এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • খামখেয়ালে দেওয়াল লেখা

    Suman
    অন্যান্য | ২২ ডিসেম্বর ২০০৫ | ২০৪৯৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • d | 117.195.37.174 | ১৩ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৩451785
  • অথচ ঝাঁটার অপেক্ষায় ছিল একটা হাড়বেরকরা পিঠ ............ শপাৎ শপাৎ কয়েক ঘা ..... আর তারপরই চারদিক আলোয় আলো করে আকাশ থেকে নেমে আসত ঝাঁকে ঝাঁকে আরশোলা, তেলাপোকা, কুমোরে পোকা .....
  • dd | 122.166.132.30 | ১৪ নভেম্বর ২০০৯ ০০:১৬451786
  • ভুত চাইছে, খুব চাইছে। ছুঁতে।

    একবার

    ভয় পাচ্ছে মানুষেরা, মানুষের পড়শীরা সব।

    ঘড়িতে সময় বলছে, বলছে বেলা তো হোলো। বলছে, এবারের খেলা শেষ। এবারে গুটাও সংসার। ন্যাপথলিনে মোড়ো যতো স্মৃতিকথা। কথাদের দিয়েছো বিশ্রাম। বিশ্রাম মানে শ্রান্তি। শ্রান্তি মানে ঘুম। ঘুম মানে ঘুম। মানে চিরশান্তি।

    ভুত কিন্তু খুব চাইছে, একবার, ছুঁতে। জ্যান্তো,জীবন্ত মানুষেরে।
  • Sayantan | 159.53.78.142 | ১৪ নভেম্বর ২০০৯ ০৩:২০451787
  • সেদিন যখন প্রথম খেয়ালি এলোমেলো একা উড়ল তার ওড়না, সাথে হিম আর নাম-না-জানা মিষ্টি গন্ধ মেখে, ভেবেছিলাম একটিবার প্রশ্ন করি, অ্যাই, তোর নাম কি রে? ভাবনা কখনও উড়ালপুল হলে তা বুঝি শোনা যায়! তাই নয় তো কি। নইলে ঘুরে দাঁড়ালি কেন! তবে শোন, মনে মনে। নেই আমার কোনও চুণি-মুক্তো সম্ভার, প্রিয় গান অথবা শ্রেষ্ঠ প্রাক্তনের তকমা। তবে দিতে পারি মুঠি খুলে প্রিয় শার্টের ছেঁড়া বোতাম, রৌদ্রগন্ধী উড়াল পাখনা, সন্ধ্যাকালীন বাড়ি-ফেরার টান এরকম হাবিজাবি অনেককিছু। আজ থেকে তবে বন্ধু তুই? নি:শর্ত?
  • Sayantan | 159.53.78.142 | ১৪ নভেম্বর ২০০৯ ০৩:৫৩451788
  • অনেকক্ষণ ধরে সে দাঁড়িয়েছিল ব্যাস্ত রাজপথের একধারে। চোখে ছিল ভীতি আর শঙ্কার মিলমিশ। হাতের পুরনো সুটকেসের ভার দড়িপাকানো হাতের শিরায় শিরায় স্পষ্ট। মুখে ব্যাথার ছাপ অথচ চোয়ালে একটু হলেও দৃঢ়তা! হয়ত দেখার ভুল। এমন অবুঝ হয়ে ফুটপাথ থেকে একটু নেমে রাস্তার প্রায় মাঝে, তার একহাতের ব্যবধানে দর্পময় শহরের শকটবাহিনী, রাঙা চোখ, বিকৃতশব্দ। কি ভাষা ওর? কানে কি শুনতে পায়? পাগল নয় তো?
    - কোথায় যাবেন?
    - ...
    - সাথে টাকা পয়সা কিছু আছে?
    - ...
    - এই ক'টা টাকা রাখুন, এদিকে সরে আসুন। কোথায় যাবেন?

    ধীরে ধীরে ভাঙচুর মুখচ্ছবি। এত জল থাকে চোখে। ছোট চিরকূটে লেখা ঠিকানা বেরোয়, বৃদ্ধাশ্রমের।

    সে যে অনেক দূর। প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার। কি করে যাবে অত পথ। শহুরে পরিকাঠামোর উন্নতির প্রতীক শীতাতপনিয়ন্ত্রিত গাড়ি আসে। তাতে তুলে টিকিট কেটে কন্ডাকটরকে বুঝিয়ে দিই কোথায় নামাতে হবে। বুড়ি হাসে। হয়ত বুঝতে পারে সবকিছু। ভাষা না বুঝলেও কি ভাষা বোঝা যায়! নেমে আসতে গিয়েও আবার ফিরে যাই। হাতে তুলে দিই দ্বিপ্রাহরিক খাবারের কৌটো, জলের বোতল। বুড়ি জড়িয়ে ধরতে চায় হাত। অস্পষ্ট জড়ানো গলায় কি সব বলে যায়।

    এদিকে সময় এগিয়ে আসে অফিসের বাস এর। নেমে আসি নিষ্ঠুর আমি। আরও নীচে নেমে যাই।
  • Sayantan | 159.53.110.144 | ১৪ নভেম্বর ২০০৯ ০৪:১০451789
  • ""বৃষ্টি পড়ছিল নারীদের কন্ঠস্বরের মত''। এদিকে দুটো খোকা-খুকীর আনন্দের অন্ত নেই। ইস্কুল ছুটি হয়েছিল অনেএকক্ষণ আগে। তাও দুটিতে হয়ত ব্যস্ত ছিল কোথাও অবাক পৃথিবীর অলীক সৌন্দর্য ক্ষুদে ক্ষুদে চোখে শুষে নিতে। এখন ভিজে ভিজে ফিরছে বাড়ির পথে, হাত ধরাধরি। আর একটু এগিয়ে এলেই বারান্দার একদম নীচ দিয়ে যাবে। দেব নাকি এক ধমক! না:, ভিজুক। বড়জোর একটু জ্বরাজ্বরি। যদি কোনওদিন ওরা এভাবেই বড় হয়, সময় যদি কখনও পিছু ডাকে, যদি আস্ত থাকে এই রাস্তাটা, মনে কি পড়বে না আজকের এই মেঘলা বিকেল।
  • Sayantan | 159.53.110.144 | ১৪ নভেম্বর ২০০৯ ০৪:৫৮451790
  • এমনই একদিন সকালে তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল - হালকা সবজেটে, টুকটুকে রাঙা ঠোঁট টিয়াছানা, এমনকি ল্যাজের জায়গায় পালকগুলো অল্প একটু বড়। হাতের উপর রাখতেই টলে পড়ে যাচ্ছিল আরেকটু হলে। দু'হাতে ধরি থরথর কম্পমান বস্তুটাকে। সন্ধ্যেবেলায় পড়াশোনার পালা সাঙ্গ করে শুরু হয় তার নতুন বাড়ি তৈরীর কাজকর্ম, একটু কাঠের বাক্সে। নীচে অল্প খড় বিছানো হয়, পুরনো পর্দা আর পুরনো বালিশের তুলো একসাথে সেলাই করে তার লেপ-তোষক। সব হয়ে গেলে দেখি বাক্সের একধারে গিয়ে বসে জড়োসড়ো হয়ে। দেখে মায়া হয় খুব। ঘাড় বাঁকিয়ে দেখতে চেষ্টা করে। হাত বাড়িয়ে দিই। হয়ত হাতের ওম খুঁজে আস্তে আস্তে হেঁটে হাতের ধরে বসে। তুলো দুধে ভিজিয়ে ঠোঁটের কাছে ধরলে দিব্যি খেতে শেখে। একটু একটু করে বেড়ে ওঠে। ইতিমধ্যে নতুন বাড়ি হয় তার। খাঁচায় কোনওদিনই থাকেনি সে। সবার সাথে মানিয়ে নিয়ে বাড়ির মধ্যেই দিব্যি হেঁটে চলে অল্প উড়ে বেড়াত। ধীরে ধীরে অ-টিয়াপাখীসুলভ চরিত্র বিকশিত হয়। গলায় কন্ঠি তো কি! ঠাকুমা রাম-নাম শেখানো বন্ধ করে যেদিন রাম এর বদলে অন্য কি সব বলেছিল। এদিকে যথেষ্ট উন্নাসিকতা। ভেজানো ছোলার বাটি শুধু উল্টে দেওয়া, কারণ বাড়ির সকলের মত তারও বৈকালিক চা-এর প্রতি ভালোরকম আকর্ষণ, না দিলেই বাড়ি মাথায়। যেদিন পোষা বেড়ালটার ল্যাজ কামড়ে দিল, প্রমাদ গুনলাম। খাঁচা নিয়ে আসা হল তার জন্য, কিন্তু তার ভেতরে ঢোকায়, কার কটা মাথা! নতুন খাঁচা নতুন হয়েই চিলেকোঠায় গেল। পড়ে রইল সেখানে। পূর্ণিমা (তার ভালো নাম, ডাক নামগুলো কহতব্য নয়) আমাদেরই একজন হয়ে ব্রিটানিয়া মিল্ক বিস্কুট খেয়ে সুখে রাজত্ব করতে লাগল। একে ওকে গালাগালি দেওয়া, মাঝরাতে দু:স্বপ্ন দেখে চীলচীৎকার এদিকে দুধের মাসির সাথে কী সৌহার্দ্যের সম্পর্ক! তা ভালো।

    প্রায় তেরো বছর ছিল পাখিটা। একদিন হলুদ জলে চান করানোর পর ছাদে রাখা হয়েছিল তাকে। আমি নীচের ঘরে। কিছু পড়ে ছাদে শুনি বেশ বড়সড় একটা হল্লা শুরু হয়েছে। দুটো-তিনটে সিঁড়ি একসাথে টপকে ছাদে যাই ব্যাপারটা সরেজমিনে তদন্ত করতে। .... প্রায় গোটা তিরিশেক বুনো টিয়া, অ্যাইসা লম্বা তাদের ল্যাজ, আর উঙ্কÄল সবুজ গায়ের রঙ, সব্বাই টিয়াকে ঘিরে বসে, তাদের ভাষায় উত্তেজিত ভাব আদান-প্রদান হচ্ছে। দেখে ভয় পাই। হয়ত আমাদেরটাকে মেরেই ফেলবে। একটু কাছে যেতেই সবকটা উড়ে যায়। নীচে নিয়ে আসি পূর্ণিমাকে। হাতে ধরে দেখি বুকটা কী জোরে ধুকপুক করছে। অল্প দুধ খায় সে।

    চীৎকার, দাবি-দাওয়া অনেক কম হয়ে গেছিল তার পর থেকে। কেমন যেন নিস্তেজ মত। ভাবতাম, হয়ত ভয়টা এখনও আছে। আজ ভাবি, ভুল ভাবতাম। তার মনে অন্যরকম আকাশে ওড়ার সন্ধান দিয়ে গিয়েছিল সেই এক দুপুরে তারই সাথীরা। তা ভুলতে পারেনি সে, যেদিন শেষে উড়ে চলে গিয়েছিল একেবারের মত, আর ফিরে আসেনি, ততদিন। রবিবার দুপুরে মহাভারত বা রামায়ণ কিছু একটা চলছিল, গোটা বাড়ি টিভির সামনে নানারকম মিসাইলের কেত দেখতে ব্যস্ত, হঠাৎ কোত্থেকে উড়ে এসে বসল মায়ের কোলে। সেখান থেকে একে একে সবার কাছে। আমি উঠে এসে বিস্কুট দিলাম একটা। খেলো না। বাইরে বেরিয়ে ছোটছাদ থেকে উড়ে বসল পিছনের সুপুরি গাছটায়। আমি ভয় পেয়ে সবাইকে ডাকি, কোনওদিনও এতদূর উড়ে যায়নি ও। তাছাড়া ঐ গাছটায় একটা বেড়াল উঠে বসে থাকে মাঝে মাঝে। নানা সাধ্যসাধনা চলে ফিরিয়ে আনবার। সে একঠায় একজায়গায় বসে ঘাড় বাঁকিয়ে বসে দেখতে থাকে কি চলছে তাকে ঘিরে। একটু পরে উড়ে যায় আরও একটু দূরে, একটা নারকেলগাছে। একটু অস্বচ্ছন্দ উড়ান। ভাবি পড়ে যাবে না তো! সেখান থেকে নীল আকাশে উড়ে যায়। সূর্যের আলোয় দেখি তার গায়ের রং কী উঙ্কÄল সবুজ।

    সেদিন রাত্রে কেউ খাবার ছুঁয়েও দেখেনি। তার বাক্সটা পড়েছিল যেখানে প্রতিদিন থাকে, ভেতরে কয়েকটা ক্ষুদে পালক, ঝিরিঝিরি পাতলা তুলোর মত। অনেকদিন জমিয়ে রেখেছিলাম সেগুলো।

    বাবা একদিন বলল, পূর্ণিমাকে দেখলাম সেদিন। মনে হয় ওই। সেই নারকেলগাছটার মাথায়। পাতায় বসে দুলছিল। আমিও জানি, ও ফিরে এসেছিল। আরও অনেকবার। দূর থেকে দেখে গেছে। বলে গেছে, আমি এমনটাই চেয়েছিলাম, অনেক উঁচুতে উড়তে। তোমরা তো কেউ উড়তে জানো না, নইলে তোমাদেরকেও সঙ্গে করে উড়িয়ে নিয়ে যেতাম নীল আকাশে।
  • kd | 59.93.171.131 | ১৪ নভেম্বর ২০০৯ ১৪:০০451791
  • কি লেখে রে ছেলেটা!
    উ:!
  • anaamik | 59.164.186.25 | ১৪ নভেম্বর ২০০৯ ১৪:৫১451792
  • শেষের লেখাটা খুব ভালো লাগলো, সায়ন।
  • dipu | 59.164.99.32 | ১৪ নভেম্বর ২০০৯ ১৫:০৭451793
  • দারুণ ভালো
  • Samik | 12.191.136.2 | ১৪ নভেম্বর ২০০৯ ২০:০৮451795
  • সুতোয় প্রথম একটা বাংলা লেখা পোস্ট হল।
  • Samik | 12.191.136.2 | ১৪ নভেম্বর ২০০৯ ২১:০৫451796
  • সরি, চাট্টে।
  • pharida | 122.163.95.91 | ১৫ নভেম্বর ২০০৯ ০০:৫৪451797
  • অন্তরঙ্গ পথ। উল্লাসে অস্থির আর তেমনই ক্ষমাহীন সময়বিশেষে। আক্ষরিকতা না মানালে বিপ্রতীপ চলতে পারে। পদচারণা, স্মৃতিতাড়ণা ছাড়াও ভুল ঠিকানায় গেলে যার শাপশাপান্ত বাপবাপান্ত সেই পথ তখন নীরব। অভিমুখে আরো বেশি দূরগামী হয়ে ফেরার পথে গল্পে ছোটো হয়ে আসা পথে সেই যে একবার কথা হল তারপর বলে আর কিছু নেই।
  • d | 117.195.36.111 | ১৫ নভেম্বর ২০০৯ ১০:০৮451798
  • মন খারাপ তো খামখেয়ালে রাস্তা ভুলে চলে গেল সেই অন্তহীনের দিকে। কেল্লার সামনে গাইছিল যে দলটা "কেসরিয়া বালমা'কে ডেকে ডেকে, তাতে যোগ দেয় আরও রঙীন সব লোকজন। তক্ষুণি আকাশ জুড়ে বেজে ওঠে কৈলাশের ঘন্টা ..... ঢং ঢং ... জপযন্ত্র ঘোরাতে ঘোরাতে বৃদ্ধ লামা চড়াই ভেঙে ভেঙে উঠে যান পর্বতশীর্ষে, যাঁর মুখের ভাঁজে লুকোচুরি খেলতে গিয়ে পথ হারিয়েছে মন-খারাপ আর মন-ভালো।
  • Tim | 71.62.121.158 | ১৫ নভেম্বর ২০০৯ ১৩:৩৯451799
  • এই যে, দেখুন এসে পড়েছি- একগাল হেসে বললো সে। বললো বটে, কিন্তু তাকিয়ে দেখি কই, সে তো নেই। চতুর্দিকে আগাছার জঙ্গল, ভাঙা ইঁট বের করা মন্দিরে ফাটল ধরা শিবলিঙ্গ জড়িয়ে জড়িয়ে উঠেছে গাছ।
    সরু হয়ে অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া মন্দিরের চূড়াটা অদ্ভুৎ, গা ছমছম করে। ভেতরে বাসা বেঁধেছে কে, কেজানে? এক কোনায় সাপের খোলস দেখা যায়। হয়ত খোলস নয়, একটা গোটা সাপ, ফণাটনা থেঁতলে ঘুমিয়ে পড়ে আছে। কিম্বা হয়ত তাও না, শাড়ির পাড়, জঞ্জালে মিশে, পায়ে পায়ে সরে , এসে ঠেকেছে এখানে।
    নিস্তব্ধতা ভালো, না অস্ফুট শব্দ? অন্ধকার ভালো, না আলো আঁধারি? বোঝা যায় না। সন্দেহ হয়। ঐ যে খসখস , সরসর শব্দ ওঠে, সে কি নিস্তব্ধতার থেকে কম অস্বস্তিকর? এই যে কিছুই জানতে পারছিনা, এইটা ভালো? অজ্ঞানতা ভালো, না অল্পস্বল্প খুঁটে নেওয়া?
    পাতা খসার আওয়াজ শোনা যায়। আকাশের দিকে তাকালে অবশ্য তারা খসা দেখতে পাওয়া যেত। আকাশ কি গাছের মত হয়ে যাবে একদিন? শিরাউপশিরায় ভাঙা রিক্ত কঙ্কাল?
    অবশেষে সে এলো। মাঠঘাট দাপিয়ে, যদিও ধুলো উড়লো না। ওর হাসির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না, তবু জানি সে এসেছে।
  • d | 117.195.36.111 | ১৫ নভেম্বর ২০০৯ ১৫:০৬451800
  • নীলপরী আর মেঘপরী খেলতে খেলতে নেমে এসেছিল ভাঙা গির্জার পুকুরঘাটে। সেই জেখানে ওঁৎ পেতে বসে আছে ভাঙা রেলগাড়ী ...... নীলপরী ছুঁয়ে দিতেই হুইশিল বাজিয়ে দেয় পুঁউউউ করে, আর অমনি নীলপরী, মেঘপরী, আমি-খুকী, তুমি-খুকীরা সব্বাই হইহই করে চড়ে বসে তাতে। ঝিক ঝিক ঝমঝম চলে্‌ত থাকে নরক এক্সপ্রেস ...
    আস্তে ... শ্‌শ্‌শ্‌ .....
  • .. | 85.5.94.142 | ১৫ নভেম্বর ২০০৯ ১৬:০৮451801
  • Sayantan এর লেখাটা দারুন লাগল।

    এই টইএর বেশির ভাগ লেখা মনে হয় ঠিক যেন ট্যাশগোরু যেন কতগুলো ভারি ভারি শব্দ পাশাপাশি জুড়ে দেয়া হয়েছে, কিছু মাথামুন্ডু বুঝি না.......
  • Sayantan | 76.160.41.66 | ১৫ নভেম্বর ২০০৯ ১৯:১৫451802
  • আসলে আমার লেখাগুলোর কোনওটাই এই থ্রেডে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত নয়। আমি যেগুলো লিখেছি, ঠিক দেওয়াল লেখা নয়। বাকি প্রতিটা লেখার একটা অন্যরকম চরিত্র আছে। টিম, ফরিদা অথবা অন্য অনেকের মত লিখতে কোনওদিনই পারবো না।
  • santanu | 217.196.19.45 | ১৫ নভেম্বর ২০০৯ ১৯:২৪451803
  • সায়ন্তন, ভাগ্গিস।
  • Sayantan | 76.160.41.66 | ১৫ নভেম্বর ২০০৯ ২০:১১451804
  • শান্তনু, থ্যাঙ্ক্যু।
  • pharida | 122.163.97.143 | ১৫ নভেম্বর ২০০৯ ২১:০৪451806
  • কাঁচের গেলাস শব্দ করে না - ভেঙে দিলে অওয়াজ হয় - টুংটাং বাজালে হয় ধ্বনি। সেই গেলাসকে উল্টোনো চশমায় দেখে বা না দেখে অনুভব করলে তবে না শব্দ হবে। শব্দই কথা বলে সে শুনি বা না শুনি - বাকি সব কিছু পারি না এড়াতে - শুনে যেতে হয় বা হবে।
  • d | 117.195.36.163 | ২১ নভেম্বর ২০০৯ ১৩:২৭451807
  • দেওয়ালটা কেঁপে কেঁপে উঠছিল শীতে .... ভয়ে .... ঝিঁঝিপোকাগুলোর সতর্ক প্রহরায় মাঠময় ছড়িয়ে পড়ছিল চুপকথারা। কাঁচপোকা চুপটি করে অস্ত গেল আর অমনি নি:সঙ্গ ধ্বনি হয়ে গেল শব্দহীন।
  • aranya | 98.221.52.119 | ২১ নভেম্বর ২০০৯ ১৩:৪৮451808
  • এখন আর রাজনীতি বুঝি না, কোন দল ভাল লাগে না। শুধু মানুষ খুঁজি, ব্যক্তি মানুষ, নি:সঙ্গ একলা মানুষের লড়াই আমায় টানে। অরণ্যের পথে চলতে গিয়ে দেখি পথ শেষ হয়েছে লোকালয়ে, যেখানে আজও রূপকথারা জন্ম নিচ্ছে প্রতিদিন।
  • aranya | 98.221.52.119 | ২১ নভেম্বর ২০০৯ ১৩:৫৫451809
  • কত দিন পরে এই টইটা ফিরে দেখা। টিম কি সুন্দর লিখেছে আবার, ফরিদা তো ভাল লিখবেই, ডি-র চুপকথারা ছুঁয়ে যাচ্ছে। আর সায়ন্তনের পথে দেখা সেই বুড়ী আর ওর টিয়াপাখি -টা - সায়ন্তন তুমি প্লিজ আরো কিছু গদ্য লিখ আর এই টই-তেই লিখ।
  • tkn | 122.163.77.31 | ২১ নভেম্বর ২০০৯ ১৯:১৫451810
  • সায়ন্তন.... অসহ্য ভালো লাগল..

    ফরিদা, টিম্বাকটু আর দ-ও খুব খুব খুব ভালো লিখছ। আরো লেখো.. সব্বাই
  • d | 117.195.35.221 | ২২ নভেম্বর ২০০৯ ২০:১৩451811
  • ধ্বনিমালা ১

    পাম্পের ঘ্যাঁওঘ্যাঁও, পায়রার ঝটপট, কাকেদের কাকলি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের ঠপ্পাস, গরমজলের শোঁ শোঁ, কাপপ্লেটের ঠুনঠান, দরজার দড়াম, তালাচাবির ক্যাঁচম্যাচ, লিফতের পিঁইঁক্‌, রিমোটের পুঁক্‌পুঁক।
  • sayan | 125.22.97.34 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৯:০০451812
  • কখনও ধান রোয়া দেখেছো? কেমন করে জলকাদা জমিতে চারাগাছ বুনে দেওয়া হয়। এক পংক্তিতে সারিবদ্ধ দাঁড়িয়ে থাকে সবাই, হাওয়ার অল্প দুলুনি নিয়ে, গুনগুন গানের মত একদঙ্গল ইচ্ছা, শস্য সবুজ ইচ্ছা, ফলন এবং সুখের ভারে ন্যুব্জ হওয়ার মত মন মাতোয়াল মৃত্তিকাগন্ধী স্বপ্ন! তোমাকে চেনার অধিকার, তুমি যতটুকু দিয়েছ, তার বাইরে কখোনো না-চাওয়ার মত সবকিছু। যা তোমার একান্ত, সে সব তুমি তুলে রেখো নীলকুঠির জানলায়। গলাধাক্কা খেলে অপমান বোধ হয়, যদি দেখি সেই ধাক্কা দেওয়া হাতটা চলে যেতে উদ্যত আমি'র দিকে তাকিয়ে একটা ডাক দেয়, ভিখারির মত ফিরে আসি, সেইখানে, দোরগোড়ায়। মনের কুঝিক্‌ঝিক্‌ রেললাইন নিত্যদিনের গন্ডী ছাড়িয়ে পাড়ি জমায় লবটুলিয়া আর বইহার'এর সমতলে, সর্পিল গতিতে। মৌতাত পাতাবাহার ঠান্ডাই খেয়ে উঙ্কÄল হয়, রোশনি চুঁইয়ে পড়ে তাদের জালিকাবিন্যাসে, রাতের নিয়তিও ঘুম আনতে পারে না সেই শ্রান্ত চোখে।
  • sayan | 125.22.97.34 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৯:৩৪451813
  • সব পথই উদগ্র ঘুরপথ, তোমাকে ছোঁয়ার। শুধু নামাবলির মত "ভালোবাসি' বললে কষ্টিপাথরের দেওয়ালে সটান ধাক্কা খেয়ে ফেরে সেই সবকিছু। বক্ররেখায় কথার পারম্পর্যের খেই হারিয়ে যা কিছু পড়ে থাকে সেখানে তার গুঁড়ো অনুরাগ কাচের মত চোখে ঘষে নিই, আর স্বপ্ন দেখি। সে, তারা সাদা-কালো, অথবা বর্ণহীন সবাতসন্ধান, মদের মত গেঁজে ওঠা, মাতাল পথ হারানো অলিগলি, সুঁড়িপথ। নাম দেবে না এই সম্পর্কের? কি যায় আসে, যদি পুরনো সবুজ শাড়ি অথবা নতুন কালো টি-শার্টের মত পাওয়া যায় কোনও এক ভোরের রাজপথে ... হাতের মুঠিতে শিথিল মোবাইলে যদি রিডায়াল হতেই থাকে চেনা নাম! খুব চকিত রোমশ একটা ভয়, জনঅরণ্যে ফের নিজেকে একলা খুঁজে পাবার মত দমবন্ধকরা একটা অনুভূতি, যথেষ্ট শাস্তি নয়? যে প্রতিক্রিয়া কষ্ট দেয়, তাকে দুমড়ে মুচড়ে ফেলে দিয়েছি আর কোনওদিন খুঁজে-না-পাওয়ার মত অন্ধকূপে।
  • dd | 122.167.21.197 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৫২451814
  • সায়ন্দারে দাঁড়িয়ে উঠে হাত্তালি।

    আর,আমার পদ্দোটা তুই নিজেই লিখে দ্যাওয়ার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ।
  • tkn | 122.162.42.238 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০১:২৯451815
  • সায়ন্তনের দেওয়াল আঁকন.... শুধু ভাবনাটা... বুকের মধ্যে .... শীতের রাতে.... একা... ছাদের কোনে বসে থাকা নরম খরগোশের মতো .... কাঁপছে.... কাঁপছেই....
  • Shuchismita | 71.201.25.54 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৬:৫৪451817
  • অসম্ভব ভালো
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন