এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কারাগার, বধ্যভূমি ও একঝাঁক স্মৃতি বুলেট

    kallol
    অন্যান্য | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ | ১৩৪৮৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sm | 202.63.56.114 | ২৮ অক্টোবর ২০০৬ ১৩:৫২695741
  • কল্লোল,

    মিডিয়া কী এখনো কোনো কথা, ঠিক কথা ছাপে! এই যে সিঙ্গুর, বিস্তর জোল ঘোলা হচ্ছে, রাত জেগে জেগে চাষীরা জমি পাহারা দিচ্ছে, সামান্য কিছু ছাড়া জমি এখনো হাতে পেতে সরকারের অনেক পথ হাঁটা বাকি। চাষীদের পেছনে বেয়নেট ঠেকিয়ে রাখা হচ্ছে, এসব কোথায়, কোন মিডিয়ায়? যেমন করে হাতে নিয়েছে চা-বাগান, লুটে নেওয়া হয়েছে চা গাছ, সেভাবে এখানেও। কোথায় সে খবর? এরকম ই চিরকাল! তবে এ অন্য কিস্যা। আপনার গল্প --- শুনছি ---

    বলুন, সেই গ্রাম্য দরিদ্র কৃষক কীভাবে উঠে দাঁড়ালো, হাতিয়ার তুলে নিল, কেন নিল সেই গল্প ---
  • Rana | 212.158.75.199 | ৩০ অক্টোবর ২০০৬ ১৬:৪৩695752
  • ও কল্লোল দা ............ কোথায় গেলে? দিনে ১০ বার গুরু তে আসছিতোমার এই লেখা পড়বো বলে........ আর তুমি-ই ধা ???

    বেশ গাছে তুলে মই কেড়ে নিলে তো !!
    ::)
  • r | 61.95.167.91 | ৩০ অক্টোবর ২০০৬ ১৬:৫৯695763
  • মেনস্ট্রিম মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে আদৌ আমার প্রশ্ন ছিল না। বামপন্থী মতাবলম্বী সবাই মেনস্ট্রিম মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে মোটামুটি একমত হতেই পারেন। আমার প্রশ্ন ছিল নকশাল নেতৃত্ব নিয়ে। নকশালরা যখন পরবর্তীকালে স্মৃতিকথা লিখেছেন, সেইখানেও শহুরে মধ্যবিত্তদের অপ্রতিহত প্রতাপ। নকশাল নেতৃত্বের কথা মানেই সি এম-সুশীতল রায়চৌধুরী-সরোজ দত্ত-অসীম চট্টোপাধ্যায়-সৌরীন ভট্টাচার্য্য-শৈবাল মিত্র-আজিজুল হক ইত্যাদি। এবং সেই ট্র্যাডিশন বহন করে বিনোদ মিশ্র থেকে দীপঙ্কর ভটাচার্য্য অবধি। প্রশ্ন: নকশাল আন্দোলনে কৃষক এবং শ্রমিকদের মধ্যে থেকে কোনো নেতৃত্ব কি আদৌ উঠে আসে নি? অর্থাৎ এটাও ছিল একটি মধ্যবিত্ত নেতৃত্বের মধ্যবিত্ত বামপন্থী আন্দোলন? নাকি নেতৃত্ব উঠে এলেও ইতিহাসের কোনো পরম কৌতুকে তারা আজ সদাবিস্মৃত?
  • Arjit | 128.240.229.66 | ৩০ অক্টোবর ২০০৬ ১৭:০২695774
  • জঙ্গল সাঁওতাল?
  • r | 61.95.167.91 | ৩০ অক্টোবর ২০০৬ ১৭:০৪695785
  • জঙ্গল সাঁওতালকে সাধারণ লোকের মধ্যে বিখ্যাত করেছিলেন " অবক্ষয়ী বুর্জোয়া" সমরেশ বসু। আমার পড়া কোনো নকশাল আন্দোলনের ইতিহাসে জঙ্গল সাঁওতাল খুব বড়ো ভূমিকায় নেই।
  • kallol | 220.226.209.2 | ৩০ অক্টোবর ২০০৬ ১৭:৩১695796
  • ক্রমশ: রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের চাপ বাড়ছিলো। সিপিআইএম-এল এর সর্বোচ্চ স্তরের নেতারা একের পর এক শেল্টার পাল্টে চলেছেন। সময় তখন ছায়াচ্ছন্ন। ৫ আগষ্ট শেষ রাতে, দক্ষিণ কলকাতার সর্দার শংকর রোডের এক বাড়ীতে হানা দিলো পুলিশ। গ্রেপ্তার হলেন সরোজ দত্ত। একসময়ের ডাকসাইটে সাংবাদিক, অনুবাদক, কবি। যুগান্তর, স্টেট্‌সম্যান-এর মতো কাগজের চাকরী হেলায় ছেড়ে নকসাল বাড়ীর অভ্যুত্থানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশব্রতীর হাল ধরেন। সেই সময়ের দেশব্রতীর সেই আগুন ঝরানো লেখার স্রষ্টা সরোজ দত্ত। প্রতিটা অ্যাকশন তা গ্রামেই হোক বা শহরে এক অন্য মাত্রা পেতো ওনার লেখায়। বুদ্ধিজীবীসুলভ সমস্ত মেকী পরিশীলনের মুখে লাথি মেরে আশ্চর্য এক ভাষায় লিখতেন তিনি - সেদিনের বিপ্লবী আবেগের ভাষা।
    পুলিশ তাকে নিয়ে গেলো ময়দানে। তারপর তাকে পেছন থেকে গুলি করা হয়। নিরস্ত্র, হাত বাঁধা মানুষটাকে সামনে থেকে গুলি কারতেও ভয় পেয়েছিলো দেবী রায় রুনু গুহনীয়োগীর দল। ঐ চোখের সামনে দাঁড়ানোর ক্ষমতা কাপুরুষদের ছিলো না।
    শোনা গেলো এই ঘটনা নেহাৎই কাকতালীয় ভাবে দেখে ফেলেন ময়দানে মর্ণিং ওয়াক করতে আসা উত্তমকুমার। চন্ডীতলা পার্টি কমিটির পীযুষদা নিউ থিয়েটার্স দুনম্বর স্টুডিওতে উত্তমকুমারের সাথে কথা বলতে চায়। মিথ্যে বাহানা করে পীযুষদাকে একটা ফ্লোরে অপেক্ষা করতে বলা হয়। সেই ফাঁকে, উত্তমকুমার বম্বে (তখন মুম্বাই হয় নি) পালান।

    ঝড়ের মত আসছে এক একটা দিন। বন্ধুরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে দিশাহীন। প্রায় সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। শুরু হলো পিছু হাটার দিন। হঠাৎ হঠাৎ খবর আসছে, কমরেড ভাইয়া ধরা পড়েছে, ধরা পড়েছে কমরেড তিনু, আমাদের ইউনিট বলে আর কিছু নেই। খবর আসছে ভাইয়া আর তিনুর ওপর বিভৎষ অত্যাচার চলছে। ভাইয়ার হাত আর পায়ের নখ এক এক করে উপড়ে ফেলেছে ভবানীপুর থানার এস আই সন্তোষ। তার পরও মুচলেকায় সই করতে বলাতে সন্তোষের মুখে থুতু দিয়েছে ভাইয়া। প্রচন্ড মারের মুখেও তিনু ক্রমাগত স্লোগান দিয়ে গেছে - নকসালবাড়ীর লাল আগুন দিকে দিকে ছড়িয়ে দাও। জেলের ভিতর থেকে চিঠি পাঠিয়েছে কেশবদা, মাসীমার হাতে - কমরেড হতাশ হবেন না, হতাশা একটা মধ্যবিত্ত বিলাস। ঘৃণা করুন, চূর্ণ করুন মধ্যপন্থাকে।
  • kallol | 220.226.209.2 | ৩০ অক্টোবর ২০০৬ ১৭:৪৪695807
  • ব্যক্তিগত পোষ্ট : দিল্লী বদলী হয়েছি। ১লা নভেম্বর জয়েনিং। ফলে কলকাতার নানান কাজ গুছিয়ে উঠতে গিয়ে, লেখা হয় ওঠেনি। তবে চন্ডাল জনগন ঘাবরিও না, লিখব, লিখবই।
  • Arjit | 128.240.229.66 | ৩০ অক্টোবর ২০০৬ ১৭:৫৫695817
  • এই যে এক এক করে সমস্ত আলাদা হয়ে গেলো, এর ডিটেলস কোথায় পাওয়া যাবে? কবে হল, কেন হল, মেজর ডিফারেন্স কি ছিলো, এবং এর এফেক্ট কি ইত্যাদি। অনলাইন হলে ভালো হয়...
  • Samik | 125.23.115.202 | ৩০ অক্টোবর ২০০৬ ২২:১৮695818
  • কল্লোলদা,

    দিল্লি আসছেন, আমার সাথে অবশ্যই যোগাযোগ করবেন কোনও দরকার হলে (বা না হলেও)। mukherjee.samik জিমেইল।
  • Rana | 212.158.75.199 | ৩১ অক্টোবর ২০০৬ ১৫:০৫695820
  • দীপ্তেন দা,
    'দিপু'-র ঝুলি থেকে কিছু গল্পো শোনান না ... প্লীজ.........

    আমাদের এ দাবী মানতে হবে.......
    নইলে গুরু ছাড়তে হবে .... !!

    :))
  • s_r | 220.227.146.21 | ৩১ অক্টোবর ২০০৬ ১৫:৫৮695821
  • ভীষন ভালো লাগছে কল্লোলদার লেখাটা। অনেক গল্প শুনেছি এককালে এই সময়ের, ছোটোবেলায় সেসব খুব নাড়া দিত কিন্তু এরকম প্রত্যক্ষ জ্বলন্ত বিবরন আগে শুনিনি।
    একবার টিভিতে "দি নক্সালাইট" ছবি টা দেখেছিলাম। খুব ভালো লেগেছিল যদিও হয়ত তার ঐতিহাসিক মুল্য খুব একটা নেই তবু খুব আন্তরিক।
  • s_r | 220.227.146.21 | ৩১ অক্টোবর ২০০৬ ১৭:৩৯695823
  • দময়ন্তী,

    আমি আগেই বলেছি যে সময়ের কথা হচ্ছে তার অনেক লোকের মুখে অনেক ধরনের বিবরন শুনে আসছি ছোটোবেলা থেকে। এখানে সেই গুলির সঙ্গে আরো দুজনের কথা জানলাম।
    আমার স্যার আশুতোষ কলেজের। ওনার কাছে গল্প শুনেছি কলেজের মধ্যে একটি ছেলেকে মারতে গেলে ছুরি নিয়ে একদল উনি বাধা দেন এবং আহত হন, হাতে দাগ আছে। তারপর ওনাকে শ্রেণীশত্রু হিসেবে মার্ক করা। তারপরে শুরু হয় ওনার আর ওনার পরিবারের আতংকের দিন। উনি খুবই স্বল্প মাইনের একজন তরুন লেকচারার ছিলেন। দীর্ঘদিন কলেজে বেরোতে পারতেন না। স্ত্রী আর ছোটো বাচ্চাকে নেই সেইসব দিনের কথা বলতে গিয়ে শিউরে উঠতেন।
  • dam | 202.54.214.198 | ৩১ অক্টোবর ২০০৬ ১৯:০৬695824
  • এগুলোর পিডিএফ লাগলে বোলো। আপিয়ে দেবো।
  • kallol | 61.246.66.42 | ০২ নভেম্বর ২০০৬ ১২:১১695825
  • ১৯৭২। সেদিন ১৬ জুলাই। তখন আমি খড়গ্‌পুরে। আইআইটি ক্যাম্পাসে খবরের কাগজ পৌঁছতো দুপুর বেলায়। স্কুল থেকে টিফিনের সময় বাড়ী আসতাম খেতে। আনন্দবাজার খুলেই দেখি সিএম ধরা পড়েছেন। তখন সিএম বলতে একটাই নাম বোঝাতো - চারু মজুমদার। যদিও তখনই বহু প্রশ্ন জমা হয়ে গেছে ওঁর নীতি-কৌশল নিয়ে। আমি আর পার্টির ভিতরে নিজেকে ভাবি না। তবু, তবু, তবুও কোথায় যেন ফাঁকা হয়ে গেলো। খবরে পড়লাম উনি খুবই অসুস্থ। এমনিতেই ক্রনিক অ্যাজ্‌মার ধাত ছিলো। তার উপর ঐভাবে পালিয়ে বেড়ানো।
    অনেক পরে, ১৯৭৬-এ যখন আবার ধরা পড়ি-প্রেসিডেন্সি জেলে খুব বন্ধু হয়ে গেছিলেন দীপক বিশ্বাস - যাকে সিএম-এর গ্রেপ্তারের জন্য দায়ী করা হয়। দীপকদার কাছে বহুবার শুনেছি শেষের সেই দিনগুলোর কথা।

  • kallol | 61.246.66.42 | ০২ নভেম্বর ২০০৬ ১২:১৫695826
  • দিল্লী পৌঁছে গেছি। একটু সময় লাগবে গুছিয়ে নিতে। তত দিন একটু........
  • Samik | 125.23.118.211 | ০২ নভেম্বর ২০০৬ ২১:২২695827
  • স্বাগতম। আবারও ... কোনও দরকার হলে জানাবেন।
  • kallol | 220.226.209.2 | ০৩ নভেম্বর ২০০৬ ১৩:৪৯695828
  • দীপকদার কথা:
    শিলিগুড়িতে ছাত্র রাজনীতির সূত্রে চারুদার সাথে আলাপ। প্রচন্ড পড়শোনা ছিলো মানুষটার। নানান বিষয়ে বলতে পারতেন অনর্গল। খুব প্রিয় ছিলো রবীন্দ্রনাথের(!)লেখা। কবিতার পর কবিতা মুখস্থ বলে যেতে পারতেন। আর ছিলেন ভীষন আবেগী। সাধারন মানুষের কোন লড়াইয়ের কথা বলতে গেলেই অসম্ভব আবেগে কেঁদে ফেলতেন। এরকম বেশী হলেই হাঁপানির টান বেড়ে যেত। সেই কারনেই হয়তো এরকম কোন ব্যাপার ঘটছে বুঝতে পারলেই লীলা বৌদি দীপকদাদের ওপর ক্ষেপে যেতেন।
    ৬৪-৬৫ থেকেই ওনার ধারনা হয়েছিলো সিপিএম আর লড়াইয়ের রাস্তায় হাঁটবে না। যদিও তখন সবে সিপিএম তৈরী হয়েছে-আর তখন সিপিএম-এর ভাবমূর্তি ভীষন লড়াকু গোছের। হয়তো দার্জিলিং জেলা নেতৃত্বের কারুর কারুর মনোভাবে ওনার এরকম মনে হয়েছিলো। তবে ওনার সব ধারনাই যে খুব যুক্তিসিদ্ধ ভাবে উনি রাখতেন তেমনটা নয়।
    এই প্রসঙ্গে আমার শোনা অন্য আর একজনের স্মৃতির কথা মনে পড়ছে। আমার কলেজের বন্ধুর মামা জলপাইগুড়ি সিপিএম-এর জেলা নেতা ছিলেন। উনি দুটো ঘটনার কথা বলেছিলেন। তেভাগা লড়াইয়ের সময় নাকি চারুবাবুর মত ছিলো জোতদারদের বাড়ী দখল করে ধানের গোলা পুড়িয়ে দেওয়া। সেটা আলোচনার পর নাকচ হয়ে যায়। অন্যদের যুক্তি ছিলো, যে ধানের জন্য লড়াই সেটাই পুড়িয়ে দেওয়াটা এই লড়াই-বিরোধী কাজ হবে।
    অন্যটা ঐ সময়েরই। তখন ওনারা সব দমদম জেলে। রনদিভে যুগ চলছে। পার্টি বলল জেলও লড়াইয়ের ক্ষেত্র। জেলে পার্টি কর্মীদের সাথে ওয়ার্ডারদের ঝামেলা শুরু হলো। চারুবাবু বললেন - লেনিনের বইকে হাতিয়ার করো। তখনকার শক্ত বাঁধাইয়ের লেনিন রচনবলী দিয়ে ওয়ার্ডার প্যাদানোর লাইন। সেটা অন্য কমরেডদের কাছে খুব একটা জনপ্রিয় হয়নি।
    দুটো ঘটনাই পরে অন্যদের কাছেও শুনেছিলাম। প্রথমটা কানুদার(সান্যাল) কাছে। পরেরটা তারকদার(দাস) কাছে। তারকদা মধ্য কলকাতার মানুষ। হাফ প্যান্ট পড়া বয়স থেকে কমুউনিস্ট পার্টি করতেন। স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ডে ইউনিয়ানের দায়িত্বে ছিলেন। পরে নকসালবাড়ি সংগ্রাম সহায়ক কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। খুব রসিক মানুষ। ৭০ থেকে ৮০ সাল পর্য্যন্ত ওনার বাড়ী ৫ মুক্তারামবাবু স্ট্রিট (হ্যাঁ, শিব্রামের মুক্তারাম) সমস্ত নকসাল গ্রুপদের প্রকাশ্য কাজ্‌কর্মের ঠিকানা ছিলো।
    দীপকদার কথা থেকে একটু দূরে হয়তো চলে এসেছি, তবে ঐ উত্তাল সময়ের কথা একটু এলোমেলো-ই চলুক।
  • kallol | 220.226.209.2 | ০৩ নভেম্বর ২০০৬ ১৬:০২695829
  • দীপকদার কথায় ফিরছি।
    চারুদার কেন জানিনা ধারনা হয়েছিলো এই নেতৃত্ব কিছু করবে না। দার্জিলিং জেলা পার্টির নাম করা নেতা রতনলাল ব্রাহ্মন, সেই ১৯৫৬ সাল থেকেই এম.এল..। জ্যোতিবাবু আর রতনলাল ব্রাহ্মন এরা দুজনেই তখন থেকে সিপিআইএর, পরে সিপিএমের বিধায়ক। অতদিন ধরে ওরকম একটা পদে থাকার দরুন, ওনার কাজেকর্মে/ব্যবহারে বিভিন্ন প্রকারের আমলাতান্ত্রিকতার প্রকাশ ঘটে থাকবে, যেটা চারুদার মতন মানুষের কাছে মোটেই পছন্দের ছিলো না। তাই ৬৫-৬৬ সালে যখন সিপিএম পরিচালিত কিষান সভা জমি দখলের লড়াই শুরু করল, তখন চারুদা তার অনুগামীদের পাঠালেন চটেরহাট-ইসলামপুর এলাকায় (এখন পশ্চিম দিনাজপুরে) কৃষক আন্দোলন সংগঠিত করতে, তার মতো করে। একই সময়ে কানু সন্যাল-জঙ্গল সাঁওতাল শুরু করেন নকসালবাড়ী-খড়িবাড়ী অঞ্চলে। চটেরহাট-ইসলামপুরের দায়িত্ব ছিলো দীপকদার ওপর। সেই ৬৫-৬৬ সালেই চটেরহাট-ইসলামপুরে গেরিলা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে জোতদার খতম করে কৃষককে সংগঠিত করার চেষ্টা শুরু হলো। চরুদার লাইন ছিলো, অ্যাকশন করে সেই এলাকা থেকে অন্য এলাকায় সরে যাও; সেই এলাকায় অ্যাকশন সংগঠিত করো। আর ক্ষেতমজুর বা গরিব চাষীর ঘরে থাকতে হবে। এতে সমস্যা হলো দুটো। অ্যাকশন করে সেই এলাকা থেকে সরে যাবার পর যখন পুলিশ আসছে তখন সাধারন মানুষের চরম হেনস্থা হচ্ছে, অথচ যদের জন্য এই ঝামেলা তারা তখন অন্য এলাকায় অ্যাকশনের প্ল্যান বানাচ্ছেন। সাধারন মানুষ ভেবেছিলেন য্‌খন লড়াইই হচ্ছে তখন পার্টির দাদারা পুলিশের মোকাবিলাও করবেন। দুই নম্বর ঝামেলা হলো ক্ষেতমজুর আর গরিব চাষীর ঘরে থাকা নিয়ে। তাদের নিজেদেরই খাওয়া জোটে না, থাকার জায়গা বলতে একটা ঘর, তার মধ্যে চার-পাঁচ জনের বিপ্লবীকূল এসে পড়লে তাদের তো মাথায় হাত। ফলে মানুষ উদাসীন হতে হতে সরে যেতে লাগলো। চটেরহাট-ইসলামপুর লাইন শেষ পর্য্যন্ত ব্যর্থ হলো।

  • b | 59.145.136.1 | ০৪ নভেম্বর ২০০৬ ১২:১৮695831
  • নকশাল আন্দোলনের shifting base নিয়ে একটা ছোটো প্রশ্ন ছিলো অনেক দিন আগের থেকে, করবো ও ভেবেছিলাম, ব্যক্তিগত স্মৃতিকথায় সেসব প্রশ্নের জায়গা নেই ভেবে করিনি, কিছুটা উত্তর নিজেই দিলেন কল্লোল।
  • Rana | 212.158.75.199 | ০৯ নভেম্বর ২০০৬ ২১:০৫695832
  • এই পোস্টিংটা কল্লোলদা কে খোচা দিয়ে চাগিয়ে তোলার জন্য

    :-))))
  • Rana | 212.158.75.199 | ০৯ নভেম্বর ২০০৬ ২১:০৬695833
  • ছরি... চাগিয়ে নয়, জাগিয়ে

    :-)))
  • kallol | 221.135.209.15 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ১৬:৩৩695834
  • দিল্লী থেকে ফিরে ঢাকা গেছিলাম ছবি মেলায় গান গাইতে। ওদের এবারের বিষয় ছিলো - সীমানা। আমার একটা গান ওরা মেলা শুরুর গান হিসাবে চেয়েছিলো। ফিরে এখন কোলকাতায়। প্রচুর বন্ধুর সাথে প্রচুর আড্ডা চলছে। ১৫ তারিখ দিল্লী গিয়ে আবার লিখবো।
    ছবি মেলা নিয়েও লেখার আছে।

  • a x | 192.35.79.70 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২১:২৪695835
  • কল্লোল তো পুরো ছুপা রুস্তম বেরোচ্ছে! অদ্ভূত ভালো লাগে এই ব্যাক্তিগত রাজনৈতিক স্মৃতিকথা, থামিও না।

    দময়ন্তী, আমারে পি ডি এফ পাঠাবে? বায়না দিয়ে রাখলাম :-)
  • tan | 131.95.121.127 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২১:২৮695836
  • ওরেবাবা,
    কল্লোল এমন গানও গাইতে পারেন?
    কেজানে হয়তো ডিডিও গান গাইতে পারেন।
    হয়তো এই গুরুতে সকলেই...
    ঈশেনও..

  • dam | 61.246.46.129 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২২:৩৭695837
  • ঈশান তো দিব্বি গান গায়, যদিও গীটারটা বেশী ভাল বাজায়।

    তখন মেল আইডি দিও, পাট্যে দোব।
  • a x | 192.35.79.70 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২৩:৩৮695838
  • তখন - কখন? এখন?
    [email protected]
    থ্যান্‌কু :-)
  • vikram | 134.226.1.194 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ০০:০৪695839
  • আমগো অক্ষর নাম শ্যাষে বাইরইলো আত্রেই, খ্যা:! ঐজন্যই নাম লুকায়া রাখসিলো।

    বিক্রম
  • a x | 192.35.79.70 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ০০:১৪695840
  • খ্যা: অবার কি অ্যাঁ? বিক্রম একটা নাম হল? তাও যেখানে সেখানে সেই নাম লেপটে দেয়!
  • m | 67.173.95.163 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ০২:৪৫695842
  • কল্লোল,
    আমার মনে হচ্ছিলো ,আপনি ই সেই,গান শুনে সম্ভাবনা আরো বেড়ে গেলো।
    লাল,নীল হলদে,সবুজ চশমায় চোখ রেখো না"-এই গান টা কি আপনার লেখা?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন