এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • খামখেয়ালে দেওয়াল লেখা

    Suman
    অন্যান্য | ২২ ডিসেম্বর ২০০৫ | ২০৪৮৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • omega | 151.141.84.194 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২১:১৬451519
  • আ:, আবার সেই খামখেয়ালি ফুটেছে বুঝি? কত দিন পরে!
    এখানে আমলকীবনে টিয়া রঙের রোদ্দুর,পাতারা সব কাঁপছে আর কাঁপছে অচেনা হাওয়ায়। এই হাওয়াটাই এই সময়ে আসে প্রত্যেকবার,তবু কখনো একে চেনা হয় না,এ যেন কাকজ্যোৎস্না মাঘরাত্তিরের অচিন পাগলের বাঁশির সুরের মতন। কিছুতেই বুঝে ওঠা যায় না অথচ কখন যেন সব খালি করে নিয়ে চলে যায়।
    পথ হারিয়ে গেছে কতবার, তবু শেষ অবধি হারায় নি। সেই ফিরে আসার তমাল গাছ, সেই কুটোকাটা ইঁটকাঠপাথরের ঘরগেরস্থি, সেই সব খুনসুটি ঝগড়াঝাটি এলোমেলো অর্থহীন দিনের পর দিন।
    এর বাইরে থেকে নেই হাওয়াটা ডাকে কিন্তু, টিয়ারোদ্দুরে হাতছানি দিয়ে দিয়ে। দুপুরজানালা কখন যেন ঘুমের কবিতা হয়ে যায়। তারা ঝমঝম প্রতিপদের আকাশ-দেওয়ালি মনে পড়ে। কোথাও কোনো দরজা একটা আছে, আছেই। সেটা খোলে কেমন করে?
  • Shuchismita | 71.201.25.54 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৬:৩১451520
  • মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায়। অল্প অল্প শীত করে। পর্দার ফাঁক দিয়ে উঁকি মেরে দেখি বৃষ্টি নেমেছে। বাতিদানের তলায় জলকণাগুলোকে একটি একটি করে গোনা যায়। শান্ত নিরুত্তাপ বৃষ্টি। নিশ্চুপ রাত। থুম মেরে ভিজছে। শার্সী তুলে দিই। ভিজে হাওয়াতে ঘর ভরে যায়। গুটিসুটি মেরে বসে থাকি। বৃষ্টি পড়ে। পড়েই যায়।

    সন্ধ্যাবেলায় অনেক তারা ফুটেছিল। এখন আকাশের রঙ লাল। ব্লটিং কাগজের মত ধেবড়ে গেছে এদিক ওদিক। তারাগুলি ঝরে পড়ছে অবিশ্রাম। বাদল হাওয়ায় স্যাঁতস্যাঁতে কাগজের মত নত হয়ে বৃষ্টি ধরি। নক্ষত্ররা মুছে যায়।

  • pharida | 220.227.148.193 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৫:১৭451521
  • নিচু স্যাঁতস্যাঁতে ছাদেও ভুল করে কাটা ঘুড়ি পড়ে থাকে। তার সিঁড়ি নেই।

    চট করে নাগাল পাওয়ার উপায় যে নেই - তখনি সেটা বোঝা যায়।

    হুট করে রঙিন করে দিয়ে, সুতোটুকু পাশের বটগাছে বিছিয়ে আয়েস করে কচিকাঁচা চোখ দ্যাখে ঘুড়ি।

    ছাত উড়ে যায়- কাটা ছাত কখনো সখনো উড়ে আসে দু-কামরার বারান্দায়। সেখানে থেকে পালানো হয় নি। তার সিঁড়ি নেই।
  • omega | 151.141.84.100 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৯:৫২451522
  • পথের ধারে ধারে এখানে ওখানে রেশমী নরম সরল গাছ। ওদের পাতাগুলো রোদ্দুরে ঝিলমিল করলে দূর থেকে দেখে ঠিক রেশমচুল সবজে- সবুজ মেয়ের কথা মনে পড়ে। তারই কি বেতের ফলের মতন চোখ? কেজানে! সেই পাগলা কবি হয়তো জানতো, কিন্তু সবাই তো তাকে কী সব আজেবাজে কথা বলে তার মন ভেঙে দিলো, তাকে ফিরিয়ে দিলো! অভিমান করে সে কোথায় যেন চলে গেছে, আর ফেরে নি।

    অতসী-হাওয়ায় গাছেরা কাঁপছে। আকাশ নীলকান্ত আজকে, মালার মতন উড়ছে একদল পায়রা। নাকি পায়রা না, অন্য কোনো পাখি ওরা? কেজানে! কাছের গাছে কিচিমিচি করে একদল নীল পাখি, কেজানে কী পখি!

    শিলং পাহাড়ের ছোটোবেলা মনে পড়ে।সেখানে নীল নীল হাউস মার্টিন পাখি থাকতো। সেখানে লাল রঙের পুল ছিলো ছোট্টো ঝোরানদীর উপরে,সেই পুল পার হয়ে ছিলো রঙীন চীনে লন্ঠন ঝোলানো বাতাসবাড়ি। সেই বাড়িতেই থাকতো বুঝি মুন্নিরা? মনে পড়ে না। ভূমিকম্পের সময় সবাই ছুটে বেরিয়ে এলো, মুন্নি ও। কিন্তু তারপরে কী হলো? মুন্নি "মা কই, মাকে দেখতে পাচ্ছি না" বলে আবার দৌড়ে গেল?

    কচি কচি সরল গাছগুলো জড়িয়ে কেমন লাউডগাসবুজ লতা উঠেছে! তাতে এক দুই তিন চার পাঁচটা নীল ফুল ফুটেছে, নীল তারার মতন।এরা সকালে ফোটে, দুপুর হলে বুজে যায়।রাতে ফেরার পথে দেখি একদম লুকিয়ে গেছে। সরল গাছও তখন ঘুমায়?

    লাল নীল সবুজ হলুদ ঘুড়িতে ঘুড়িতে আকাশ ঢেকে যাওয়া বিশ্বকর্মাবিকেল মনে পড়ে, সেটা অনেকদিন পরে। তখন পাহাড় মিলিয়ে গেছে অতীতে, তখন একটু বড়োবেলা।সেদিনও আকাশ এমন নীল ছিলো।

    ধানের ক্ষেতে ধানগাছগুলো সবুজ তেজী, ঝিং ঝিং করে হাওয়া বয়ে যায় ধানের ধারালো পাতায় বাজনা তুলে তুলে। ভরা ক্ষেতের উপর দিয়ে ভেসে যায় কাটা ঘুড়িগুলো,ঐ দূরে মাটি যেখানে নত হয়ে পড়া আকাশে মিশে গেছে, সেই দিগন্তের দিকে। তারপরে? তারপরে ওরা কোথায় যায়?
  • pharida | 122.163.97.66 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২১:২২451523
  • খোঁজা তাকেই - যে হারিয়েছে।

    হারানর কথা ছিল কিছু আজ? কোনো অহেতুক কাজ।

    ইচ্ছে করে ইচ্ছে হারাই, ধুলো মাটি ইচ্ছেরা যা ইচ্ছে করে। হারাই যা তা খুঁজবো বলে আসি ফেলে - তাও বোঝো না ইচ্ছে করেই, ইচ্ছে করে।

  • omega | 151.141.84.194 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২১:৫৬451524
  • হারিয়ে যায় কত কিছু। হারানো সেইসব পুঁতির মালা, লাল পুঁতি নীল পুঁতি পর পর সাজানো ছিলো যাতে-সন্ধ্যেবেলার মাঠে কোথায় পড়ে গেল ছিঁড়ে, সেই মাঝখানে গোল সোনালি সূর্য আঁকা নীল ঘুড়িটা-লখ ছিঁড়ে উড়ে গেল, গাঢ় খয়েরী রঙের চকচকে প্রথম কলমটা-কোথায় পড়ে গেল, খুঁজে পাওয়া গেল না আর,রবিবারের দুপুরের রেডিওতে "আমার নাম টায়রা", কিছুই আর যার মনে রইলো না নামটুকু ছাড়া-এই সব, সব হারিয়ে গেলো। এইসব হারানো গুলো পালিয়ে যাওয়া নোটন নোটন পায়রাগুলোর মতন ঝোটন বেঁধে বসে আছে ময়ূরনদীর পারের সীতাহার গাছে,সে গাছ ঘিরে পালকের মতন ভাসছে জ্যোৎস্নাপরীরা।
    একদিন সেখানে যাবার জন্য রুমুদিদি রওনা হবে ভুলুকে নিয়ে, ওর যে পিঠে ডানার কুঁড়ি আছে!

  • Shuchismita | 71.201.25.54 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৭:৩৩451525
  • এতো জানাই ছিল, নাকছাবিটা হারিয়ে যাবে। গমের ক্ষেতে খুঁজবে তাকে সারা বিকেল। হাঁটতে হাঁটতে যেই ভাবছ সূর্যকে ছুঁয়ে ফেলেছি বুঝি, অমনি আকাশ কালো করে রাশি রাশি কাক উড়ে আসে। ডাইনে বাঁয়ে সামনে পিছে – ঠোকরায়, খুবলে নিতে চায় চোখ। তাড়াতে তাড়াতে তোমায় পাঠিয়ে দিল ফ্রেমের বাইরে।

    নাকছাবিটি আটকে আছে গমের শীষের ফাঁকে। শেষ বিকেলের লালচে আভায় টলমল। রাত্রি নামলে সন্ধ্যাতারাটি হয়ে অপলক চেয়ে আছে তোমার দিকে...

  • kallol | 124.124.93.205 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১২:৪২451526
  • ওরা এলো। ওদের নীল সাঁতবেলোয়া থেকে সিনুসিনি হয়ে আসা লোয়ামে সারা বিস্তা সুশায় চউম গেলো। আমি মওলিজ হলাম।
  • Samik | 121.242.177.19 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৪:০৭451527
  • কল্লোলদা, হোক, হোক। :-)

    সাথে দীপ্তেন্দাকেও রিকোয়েস্ট, আরেকবার প্লাটিপাস সিরিজ নামুক এখেনে।
  • kallol | 124.124.93.205 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৪:২৩451529
  • আমাদের লাউমালেশিও থেকে সিমৃসউসে ওরা গালাসু তেকপাবিলা করে সুঁইনাতানিতার মতো টুটাং হলো।
    গিমালে গিমালে আমার বল্লপ জুনিস হতে হতে আমি জাফরানী তোমায়েশ হলাম।
    এবার উয়াং শুরু বিস্তায় বিস্তায়।
    আমি ক্রমে ক্রমে ম্ফাজুবিকা।
    আহ - লিজলউ লিজলউ সেনিসেতি।
  • Samik | 121.242.177.19 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৪:৪৬451530
  • আহা, বিদ্‌লাউএর মতন উম্‌ঝুস হচ্ছে একদম। আরেকটু গন্ডাচিকুরি করে হোক্‌ না!!
  • sinfaut | 203.91.193.50 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৫:৪০451531
  • কালকে দেখাতে গেছিলাম। যেতে চাইনি প্রথমে, কি হবে, যতক্ষন মনে হচ্ছে এ সবই তো ঠিক আছে, কিসের দরকার তাহলে। কিসের তাড়া। সবাই তো সেই ... কিন্তু ওরা এমন জোর করলো। আর তাছাড়া, নিজের কাছেও স্পষ্ট হওয়া দরকার ছিল। এমন তো নয় এরকমটা আগে হয়নি, বা ... হবে না। এদিকওদিক নাড়লেন, মাপলেন, হাত বুলোলেন। আবার আসতে বললেন সন্ধেবেলা। যেতে বললেন, দ্যাখো, তেমন কিছু তো পেলাম না, সবই তো ঠিক আছে, মনে যতটা ঠিক থাকা যায় আরকি। শুধু একটু মন দিয়ে হেগো। যতটা খাচ্ছো, ততটা কিন্তু হাগছো না। এ আমার মনের কথা। তা হবে, কিন্তু বেরোতে না চাইলে কী করে আর বের করি। এবার থেকে কোলোনের প্রতিটা কোনায় কোনায় মন:সংযোগ করে দেখি পারি কিনা। জমে থাকা প্রতিটা কণাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি কিনা। স্রোতের মত, ভালোবাসার মত ...
  • S | 121.242.177.19 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৫:৫৭451532
  • :-)))
  • Tim | 198.82.16.243 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২০:৫৬451533
  • এইযে
  • delta | 151.141.84.194 | ০৪ নভেম্বর ২০১০ ০৬:৪১451534
  • সায়নের পালানো টিয়ার জন্য। ওরকম একটা গল্প আবার শুনতে পাই না?
  • tatin | 130.39.149.39 | ০৪ নভেম্বর ২০১০ ০৭:০৫451535
  • বা:, গোলা টই তো এইটে
  • sinfaut | 67.85.197.209 | ০৪ নভেম্বর ২০১০ ০৭:৪৮451536
  • মনের ভাব বলতে যেটা বোঝায় সেটা আসলে পেটেরই গোপন ধারাপাত। অন্তত আমার কাছে। এখন যেমন মেঘ করেছে, তার আগে তো ঠান্ডা হাওয়াও দিয়েছে... কত শীত করল তখন। এখানে ঘাসের উপর হাঁটতে গেলে কেমন একা লাগে। কেউ মাড়ায়না এমন ঘাস, বেড়ে ওঠা ঝিম ধরা ঘাস। বুনো, অসতর্ক, কালচে সবুজ ঘাস। পাশাপাশি বেড়ে উঠেছে, অথচ একসাথে মাড়ানো হয়নি বলে একসাথে নিজেদের মধ্যে কথাও বলে ওঠেনা, মানে ভাষাটাও গজায়নি। যোগাযোগের, যেমন লোকেদের সব বুড়ো বুড়ো। কী বিষন্ন সব, দুহাতে কাগজের পেটি খামচে পেটের সামনে ধরে থপথপ করে হাঁটে। গম্ভীর, বিষন্ন, দু:খী মতন। এই বুড়ো বয়সে এমন পেটের সামনে পেটি ধরে হাঁটা যায়? এদিকে আমার পেটও মিনসে মিতব্যয়ীর মতন অসময়ের ইলশেগুঁড়ি ঝরিয়ে যাচ্ছে। কী আর বলি ..
  • tatin | 70.177.55.6 | ০৪ নভেম্বর ২০১০ ০৮:৫০451537
  • সেখানে গান থেমে যায়, মানে এতই পৌন:পুনিক সব শব্দ আর সুর যে চালিয়ে রাখার আর কোনও মানে হয়না তাই ঘরের ভেতর জুড়ে শূন্যতা- পানুও ও পৌন:পুনিক বড়ো, সেই একইরকম- প্রবেশ-নির্গমনের একঘেয়ে মেকানিকাল সাইকেল। অনেকদিন সাইকেল চালাইনি ভাবতে ভাবতে চেনটার কথা মনে পড়ে। পৌন:পুনিকতার লিংক কেটে দিলেই চেন একটা মারণাস্ত্র। ছররার মতো দাগ এঁকে দ্যায় চামড়ায়, বেদনা, বেদনা বড়ো; বেদনা কারণ এই মুহূর্তে আমার ঠিক তোর কথাই মনে হচ্ছে- যেভাবে অদ্ভূত সব দাহ আর ক্ষতের গল্প বুনে ইমোশন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হতো: যেভাবে বলতাম গ্যাসের আগুনে আঙুল স্থির রেখেছিলাম কিম্বা দু আঙুলের ফাঁকে ব্লেড নিয়ে গেঁথে দিয়েছি মাংসের ইঞ্চিগভীরে, এবারও কি সম্মতি দিবিনা, বলে ফ্যাল। এসব থেকে আজ অনেকখানি দূরে আমরা দুজনই, তবু বলে যাই বেদনারও একটা সম্মোহন আছে ডায়েরিয়ার মতন বগ বগ ক'রে যখন রক্ত বেরোতে থাকে, তার মরচে স্বাদ কিম্বা পুড়ে যাওয়া ত্বকতন্তু থেকে কার্বনের বন্ধনী ভেঙে প্লাস্টিক কারখানার গন্ধ বেরোয়- আজ এই ফুরিয়ে যাওয়ার এতখানি বিস্মৃতি থেকেও সেই নেশা ডাকছে আবার।
  • Samik | 122.162.75.224 | ০৪ নভেম্বর ২০১০ ০৯:২৪451538
  • কেউ বাংলায় লেখে না কেন? :(
  • tatin | 70.177.55.6 | ০৪ নভেম্বর ২০১০ ০৯:২৮451540
  • বাংলা হলো না? :(
  • Arpan | 122.252.231.10 | ০৪ নভেম্বর ২০১০ ০৯:৪৩451541
  • দিব্যি হয়েছে!
  • tutai | 12.20.48.10 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১০ ১৪:৩৮451542
  • সফেদ সিলিঙে আজকাল গাঙচিলের মত স্মৃতি লাট খায়। রুক্ষ হাওয়া এমন বদ হয়েছে শুধু দিশা বদলায় আর ঘুড়ি কেটে যায়। এদিকে রাতে একলা ছাদে উঠে যে হাওয়াটাকে জব্দ করে দিয়ে আসবো তারও উপায় নেই কারণ চিলেকোঠার দরজাখানা লোপাট। অন্ধকারে খালি চৌকাঠ পার হতে নেই। পড়ে থাকা বলতে শুধু একহাজার ক্যালিকো সুতো ... কাঁচগুঁড়োবিহীন, একটু যা কর্কশতা তাতে আঙুল কাটবে না। ল্যাজওয়ালা হলদে-নীল ঘুড়িটা সেই থেকে শিরীষগাছটার মাথায় আটকে। ঢিলপ্যাঁচ দিয়েও ওটাকে নামানো অসাধ্য। ও থাক; রোদে পুড়ে জলে ভিজে একদিন রঙ ফ্যাকাশে হলেই ওকে আর কেউ মনে রাখবে না।
  • tutai | 12.20.48.10 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১০ ১৫:২৬451543
  • কী বিশাল মাছের কাঁটার মত অ্যান্টেনা, তার মাস্তুলে লাগানো বুস্টার থেকে নেমেছে চ্যাপ্টা ফীডার ওয়্যার যার গায়ে লাল ছোটো রেডিওটা চেপে ধরলে সে ব্যাটার ক্ষুদে স্পীকার গাঁইগাঁই করে চিত্রমালা বাজায়। প্রতিমুহূর্ত্তে ইথারে ভাসমান এত খুশীয়াল-প্রণয়-বির্‌হা-বদনসীবি এগুলোকে ইচ্ছে করলেই হাতের মুঠিতে ভরে ফেলা যায় না! নির্দিষ্ট উৎস থেকে যে যার গন্তব্যে ঠিকঠাক ভেসে গিয়ে সুখ-দু:খ তৈরী করে, কিন্তু এদের নিজেদের কোনও আবেগ নেই। আবেগ অতি বদ। আমার সমস্ত বদকাজের প্রিয় সাথীটি সেই মর্মোদ্ধার করে বাজে সময় নষ্ট না-করে ঘোষাল'দের গাছ থেকে চাট্টি কাঁচা আম কীভাবে পাড়া যায় সেই চিন্তায় মগ্ন। আগের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা হয়েছে যে ঢিল একবার ছুঁরে ফেললেই তা আর আয়ত্তের মধ্যে থাকে না। সেই বদ বস্তু টার্গেট হিট করেও অকৃতজ্ঞের মত আমগাছওয়ালাদের বাড়ী ভেদ ক'রে তাদের বারান্দায় গিয়ে পড়ে আর খুনখুনে বুড়ীকে জাগিয়ে তোলে। এভাবেই বড়ো লাঠির শেষে বাজারের নাইলনের ব্যাগ লাগিয়ে সরাসরি গাছ থেকে আম বাণিজ্য করা হত।

    খুদে তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ছবিগুলোকে এভাবে পাকড়াও করা যায়নি। সেগুলো একবার গন্তব্যে পৌঁছোলেই তাদের মেয়াদ ফুরাতো। আর তাদের জীবিতকালে তাদের দেখার ইচ্ছেয় আরোপ করা হয়েছিল অনেক নিষেধ ইত্যাদি। কেমন লাগে, একস্ক্রীনজোড়া ভালোবাসা যখন বর্নহীন ভাসতে থাকে কোথায় না কোথায়, আর তারপর হারিয়ে যায়!
  • Nina | 64.56.33.254 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১০ ২১:৪৩451544
  • বাহ! খুব সুন্দর। হুতাই!
  • tkn | 122.173.186.123 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১০ ১৩:৩৮451545
  • ঘুম ভাঙার শব্দে চমকে উঠতে গিয়ে হাতের চাপে স্বপ্নটা ভেঙে গেল। ইস্‌স্‌স্‌স্‌স, সুন্দর স্বপ্নটা কাল আমার বালিশে মাথা রাখার সময় বলেছিল "মনে রাখবি তো? আমি যে তোর তুই হলাম!" আমি পাশ ফিরতে ফিরতে বললাম হ্যাঁ হ্যাঁ, বুঝেছি। আমি যখন চোখ বুজে মারের সাগর পাড়ি দেব তুই তখন আমার মধ্যেকার আমিটাকে নিয়ে... ও ওর নরম হাতটা আমার মুখের ওপর দিয়ে বুলিয়ে এনে বলল "এত কঠিন করে কথা বলিস কেন? আমার ইচ্ছেয় এসেছি আমি। তোর ইচ্ছেতে চলে যেতে পারি। তাই চাস?" বিরক্তিতে উঠে বসলাম আমি। এসেছিস যখন চলে যাওয়ার কথা বলিস কেন? কখোনো ভাবিস না তুই চলে গেলে আমার কত কষ্ট হয়!" স্বপ্নটা আমার বালিশে কনুইয়ের চাপ ফেলে উঠে এসে পিঠে মুখ রাখে "বা রে! আমি তো স্বপ্ন, আমাকে দিনের আলোয় আঁচলে বেঁধে ঘুরলে চলে? লোকে হাসবে তো!"
    তো! লোককে হাসাতে পারাও তো একটা কাজ!
    বেশ, তা না হয় মানলাম কিন্তু কেউ যদি কখোনো আঁচলের গিঁট খুলে আমাকে নিয়ে নেয় নিজের কাছে?
    যাহ! এবার আমি হেসে ফেলি। নো প্রবলেম, আমি জিনসের পকেটে নিয়ে ঘুরব তোকে। তাহলে হারানোর ভয় নেই আর।
    ও আমার গলার চিলতে লকেটটার দিকে তাকায়... উঁহু ওখানে আমার দমবন্ধ হয়ে যাবে।
    তবে কি তুই লকেটের ভিতর....
    ... না... আমি এমন কোথাও থাকব যেখানে তুই ছাড়া কেউ চোখ রাখতে পারবে না।
    রাখলে অসুবিধা কি?
    অসুবিধা নেই?? চোখই তো আমার ঘর! যদি আর কোনো চোখ আমাকে টানে?
    তবে থাক বন্দী হয়ে আর কি!

    ধুতরো না কল্‌কে, কার বিষে যেন মানুষ মরে যায়!
    কে যেন ফোন নাম্বার নিয়ে আর ফোন করেনি!
    হলুদ আর নীলের কম্বিনেশনের সালোয়ার কুর্তিটার সঙ্গে গড়িয়াহাট থেকে কেনা কাঠের চুড়িগুলো .... কাল পরব?
    মুগ্‌ধতার রং কি?
    নরম আঁধরে ঘুম খাটাই চোখে…. গুডনাইট বাজারে এসে থেকে মশারি খাটানো উঠেই গেছে

    কিন্তু এখন!! কি করি আমি এই এক আঁজলা স্বপ্নের টুকরো নিয়ে!
    জানলার পাশে এসে দাঁড়াই। দ্যাখ, এমন একটা সকাল তোকে ছোঁয়ার আগেই আমি ভেঙে ফেললাম তোকে!
    সকালের রোদ মেখে ঝিকমিকিয়ে ওঠে ওরা.. ওকি! মন খারাপ করিস কেন? ভেঙেছে তো কি হয়েছে! এ তো আমার নিয়তিই! আমার মৃত্যু নেই, আমার দহন নেই, আমাতে যন্ত্রনা নেই।।আমি শুধু বারে বারে ভেঙে যাই, ছড়িয়ে যাই, হারিয়ে যাই...

  • tatin | 70.177.55.6 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১০ ১৫:০৪451546
  • এখানে উত্তর; মানে একটা আদ্ধেক শীতকাল, আদ্ধেক কারণ সেখানে পেঁয়াজকলি নেই, মটরশুটি খেতের পিকনিক নেই, ক্যাম্বিসবলের ক্রিকেট নেই, জয়নগর নেই- কেবলই উত্তর, ভিজে ঠাণ্ডা হাওয়ার সাথে হলদে হলদে নিমপাতার বয়ে আসা, দুপুরের শেষভাগ থেকে ঘ্যানঘ্যানে মশা আর সন্ধের মুখে কুয়াশা কুয়াশা অন্ধকারে ভেসে আসে ধোঁয়ার গন্ধ, বাতাস ভারি করে নি:শ্বাসে চেপে বসে পরীক্ষার আগের দিনের ছোটবেলা! টানা যায়না, এসব টানা যায়না, এখানে উত্তরকে ঢুকতে দিতে নেই, ঢুকতে দিতে নাই সেইসব রঙচঙে পাখির বাহারও, যাহাদের ঠোঁটের ডগা তৈরি হইয়াছে গাছের কোটর হইতে পোকার লার্ভা বাহির করিবার আনার জন্যে। এমন কি একটা পালকও যেন না ঢোকে। ঝুলঝাড়ুগুলোকেও কাগজ দিয়ে মুড়ে রাখছি আমি, আমার অভিসম্পাতে এঘরে একটা মাকড়সা অবধি ডিম পারেনা এখন :D:D। শেষ যে দিনটা মনে পড়ে মাকড়সার ডিমের তলাটাকে দেশলাই দিয়ে ফুটো করেছিলাম আর ঝুরোঝুরো ভ্রূনকে চটি দিয়ে পিষে পিষে। আর ঠিক ঐটা করার পর মনে হয়েছিল আমাদের অজাত সন্তানের হয়ে একটা শেষ প্রতিশোধ হয়ে গ্যাছে, তাই সব নি:শ্বাস বন্ধ করে কুলকুন্ডলিনী জাগাতে বসেছি আমি। খুঁজে নিয়েছি দুপায়ের সংযোগ থেকে রেত:র অদ্ভুত থেমে থাকা, বাম নাসারন্ধ্রের প্রশ্বাসকে দক্ষিণ নাসায় নি:শ্বাসরূপে বাহির করিতে করিতে শিরদাঁড়া বেয়ে উঠে আসা এনার্জির শিরশিরানি। নিজের শরীরে অক্সিজেন কমাতে শিখেছি আমি, শিখেছি গাঁজার ধুনকি ছাড়াও জয় রাধার নামে পাগল হয়ে সংজ্ঞা হারানোর আগের মুহূর্তে ব্রেনের অদ্ভুত মগ্নতা। তাই এই শীতকাল চাইনা আমি, আমি জেগে থাকতে চাই রাতের আরও কিছুটা বেশি অন্ধকার অবধি যখন মৃত মাকড়সার ভ্রূণভূতগুলো জেগে উঠবে, ঘর ভরিয়ে দেবে পালক ছাড়ানো মরাপাখির গন্ধ, ছোটবেলার প্রাচীনতম স্মৃতি থেকে মুছে দেবে নলেনগুড়ের অবিনশ্বর ঘ্রাণ।
  • achintyarup | 121.241.214.34 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১০ ১৯:৪৪451547
  • বেশ ভাল তো
  • Nina | 68.84.239.41 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১০ ২১:০২451548
  • আবার ফিরে আসি, আবার নতুনকরে ধরা দি ই , মনের টানের কাছে মনকে যে ধরা দিতেই হয়---সব টুকড়োগুলো নিয়ে জীবনের ক্যালিডোস্কোপ--কি সুন্দর !
  • pharida | 122.163.95.29 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১০ ২১:৪৬451549
  • "এতদিন কোথায় ছিলেন?"

    ফিরে ফিরে ডেকে যাওয়া ফিরেছে শেষমেশ। পৌষের কাছে সান্টা তার সারাদিনের টুপি দাড়ি ছেড়ে ঘিরে বসেছে তার মায়ের কোল ঘেঁষে। কোলের নতুন বোনটিকে মা এখন সত্যিকারের দুধ খাওয়ান বোতল ধরে ধরে, আগুনের পাশটিতে।

    সান্টার খড়ি ফুটে ওঠা পায়ের পাতায় সারা পৃথিবীর ম্যাপ দেখি। খুঁজে নি তোমার ঠিকানা।

    থাক, আর বলতে হবে না কিছু। সেসব পরে হবে। সেই আগুনে টোল কাওয়া কালো হাঁড়িতে ভাত ফুটছে। আজ একটু ডাল পাওয়া যাবে জেনে সান্টা মাটিতে ডিগবাজি দিলো দেখলাম।
  • Tim | 173.163.204.9 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১০ ২১:৫১451551
  • ব্যক্তিগতভাবে এই পাতায় আমি ভালো লাগা , না লাগা জানাইনা। মনে হয়, লেখার মূল্যায়ণ থমকে দেবে যেমন খুশি লেখার ইচ্ছেটাকে।
    তাই সেসব না বলে, তেকোনাদিকে স্রেফ আরো লিখে যেতে বলছি। বাকিদেরো। যেমন যেমন খেয়াল হয়। চালাও পানসি....:-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন