এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • খামখেয়ালে দেওয়াল লেখা

    Suman
    অন্যান্য | ২২ ডিসেম্বর ২০০৫ | ২০৪৯৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • atithi | 164.100.28.2 | ০৭ মার্চ ২০০৬ ১৬:৩২451728
  • এখন কদিন দেওয়াল লেখা বাদ থাক, পুলিশে ধত্তি পারে!!!
  • tkn | 122.173.185.75 | ০৪ নভেম্বর ২০০৯ ১৭:৪৩451739
  • দেওয়ালগুলো নেই? নাকি শব্দ ছোঁয়া চোখ হারিয়ে গেছে? কতোদিন কেউ লেখেনি এই থ্রেডে.... কেন?
    ফরিদাও ক্রমশ: লিখে আর আসেননি, তিনবছর হয়ে গেছে...
  • Samik | 219.64.11.35 | ০৪ নভেম্বর ২০০৯ ১৭:৪৭451750
  • কেউ কথা রাখে নি। কেউ কথা রাখে না।
  • pharida | 122.163.97.38 | ০৪ নভেম্বর ২০০৯ ২১:৫৮451755
  • কথা রাখার জায়্‌গা খুঁজে পেয়েও লেখা, ধুলো ঘেঁটে বসে - অভিমানী। পুরোনো স্টোররুমে হলদে হয়ে আসা কাগজের গায়ে কালো ডোরা দাগ খুঁজি। চকমেলানো খোলামকুচি সাজে চুমকি রাংতা আর টুনি লাইট দিয়ে। টু হুইলার বেচে দিলে হেলমেটে বাসা বাঁধে খুবই অল্প কিছু কথা।

    ঝড়ে উড়ে যাওয়া বারন্দা, লাল নিশান দেখানো ব্লু-লাইন বাস, হারিয়ে যাওয়া লেবু রঙের উইন্ড চীটার আর ছোটো গোল্ড ফ্লেকের লালচেতা ফিরে আসে। শিষ দিয়ে উঠবে কি আলগোছে - ভুল বসন্তের ফাঁকে ফাঁকে?
  • Tim | 71.62.121.158 | ০৫ নভেম্বর ২০০৯ ১২:৪৩451756
  • ঘুমচোখে বিরক্তি লেগে থাকে। আলো আসে, এসেই পড়ে কোন না কোনভাবে। লিকলিকে বেতের খোঁচার মত, জাগিয়ে রাখে। অন্ধকারে চোখ ধাঁধায়। ভেজা ভেজা একটা রাস্তা, হুড়মুড় করে ছায়া ভাঙতে ভাঙতে এগোয়। অন্ধকার গোলা জল চুঁয়ে পড়ে। কিংবা কিজানি, হয়ত আদপেই পড়েনা।
    একটাই রাস্তা। সেটা এঁকেবেঁকে নিজেকে সাজিয়ে রাখে। নিজেকে টানটান করে রাখে, যাতে প্রচারের আলো ওকে জাগিয়ে রাখে। মসৃণ সেই পথে যেতে যেতে কেউ বিরক্ত হবেনা। বিরক্ত না হলেই প্রাপ্তি, ঋণাত্বক অঙ্কে পাওয়া তো কি, সাফল্যর স্বাদই আলাদা।

    ওদিকে ঘন গাছে ঢাকা আরো এক পায়ে চলা পথ ছিলো। সেখানে যদিও কেউ না কেউ হাঁটে, তবে সবই দিনের বেলা। এই অন্ধকারে, যখন জোনাকিটোনাকির মেলা, সেই পথে দস্যুর ভয়। এখন সেখানে তাই নিশ্চিন্তে মায়ারাজ্য বসেছে। কানে গান গুঁজে যারা রোদ মাড়িয়ে দৌড়ে বেড়ায়, লম্বা নলচে করে যারা ছবি ধরে বেড়ায়, কিংবা আগুনফোঁকা খেয়ালীর দল, তারা নেই এখন। ঝুপসি ছায়ায় জাল পেতেছে কেউ, খুদে খুদে হীরের নাকছাবির মত শিশিরের দানা জমে থাকবে সেখানে। অস্ফুট ফিসফাস শোনা যাবে, যাবেই। সেই শব্দ শিরশির করতে করতে মিলিয়ে যাবে দূরে, কুয়াশাজমাট ঐ নীলপাহাড়ের দিকে। খুব জোরে হাওয়া দেবে তখন, পাহাড়ের আলোগুলো ঝোড়ো হাওয়ায় দুলবে। জোনাকির মতই, তবে মানুষের বানানো সেই ছবি। কৃত্রিম, পয়সা দিলেই কেনা যায় সে জিনিষ। বহুব্যবহারে জীর্ণ, ও বিরক্তিকর। ঘুম আর বিরক্তি, বৃত্তাকার পথ।
  • aranya | 98.221.52.119 | ০৫ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:৩৪451757
  • বা: বা: টিম ভাই, অনেকগুলো বা:।
  • aranya | 98.221.52.119 | ০৬ নভেম্বর ২০০৯ ০০:১০451758
  • বার কয় পড়লাম, কেয়াবাত। কিন্তু ঘন গাছে ঢাকা পায়েচলা পথে চলাই তো আমাদের ভিশন না স্বপ্ন কি যেন একটা, সাফল্যের পথ বাদ দিয়ে, সেটা বহু ব্যবহারে জীর্ণ হবে কেন ? অবশ্য খামখেয়ালী লেখা কাঁটাছেড়া করা ঠিক নয়।
    এই টইটি বেশ ভাল।
  • nyara | 98.210.221.19 | ০৬ নভেম্বর ২০০৯ ১২:৪৪451759
  • মেহেদী হাসানের জন্যে নোবেল চাই।
  • tkn | 122.173.185.75 | ০৬ নভেম্বর ২০০৯ ১৭:৩১451760
  • অন্য দুপুরগুলোর থেকে আলাদা একটা দুপুর... মেঘ করে নি কিন্তু রোদের আলসেমীতে পর্দার ফাঁক দিয়ে যে আলো চোঁয়ানো পথটায় ধুলোকুচি উড়তে থাকে সে পথটা নেই আজ। রোদলাও নয় মেঘলাও নয় এমন দুকুরে মনের মধ্যে ঘুঘুর ডাক শুনে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াই। ঠিক কত বছর আগে এখানে দাঁড়ালে দেখা হত একটা দু বিনুনি বেতছপটি চেহারার মেয়ের সঙ্গে? ওর সঙ্গে দেখা হয় না অনেককাল। যার সঙ্গে দেখা হয় সেও খুব চেনা। আজ ওর মুখের পানে চাই না .... চোখ নেমে আসে গলা বেয়ে.... বুকের মধ্যের আটকুঠুরী দরজা আঁটা। দরজার ওদিকে একমুঠো ছাই অথবা এক আকাশ ধোঁয়া। ছাই সরাতে থাকি... বলেছিল কে যেন, পাইলে পাইতে পারো.... সারি সারি পাতা কিছু মুখ, জীর্ণ কিছু শব্দ, হাসি,কান্নার আভাস.. পরের কুঠুরীর দরজা ঠেলি... ঘোর কালো আলো... অন্ধকার বলে সবাই.. কিন্তু অন্ধকারে কিচ্ছু দেখা যায় না তো.. এদিকে, আমি তো বেশ দেখতে পাচ্ছি... সার দিয়ে বসে আছে আমার অপরাধবোধের দল... হাঁটুতে মাথা গুঁজে... তা বলে কি চিনতে পারছি না? চেনার তরাসেই পিছু হটে যাই... পরের দরজার ওপাশে ফিসফিস.. মনে আছে? মনে আছে আমাকে? সেই যে বলেছিলে... কি বলেছিলাম সে আর শুনতে চাইনে.. যা ভুলেছি তা ভুলেছি, আর কেন?
    পেরোই একের পর এক দরজা... চার.. পাঁচ... ছয়..উ: কি ধুলো! বা: এতদিনের পথ পরিক্রমা... এতদিন কোথায়? ডাক্তারদের হাতযশ আর বিজ্ঞানের দৌড় মেপে চললে সবেই তো অর্ধেক পেরোলাম... ইস্‌স্‌স, খুকী সেজো না.. আগেকার দিন হলে এই বয়সে তুমি ... যাও যাও, আমার বয়স তুলে কথা বলার কে হে তুমি? সাতের দরজায় হাত দেওয়ার আগে মনে মনে ঠাকুরকে ডাকি .... একটা ভালো সারপ্রাইজ রেখো এবার.... ছোটো বড় মাঝারি মাপের কৌটো সাজানো থরে থরে... কোনোটায় রঙিন পাথর বসানো, কোনোটা মরচে ধরা... কি আছে? খুলে দেখি? .... দেখো না.. সবই তো তোমার... ছোটো বড় মাঝারি মাপের দায়িত্বের ঝাঁপি.... রংচঙে সাজনগোজনওয়ালা গুলো সব পছন্দের দায়িত্ব.. যা পালন করছ হাসিমুখে... আর মরচেধরা টিনগুলো!! ..... ওগুলো সব পুরোনো, বহুকাল ধরে বয়ে চলেছ, আরো চলবে.... কিন্তু চাওনি ওদের নিজের জীবনে..... আটের দরজার সামনে এসে থমকে দাঁড়াই... কি আছে? জানতে গিয়ে যদি হারিয়ে ফেলি নিজেকে? ঘুরে দাঁড়াই... আলমারীর পাল্লা খুলে একগোছা শাড়ি নামিয়ে আনি... ঘরময় বিছিয়ে দিই রামধনু...
  • Sayantan | 159.53.46.141 | ০৬ নভেম্বর ২০০৯ ২০:৫৫451762
  • আর একটু বড়ো করে লিখতে কি হয়েছে??
  • pharida | 122.163.98.158 | ০৬ নভেম্বর ২০০৯ ২০:৫৯451763
  • খাম ফেলে এসেছি - খেয়াল ভরা খাম পাশেই ফেলে রেখে - নেমে পড়লাম চৌরাস্তায়। বিনা ঠিকানার খবরটবর কোত্থাও নেই - সব কিছু খাপে খাপ পঞ্চুর বাপ। মাজা ভাঙা চায়ের খুপরি দোকানের অবধি নিজের নিজের পরিচয় - ভরপুর মোবাইল নম্বর কপালে এঁটে সেঁটে দিনদুপুরে দাঁত কেলাচ্ছে। সবাই সবার নাম ধাম পিঠ চুলকুনি আছে কিনা জানিয়ে দেবে বলে উটের মতো গলা বাড়িয়েই থাকে - "ঐটা চাই" বলার ওয়াস্তা।

    হাওয়া বৃষ্টির নামকরণ হয়ে গেছে - ঝড়ও পেয়েছে বেশ বাজারে নাম আজকাল।

    একটা অচেনাকেও পাওয়ার যো নেই অঠিকানা কোথায় সব - আর দ্যাখো তালকানার মতো সেই নাম না লেখা খেয়ালী খাম ফেলে নেমে পড়লাম!
  • pharida | 122.163.98.78 | ০৬ নভেম্বর ২০০৯ ২১:৫০451764
  • চিৎকারের কোনো দ্বর্থ্যতা নেই। ভণিতার অনেক সময় লাগে। ওদিকে রাস্তা কখনো ভুল হয়ে গেলে সেটা ভুলপথেই থেকে যায় যতক্ষণ না চেনা কেউ আসে।

    সব ভুল চিৎকার যদি একসাথে কোথাও গেলে ভণিতার উচ্চারিত শব্দগুলো কোনো কথা সৃষ্টি করে না। পচা আপেলের মতো ঝুড়ি থেকে বাতিল হতে থাকে শুধু। যতক্ষণ না খুঁটে খাওয়া পাখি সেখানে আসে - ওরা মৃতদেহ খেলেও শকুনি হতে পারেনা।

    আমি সব চিৎকারের আলাদা নাম রাখি। সব ভুল রাস্তা লিখে রাখি খামখেয়ালে (যেটা আগেরবারে ফেলে নেমে পড়েছিলাম বাস থেকে)। ভণিতা অস্থিমজ্জায় ঘুরে বেড়ায় - তা বলে শরীরে তো আর শকুনি ছেড়ে দেব না।
  • dd | 122.167.27.178 | ০৬ নভেম্বর ২০০৯ ২২:২১451765
  • ভুতটি বড়ই একেলা। তাকে আঠার মতন জড়িয়ে থাকে বিস্মৃতির কুয়াসা। সেটা কি একটা বারান্দা ছিলো? মনে পরছে না। তিন তলা না কি আরো উপরে? নীচে দেখা যাচ্ছে দুটো ছোটো বাচ্ছা খুব লাফাচ্ছে, একটা কুকুর, একটা টু হুইলার যাচ্ছে যেনো জলের ভিতর দিয়ে এঁকে বেঁকে অস্পষ্ট মাছের মতন যাচ্ছে আর গলে যাচ্ছে আর চলে যাচ্ছে। গলে যাচ্ছে।

    কোনো দেওয়ালে যেনো মাথাটা ঠুকে আছে,নাকের সামনে পাহাড়ী বুট। ছিলো। নাক থেকে রক্ত পরছিলো। ফোঁটা। ছিলো। ভয়ের বীভৎস গন্ধ। একটা। ছিলো।

    কারুর কি চোখে ছিলো খুব বিষাদ, খুব ক্লান্ত স্বরে কিছু বলেছিলো, ফ্যাকাশে ঠোঁট দুটো কাঁপছিলো থিরথির করে। কি বলেছিলো যা হাওয়ায় উড়ে গেলো ? ভুত খুব চেষ্টা করে বুঝতে। কিছু।

    চোখের মনিতে জোনাকী ছিলো। পুকুর। একটা ঢিল। খুব,খুব নির্জন ছিলো সেই দুপুর।

    সে চায়,ভুত চাইছে, স্পর্শ করতে। ছুঁতে ।

  • aranya | 144.160.98.31 | ০৬ নভেম্বর ২০০৯ ২২:৩৩451766
  • ডিডি-দার লেখায় মনে পড়ে "হাজার চুরাশীর মা' , আরও কত কিছুই মনে পড়ে, নিজের কত না রাখা প্রতিশ্রুতি, কী বোর্ডে দু ফোঁটা পুরনো চোখের জলের দাগ - অস্পষ্ট
  • dd | 122.167.27.178 | ০৬ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:১৫451767
  • পরী।
    য্যামন ধরুন পরী। ঐ, সেই নীল চোখ, খুব ফস্‌সা। ফিনফিনে চুল উড়ে যায় হাওয়ায়। পরনে বেশ একটা সেমিজ গোছের কিছু। খুব,খুব সবুজ। লেপটে থাকে শরীরে।

    না। খুব কালো চোখ। খুব। ভয়ানক গাঢ় কালো চোখ। মারাত্মক। য্যানো অতল দিঘী। শেষ নেই। তাতে অনন্তকাল ডুবে যান। শেষ নেই।

    বড়ো মায়া। পরী জাদু জানে। চুষে খায় আমার রক্ত। মজ্জা। স্মৃতি। বিস্মৃতি। ভবিষ্যত। মায়া আমায় চিবিয়ে খায়।

    সংসারে আগুন লাগে। ছারখার। ছাই হয়ে যায় নিজস্ব ভুবন।

    জ্বলে।।
  • aranya | 144.160.98.31 | ০৬ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:৩১451768
  • মায়া, হ্যাঁ, মায়াটাই জ্বালিয়ে খায়, জীবন নষ্ট করে দেয়, মনে হয় কোমায় চলে যাই, কোন স্মৃতি, অনুভূতি আর যেন ছুঁতে না পারে। কিম্বা ঐ মায়াই হয়ত আমাদের মানুষ রাখে, কে জানে।
  • dipu | 59.164.189.232 | ০৬ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:৩৮451769
  • হনুমান ওরফে অমর সিংয়ের লেজে আগুন লাগিয়েছে। ঐ মায়াই।
  • dd | 122.167.27.178 | ০৬ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৭451770
  • আ:। ব্যাথা লাগে।
    শোনো।

    অমর ছিলো যাবজ্জীবন, আমৃত্যু এক ফাঁস। য্যামন থাকে,লোটাকম্বল,নাভির থেকে শ্বাস।
    সিংহ ছিলো বনে, রণে এবং ব্যাকরনে। তাকে পাকড়ে ধরে ,চাবকে লাল,তবেই তো বিশ্বাস
    আসছে ফিরে হিজল ক্ষেতে,পুর্ণ চাঁদের ছায়ায়, তখনি তো দু চোখ জুড়ে শরীর ময় মায়া।
    মায়া,সে তো নামছে যেনো জ্যোৎস্না, ভাসছে গাঙের জল। যদি ভাসো, বেঁচেই থাকো,বাস্তবে কি ছলে, সত্যি কোনটা মিথ্যা? জানবে কেমন সে কোঙ্খলে?

    ভায়া?
  • pharida | 122.163.95.254 | ০৭ নভেম্বর ২০০৯ ২১:১৫451771
  • আর কত তুর্কি নাচ আমাদের? কতদিন ধরেই বা চড়কের মেলায় পিঠ ফুঁড়ে সন্ন্যাসী সেজে পাক খেতে থাকা আর- চারপাশে বুঁদ হতে থাকা অনুভব। বহুদিন রোদ্দুর পড়েনি কাঠগড়ায় - আয়না দেখেনি ঝড় - সেও বহুদিন। তেষ্টা যে সঙ্গে ছিল, সেও আর পিছু নেয় না আজকাল।

    হাত পা কেটে গেলে গড়িয়ে পড়বে তো রক্ত? জানি না...
  • pharida | 122.163.95.254 | ০৭ নভেম্বর ২০০৯ ২১:২৬451773
  • জিভ তো একটাই সবার - সেই লকলক করে ওঠে, আর কখনো বা হাঁফাতে থাকে স্বেদগ্রন্থি আলগা করে।

    তোমাকে বলা কথাগুলো ওর, না বলাগুলো আমার - সেগুলো বলতে গিয়ে জিভ বেড়িয়ে যায় - মাক্কালী !!
  • pharida | 122.163.95.182 | ০৭ নভেম্বর ২০০৯ ২২:৪৪451774
  • কখনো সামনে দাঁড়ালেই পা ভিজে যেতে থাকে - কখনো দুর থেকেই এত গভীর মনে হয়, কখনো বা হেঁটে পেরিয়ে যাবো ভেবে হাবুডুবু হয়ে একশা।

    আর মাঝে মাঝে রোদ্দুরে পিঠ ঝামা করে সাত হাত খুঁড়লে তবে সন্ধান পাওয়া যায় বুকের মধ্যে টলটলে জলের কুয়ো - আ:...., বড় আরামের এই বেঁচে থাকা।
  • pharida | 122.163.95.182 | ০৭ নভেম্বর ২০০৯ ২২:৫৬451775
  • কিছু কথার বয়স বাড়েনা কিছুতে - যেন ছেড়ে দিলে আমাকে ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যাবে। গায়ে সেঁটে থাকা কথা ছেড়ে ফেলি অফিসের জামার মতো অন্ধকার কলঘরে। বর্ম ধারণ করি কিছু কথা থেকে বাঁচতে - ঘাপটি মেরে থাকে গুপ্তঘাতক আবডালে। দরকারী কথা বোধ হয় সেটা - যা ভুলে গিয়ে বিড়ম্বিত চিরকাল।

    শুধু এক প্রায় নব্বই ছোঁয়া বৃদ্ধা চুপ করে ফসিলের দোকান সাজিয়ে বসে তাবো মনাস্ট্রির বাইরে - তার মুখের বলিরেখাগুলো - যা বলি বলি করেও বলা হয় না।
  • dd | 122.167.9.154 | ০৮ নভেম্বর ২০০৯ ০০:৫২451776
  • জানলা খুলে দেখতে চায় ভুত। দরোজা খুলে দেখতে চায় সে। বাহির দুনিয়াকে।
    দেখুন, কিন্তু .... দেখুন। তার ভুবন ভরা দেওয়াল। পাঁচিল শুধু পাঁচিল চারিদিকে।
    ঐ যে ছোটো আকাশ,দ্যাখা যাচ্ছে ঘুলঘুলিতে, দ্যাখা যাচ্ছে মানে,আভাষ। আলো ছায়া। হয়তো মেঘ। আকাশ জুড়ে বিদ্যুৎ চমকালো। তার হৃৎপিন্ডে এক নিমিষের আলো। ঐটুকু চমকালো।

    হা হা। ভুতের আবার হৃদয়। উফ।

    কিন্তু কোথাও মুচড়ে ওঠে,কোথাও। ভীষন ভয়। কখন য্যনো আঁকড়ে ধরে। আতংক । আর ভীতি।

    ভুতের ভুবন আবছা, তার বিশ্ব জুড়ে ছায়া। ছায়ার মাঝে,ছায়ার পিছে হাজার ছুরি, ধারালো তার হসি।।

  • dd | 122.167.9.154 | ০৮ নভেম্বর ২০০৯ ০০:৫৮451777
  • হাসি।
    লাস' ওয়ার্ডটা। অ্যাজ " হাঁসি হাঁসি পর্বো ফাঁসি দ্যাখবে ভারোতবাসি ই ই ই "

    হিসি নয়।
  • pharida | 122.163.95.250 | ১৩ নভেম্বর ২০০৯ ২২:৪৬451778
  • তারপরে পেন্সিল খুঁজে পায় লোকটা, চুপি চুপি মেয়ের খাতা থেকে পাতা ছিঁড়ে প্রথমবার হিজিবিজি আঁকে - ছবি তৈরী হওয়ার অপেক্ষায় থেকে থেকে মুখ টিপে হেসে ওঠে।

    সুরগুলো ওঠানামা করে যাচ্ছে স্নায়ুসরণী বেয়ে - ঐ গানটা শুরু হতেই শিষ দিয়ে ওঠে ছোটোবেলা - সে এক পুজোর সময়, আর সেবারের পুজোর প্যান্টুল মাঝে মাঝে নেমে যেত দৌড়ঝাঁপ করতে গেলে। রাস্তা শেষ হলে হেলমেট নামিয়ে কান থেকে ইয়ারপ্লাগ খুলে অফিসে আবার লোকটা পৌছল ঠিক সময়ে।

    ট্রাফিক জ্যাম ভালো লাগে ওর - এই সময়েই তো পিচ রাস্তার ধারের ফালি দিয়ে শাঁই শাঁই ছুটে যায় ওর সাইকেল - অবহেলায় পিছনে ফেলে আই টেন, অ্যাস্ট্রা, হোন্ডা সিটিরা।
  • dd | 122.166.132.30 | ১৩ নভেম্বর ২০০৯ ২২:৫৭451779
  • আরে।
    ভুতেরও ভয় করে। জানেন? সে , মানুষের মুখোমুখী হতে চায় না। না। না। না।

    দিনের আলোয় কুঁকড়ে যায়। লুকিয়ে থাকে শ্যওলা আর ঘুন ধরা পাঁচিলে। ঢুকে যেতে চায় গর্ত্তের থেকে গর্ত্তে। আরো গভীরে। আরো গভীরে।

    নি:শব্দ গন্ডারের মতন নি:সংগ,একাকী শরবনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। যদি বজ্রপাত হয়। এস্পার উস্পার কিছু হোক। হয়ে যাক। শরবন মুহুর্ত্তে মুষল হয়ে যাক। যাক।

    ভুতের, মুখে চোখে, সব রন্ধ্রে জীবনের অ্যাসিড কুয়াসা ঢুকে যায়। সে জ্বলে যায়।
    সে পুড়ে যায়।
    ছাই।।
  • pharida | 122.163.95.9 | ১৩ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:১২451780
  • থমকে গিয়ে প্রশ্নটা অন্য পথে চলে গেলে সে বড় জনশুন্য শহর হয়ে যায়। হয়ত কোনো চেনা গানটান পেলে জিরোনো যেত খানিক্ষণ। পরিযায়ী প্রতিবেশী মুখোমুখি হলেও উষ্ণতা অধরা থেকে যায়। আর রাস্তা ভুল করা প্রশ্নটা পকেটে রাখা ভোজালির মতো ক্ষতবিক্ষত করে পদক্ষেপ। জনশুন্য শহরে উত্তুরে হাওয়া শুরু হয়।
  • dd | 122.166.132.30 | ১৩ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:২৬451781
  • আসলে ভুতেদের কোনো নখ নেই আঙুল ও নেই, যাতে আঁকড়ে ধরে থাকতে পারে, মধ্যরাতের কোনো কার্নিশ থেকে।

    সত্যি মিথ্যে সব মিলেমিশে একটা তালগোল পাকিয়ে.... ভুত শুধু স্বপ্ন দ্যখে। আবার কোনোদিন, কোনোদিন সে এক, এক সাগরের, সমুদ্রের ধারে।

    নিস্তব্ধ ঢেউএরা, নি:শব্দে আছড়ে পরছে তটে। মিহিন বালি উড়ছে, উড়ে যাচ্ছে ম্যাজিক হাওয়ায়। অলৌকিক গোধুলির আলো। অন্ধকার। ছেয়ে আছে সমগ্র ভুবন।

    একটু পরেই রাত হবে। জমাট নীরেট অন্ধকার।

    ভুত।
  • d | 117.195.37.174 | ১৩ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:৩৩451782
  • আর তুই বুঝি ভেবেছিলি দেওয়ালরা সব একজায়গাতেই থেকে যায়? দুর হাঁদু কোথাকার! ফটফতে দিনের আলোয় দেওয়ালেরা বদলে নেয় রং .... রাত বাড়লেই অ্যামিবার মত শেপ বদলায়, বেঁকেচুরে, নেচে কুঁদে গোলাপী, বেগুণী, সবজে হলদে দেওয়ালরা হাঁটা দেয় ভবিষ্যতের দিকে। ঠিক থিক আবার খাড়া হয়ে পড়ে তোর চারদিকে কাল সকালে কিম্বা তরশু সন্ধ্যেয়।
  • m | 173.26.17.106 | ১৩ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:৪২451784
  • ওসব কিছুই নয়, আসলে আকাশ থেকে খসে পড়া একটা ঝাঁটা, টুপ করে দিনক্ষণ না জানিয়েই নেমে পড়ছে পড়শির কুমড়ো খেতে। বেঁকে চুরে শুয়ে আছে একটা নিথর সবুজ পাতার ওপর। কাল সকালে ওকে ঘরে নিয়ে যাবে একটা খুনখুনে বুড়ি, ধরা যাক তার নাম মীনা শ- জানলা দরজা বন্ধ করে শুইয়ে দেবে বিছানায়, কেনা জানে, ওদের আলো সহ্য হয় না ..
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন