এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নিছক ই একটা গল্প---

    koli
    অন্যান্য | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ | ১৫৬৩৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • koli | 115.187.37.36 | ২৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৮:১০425595
  • :)
  • koli | 115.187.37.36 | ২৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ২০:১১425596
  • অপূর্ব হন্তদন্ত হয়ে তন্ময় এর বাড়ি গেলো। ওখানে ওকে খুঁজে না পেয়ে ওদের দোকানে গেলো। ওর বাবা একটা ছোট খাবারের দোকান করেন। ঐ দোকানের আয় দিয়েই ওদের পাঁচজনের সংসার কোনরকমে চলে। আর তন্ময় নিজে কিছু টিউশন করে। মাঝে মাঝে বাবাকে সাহায্য করার জন্য দোকানেও বসে। অনেক কষ্টে গ্র্যাজুয়েশন অবধি পড়াশুনা করেছে। বাকি দুই ভাই ওর ছোট। তন্ময় ই সংসারে বড় ছেলে। যাই হোক-- অপূর্ব দোকানে গিয়ে হাজির হলো। তন্ময়কে পেলোসেখানে। দেখেই অপূর্ব বললো-- চল তোর সঙ্গে একটু কথা আছে। তন্ময় বললো-- কি হয়েছে? সিরিয়াস কিছু? তোকে এরকম দেখাচ্ছে কেন?
    --কিছু হয়নি, যা বলছি কর। চল আমার সঙ্গে।
    সঙ্গে সঙ্গে চলে গেলো দুজনে। তন্ময় এর বাবা সব লক্ষ্য করলেন। কিন্তু কিছুই বলেন নি।
    অপূর্ব ওকে একটা মন্দির চত্বরে নিয়ে গেলো। ঐ জায়গায় মাঝে মাঝেই সব বন্ধুরা মিলে আড্ডা দেয়। সেখানে গিয়েই অপূর্ব বললো--তোর এত সাহস হলো কি করে বল? তন্ময় কিছুই বুঝতে পারছিলো না। বললো-- কি হয়েছে কি বলছিস এসব? পরিষ্কার কএ বল না।
    অপূর্ব বললো- তুই চৈতীর সঙ্গে কবে থেকে এসব করছিস? এর পরিণাম ভেবেছিস? আমি তোর বন্ধু বলে ভাবিস না তোকে আমি আমাদের বাড়ির জামাই হিসেবে মেনে নেব। সব শুনে তন্ময় ওর প্রাণের বন্ধু অপূর্ব কে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলো-- শোন অপু, আমি জানি আমি তোর বোনের যোগ্য নই। তবে আমি চেষ্টা করছি বিশ্বাস কর। প্লিজ আমায় একটু সময় দে। এইসব আরো অনেক কিছু ইমোশনাল কথাবার্তার পর অপূর্ব দৃশ্যত কিছুটা সামলে নিলো নিজেকে। তারপর বললো-- ঠিক আছে আমি তোকে সময় দিতে পারি এক শর্তে। তুই এর মধ্যে আর কোনোদিন চৈতীর সঙ্গে কোনোরকম যোগাযোগ রাখবি না। এই শুনে অপূর্ব প্রায় আর্তনাদ করে উঠলো--অপু, একবার অন্তত ওর সঙ্গে দেখা করতে দে প্লিজ। তারপর তুই যখন বলবি তার আগে আর কোনো যোগাযোগ রাখবো না কথা দিলাম। অপূর্ব বললো --ঠিক আছে।
    এসবের কিছুই চৈতী জানে না। দিনভর দুশ্চিন্তায় কাটলো ওর। সন্ধ্যেবেলা অপূর্ব আর তনময় দুজনেই এলো। অপূর্ব বাড়ির দরজার সিঁড়িতে বসে পড়েছিলো আর তন্ময় চৈতীর পড়ার ঘরে এলো। রোজ দিনের মত চৈতী খাটে বসে ছিলো। তন্ময় এসে আজ আর চেয়ারে বসলোনা। খাটের এককোণায় বসে পড়লো। ভীষ্‌ণ ই বিধ্বস্ত দেখাচ্ছে ওকে। যেন সাইক্লোন বয়ে গেছে একতু আগেই। বসে চৈতীকে বললো --আমার কাছে এসো চৈতী। তন্ময়্‌কএ দেখেই চৈতী কেঁদে ফেলেছিলো অজানা আশঙ্কায়.. এসে বসলো তন্ময় এর পাশে। হাত ধরে বসলো দুজনে। অঝোরে কাঁদছে এবার দুজনেই। তন্ময় সব জেনে কাঁদছে। আর চৈতী আন্দাজ করে কাঁদছে....
  • xyz | 122.167.247.211 | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ২০:১৫425597
  • কোলির গোল্পো দুর্দন্তো হোছে।।সবস কোলি।।।অর কোতো য়ইত কোর্তে হোবে?ধৈর্জের এক্ষ্ম কেনো দিতে হোছে জন্তে পরি কি?
  • xyz | 122.167.247.211 | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ২০:১৮425598
  • বামলা আসে নি বলে দেখলাম ভুল টাইপ হয়েছে।।কলির লেখা দুর্দন্ত হচ্ছে। সাবাস কলি।কিন্তু আর কত ধৈর্য ধরতে হবে জানতে পারি কি?তাড়াতাড়ি চাই পরের এপিসোড।
  • nader nimai | 65.69.33.2 | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ২১:০৬425599
  • এমন জানলে তন্ময় কে অ্যাসিস্ট্যান্ট রাখতুম। নির্জন নদীয়ায় একা একা প্রেম বিলোনো - কম চাপ গ্যাছে তখন। বাব্বা।
  • aishik | 122.167.104.154 | ২৫ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৭:১০425600
  • কলিদি, আর কত দেরি করবে? চট্‌পট লিখে ফেল বাকিটা।
  • koli | 115.187.39.219 | ২৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:২১425601
  • :) একটু দেরী হয়ে গেলো-- এইতো লিখছি
  • koli | 115.187.39.219 | ২৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:৩৯425602
  • তন্ময় কথা বলতে শুরু করলো-- আজকের পর আমি আর তোমায় পড়াতে আসবো না। ভালো করে পড়াশুনা কোরো। নাহলে সবাই আমাদের সম্পর্ক কে ছোট করবে। অপু র সঙ্গে আজ অনেক কথা হলো। ও আমাকে অনেক রকম থ্রেট দিলো। কিন্তু বিশ্বাস করো চৈতী, আমি এতটুকুও ভয় পেয়ে কোনো সিদ্ধন্ত নি ই নি। তুমি বলো আমার কি করা উচিত? দুজন মিলে যা ঠিক করবো তাই হবে। বলো।
    চৈতী এতক্ষন শুধু কেঁদেই যাচ্ছিলো। এবার বললো-- আপনি যা বলবেন তাই হবে। আপনি যদি চান তাহলে আজকের পর আমরা আর দেখা করবোনা। দেখা হলে মুখ ফিরিয়ে চলে যাবো। কান্না পেলেও কাঁদবো না আপনাকে মনে করে।কিন্তু এক ই রকম ভালোবাসবো। তারপর আপনার যখন মনে হবে এবার আমাদের দেখা হওয়া প্রয়োজন।।একবার বললেই আমি চলে আসবো। সব চুপ করে শুনে তন্ময় বললো--আমি জানি তুমি এই কথাটাই বলবে। তাই তো তোমাকে আমি এত ভালোবাসি সোনা। জানি যে তুমি তোমার দাদা র মত করে ভাবো না। ভালোবাসা ছোট বড় বিচার করে হয়না সেটা তুমি মানো। কিন্তু সবাই মানে না।
    আমার প্রয়োজন নেই সবাইকে মানানোর। আপনি মানলেই হবে।--বেশ জোর দিয়ে এই কথাটা বললো চৈতী। তন্ময় বললো--এখন এসব ভেবে মন খারাপ কোরো না। সামনে ফাইনাল পরীক্ষা। ভালো করে দিও। আমি সবসময় তোমার খবর নেব। তুমি ও আমার খবর পাবে আমি জানি। আর শোনো, চিঠি দিও কখনো সুযোগ পেলে। শুধু অপু যেন জানতে না পারে। জানতে পারলে সবাই তোমাকে বকবে। আমি সেটা সহ্য করতে পারবো না। চৈতী চুপ করে সব মেনে নিলো।
    আমি এবার আসি তাহলে?-- বলেই উঠে দাঁড়ালো তন্ময়।-- হুঁ আসুন। ভালো থাকবেন সবসময়। আর এমনি দাঁড়ি , এমনি হাসি যেন সবসময় মুখে থাকে বুঝেছেন?-- বলেই ঝরঝর করে কেঁদে ফেললো চৈতী।-- হ্যাঁ গো সবসময় ভালো থাকবো তোমার জন্য, তোমাকে মনে করে। আচ্ছা বেশ, এমনি ই থাকবো। তুমি কেঁদো না সোনা। আমি যখন যেখানে যেমন ই থাকি, সবসময় তোমাকে ই ভালোবাসবো, এখন যেমন বাসি।-- বলে তন্ময় দুহাতে চৈতীকে বুকে জড়িয়ে ধরে নিজেও কেঁদে নিলো একটু। কপালে চুমু খেয়ে বললো আমার চৈতী-- শুধু আমার। আর কারো নয়।ভালো থেকো আমায় ভেবে ভেবে। প্রেমিক প্রেমিকার প্রথম আলিঙ্গন, প্রথম চুম্বন এগুলোতে আলাদা কোন অনুভুতি --অনুভব করার সুযোগ ও পেলো না ওরা কেউ ই... বাইরে সিঁড়িতে অপূর্ব বসে আছে। হয়তো বা সব শুনছে, দেখছেও হয়তো। কিন্তু এই দুজনের সেদিকে এতটুকুও খেয়াল ছিলো না সেদিন। নিষ্পাপ প্রেমের মধ্যে দেওয়াল তুলে দিলো যে তাকে এত খেয়াল করার কি আছে!.. চলে গেলো তন্ময়, ওর ভালোবাসাকে জেলখানায় বন্দী করে। ওর এ ছাড়া আপাতত আর কোন উপায় ছিলোনা..
  • koli | 115.187.54.71 | ২৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৬:১১425603
  • সেদিন তন্ময় চলে যাওয়ার পর চৈতীকে বাড়িতে আর কেউ কিছু বলেনি। যেন কিছুই ঘটে নি কোথাও। সেরকম ই আশ্চর্য রকমের স্বাভাবিক হয়ে গেল সবকিছু। কেউ এতটুকু ও বকেনি ওকে। শুধু চৈতীর মুখের হাসি যেন অনেক দূরে কোথাও চলে গেছে...

    পরদিন সকালে রোজকার মত ঘরের কাজ্‌কর্ম করছিলো চৈতী। তখন ধারে কাছে কেউ ছিলো। ও বাড়ি থেকে শুভশ্রী এসে বললো-- দিদি, আজ থেকে তন্ময়দা আর আমাদের পড়াতে আসবেনা। অপুদা কাল মায়েস সঙ্গে কিসব কথা বললো। তারপ্র মা আমাদের বললো যে আমরা নাকি এবার থেকে তন্ময়দা র বাড়ি যাবো পড়তে। শুনে চৈতী মনে মনে বললো-- এরকম হবে আমি জানতাম রে। কাল ই আন্দাজ করেছিলাম। আর মুখে শুধু বললো-- আচ্ছা। মন দিয়ে পড়। তোদের একটু অসুবিধা হবে ঠিক ই। তবে চিন্তা করিস না উনি তোদের সবরকম সাহায্য করবেন। শুভশ্রী বললো- তোর কষ্ট হবে না দিদি? তুই কি করে এত নির্বিকার আছিস? কি করে পারিস রে?
    চৈতী বললো-- আমি পারবো.. তুই যা এবার। কেউ দেখলে তোকে বকবে। আমি এখন বাজে মেয়ে হয়ে গেছি। আমার জন্যে তুই ও কথা শুনবি।
    ইচ্ছে ছিলোনা শুভশ্রী র। তবু "আচ্ছা' বলে চলে গেলো চৈতীর সামনে থেকে।
    ফাইনাল পরীক্ষা এসে গেছে প্রায়। আর কয়েকদিন হিমু, সঙ্গীতা এরা সবাই যাবে সুবীর স্যারের কাছে পড়তে।তাই চৈতী কেউ যেতে হবে। সারাদিন বাড়িতে বন্দী দশা কাটানোর পর ঐটুকু সময় গেটের বাইরে পা রাখে ও। তবে সেখানেও কড়া পাহারা থাকে হয়তো। চৈতী আর সেসব ভাবে না। ও নিজের মত যায় নিজের মত আসে। স্যার একদিন বললেন--কী রে চৈতী কি হয়েছে তোর? সারাক্ষন মুখ গোমড়া করে থাকছিস? পড়া সব শেষ করেছিস?অরীক্ষা এসে গেলো তো।তোর কি কিছু হয়েছে? তুই তো এরকম করে থাকিস না..
    জোর করে একটু হাসলো চৈতী-- না আমার কিছু হয়নি স্যার।হুঁ পড়ছি। পাশে থেকে বাকি বন্ধুরা সবাই যদিও স্যারের সুরেই সুর মিলিয়ে কিছু বলতে শুরু করেছিলো-- কিন্তু স্যারের মেয়ে ছোট্ট তিথি ঘরে ঢুকলো... সবাই ওর প্রতি ব্যস্ত হয়ে পড়লো। চৈতীও হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো।
    তিথি, স্যারের ছোত মেয়ে। পাড়ায় কাজের ছেলে হিসেবে সুপরিচিত তন্ময় এর এই বাড়িতেও মোটামুটি আসা যাওয়া চলে মাঝে মাঝেই।স্যারের দুই মেয়ে প্রিয়া আর তিথি র সঙ্গে ও ওর খুব ভাব। সামনেই তিথির জন্মদিন। তন্ময় এর ওপর ভার পড়েছে সেদিন ও সারা বাড়ি সাজাবে বেলুন ফুল এসব দিয়ে।চৈতী ও সেই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলো অনেকদিন ধরেই। কিন্তু মাঝে কি সব হয়ে সব উল্টে পাল্টে গেলো.. তাই আর এই ব্যাপারটা ওর মনেই ছিলোনা। পরেরদিন পড়া শেষ করে ফেরার সময় স্যার বললেন -- এই তোরা সবাই কাল বিকেল বিকেল চলে আসবি কেমন? বেশি দেরী করিস না.. সবাই বই খাতা নিয়ে আসবি। আগে পড়বি তারপর তিথির জন্মদিনে আনন্দ করবি। সবাই বেশ খুশী মনে বাড়ি ফিরছিলো। তিথির জন্যে কি গিফ্‌ট কেনা হবে সেই নিয়ে আলোচনা চলছিলো ফিরতে ফিরতে। চৈতীর সেদিকে খেয়াল ই নেই। ও শুধু ভাবছিলো কাল নিশ্চই তন্ময় আসবে ওখানে। কতদিন ওকে দেখেনি।চৈতী ঠিক করলো বাড়ি গিয়ে কিছুই বলবে না তিথির জন্মদিনের ব্যাপারে। তাই বলে ও নি। বিকেলে হিমু এলো ঘুরতে ওদের বাড়ি। চৈতীর মা কে এসে বললো-- পিসি কাল তো আমরা সবাই তিথির জন্মদিনে যাচ্ছি।চৈতী বলেছে তোমাকে?
    মা বললো--না কই ও তো কিছু বলেনি। কখন যাবি?
    হিমু বললো--ঐ তো আমরা রোজ যেমন পড়তে যাই সকালে, কাল সকালে না গিয়ে দুপুরে যাবো পড়তে। পড়া শেষ হলে জন্মদিনের অনুষ্ঠান শুরু হবে।
    চৈতীর মা বললেন--ও আচ্ছা, ঠিক আছে যাবি আরকি সবাই মিলে। ওর ও তো কোথাও যাওয়া হয়না তেমন। একটা দিন একটু ভালো কাটুক।
    সেই সময় অপূর্ব বাড়িতে ঢুকলো। এসেই হিমুকে বললো-- কোথায় যাওয়ার কথা হচ্ছে রে?
    চৈতী বললো-- কাল সুবীর স্যারের মেয়ে তিথির জন্মদিন তো তাই আমরা সবাই যাবো। সবাই মিলে ওকে একটা পুতুল দেবো টাই ৪০ টাকা ও দিতে হবে সবাইকে। সব শুনে অপূর্ব নিজের পকেট থেকে ৪০ টাকা হিমুর হাতে দিয়ে বললো-- নে চৈতীর টাকাটা। তোরা বেশি দেরী করিস না ওখানে। আমি ৮।৩০ নাগাদ গেটের বাইরে দাঁড়াবো। তুই আর চৈতী চলে আসবি আমার সঙ্গে।এত সব কথার মধ্যে চৈতী কারো সঙ্গে কোনো কথাই বললো না। আরো কিছুক্ষন বকক্বক করে হিমু চলে গেলো।চৈতী পড়ার টেবিলে বসলো। এখন আর ৬।৩০ এ ও কারো জন্যে অপেক্ষা করেনা....
  • Nina | 68.45.145.174 | ২৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৫:৩০425605
  • হাত চালা কলিয়া---আর একটু বেশি করে লেখ
  • koli | 115.187.38.17 | ২৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:১১425606
  • শুভশ্রী রা এখন সকালে পড়তে যায় তন্ময় এর বাড়ি। আজ পড়া শেষে ওরা যখন ফিরলো, শুভশ্রী চৈতীর কাছে এসে বললো, একটা জিনিস আছে তোর। চৈতী নিÖপ্রভ ভাবেই বললো, কী?
    --একটা চিঠি, বলেই ও চলে যাচ্ছিলো। হাত ধরে থামালো চৈতী-- চিঠি? না দিয়ে কেন যাচ্ছিস? দে। চারদিকে ভালো করে দেখে নিয়ে শুভশ্রী চিঠিটা দিলো চৈতীকে।কিছুক্ষন পরে সবাইকে লুকিয়ে চিঠি টা বের করলো। তন্ময় এর চিঠি। লিখেছে--

    চৈতী,

    কেমন আছো? পড়াশুনা করছো তো ঠিক করে? আজ দেখা হবে। তাড়াতাড়ি চলে এসো। কতদিন দেখিনা...

    অনেক ভালোবাসা নিও,

    তন্ময়

    পড়া শেষে চৈতী মনে মনে ই চিঠির উত্তর দিলো তন্ময়কে। তারপর খুব ছোট ছোট টুকরো করলো চিঠির। আর তো ও চিঠি গুলো জমাতে পারবে না। ব্যক্তিগত সবকিছুই তো কবেই সমষ্টিগত হয়ে গেছে! তন্ময় এর দেওয়া গোলাপ, গল্পের বই, পাসপোর্ট সাইজ ছবিটা, আর অনেকগুলো চিঠি... সবকিছু ই সেদিনের পর থেকে চৈতী আর কোনোদিন খুঁজেই পায়নি কোথাও! ও বুঝেছে ঐ জিনিসগুলির পরিণতি কী হয়েছিলো।
    ছিঠির ছেঁড়া টুকরোগুলো বাগানের গাছতলায় ফেলে এসে আবার নিজের কাজে মন দিলো। ২।৩০ নাগাদ বেরোলো বাড়ি থেকে বই খাতা নিয়ে। যেতে যেতে পথে সঙ্গীতা, হিমু আরো কয়েকজন বন্ধু একত্রিত হয়ে গেলো। সবাই তিথির জন্য কেনা পুতুল নিয়েই আলোচনা করছিলো যেতে যেতে। আর চৈতী শুধু তন্ময়কে ভাবছিলো। যেই ঘরটাতে স্যার ওদেরকে পড়ান, সেই ঘরে তখন তন্ময় কাজ করছিলো। ওরা সবাই যে যার জায়গায় বসে পড়লো। চৈতী আর তন্ময় দুজনে দুজনকে দেখে নিলো একটু। হিমু বললো, তন্ময়দা কেমন আছো? বলেই চৈতীর দিকে তাকালো। চৈতী চোখ নামিয়ে নিলো। ওদিক থেকে সহাস্য উত্তর এলো-- ভালো আছি। তোমাদের সবার কি খবর?ভালো? এইসব কুশল বিনিময় চলতে চলতে স্যার এলেন। সবাই পড়ায় মন দিলো। আর তন্ময় বেলুন ফুল ইত্যাদি দিয়ে ঘর সাজাচ্ছে। সুবীর স্যার চৈতীকে খুব ভালোবাসেন, স্নেহ করেন। মাঝে মাঝে কম্পিঊটার, সাহিত্যিক ইত্যাদি বিশেষণ ও প্রয়োগ করেন ওর নামের আগে। আজ কিন্তু ওর অঙ্কে খুব ভুল হচ্ছে। একটুও মন নেই ওর। স্যার ও নিশ্চই খুব অবাক হচ্ছেন। স্যার হঠাৎ তন্ময়কে জিজ্ঞেস করলেন--এই তন্ময়, চৈতীর প্রিপারেশন কেমন রে বাকি সাবজেক্ট গুলোতে? তুই তো ওকে প্‌ড়াস বাকিগুলো। -- প্রিপারেশন ভালো ই। ওর সব কমপ্লিট হয়ে গেছে তাই এখন আর যাই না। জোর করে একটু হেসে কথাগুলো বললো তন্ময়। ও বুঝতে পারলো স্যার এখনো কিছু জানেন না। নিশ্চই একদিন জেনে যাবেন। সারা পাড়া রটে যেতে আর বেশি দেরী নেই! স্যার বললেন-- ও!

    আজ আর বেশি পড়া হলোনা। পড়া শেষ। ততক্ষনে ঘর সাজানো ও হয়ে গেছে। তন্ময়কে এখন আর চৈতী দেখতে পাচ্ছে না। হয়তো অন্য কোনো কাজে ব্যস্ত। চৈতীর বন্ধুরা সব ছাদে উঠেছে। এখনো সব অতিথিরা এসে পৌঁছায় নি তাই একটু পরে কেক কাটা হবে। চৈতী অন্যমনষ্ক হয়ে আস্তে আস্তে উঠছিলো। পেছন থেকে খুব ই আস্তে নিজের নামটা যেন কেউ ডাকছে বলে মনে হলো ওর। ফিরে তাকাতে দেখলো.. তন্ময়
  • aishik | 122.167.105.226 | ২৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:৩১425607
  • ওফ্‌ফ্‌ফ্‌ফ সাংঘাতিক হচ্ছে। তারপরে কি হল?
  • daadaa | 59.94.77.156 | ২৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ২১:১৫425608
  • কলি গল্প বেশ জমেছে । চালাও - নিনা ঠিক ই বলেছে আরএট্টু বেশী করেলেখ
  • puff | 59.93.162.177 | ২৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:১৭425609
  • বাহ!
  • Nina | 68.45.145.174 | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৬:৪৭425610
  • উফ! ঠিক এমন জায়গায় থেমে যাস যে মনে হয় তোকে ধরে দি বেশ করে---কই কখন লিখবি?? আর একটু বেশি করে লেখ প্লিজ---
  • koli | 115.187.37.101 | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:১৯425611
  • :) দিদি,

    সে তুমি ধরে দিতেই পারো। যত ইচ্ছে!!! :( আস্তে দিও
  • koli | 115.187.37.101 | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:৪১425612
  • সিঁড়ির এক কোণায় দাড়ালো চৈতী। অন্যদিকে তন্ময় দাড়ালো। কেমন আছেন? শরীর কেন এত খারাপ হয়ে গেছে?ঠিক করে খাওয়া হয়না নিশ্চই? আমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য এসব করছেন?--সব বলে চৈতী একটু থামলো।
    তন্ময় বললো-- না না আমি একদম ঠিক আছি। তুমি কিচ্ছু ভেবনা। কোনো রকম দুশ্চিন্তা করবে না আমায় নিয়ে। ভালো ভালো চিন্তা করবে তাও পরীক্ষা র পর। বুঝেছ? তোমাকে আমি কষ্ট দিতেই পারবো না কোনদিন... তুমি দিলে দিও। তাতেও আমার কোন অভিযোগ থাকবে না।
    --দেখুন তো আমাকে? আমি তো কোন চিন্তাই করছি না! ও হ্যাঁ একটা কথা বলার ছিলো আপনাকে। বলে চৈতী থামলো।
    কী কথা?বলো, তারপর আমিও তোমাকে একটা কথা বলবো।
    চৈতীইইইইই--কথোপকথন এর মাঝে ছাদ থেকে ডাক এলো। "আমরা সবাই গানের কলি খেলছি, তুই ও আয়। কী করছিস এতক্ষণ?'
    যাই--- বলে চৈতী থামালো বন্ধুদের।তাড়াতাড়ি তন্ময় কে বললো-- পরীক্ষার পর আমাকে পিসী র বাড়ি পাঠিয়ে দেবে। ওখানেই কোন কলেজে ভর্তি হবো হয়তো।
    কথার মাঝখানে রাজীব উঠে এলো সিঁড়ি দিয়ে। এ পাড়ার ই ছেলে। তন্ময় আর অপূর্ব দুজনের ই চেনা, সমবয়সী।ওকে দেখে দুজনেই চুপ হয়ে গেলো। রাজীব বললো-- তন্ময় তুই এখানে দাঁড়িয়ে কেন?
    --একটু কথা বলছিলাম। তুই?
    --এই দেখনা স্যারের সিঁড়ির লাইট নাকি জ্বলছে না, তাই ডেকে পাঠালেন। রাজীব পেশায় ইলেক্ট্রিসিয়ান। ও নিজের কাজ করে চলে গেল।
    তন্ময় এবার চৈতী কে বললো-- আমিও এরকম কিছু একটা তোমাকে বলতে যাচ্ছিলাম। আমিও কিছুদিন পর শহরে চলে যাবো। ওখানে আরেকটা দোকান কেনার কথা চলছে। চাকরী বাকরী কিছু পাবো বলে মনে হয়না। দেখি ওখান থেকেই কিছু শুরু করতে পারি কিনা।আমি যোগাযোগ রাখবো। তুমিও সম্ভব হলে চিঠির উত্তর দিও। সেসময় ফোন খুব একটা ছিলো না, তাই চিঠি ই একমাত্র যোগাযোগের উপায়।
    চৈতী বললো--আচ্ছা। এবার যাই নাহলে ওরা এসে যাবে এখানে। ভালো থাকবেন। শরীরের যত্ন নেবেন।আমি ভালো করে পরীক্ষা দেব। অনেকদিন যোগাযোগ যদি না হয়, আর কারো প্রেমে পড়বেন না যেন!
    তন্ময় একটু হাসলো চৈতীর কথা শুনে-- কথা দিতে পারছি না। তবে চেষ্টা করবো না পড়ার। না না মজা করছি সোনা। তুমিও ভালো থেকো খুব। আর আমার ই থাকবে আমি জানি। এসো...
  • koli | 115.187.37.101 | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:২৯425613
  • চৈতী ছাদে উঠে গেলো। বন্ধুরা সবাই একটু ওকে নিয়ে হাসাহাসি করে নিলো। ওরা কেউ এখনো প্রেমে পড়েনি। তাই ব্যাপারটা বোঝাও সম্ভব ছিলো না ওদের পক্ষে। তাই চৈতী ওদের ওপর রাগ করলো না। ওদের সঙ্গে খেলায় মন দিলো। একটু পরে কেক কাটা র জন্য সবাই নীচে চলে গেল। সবাই আছে, তন্ময় কোথাও নেই। পরে জানা গেল ও স্যারকে বলে চলে গেছে। একটু মন খারাপ হলো চৈতীর। তবে একদিকে আশ্বস্ত ও হলো যে, দাদা যখন নিতে আসবে তন্ময় কে দেখতে পাবে না। বুঝতে পারবে না যে ওদের দুজনের কথা হয়েছে, দেখা হয়েছে। সময়মত অপূর্ব এসে নিয়ে গেল হিমু আর চৈতীকে। বাকি বন্ধুরাও যে যার মত এক এক করে বাড়ি র দিকে এগোলো।

    পরদিন সকাল দশটা নাগাদ বাড়িতে বিশাল যুদ্ধ শুরু হলো। অপূর্ব জেনে গেছে কাল চৈতী আর তন্ময় সুবীর স্যারের বাড়ির সিঁড়িতে দাড়িয়ে কথা বলেছে। চৈতীকে যা নয় তাই বলছে। এত সুন্দর সুন্দর ভাষা এর আগে কোন দিন শোনেনি ও। তবে সেগুলো শুনে ওর ততটা দু:খ হচ্ছে না। ও শুধু ভাবছে--দাদা আমাকেই এসব বলছে। আর তন্ময় কে না জানি কি করবে...
  • Nina | 68.45.145.174 | ৩১ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৫:৪৬425614
  • হুম্‌ম্‌ম্‌ম! দাদার দাদাগিরি।
    এ কলিয়া, লেখ লেখ, বেশ ভাল জ্বাল দিচ্ছিস, দুধ বেশ ঘন ক্ষীর হচ্ছে , ভয় করছে আবার লেবু-দাদার চোটে কেটে ছানা না হয়ে যায়!
  • koli | 115.187.41.197 | ৩১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৫:১৫425616
  • :)
  • koli | 115.187.41.197 | ৩১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৫:৩২425617
  • চৈতী জানতে পারেনি সেদিন অপূর্ব আর তন্ময় এর সঙ্গে কি কথা হয়েছিলো। শুধু আন্দাজ করতে পারে অনভিপ্রেত কিছু ঘটেছে।ইতিমধ্যে অপূর্ব একটা ভালো সুযোগ পায় বিদেশে যাওয়ার। সেই সবের ও তোড়জোড় চলছে। সবাই বেশ খুশী। সংসারের হাল ভালো হবে সেই ভেবে।
    দিন কয়েক পর একটা চিঠি পায় চৈতী। তাতে তন্ময় লিখেছে--
    চৈতী,
    যা ঘটেছে সে নিয়ে ভেব না। এরকম হয়েই থাকে। কাল হয়তো অ্যাডমিট কার্ড আনতে যাবে স্কুলে। আর তোমার জন্মদিন ও কাল। আমি একটু যাবো দেখা করতে। ভালো থেকো।

    তন্ময়..
    পরেরদিন স্কুলে যায় চৈতী অ্যাডমিট কার্ড আনতে। একটা ক্লাসরুমে সব বন্ধুরা বসে আড্ডা দিচ্ছিলো। জানালা দিয়ে চৈতী দেখতে পেলো তন্ময় এসেছে।স্কুলের পেছনের গেট দিয়ে বেরিয়ে তন্ময় এর সঙ্গে দেখা করে। খুব বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিলো ওকে। চৈতীকে লাল কাগজে মোড়া একটা পুটলি মত দিয়ে বললো-- আজ তোমার জন্মদিন। এটা আমি দিলাম। পারলে একদিনের জন্য হলেও ব্যবহার করো। শুভ জন্মদিন সোনা। আনন্দে চোখে জল এলো চৈতীর। আজ ওর জন্মদিন অথচ কারো মনেই নেই বাড়িতে। স্কুলের বন্ধুরা কেউ কেউ মনে রেখেছে,কার্ড দিয়েছে। কী ভাবছো?--তন্ময় জিজ্ঞেস করলো। --কিছু না। আপনি ভালো আছেন? সেদিন দাদা আপনাকে খুব অপমান করেছে না? আমাকে তো বলবেন না কিছুই।-বলে চৈতী থামলো। তন্ময় বললো--না না সেরকম কিছু হয়নি। তুমি ভেবনা।কিছু শর্ত দিয়েছে ও আমাকে। বলেছে ও যখন থাকবে না তখন যেন আমরা কোনরকম যোগাযোগ না রাখি। ও যখন ফিরবে তখন আমাদের সম্পর্ক নিয়ে দুই ফ্যামিলির মধ্যে কথা হবে। আর বলেছে এর মধ্যে ও তোমাকে আমার ব্যপারে কিছু বলবে না বা অন্য কারো সঙ্গে বিয়ের জন্য ও জোর করবে না। তাই আজকের পর তোমার সঙ্গে অনেকদিন দেখা বা যোগাযোগ কিছুই হবেনা। তুমি একটুও এসব নিয়ে চিন্তা করো না। অপু আমাকে যেমন কথা দিয়েছে তার অন্যথা হলে আমি তোমাকে নিয়ে যাবো আমার কাছে। তুমি নিশ্চিন্তে পরীক্ষা দাও।আমি খবর রাখবো সবসময়। কাল ই আমি চলে যাচ্ছি এখান থেকে। চৈতী বললো-- তাহলে শুভশ্রী দে র পড়ানো র কি হবে?-- ওদের জন্যে অন্য মাস্টার দেখে দিয়ে গেলাম। কাল থেকে ও ই পড়াবে। আসি আর বেশি থাকা ঠিক হবে না। চৈতীর একটা হাত ধরে বললো--ভালোবাসি, সবসময় তোমাকেই ভালোবাসবো..
    আলাদা হয়ে গেলো অনির্দিষ্ট কালের জন্যে--তন্ময় আর চৈতী...
  • M | 59.93.204.186 | ০৩ জানুয়ারি ২০১০ ১০:৩১425618
  • অ কলি, শেষ নাকি মামনি?
    না না, শেষটা এমন করে নয়, বেশ বড়সড় বিজনেস ম্যান করে তন্ময়কে ফিরিয়ে আনো দিকি।:P
  • koli | 115.187.36.254 | ০৩ জানুয়ারি ২০১০ ২৩:০০425619
  • :) না না শেষ নয় তো। বছরের শুরু বলে কদিন একটু সবাইকে শান্তি দিলাম। কাল আবার জ্বালাবো!
  • koli | 115.187.54.8 | ০৪ জানুয়ারি ২০১০ ১১:৫৯425620
  • স্কুল থেকে ফেরার সময় সবার থেকে একটু আলাদা হেঁটে পুটলি টা খুলে দেখলো চৈতী-- একটা ছোট্ট সোনার আংটি। বের করে বাঁ হাতের ঐ আঙ্গুলে একবার একটু পড়ে নিলো। আবার পুটলিস্থ করে বাড়ি ফিরলো। ভেবে ভেবে ঠিক করলো কাকে রাখতে দেবে সেটা। ওর এক খুড়তুতো দাদা কদিন ধরে ওদের সঙ্গে থাকছে গ্রাম থেকে এসে। ও সব ব্যাপারগুলো জানতো। চৈতীর প্রতি একটু সহানুভুতি ও ছিলো। ওর হাতে দিয়ে চৈতী বললো-- এটা কদিন একটু তোর কাছে রাখবি রে? আমি যখন চাইবো দিস।
    ও বললো- আচ্ছা দে রাখছি।
    এরপর আস্তে আস্তে চৈতীর পরীক্ষা শেষ হলো।ইতিমধ্যে অপূর্ব দেশের বাইরে গিয়েছে জীবিকার সন্ধানে। বন্ধুর প্রতি করা পতিজ্ঞা রাখতে গিয়ে তন্ময় ও চৈতীর সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ রাখেনি দৃশ্যত:...
    পরীক্ষার মাস তিনেক পর রেজাল্ট বেরোলো। চৈতীর আহামরি রেজাল্ট হয়নি খুব স্বাভাবিকভাবেই-- ৬৯% নম্বর পেয়েছে ও -- ওর বাকি বন্ধুদের চেয়ে অনেক অনেক কম-- সবচেয়ে বেশি পেয়েছিলো হিমু-- ৯৫%... সে যাই হোক রেজাল্টের পরপর ই চৈতীকে নিয়ে যাওয়া হলো শহরের প্রাণকেন্দ্রে.. এমনিতে ওদের বাড়ি শহর থেকে একটু দূরে। তাই কলেজে যাতায়াতের সুবিধা র বাহানা দিয়ে ওকে নিয়ে যাওয়া হলো শহরে পিসির বাড়িতে। এবার থেকে ও সেখানেই থাকবে, মাঝে মাঝে বাবা মা এসে দেখে যাবেন ওকে...
    চৈতী যানে তন্ময় ও কাছাকাছি কোথাও একটা থাকে কিন্তু ঠিকানাটা জানেনা। বাড়ির আর কেউ যদিও এই ব্যাপরটা ভাবেনি যে তন্ময় ও শহরে চলে এসেছে আগে থেকেই...
  • koli | 115.187.38.164 | ০৪ জানুয়ারি ২০১০ ১৪:৫১425621
  • কলেজে ভর্তি হয় চৈতী। প্রথম প্রথম খুব মন খারাপ হতো। স্কুলের বন্ধুদের জন্যে মন কেমন করতো। পাশের বাড়ির ভাই বোন দের জন্য ও কষ্ট হতো। আস্তে আস্তে কষ্ট সহ্য করতে শিখছে এখানে এসে। মাকে ছেড়ে এতদিন আর কোথাও কখনো থাকেনি। কলেজে ও প্রথম দিকের দিনগুলো খুব যাচ্ছেতাই কেটেছে। আস্তে আস্তে নতুন বন্ধু হয়েছে অনেক। মেয়েদের কলেজ ছিলো। গেটের বাইরে ঝালমুড়ি ওয়ালা বসতো। দুপুরবেলা টিফিন টাইমে বন্ধুরা মিলে ঝালমুড়ি খেতো। ওরাই চৈতীর জন্য কিনে নিয়ে আসতো... ওকে সবাই খুব ভালোবাসে কিনা! তো ঐরকম করে রোজ ই সবাই মিলে ক্লাসে বাইরে রাখা বেঞ্চিতে বসে সবাই মিলে ঝালমুড়ি খাচ্ছিলো। একটু পরে ফিজিক্‌ক্‌স প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস শুরু হবে সেই বিষয়ে আলোচনা চলছিলো...
    এমন সময় কলেজের গেটের দিকে চৈতীর চোখ গেলো। দেখতে পেলো মুন্নি ভেতরে আসছে। ওকে দেখেই সাত পাঁচ ভাবতে শুরু করে দেয় চৈতী। একসময় মুন্নি উঠে এলো -- এসেই চৈতীকে একটা দিকে টেনে নিয়ে গিয়ে বললো-- তোর সঙ্গে কথা আছে একটু। অজনা আশঙ্কায় চিন্তিত হলো চৈতী। ঝালমুড়ির প্যাকেটটা একটা বন্ধুকে দিয়ে বললো তোরা খা আমি একটু আসছি। বলে মুন্নি কে নিয়ে কলেজের মাঠের দিকে গেলো....
  • Nina | 68.45.145.174 | ০৫ জানুয়ারি ২০১০ ০৬:২৯425622
  • আবার অমন করে থেকে গেলি---আসতে দে আমায় দেশে---এলুম বলে তারপর তোকে দেখাচ্ছি

  • de | 59.163.30.3 | ০৬ জানুয়ারি ২০১০ ১৭:০৫425623
  • যা: বাবা! এ যে দেখি আপডেটই হয় না, ও লেখিকা দিদিমণি লিখুন না প্লিজ!
  • Du | 65.124.26.7 | ০৮ জানুয়ারি ২০১০ ০০:৪৮425624
  • নিছক গল্পই যখন - দোকান মালিক তন্ময়কেই কেন না বরে নিক অফিসার চৈতী ?
  • koli | 115.187.40.23 | ০৮ জানুয়ারি ২০১০ ০৮:১২425625
  • :( একটুও সময় পাচ্ছি না।।। মনে হয় রবিবারের আগে লিখতে পারবো না--- ততদিনে প্লিজ কেউ তন্ময় আর চৈতী কে ভুলে যাবেন না!
  • koli | 115.187.39.148 | ১০ জানুয়ারি ২০১০ ১০:২০425627
  • মুন্নি যাওয়ার সময় একটা ছোট কাগজের টুকরো দিয়ে গেছে চৈতীকে। তাতে একটা ঠিকানা লেখা... তন্ময় এর। যাওয়ার সময় বলে গেছে---- শুধু ভালোবাসি ভালোবাসি বললে হয়না--ভালো যে বাসিস তার যদি এই নমুনা হয় তাহলে বাসিস না প্লিজ। ভালো থাকিস। আর পারলে তন্ময়দা কে ও ভালো রাখিস। গেলাম। কাগজটা হাতে নিয়ে থ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো চৈতী। ঐ এক ই কলেজে শ্যামলী দি, চৈতীর পিসতুতো দিদি ও পড়ে। সেসময় ও মাঠের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো। চৈতীকে ঐভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কাছে এসে বললো-- কি রে? কি হয়েছে তোর? এখানে এভাবে একা দাঁড়িয়ে আছিস কেন? বল?----"কিছুনা' বলে চৈতী স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করলো। --কিছু যে হয়েছে সে আমি বুঝতে পারছি। আচ্ছা এখন ক্লাসে যা।আমার ও ক্লাস আছে। বিকেলে বাড়ি ফিরে সব শুনবো।-- বলে শ্যামলী দি ওর ক্লাসে চলে গেলো। চৈতী ও ক্যালকুলাস ,ত্রিকোণমিতি,সরল দোলগতি এসবে মন দেওয়ার চেষ্টা করলো.....
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন