এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • খামখেয়ালে দেওয়াল লেখা

    Suman
    অন্যান্য | ২২ ডিসেম্বর ২০০৫ | ২০৬২৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • amit | 203.197.196.1 | ২২ ডিসেম্বর ২০০৫ ০১:০০451495
  • লালফিতে টপকাতে রাংচিতা বেড়া
    মুঠোরোদ ছুটে যাই নিশ্চিন্দিপুরে

    বললেই হল,হাজার কথা আর কথকতা বসে আছে হৃদয় জুড়ে।সে মাড়িয়ে যাবে কে এই অবেলায়! তার চেয়ে খুকি আয় বরফজল খাই,বেলকুঁড়ির মালা হাতে গন্ধ শুঁকে জোর করে উদাসী ভাব এনে গল্প বলি তোকে।এক যে ছিল রাজা---------ব্যস, এইখানে এসে থেমে যেতে হয়,তারপরে কেউ যে আমায় বলে দেয় নি।আঘাটা পেরিয়ে যেতে যেতে চোখে পড়ে যায়-------
    নোনা ঝরে, ঝরে ঝরে পড়ে নিদারুণ
    আলকুশী ঝোপে বুড়ি চাঁদ, ইন্দির ঠাকরুন।

  • tanu | 131.95.121.251 | ২২ ডিসেম্বর ২০০৫ ০২:০০451506
  • থুরথুরে বুড়ো অন্ধ প্যাঁচা ডাকে ক্র্যাঁও ক্র্যাওঁ ক্র্যাঁও।বুড়ী চাঁদ ঝপ্পাস করে যায় ডুবে,কালিন্দীর নোনাপানি ছলাৎ করে পারের ভাঙনে।
    ইঁদুর তুরতুর তুরতুর তুরতুর....
    দূর এসব কি? রাতজাগা পাকামি?
    বাইরে অঝোর বৃষ্টি,ঝমঝমঝমঝম,টালির চালে শব্দ,ছন্দের মতন শব্দেরা গড়িয়ে নামে ধারা বেয়ে।
    গ্যাঁতো গোঁতো গ্যাঁওতো গোঁতো... অনেকক্ষণ থেমে থাকার পরে ব্যাঙেদের রেওয়াজী গলা চালু হয়ে যায়।
    দুধসাদা জ্যোৎস্নাপ্রাসাদে এরেন্দিরা ছাদে উঠে বসে থাকে সবুজ ফুলদানির পাশে।
    একই গল্প বারে বারে পোশাক বদলে বদলে আসে।

  • Samit | 59.92.145.39 | ২২ ডিসেম্বর ২০০৫ ০৩:০০451517
  • দ্বাদশবার বদলে আসার পরে দেখা যায় প্রকৃতই উহা একটি পোষাক অথবা এক একটি গল্প যেগুলি টাঙিয়ে রাখা যায় চমৎকার আলমারীগুলিতে পাশাপাশি প্রায় পোষাকেরই মতো, রঙীন ও ঈষৎ সুগন্ধিত। ফলত: স্ক্রোলফাঁদে দেওয়ানা হয়ে গেলে সকালের নির্ধারিত ফোম আজ দেরীতে ওঠে। এখনো গরম বলে কফির কাপ থেকে ছেঁড়া ফিতের মতো আজকের পোষাকচিন্তা উঠতে থাকে স্ক্রীন জুড়ে - পিনসাদা জামাগুলির ইস্তিরি ও আহ্বানে ঢেকে যায় বুড়োদাশ প্যাঁচা । পরবর্তী আলমারী খুলতে গিয়ে এক টিশার্ট পোষাকে মনে পড়ে বন্ধুর জামা - "বহুদিন পর চাঁদ থেকে ঘোর নেমে জলে চলে গেল'।
  • dam | 61.246.148.159 | ২২ ডিসেম্বর ২০০৫ ০৪:০০451528
  • প্রতিটি পোষাকেরই থাকে একটি নিদিষ্ট মুখোশ। সকালের পায়জামা ও টিশার্টের জন্য নিদিষ্ট ঈষৎ ফোলা চোখের মুখোশটি বেলা সাড়ে নটায় হয়ে যায় বিজনেস স্যুট আর হাইহীল বেলির সাথে মানানসই একটি ফর্ম্যাল তাপউত্তাপবিহীন মুখোশে। ওভারকোটের হুডে ঝুলে থাকে বিবিধ মুখোশ, কখন কোনটা দরকার হয়। এই প্রয়োজনীয় পরিবর্তনটি সম্পুর্ণ স্বনিয়ন্ত্রিত, পোষাকের সাথে লেপ্টে থাকা সুগন্ধের মতই আপনাআপনি এসে সেঁটে যায় মুখের উপর। কিন্তু আগের মুখোশটি সম্পুর্ণ সরে যায় কি?
  • Diptayan | 62.189.154.1 | ২২ ডিসেম্বর ২০০৫ ১০:১০451606
  • শব্দ গুলো ভেঙে গিয়ে আবার জুড়ে যায়।তৈরী করে অন্য কোন প্যাটার্ন।সেই নেশায় ছুটে চলে কবি।প্রকাশভঙ্গির নিয়মিত চলমান প্রবজ্যায়।ওঠে আর পড়ে সময়ের পর্দা,খুঁজে ফেরে অনন্ত সাগরবেলায় লুকিয়ে থাকা একটি শুক্তি,যার ভেতরে মুক্তোদানা নিয়ী আছে রাজকন্যার নিধি ভাবীকালের তরে।পা কেটে যায় পাথরে,ক্লান্ত দেহ এলিয়ে পড়ে,তবু চলতে থাকে,বইতে থাকে,আপন তালে,আপন বাটে।খুঁজে পেয়েছো কি একে কোনদিন,কোনখানে?
  • Avradip | 66.207.220.150 | ২২ ডিসেম্বর ২০০৫ ১০:২০451661
  • সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরের মিস্টি রোদ দেখে যখন মনে পুলক জাগে, সোনালী রোদ দেয় বাইরে যাবার হাতছানি। কিন্তু হাতে একটা সাদা কাঠি জ্বালিয়ে বাইরে স্বপ্নের দেষে পা বাড়াতে যেতেই স্বপ্ন তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে... কন্‌কনে উত্তুরে হাওয়ায় সাদা সাদা বরফের কনা মুখে এসে বেঁধে তখন চেতনা হয়...
    হায়রে অভাগা/ এ কোন ভাগাড়ে আইলি রে তুই!!!
  • adheesha | 193.61.255.86 | ২২ ডিসেম্বর ২০০৫ ১০:৪০451716
  • নীল ঘুমের নরম দিনে রাস্তায় বেরুলাম, ঝরে পড়ছে হলুদ প্রজাপতিদের ডানা শহরজুড়ে, আমি ছাড়া আর কেউ দেখতে পাচ্ছে না......

    ছোটোবেলার পুরনো পাড়ায় আমাদের গোলাপি দেওয়ালের পুরোনো বাড়িটা আর নেই, চন্দননগরের স্টেশন রোডে নেই ফাটল ধরা মামাবাড়ি, অথচ এরা ছিল, এই তো ছিল, এক্ষুনি তো দেখে গেলাম , তারপর ভ্যানিশ!

    খুঁজলাম চেনা মুদির দোকানটা, চেনা বকুলগাছ, এই তো ছিল এখানে প্রায়-ভেঙে-পড়া সেই গুম্‌টিঘর....

    সন্ধ্যে হচ্ছে, রাত.... শেষ বাস বেরিয়ে যাচ্ছে... ঐ তো চলে গেলো... আকাশ ছেয়ে যাওয়া হোর্ডিং -এর তলায় বিবর্ণ দেওয়ালে লিখলাম ছোট্টো বিজ্ঞাপন - "বাড়ির রাস্তা হারিয়ে ফেলেছি, ফিরিয়ে দেওয়ার পুরস্কার - চিলেকোঠার ঘরে জমিয়ে রাখা সমস্ত এলোমেলো চিঠি।'
  • suman | 59.177.29.20 | ২২ ডিসেম্বর ২০০৫ ১১:০০451783
  • বাড়ি আমাকে চিনতে পারছে না। সময়টা সাদা অন্ধকারে ক্ষয়ে যেতে থাকে। আমি শুধু অনুভব করতে থাকি এক আকাশের আভাস, রাস্তার গন্ধ আর ল্যাজনাড়া চেনা নেড়িকুকুরটার অস্ফুটে ডাক। পা-দুটো চলে গিয়েছে চেনা ঠিকানায়। এবার জুতোটুতো খুলে চায়ের হাঁক পারবে। মাথা বেঁচে গেছে হেলমেটের বাঙ্কারে। পরিবার পরিজন বোধ হয় আমার প্রতিবিম্ব নিয়ে বেড়াতে চলে গেল। বড় একলা লাগছে - বাড়িটাও আমাকে চেনে নি।
  • suman | 59.177.5.195 | ২২ ডিসেম্বর ২০০৫ ১১:১০451794
  • প্রতি মূহূর্তে আমাদের কিছু জন্মের মৃত্যু হয়ে চলেছে। আর সেই একই সাথে চলছে কিছু আনকোরা মৃত্যুর নবজন্ম। যাকে চিনতাম কয়েক বছর আগে - আজ হঠাৎ দেখা হলে - দুটো ভাঙাচোড়া আকৃতি - একজনের হাত বলতে আর কিছু নেই অন্যটার মাথা কাটা গেছে, গলে গেছে ঠোঁট। চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে কোনো পুরোনো চিহ্ন যদি খুঁজে পেতে পারে। একসময়ে হাল ছেড়ে দিয়ে দুজন দুদিকে হাঁটা দেয়।

    পাড় ভেঙে যাওয়ার শব্দে এগুলোই মনে এলো।
  • damayantee | 202.54.214.198 | ২২ ডিসেম্বর ২০০৫ ১১:৩০451805
  • একদিকের পাড় ভাঙ্গলেও আরেকদিকের পাড় তো গড়তে থাকে, পলিতে , বালিতে, শামুকে, গুগলিতে। কেউ ওঠেও না, নামেও না, চক্রাকারে ঘুরে ঘুরে চলে যায় পাটনা কিম্বা উত্তরকাশী, ইম্ফল কিম্বা করাচী। কথা ছিল আজকে ছুটি হবে, তা নাই হোক শপিং তো হবে। তাতেই বা ক্ষতি কি?
  • Diptayan | 62.189.154.1 | ২২ ডিসেম্বর ২০০৫ ১১:৪০451816
  • সেই চক্রাকার পথটা তে ঘুরতে ঘুরতে হয়তো দৈবাৎ দেখা হয়ে যাবে,সে যেখানেই হোক না কেন,অফিস গমনোদ্যত বেলা ন'টায় চিংড়িহাটার মোড়ে,কিম্বা দিনের শেষে সন্দ্যার অন্ধকারে বিজন গাছের তলে।রৌদ্রতপ্ত কোন মরুভূমি র মাঝে,যেখানে আকাশে পাক খেয়ে যায় ক্ষুধার্ত বাজপাখি,বা নরম,নীল,সজল সাগর উপকূলে।শান্তিনিকেতনে বা স্ক্যান্ডিনেভিয়ায়,গালুডি তে বা গুয়াতেমালায়,তা সে যেখানেই হোক না কেন,চিনে
    নেব ঠিক।'দেখতো চেয়ে আমারে তুমি চিনিতে পারো কি না',বলতে হবে না,বরং খোজ নেব 'নিউক্লিয়ার শীতের গোধূলী' নেমেছে কি না।মুকুরে হয়তো
    ভাঙাচোড়া মুখ,একএকসময়,একেকরকম লাগে।বিশ্বাস করি,আজো বিশ্বাস করি এর মধ্যে একটা ছায়া আমার ই।অন্য সব মুখোশ শুধু,একটানে খুলে ফেলে দিতে পারি যখনি বলবে।ঐ যে সামনে লাল নদী,যার তলে গোপন পাতালঘর,যেখান থেকে ওঠে স্বর্গের সিঁড়ি,ওখানে তো কোন চালাকি চলবে না।নিজেকে নিয়ে যেতে হবে নিজের মত করে।হাতে শুধু কাটাকুটি করা পান্ডুলিপি।আবার হয়তো সিঁড়ির শেষে দেখা হবে।
  • suman | 59.177.12.107 | ২২ ডিসেম্বর ২০০৫ ১৩:৫৩451494
  • ক'দিন আগে ভাটিয়ালির পাতায় পেয়েছিলাম "চাঁদের কার্ণিশ" - একেবারে হঠাৎ করে এসে ধাক্কা মেরেছিল। হঠাৎ উড়ে এসে জুড়ে বসা দু'একটা লাইন বা লাইনচ্যুত শব্দরা এসে ধরা দিক এখানে - অন্য কেউ আসুক, অন্য কোনো শব্দের হাত ধরে তাকে পৌঁছে দিক গন্তব্যে। পথভ্রস্ট শব্দেরা ঠিকানা পাক নতুন কবিতার - আসুন। আসছেন তো?
  • suman | 59.177.12.107 | ২২ ডিসেম্বর ২০০৫ ১৪:১০451605
  • ধরা যাক, লিখলাম-

    খুঁটে খাই রান্নাঘরে
    জুটেছে আজ সারাদিন
    হেঁটে যায় রাস্তা তোমার
    সাঁটিয়ে নিশান রঙীন।

    হলো না। কিস্যু হলো না - এটা ভুল রাস্তায় চলে যাচ্ছে। - আটকাবেন না আপনি? - নিয়ে আসুন দিকি ওদের ডেকে। শুনি এক কবিতার গল্প হয়ে ওঠা, বা, "খামখেয়ালে দেওয়াল লেখা"।
  • damayantee | 61.246.76.130 | ২৩ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:৫১451761
  • তা সক্কালে ঘুম ভেঙ্গে যে দেখি চারিদিকে কিছুই নেই, এমনকি সকালও নেই--- তার কি হবে? বিছনা থেকে নামতে তো কোনো অসুবিধে নেই। বারান্দায় যেতেও না। কিন্তু তার আর পর নেই যে। যা: তাহলে নামি সিঁড়ি বেয়ে, বেয়ে, বেয়ে, বেয়ে বেয়ে বেয়ে, ধপধপে সাদা অন্ধকার। কিচ্ছু দেখতে পাচ্ছি না শুধু সামনের জিনিষটুকু ছাড়া। কে যেন বলেছিল মায়াই জগৎ নাকি জগৎই মায়া --- অথবা ওরকমই কিছু একটা। সে যাকগে, মোটকথা আমাকে ঘিরে একটা দেড় মিতার ব্যাসের কুয়ো আর তার বাইরে সাদা সাদা অন্ধকার। কিন্তু এই কুয়ো টা যে দেখি আমার সাথেই হাঁটে আর ফ্রেম বদলে নেয়!! মহা ঝামেলা তো ---- গায়ে লেপ্টে যায় ধোঁয়ার গন্ধ। একটা আবছা আবছা শব্দ--- ধোঁয়া ধোঁয়া গন্ধ---- কিন্তু দেওয়ালগুলো সব গেল কোথয়??????
  • tanu | 131.95.121.251 | ২৩ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:৫৯451772
  • সব্বনাশ করেছে,এত কুয়াশা হচ্ছে নাকি আজকাল দিল্লিতে?
    সকালের পেলেন টেলেনগুলো তাইলে উড়ছে নামছে কিকরে?
    ইকিরে ব্যাপার! আগেও এমন হতো নাকি?
  • amit | 203.197.196.1 | ২৭ ডিসেম্বর ২০০৫ ১৭:২২451539
  • লোকে তো কোথাও যাবে তাই আসা, এমন কিছু নয়,লোকে তো দেখবে কিছু, তাই দেখি,কিন্তু চোখ ভরে গেল ধুলো আর যৎকিঞ্চিৎ ফড়িঙেরা,ঈশ্বর যাদের ছেড়ে দিয়েছিলেন আমার বাগানে খেলা র ছলে খেলতে দিয়েছিলেন।কিন্তু আমার ঈশ্বরী বাক্সবন্দী,কফিহাউসের সিঁড়িতে উঁকি দেখা ঘটেনি এযাবৎ।সম্বৎসর শুধু ফিরে দেখা ফ্রেমে বাঁধা প্রাপ্তিযোগের অন্তেষ্টিক্রিয়া সমাধা।কিয়ৎ স্বাধীন ইচ্ছাকুঁড়ি পাপড়ি মেলতে চায় কোমল ঋষভ আশাবরী ধরে,বেয়ে ওঠে কচি লতা আর ঝরে পড়ে,ঝরে ঝরে পড়ে হাওয়া। দিকবদলের ঈঙ্গিত। চল যাই। চল যাই, এই ডাক পৃথিবীকে বেড় দিয়ে ঘুরে আসে। চল যাই, এই ডাকে যুদ্ধক্ষেত্র আর বুঝি ক্রোশদুই বাকি।
  • Tirthankar | 69.180.29.91 | ২৭ ডিসেম্বর ২০০৫ ২২:০১451550
  • গাছগুলো বেমালুম ফাঁকা। বোমারু বাতাসের সঙ্গে যুঝে উঠতে পারে নি। ভোরবেলার নীলচে-সবুজ স্বপ্নটার সাথে কট্টরপন্থী অ্যালার্মের সাম্প্রদায়িক ঠোকাঠুকিতেও এমন হয়। পাতা ঝরতেই থাকে, রোজ সকালে, .., দুপুরে ...। রক্তের গন্ধ লুকিয়ে রাখতে তাই স্ট্রবেরী ফ্লেভার।

    চুপ, গাছ গান গাইছে!
  • dam | 202.54.214.198 | ২৮ ডিসেম্বর ২০০৫ ১১:৪৮451572
  • আহা এমন সকাল আর কটাই বা আসে--- যখন ইনবক্সে অপেক্ষারত মাত্রই ২-৩ খানা খুচরো কাজ। তা'লে আজ চ্যাটাও নেটাও সমস্যা নেই। বাতাসেও নেই সেই কনকনে "চিঁয়াও চিঁয়াও"। রোদ্দুর যদিও তেমন পোস্কার নয়--- তো ভারী বয়েই গেল। বিশ্বজুড়ে ছুটির আমেজ। আহা কি আনন্দ।
  • dam | 202.54.214.198 | ২৮ ডিসেম্বর ২০০৫ ১১:৪৮451561
  • আহা এমন সকাল আর কটাই বা আসে--- যখন ইনবক্সে অপেক্ষারত মাত্রই ২-৩ খানা খুচরো কাজ। তা'লে আজ চ্যাটাও নেটাও সমস্যা নেই। বাতাসেও নেই সেই কনকনে "চিঁয়াও চিঁয়াও"। রোদ্দুর যদিও তেমন পোস্কার নয়--- তো ভারী বয়েই গেল। বিশ্বজুড়ে ছুটির আমেজ। আহা কি আনন্দ।
  • deepten | 203.101.54.3 | ২৮ ডিসেম্বর ২০০৫ ১৪:৫৩451583
  • চোপ !

    প্ল্যাটিপাস ভাবছে।
  • rangan | 59.145.67.27 | ২৮ ডিসেম্বর ২০০৫ ১৪:৫৯451594
  • সব লেখাই ক্রমাগত গ্রাফিত্তি হতে থাকে। এবং সাথে সাথে দেওয়ালও ভাঙা হয়। চুনসুড়কির গন্ধে মাতে মাতাল শব্দের গ্যাং। দু একটা ওয়ান লাইনার হঠাৎ খাড়িয়ে পেন্টুল খুলে স্ট্রিপটিজ করে, যেমন এই লেখার প্রথম শব্দগুলো। কি বেমক্কা লাগে এই শব্দের ঠেক, রোগা ভোগা শব্দের অযথা বীর্য প্রদর্শন, চুনসুড়কি খাবলে খুবলে খাওয়া যেন সবাই গর্ভবতী। এর পরেই পরিষ্কার জামাকাপড় পড়ে, কুঁচকির ময়লা পরিষ্কার করে আর বগলের গন্ধ ধুয়ে সবাই স্বপ্নের তুলসীমঞ্চে প্রণাম করতে যাবে, যার পিছনের পারুলবনে অজস্র কেউটে সাপ মরে পড়ে আছে।
  • dam | 202.54.214.198 | ০২ জানুয়ারি ২০০৬ ১৩:৪৯451617
  • "চলে কপাল - ধ ধ ধ
    কার মাথা এটা - হী হী হ
    ধাকিটি ধাকিটি ধানিয়া---"

    সক্কাল থেকে মাথায় ঘুরছে তো ঘুরছেই।
  • Diptayan | 62.189.154.1 | ০৩ জানুয়ারি ২০০৬ ১৯:৫৩451628
  • কেমন করে ঘুরছে?ক্লকওয়াইজ না অ্যান্টিক্লকওয়াইজ??:-))
  • dam | 61.246.45.66 | ০৮ জানুয়ারি ২০০৬ ২৩:৩৭451639
  • এই যে ঝলমলে নীল আকাশ আর ঝকঝকে রোদ্দুর----- তাতে লোহার রেলিঙের ওপরে সাদা পাতলা ঐটা নিশ্চয় শিশির। ওরে না রে না রে এ তো বরফ, আসলি বরফ। কিন্তু সকাল সোয়া আটটায় বরফ!! স্বপ্ন দেখছি নাকি রে বাবা!!!!! উহুহুহু উত্তুরে হাওয়া বের করে দেয় ছাদে দাঁড়াবার আর বরখ পরখের মজা। তো তাহলে এই হল গিয়ে ব্যপার।
  • damayantee | 59.144.186.57 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৬ ১১:২৭451650
  • আছে শমীক।
  • dam | 202.54.214.198 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৬ ১৯:৩০451672
  • আহা শীতের সকালে রাস্তায় বেরোলে যদি নাক মুখ অবশ করে হাওয়াই না বইল তা'লে আর শীত কি? আর সাথে যদি থাকে বরফের কুচি----- আহা সে তো স্বর্গ থেকে পুস্পবৃষ্টি। ঝকঝকে রোদ্দুর আর কনকনে ঠান্ডার কোন বিকল্প নাই বটে, তবে ঝাপসা কুয়াশাও তো মন্দ নয়। কুয়াশা হেন জিনিষ আছে বলেই না রোদ্দুরকে অমন মিঠে লাগে। সাধে কি আর পেঙ্গুইনরা অমন ভাল মানুষ হয়!
  • Riju | 192.55.52.3 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ০২:৩৯451683
  • আমার বন্ধুর লেখা চিঠি তার প্রিয়জন কে- সে আমায় ছাপতে দিতে রাজী হয়েছে তাই তুলে দিলুম।

    প্রিয় বন্ধু,

    আমি বুঝি তোমার প্রাণের জ্বালা
    পরশ পাথর খুঁজে মরে খ্যাপা
    সে মানুষ কি খুঁজে পাওয়া সহজ?
    আমিও তো ক্ষুদ্র মানুষ বোকা।

    তোর বিচারে ভরসা রেখেও বলি
    এ সম্পর্ক সংজ্ঞায়িত নয়
    কোথাও কিছু ভুল হয়ে যায় নি তো?
    বন্ধু যদি হারায় এটাই ভয় ।

    এবং আমি মানুষ বড় ভীতু
    বুঝেও খালি পাশ কাটাবার ঝোঁক
    পাকাপাকি ভাবতে পারি না যে
    তার সাথে যে জড়িয়ে অনেক লোক।

    চাইবি জানি অল্প সময় টুকুই
    তুই নিজে খুব শক্ত আমি জানি
    কিন্তু আবার নিজের মনে ভাব
    দুই জনের ই ভাবনা টা কি চিনি?

    যেদিন আমি বুঝবো এ মন রাজি
    নিজের ওপর ভরসা করতে পারি
    সেদিন আমি ধরব তোর ঐ হাত
    সেদিন আসুক তোর ভেতরের নারী

    এই চিঠি হয় যদি বোঝার ভুল
    ক্ষমা করো অবুঝ মনুষ টাকে
    (তুই - তুমি তে মিশে গেলো জানি)
    বন্ধু যেন সদাই পাশে থাকে।
  • damayantee | 202.54.214.198 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৭:৫৯451694
  • কতকাল কেউ লেখে না দেওয়ালে, নিছকই খামখেয়ালে। ধুষর গম্ভীর বিকেল বুড়ো হয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে সন্ধ্যের দিকে। অথচ খুঁজে পাচ্ছি না প্রয়োজনীয় মুখোশ। সব ব্যাটা ঐ প্ল্যাটিপাসেদের কাজ। কোন ফাঁকে সব 'চুরাকে লিয়া' --- আর এখন দেখো ভালমানুষের মতন কেমন ইডলিশ্রী খাচ্ছে বসে বসে।
  • pharidaa | 203.101.2.92 | ০৭ মার্চ ২০০৬ ১৩:০৪451705
  • গেলাসে ঢেলেছো রাত কিছু কথা চাঁদধোওয়া জল
    রেখেছো পথের শেষ ঘর আর কিছু আলো পথ
    হেঁটে যেতে থাকে - হাতে কালো ব্যাগ নিজেদের
    কথা শুনে ভয়ে - ক্রমশ: নিভে যেতে থাকে।

  • pharidaa | 203.101.2.92 | ০৭ মার্চ ২০০৬ ১৬:৩১451717
  • আর ছিল হেঁটে যাওয়া। একা। সে, এক গড়িয়াহাট রোড বরাবর উত্তর দিকে চলে যাওয়া। দক্ষিণের বাতাস চঞ্চল। স্থিরতা নেই - তবু ক্ষিপ্রতাও কম। বুকে বই চেপে চলে যায় কিশোরী আলগোছে সিনেমার পোস্টারে চোখ রেখে। চেনা বন্ধু দেখে ঝকঝকে দাঁতে হেসে ওঠে আর অম্নি একগাদা জুঁই ছড়িয়ে যেতে থাকে ফুটপাথে। দৃশ্যটা এত কম চোখে পড়েছে যে মনে থেকে যায়।

    ক্যাসেটের দোকান থেকে গান ভেসে আসে আর রোলের দোকান থেকে কষা মাংসের ঘ্রাণ। সস্তার জামাকাপড় আরো সস্তা হয়ে ওঠে দোকানীর আতিশয্যে। জুতোর বুরুশ, প্লাস্টিকের দোকানও বড় কম নয়। প্রচুর প্লাস্টিকের মানুষ দেখা গেল চারদিকে কিন্তু সেগুলোর আলাদা কোনো দোকান দেখা গেল না। নিশ্চই আছে কোথাও একটা।

    ক্রমশ:
    পু: এটা একটা মকে্‌শা করার চেষ্টা করছি - দেওয়াল লেখা না হলেও খামখেয়ালে তো বটেই। চালাবো?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন