতো পিত্তজল বেরোয়, আর বমির ধমকে এইবার আমার হাতে পায়ে সাড় ফেরে, চোখ দিয়ে জল গড়ায়। আমায় কেউ বিছানায় শুইয়ে দেয়, কেউ ভিজে জামা ছাড়িয়ে দেয়। আমি নির্বাক তাকিয়ে থাকি, কারণ আমি দেখতে পাচ্ছি, এতক্ষণে আমি দেখতে পাচ্ছি, জল নয়, শক্ত, সলিড মাটি, মানুষের চলাফেরা, মায়ের চেনা শাড়ি, এগুলো জল নয়, স্রোত নয় , বয়ে যাওয়া নয়। ডাক্তার কাকু আসছে, বাবা সাইকেল নিয়ে ফ্যাক্টরি থেকে ফিরে এলো, আমি দেখতে পাই, আমি নড়ি না। আমার ভয় লাগে। নড়লেই যদি আবার স্বপ্ন হয়ে যায় সব, আবার তরল হয়ে বয়ে যায়! বাবা ডাকে , মা ডাকে, আমি সাড়া দিই না, কিন্তু মুঠো করে মায়ের আঁচল ধরে থাকি। বাবা আমায় শক্ত করে জড়িয়ে পাশে শুয়ে থাকে, সিগারেটের গন্ধ , ওম, ভর দেবার জায়গা, নড়লেই যদি সর্বস্ব মুছে যায়? মা কিছু খাওয়াতে চায়, আমি খেতে পারিনা। আমার শরীরময় আঁশটে গন্ধ। বমি পায়। তারপর আমি ঘুমিয়ে পড়ি।

    অন্ধকারের মধ্যে সেই জল ফিরে আসে। সেই বালিকা বড় বড় গরুর মত ড্যাবডেবে চোখ মেলে হাত বাড়ায়। আর শিউরে, উঠে বসি আমি।

    রোজ। ঘুমোতে ভয় পাই। আর আমি জলের কাছে যাইনা। যে কোনো মুহূর্তে আমার পায়ের নিচে পৃথিবী গলে একটা ঘূর্ণি হয়ে যেতে পারে, এই ভয়ে কাঁটা হই আমি, আরো চুপচাপ হই। মৃত্যু যেন মাঝে মাঝেই মিচকি হেসে বলে -কি হে দেখলে? এই হলাম আমি। রবিঠাকুরের কথা মেনোনা। আমার চেয়ে বড় কে আছে আর! যেকোনো দিন এক নখে বিঁধিয়ে নিয়ে যেতে পারি তোমায়। আমারি দয়ায় আছ। নৈলে কি থাকতে?

    আমার গলার নিচে একটা জবাব তিরতিরিয়ে কাঁপে। হ্যাঁ, আমি জানি, আমি জানি এর জবাব। কিন্তু মুখে আসেনা, ঠিক বলতে পারিনা, ছোট যে। বই খুঁজি, ভাষা খুঁজি, কিন্তু উত্তর আর ট্রান্সলেট হয়না ভাষায়। আর প্রত্যেক রাত্রি হয়ে ওঠে বিনিদ্র, প্রত্যেক স্বপ্ন ট্রমা। দীর্ঘ , দীর্ঘতর হয় আমার রাত। এ যেন নতুনতর চ্যালেঞ্জ। আমি কি তাহলে হেরে যাব?
    ____________________________________________________________________________________________________________
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ২০:১৫570095
  • সোসেন খুব ভালো লেখে। একদম সিনেমাটিক। পড়ছি...
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.240.114 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ২১:০৭570101
  • তারপর, অনেক অনেকদিন পর একদিন, সাঁতারটা শিখতেই হল কি?
  • sosen | 111.62.54.76 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ২১:০৯570102
  • পুকুরধারে বাস, ভাবনা বারোমাস ......... তাই ভেবেচিন্তে আমার মা-বাবা ডাকলো মানিক্কাকুকে। মানিক্কাকু কালো, ইয়া বাইসেপ, ইয়া ট্রাইসেপ, এখনকার দিন হলে সিক্স প্যাকটাও খেয়াল করতাম। মানিক্কাকুর পরিচয় হলো-সকালবেলা মানিক্কাকু দুধ বিক্রি করে। দুপুরবেলা মানিক্কাকু সাঁতার শেখায়, পাড়ার ছোট ছেলেপুলেদের। আমাদের পাড়ায় সাঁতার শেখার গড় বয়েস হলো ৫-৬। সেখানে আমার মত ধেড়ে বাচ্চাকে সাঁতার শেখানো চাট্টিখানি কথা নয়। তায় যে নাকি একবার ডুবে মরতে মরতে বেঁচেছে।
    আমি শুনেই কাঁদতে শুরু করলাম। কিছুতেই, কিছুতেই আমি জলের কাছে যাবনা। একবার বেঁচেছি , পরের বার কি আর বাঁচব?
    বাবাও অনড়। না , সাঁতার শিখতেই হবে।
    রোববার মানিক্কাকু এগারটায় আমায় নিয়ে যাবে পুকুরে। আমি মানিক্কাকুর গলা পেয়েই দৌড়ে গিয়ে লুকোলাম বাথরুমে। সেকেলে বাথরুম, তার দরজায় ছিটকিনি অনেক উঁচু, দেওয়ার আগেই মানিক্কাকু আমায় পাঁজাকোলা করে তুলে ফেলল। আর নিয়ে গিয়ে ফেলে দিল জলে, নিজেও ঝাঁপিয়ে পড়ল।
    মা দাঁড়িয়ে রয়েছে ঘাটে। অঝোর ধারে কাঁদতে কাঁদতে, ভয়ে এত্তটুকু হয়ে মানিক্কাকুর পিঠের উপর ভেসে থেকে দুবার পুকুর পারাপার করলাম আমি। কিন্তু সাঁতার শিখলাম না। দুটো , তিনটে রোববার চলে গেল। মানিক্কাকু ছেড়ে দিলেই আমি জল খাই, ডুবে যেতে থাকি, আমার হাত পা শক্ত হয়ে যায়। ভয় দেখালেও নড়তে পারিনা। মাথা কাজ করেনা। সবুজ জল আমার মাথায় শুধু ভয় আনে, আর তার সাথে বন্ধুত্ব হয়না আমার। জল আমার চিন্তা গুলিয়ে দেয়, নিচের পানে সেই অতল ঘূর্ণি আমায় টানতে থাকে। বলে সেবার তো এলেনা, এবার এসেই দেখো! আর আমি কাঁদতে থাকি, মাঝপুকুরে, চিত্কার করে, দশবছরের শিশু, কি-ই বা তার প্রতিরোধ, কি-ই বা বোঝানোর ক্ষমতা!

    কয়েক হপ্তা চেষ্টার পর মানিক্কাকু হাল ছেড়ে দিয়ে মা-কে বলল-বৌদি, ও এখন খুব ভয় পাচ্ছে, এখন ছেড়ে দ্যান! পরে শিখলেও শিখতে পারে। আমি পারবনা।

    মা অসহায় চোখে তাকালো।
  • sosen | 111.62.54.76 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ২১:১৩570103
  • :) লিখছি, ম্যাক্সিদি।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.240.114 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ২১:১৭570104
  • :)
  • siki | 131.245.157.113 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ২৩:৪০570105
  • পড়ছি। ভালো লাগছে।

    জলকে ভয় পাবার আগেই সাঁতার শিখে নিয়েছিলাম, তখন আমি ক্লাস এইট। ঠিক কুড়িদিন লেগেছিল।
  • kk | 77.187.84.92 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ০০:১৮570106
  • এই মেয়েটা বড় ভালো লেখে তো !
  • swati | 76.135.100.194 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ০১:০৪570107
  • উফ্ফ, তারপর?????????
  • i | 147.157.8.253 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ০৩:০৪570108
  • মারাত্মক লেখা...
  • nina | 79.141.168.137 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ০৩:৫৩570109
  • সত্যি বলছি "গোবেল" দেয়া হোক সোসেন কে----
    কি পোতিভা---
    ছবিতে কথা বলায়--
    কথার ছবি আঁকে নিঁখুত---
    রইলেম বসে হাঁ করে --তাপ্পর?!
    (ভাগ্যিস এখানে মশা মাছি নেই) ঃ-D
  • sosen | 125.241.59.38 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ০৮:২০570110
  • গরমের ছুটি পড়ে। গরমের ছুটি বড় শান্তির সময়। ঠান্ডা লাল মেঝের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে ছুটির হোমটাস্কের অঙ্ক কষি দুপুরে।নতুন ক্লাস, অল্প পড়া। বাইরে ঝাঁ ঝাঁ রোদে পাখ-পাখালি অল্প, বাড়ি ওলা দাদুর গরুর নতুন বাছুর আমার ঘরের বড় জানলার পাশে ছায়ায় শুয়ে থাকে, আমি ওর নাম দিই রঙিন। খাটের নিচে ঝুড়িতে হিমসাগর আমের উপর ভাঁজ করে দেওয়া থাকে চটের বস্তা। মৃদু গন্ধে আমোদিত হয়ে থাকে ঘর। রাত্রে বাড়ির চাদ্দিকে কামিনী, গন্ধরাজ আর মাধবীলতার গন্ধে ম' ম' করে। বিকেলে খো-খো আর কাবাডি গেম হয়। ভোরের জগিং শেষে সবাই একবার পুকুর মাথায় করে ঝাঁপাই ঝুরাই করে, আমি ঘাটের রানায় বসে দেখি আর দাঁত ব্রাশ করি । বিকেলে স্নানের সময় টুপটাপ কেটে পড়ি। দুপুরে বাড়ির টিপকল তলায় হিম ঠান্ডা জলে স্নান হয়ে যায় ঠিক দশ মিনিটে।
    জল আমায় আবার ডাকতে শুরু করে। লোভার্ত, তৃষার্ত চোখে পুকুর পাড় বেয়ে হাঁটি আমি। আর একবার ডাকিলেই যাইব, এমন ভাব।

    আমার মা নৈহাটি শ্যামনগরের কন্যা। গঙ্গায় সাঁতার কেটে কৈশোর বয়েছে মা'র, জল বড়ই প্রিয়। মা আমাকে বলে, যাবি, পুকুরে স্নান করতে?
    আমি ঘাড় নাড়ি, ভয় পাই।
    চল , চল, সাঁতার কাটতে হবে না তোকে। আমার সাথে যাবি, মগ নিয়ে যাই, ঘাটে বসে স্নান করবি। মা ঠিক সম্মত করিয়ে ফ্যালে আমাকে। মায়ের লাল গামছা, লাক্স সাবান ইত্যাদি নিয়ে আমি আর একবার টুকটুক করে পুকুরে যাই। এবার ছোট পুকুর।

    এই পুকুর ঘরোয়া, আকারে ছোট। যে যার বাড়ির সামনে বাঁশের ঘাট বানিয়ে নিয়েছে। দুটি বড় ঘাট, তবে বড় পুকুরের মত অত ভালো নয়। আর রয়েছে কিছু শাপলা, কচুরিপানা। প্রচুর সাপ। এই পুকুর হলো মূলত মেয়েলি আড্ডা। বউদের স্নান ও গল্পের আলাদা জায়গা। এই পুকুরে চ্যালেঞ্জ নেই, রানা থেকে কেউ ডবল ডাইভ দিয়ে পড়েনা, হাত ছুঁড়ে সাঁতার কাটেনা। এখানে মেয়েরা শাড়ির আঁচল কোমরে গুঁজে জলের নিচে হালকা হাত চালিয়ে ভাসে। গল্প করতে করতে মাঝপুকুরে চিত সাঁতার দেয়। জল ছেটায় না কেউ, বিধবা শুদ্ধাচারী বয়স্কারা স্নান করতে এলে ছেড়ে দেয় ঘাটের এক ধার। এই মহিলা পরিবৃত জল-ইস্কুল আমায় আদর করে ডেকে নিল।

    দু এক দিন মগে করে জল তুলে স্নান করলাম। তার পর আস্তে আস্তে, ভরসা করে সিঁড়ি ধরে নামলাম জলে। সকলে চোখ রাখে আমার দিকে। কিন্তু কিছু বলে না কেউ। হাসে না। নিজেদের মধ্যে গল্প করে। আমি ঘাটে হাত ছুঁইয়ে রেখে ভাসি। এক ধাপ, দু ধাপ। কেউ আমায় একটা ফ্লোটিং বল এনে দেয়। সেটাকে গামছা দিয়ে পিঠের সাথে বেঁধে দেয় মা। শক্ত করে। সহৃদয় নতুন বউ বেলা কাকিমা আমার হাত ধরে সাঁতরে মাঝপুকুরে এসে ছেড়ে দেয় হাত, কিন্তু পেটের তলায় এক হাত দিয়ে রাখে। ছেড়ে দেয় না , শরীরের নিচ থেকে শক্ত আশ্বাস সরিয়ে নেয় না। পিঠে বাঁধা বল ভাসিয়ে রাখে আমাকে। তার পর, এক দিন, একদিন অনায়াসে মিঠুমনিদির সাথে সাঁতরে গিয়ে আমি শাপলা তুলে নিয়ে আসি। সবাই হাততালি দেয়। বেলা কাকিমা আমার ভিজে মুখে চুমো খায়, বিয়ের ল্যাভেন্ডার শ্যাম্পু মাখিয়ে চুল ধুয়ে ফুরফুরে করে দেয়। চুপচাপ, নতুন করে জলের সাথে পরিচয়ের পর্ব শুরু হয় আমার।

    তা বলে স্বপ্ন আমার পিছু ছাড়ে না। আর মৃত্যুও না। জলের প্রহর গুণে সে তাড়া করে বেড়ায় আমাকে, আর হঠাত আবার একদিন থাবা বসায়, অতর্কিতে।
  • | 60.82.180.165 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ০৯:১০570112
  • জলদি!
  • sch | 132.160.114.140 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১০:৫৪570113
  • সোসেন - আপনি সত্যি খুব গুনী মানুষ। অন্তর থেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম আপনাকে - খুব ভালো হোক আপনার - জীবন আনন্দে কাটুক
  • ঐশিক | 132.181.132.130 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১২:১২570114
  • খুবই ভালো হচ্ছে, আরো লিখুন সঙ্গে আছি
  • Tim | 188.91.253.11 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১৪:১৬570115
  • হোসেন্টি বায়স্কোপ!
    দৌড়োক
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.206.150 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১৫:২৮570116
  • অস্তিত্ব, দু হাঁটুতে মুখ গুঁজে থাকা সেই নিরুদ্ধ অস্তিত্ব।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.206.150 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১৫:৪২570117
  • যাকে তুমি রক্ষাকবচ দিয়ে আড়াল করে রেখেছ।
  • kumu | 132.160.159.184 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১৫:৪৫570118
  • বেলাকাকিমা সকলের থাকে না তো!!

    যেন ছবি লেখা-অনবদ্য।
  • de | 190.149.51.69 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১৫:৫০570119
  • ওফ!!!! একদমে পুরোটা পড়লাম -- অপূর্ব!!
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.206.150 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১৬:০৪570120
  • বাবাও ঠিক অমনি করে পেটের তলায় এক হাত দিয়ে রেখেছিল, কিন্তু হাত সরিয়ে নিয়েছিল। কিছুতেই যাইনি আর। আট বছর অপেক্ষা করিয়েছিলাম।
  • siki | 24.140.82.133 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১৬:৩৩570121
  • যা-তা লিখেছে! টোটাল একঘর।
  • i | 134.168.44.74 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১৬:৩৮570123
  • ফ্যান হয়ে গেলাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন