এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • খামখেয়ালে দেওয়াল লেখা

    Suman
    অন্যান্য | ২২ ডিসেম্বর ২০০৫ | ২০৪৯৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • d | 14.99.4.196 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:১৪451552
  • সারাদিন রেললাইনটা পড়ে পড়ে ভোঁস ভোঁস করে ঘুমোয় আর মাঝরাত্তিরের পর গা মোড়ামুড়ি দিয়ে জেগে ওঠে। তখন ওতে কান পাতলে শোনা যায় শোঁ শোঁ, সাঁই সাঁই, ঠুকঠাক, ঢকাং ঢকাং শব্দ। তারপর ঝমঝম ঝমাঝম করে একটা বড়সড় জোয়ানমত ট্রেনগাড়ী দৌড়ে যায়। আবার চুঁইচুঁই, ঘটাংঘটাং এরপরে ছ:-ঘিসস, ছ:-ঘিসস করে হাঁপের টান টেনে টেনে একটা বুড়োমত মালগাড়ী যায়।অতারপরও রেললাইনটা জেগেই থাকে, যদিও আর গাড়ীটাড়ি আসবে না সেই কাল রাত্তিরের আগে; তবু ও জেগে জেগে অপেক্ষা করে সকালের পাখীগুলোর।

    আকাশে চালধোয়া জলের রং ধরলেই কিচিমিচি করে নেমে আসে ছোটবড় পঞ্ছিগুলো, লাইনের ফাঁক থেকে খুঁটে খুঁটে কিসব খায়, থেকেথেকে উড়ে যায় ঐ নীলচেমত পাহাড়টার দিকে। ওরা দৌড়ে উড়ে ছোটবড় গাছগুলোতে লুকোচুরি খেলতে খেলতেই সুজ্জিমামা এসে পড়ে। সুজ্জিমামা যত পাহাড়ের দিকে এগোতে থাকে পাখীগুলো কোথায় কোথায় যেন চলে যায়। দলবেঁধে আসতে থাকে বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়ের দল। কারো পিঠে ব্যাগ, কারো কাঁখে ছোট ঘড়া, কারো হাতে বালতি, কারো হাতে মলাটছাড়া একলাফোকলা কটা বইখাতা। আরও আসে কজন শক্তপোক্ত মেয়েমদ্দ। কেউ যায় ঐইইইই সামনে পাহাড়গুলোর দিকে, কেউ নামে নীচে নদীর দিকে। এইবারে রেললাইনের চোখ জুড়ে আসে ঘুমে। পাহাড় টপকে সুজ্জিমামা যখন ঐপারে চলে যায়, তখন সব একীকে ফিরতে থাকে। যে গেছিল বাঁয়ে, সে ফেরে ডাইনে, যে ওপরে গেছিল, নেমে আসে, যে নীচে গেছিল উঠে আসে। রেললাইনটা চুপটি করে ঘুমায় আর রোদ পোয়ায় --- বৃষ্টি মাখে ----- কুয়াশা জড়ায়। তারপর পাখীপক্ষীগুলো সব গাছে গাছে ওড়াউড়ি ক'রে এর তার সারাদিনের খবর নেয় ---- আকাশটা আস্তে আস্তে অন্ধকার হয়ে আসে। সুজ্জিমামা অন্যমনস্কভাবে কখন যেন একেবারে দিনের কার্নিশে চলে গেছিল --- পা বাড়াতেই টুপ্পুস করে পেছনের খাদে গড়িয়ে গেল। আর অমনি দেখো কতরকমের পোকামাকড় জেগে উঠতে থাকে।

    ওর সৌন্দর্য্য আর বুদ্ধি যতটা কম, স্বাস্থ্য যে ঠিক ততটাই বেশী তা ওকে জনে জনে বুঝিয়ে ছাড়ে| ঘরে বাইরে গঞ্জনার শেষ নেই, রোজই হয় কয়েকচোট। কখনও সখনও চড়থাপ্পড়ও বাদ যায় না। এসবে ওর কিছু হয় না। অন্তত কেউ কখনও ওকে মনখারাপ করতে দেখেনি।অআজ রাতে যখন ওর ঘুমটা ভাঙল, তখন ও বুঝতেই পারল না কেন ভেঙেছে ঘুম। বাপ মা বলে ওর নাকি মড়ার মত ঘুম, একবার পড়ল তো একেবারে সকাল হলে উঠবে। তা ঘুম তো একরকম মরেই যাওয়া, অল্প ক'ঘন্টার মরণ --- সেরকমই মনে হয় ওর। ও অবাক হয়েই আস্তে আস্তে উঠে বসে, পা বাড়িয়ে নামে খাট থেকে। খালিপা মেঝেতে রাখতেই ঠান্ডা মেঝে যেন ছ্যাঁক করে লাগে পায়ের পাতায়। পায়ের তলায় ঐ ছ্যাঁকছ্যাঁকানি পাড়িয়ে পাড়িয়ে দরজা খুলে খালিপায়ে বেরিয়ে আসে সামনের উঠোনে। কিরকম রুপোলী সাদা চারিদিক --- জ্যোসনায় ভেসে যাচ্ছে উঠোন, গাছপালা, সামনের সরু রাস্তাটা। খুব আস্তে প্রায় ফিসফিস করে গাছের ডালপাতাগুলো কিসব পরামর্শ করে চলেছে, ওকে দেখেই সামনেরগুলো চুপ করে গেল। একটু ভাল করে শোনার জন্য ও এগিয়ে গেল, ডালপালাগুলূ চুপ হয়ে গেল। ও এগোতে লাগল --- পায়ে পায়ে গেট পেরিয়ে রাস্তায ---- দুদিকের বড় গাছের ডাল বেঁকেচুরে রাস্তার ওপরে কেমন আর্চ বানিয়েছে --- ফাঁকেফাঁকে জালিকাটা রুপোলী জোসনা ---- রাস্তা বেয়ে এগিয়ে যায় --- ও-ও এগোয় পায়ে পায়ে আর অমনি গাছেদের ফিসফিসানি থেমে যায় --- বুনোলতা পা টেনে ধরে --- ও কেমন ঘোরের মধ্যে লতা ছিঁড়ে ফেলে এগোয় --- ঝোপঝাড়েরা ফিসফিস করে বলে "শোনো একটু --- শুনে যাও এদিকে' --- ও পা চালায় ----- রেললাইনটা আড়মোড়া ভাঙে ---- ঘুম ভাঙছে ------ গাছপালা ঝোপঝাড় শেষ হয়ে এবড়ো খেবড়ো পাথরে পা পড়ে --- অল্প শিউরে ওঠে কি? চাঁদ আরও মায়াবী হয়ে জোসনা ঢেলে দেয় ---- ও উঠে আসে রেললাইনের ওপরে ----- চাঁদের দিকে মুখ তুলে তাকায় ------- স্নিগ্‌ধচোখে তাকায় চাঁদ ----- ঝমাঝম ঝমাঝম দৌড়ে আসছে জোয়ান রেলগাড়ীটা ---- তীক্‌ষ্‌ঞ হুইসিল একবার বেজে ওঠে --- ও শোনে কিনা বোঝা যায় না ---- নড়ে না, চাঁদের চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে থাকে।

    রেলগাড়ী চলে গেলে রেললাইনটা চেটেপুটে খায়, অনেকদিন বাদে ভরপেট খাবার পেয়েছে লাইনটা --- আকাশ পরম আদরে কুয়াশা ঝরায় ------- ঢেকে দেয় ওর টুটাফুটা টুকরোগুলো ---- একটা প্যাঁচা কাকে যেন খবর দিতে, সামনের পাহাড়টার দিকে ডাকতে ডাকতে উড়ে যায় -- ক্‌র্‌যাঙঙঙঙ
  • Tim | 173.163.204.9 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:৩৭451553
  • এগুলো আগে না হওয়া কথা। খুঁজেই পাইনি। পানাপুকুরে ঢিল পড়লে শব্দ ডুবে যায়। আকাশ পরিষ্কার হয়েও, নীলসাদা ডোরাকাটা সাজে। এই নীল কিন্তু হালকা নীল, যাকে বলে ফ্যাটফ্যাটে, সাদাটে। সাদারং অন্য রঙকে গেঁজিয়ে দেয়। তো, সেই নীল রং মিশে আকাশটা যাচ্ছেতাই দেখতে হয়েছে।

    তারিখের পাতা উল্টে গেলে, সাহসের ভাঁড়ার খালি হয়ে আসে। অমুকদিন তমুকের সাথে ইত্যাদি প্রভৃতি। হিসেব নেই। দায়দায়িত্ব, সোহাগ-তদ্বির, কিছুই নেই। অধিকারবোধ, হ্যাঁ এই তার নাম ছিলো। একদিন।

  • aka | 117.194.3.44 | ২০ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:০০451554
  • আকাশের রং এখন ছাই পানা, সবুজ অটো সিএনজি, কিছু মনে হয় রং করা। চারদিকে একরাশ আবর্জনা বাঁচিয়ে পথ চলা আর ঘেমো গন্ধে শেঁকে নেওয়া পুরনো অভ্যেস আজও বলে 'জিনা ইসি কা নাম হ্য'। মৃত নগরীর প্রচণ্ড বেঁচে থাকা একপ্রকার অশ্বাস, সব ছাপিয়ে প্রাণ ভরে ঝাঁঝালো পার্টিকলই নয় শুষে নিই।
  • pharida | 122.163.99.180 | ২৫ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:৪২451555
  • এমন নিষ্ঠুর হে তুমি,

    আলুনি ঠান্ডা দিনকাল জুড়ে খিদে ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে – এ দোর থেকে সে দোর, কড়া নাড়ছে কোথাও বা কোথাও বা রিণরিণে টুং টাং। আমি পিছু নি ওর, তারপর অন্য কারুর। পিছু ফিরলে মুখমুখি হই সে খেলাধুলোর। জন্মে জন্মে শিথিল হয় রাস্তা। গাছ বরাবর নিমকহারামি করে ফেলে বেওয়ারিশ কুকুরের মতো শুঁকতে থাকে। আমার থালার পাশে চারটি রুটি থাকে যেন, এই ভেবে আমি হিসি করি রোজ রোজ রোগা ক্ষয়ে যাওয়া গাছটার গোড়ায়, দু-চারঘর পিঁপড়ে যা পড়ে থাকে হুটোপাটি লাগিয়ে দেয়। জলের ছড়া তাড়া করে এক ব্যাটা কুঁদোকে – এইবার , এইবার আর একটু পরেই পেড়ে ফেলি ওকে। কেতরে পড়তে পড়তেই জলের জোর আর থাকে না। সে ব্যাটা উঠে দাঁড়ায় আবার কিনা – রোজই ভাবি দেখে রাখব। আর দেখা হয় না।

    পাড়ার খেলায় ছুঁড়ে বল করে হেব্বি নামডাক তখন পোকোদার। বল করার সময় কেন যে অতখানি ছুটে আসতো কে জানে। সেবার একটা ট্যুর্ণামেন্টে যেই না শালা আম্পায়ার ছুঁড়ে বল নো ডেকেছে – সে কি বাওয়াল কী বাওয়াল। কার্তিকদা সেদিন বিকেল থেকেই পৌয়া চড়িয়ে টান্টু – একা নাগাড়ে বুঝিয়ে যাচ্ছে –“বলটা না ছুঁড়লে অদ্দুর যাবে কী করে, বোঝান আমায় দেখি”!

    মঙ্গলবার হলে ছটা বত্রিশে চিচিং ফাঁক দেখি। ওটা না-পড়াশোনার জন্য বরাদ্দ। ঐ সময়ে লোডশেডিং হলেও নো পড়াশুনো। ভেবে নাও আমি চিচিং ফাঁক দেখছি। ব্যস।

    আমার রাস্তার জন্য একটা ফুলপ্যান্ট থাকে। যে কোনো পোষাক পরে বা না পরে থাকি না কেন বেরোতে গেলে ওটা আমি চড়িয়ে নেব। ওর নাম এভারেডি। ডান পকেটে রুমাল, বাঁ পকেটে বিড়ির প্যাকেট, দেশলাই। যেখানে সেখানে আলো নিভে গেলে আর চেল্লাই না। রয়ে বসে আলতো করে বাঁ পকেট থেকে পেলাস্টিক খচমচ করে উঠি। ওপর ওপর থেকেই ঠাহর হয়ে যায় এখনো তিন চারটে আছে প্যাকেটে। কোণের সরু ফুটো দিয়ে বের করি বিড়িটা। একটু খেলিয়ে নি কানে শুনে টিপে টাপে। তখন দেশলাইকেও টনকো না হলে চলবে না। তবে ইসের দিব্যি। আজ পর্যন্ত আমার শেষ কাঠি কখনো বিট্রে করেনি – বুক ঠুকে এটা বলতে পারে কোন শালা।

    পিছন ফিরলেই মুখোমুখি হয় সূর্যোদয়। কান টানলে মাথা আসে। মাথার মধ্যে ব্যাথা থাকে। ব্যাথা হলে চেল্লানি থাকে যদি কান থাকে। কানের পিছনে চোখ থাকলে দেখা যেত হঠাৎ করে কান টেনে কে পালায়। কানে কী কী আসে কীভাবে আসে সব পরিষ্কার হয়ে যেত। হয়নি। হয়নি।

    মাঠে বল পড়তেই সব চুপ। ট্রামকেষ্টো নামবে আজ খেলতে। সারা মাঠ জুড়ে দৌড়ে বেড়াবে ও সবার পিছুপিছু বল তাড়া করে যাবে। খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও বল পাবে না তখনো বলের পিছু নেবে যখন সাঁকো পেরিয়ে বাপ্পা নিজের বল নিয়ে বাড়ি চলে যাবে। এ খেলার বাইরের খেলা শুরু হবে তখন ওর। ভ্যাপসা পড়ে থাকা কদম ফুলে শট লাগবে ধড়াদ্ধড়। আছাড় খাবে, উঠবে, এঁকে বেকে মিলিয়ে যাবে ঘুপচি ঘরগুলোয় অন্ধকার হয়ে গেলে। ঠিক কোন ঘরটায় থাকে ও? দেখিনি।

    আমার কিছু বন্ধুরা সিনেমা যায়। দু-চারজন মাঠে বসে পুরিয়া বানায়। টিউশন কেটে এর তার সাথে দেখা করেও কেউ বা। কিছু বন্ধু কাজ থাকলে আবার বেশ কিছু বন্ধু কাজ না থাকলেই আমার সাথে দেখা করে। এক বন্ধু রোজ রোজ পুরোনো হয়ে যায়। অনেকদিন সে আসে না বলে।

    দোকানে গেলে আমি ফেলে আসি ফর্দ। তা না হলে, পয়সার হিসেব তো মেলে না কখনো। একবার তো কুড়িয়ে পাওয়া আস্ত চকচকে চারানাটাও ফের্ৎ দিতে হয়ছিল। সেই থেকে আর হিসেব করি না। বিড়ি থাকলে খাই, নয়তো ঘুমিয়ে পড়ি।

    তবে হ্যাঁ, যদি জিজ্ঞেস করো তো বলবো সবচেয়ে বেশি নেশা হয় খিদেতে। চনচনে খিদে হবে, দুপুরবেলা। একফোঁটা খাবার নেই কোত্থাও, তেমন হাফচেনাও কেউ নেই যে আমাকে হাভাতে বলে জানে না। বারফাট্টাই ম্যারাপ বাঁধা। সানাই বাজে। ভিয়েন হয়। রসে ডুবুডুবু লেডিকিনির দিকে তাকিয়ে তোতলাতে থাকে ছেলেটি তার দাদুর মায়ের শ্রাদ্ধে। কোথাও সন্ধে দেয় কেউ। নকুলদানার মতো তারা ফুটে ওঠে একটা দুটো করে।

  • sda | 117.194.207.235 | ২৭ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:২১451556
  • জিও গুরু।
  • tatin | 70.177.55.6 | ২৯ জানুয়ারি ২০১১ ১২:২৬451557
  • যদি ঠোঁট রাখো হৃদয়ের ঠোঁটে
    ভরা প্রাঙ্গনে
    তোমার অধরে-ওষ্ঠে
    লেগে যাবে হলুদ পালক
    পাখির ডানার মত উড়ে যাবে বন্ধুর নাম লেখা বই-
  • pharida | 220.227.148.193 | ৩১ জানুয়ারি ২০১১ ১২:৩৬451558
  • আমি শুনছি না, লাট্টু ঘোরাচ্ছি - কখন যে খেতে দেবে এরা। ভাবছি, এরপরেই হয়তো জনগণ শুরু হয়ে যাবে। সামনের সারিতে বসা বলে উঠতেও পারি না। পা ধরে গেছে অনেকক্ষণ।

    লেত্তি পড়াই আর খুলে রাখি। লাট্টু ঘোরাই না। শুনি।
  • Tim | 198.82.25.5 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ২১:২০451559
  • সকালে উঠেই মেঘটেঘ দেখা গেল। চাট্টি কুয়াশাও, দাঁড়িয়ে ছিলো, জানলায় গাল ঠেকিয়ে। মেঘকে বললাম, পরে এসো। কুয়াশাকে কাটিয়ে দিলাম। গাড়িকে বললাম, গোল কোরোনা, সোমবারে বায়না কত্তে নেই। তবু সে ঘ্যান ঘ্যান করায় তারস্বরে গান চালালাম। পানসি ভাসলো।

    হাইওয়ে ধরে চলছি, মেঘ এলো পাওনাদারের মত। বেচারা! পরে এসোটা যে অজুহাত, বুঝতেই পারেনি। রাস্তার পাশে পাশে কুয়াশাও ছিলো, অভিমানভরে। কাটিয়ে দিয়েছি কিনা, তাই অভিমান। মেঘকে বললাম, এখন মাসের শেষ, ফিরে এসো বিকেলের দিকে। কুয়াশাকে দেখেও দেখলাম না।

    এই পর্যন্ত সমস্তই ঠিক চলছিলো, তবু শেষরক্ষা হলোনা। হঠাৎ পাশেই বেজে উঠলো মৌনমুখরতা। তখন বৃষ্টি নামলো।
  • Tim | 198.82.25.5 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ২২:১৯451560
  • সকালটা যখন ঘেঁটেই গ্যালো, তখন আর পরিপাটি সাজিয়ে কি হবে? সুতরাং আরেকটু ছড়িয়েই ফেলা যাক, আজকে।

    টেরাহার্জ পাম্প-প্রোবের কথা শুনুন। একটা স্যান্ডউইচের মত স্যাম্পল, গোল্ড স্পটে ডোবানো রঙিন স্ট্রয়ের মত দুটো লেসার বিম লেন্সের দিকে তাক করা। ফোকাস, ফোকাসটাই আসল। সেইটে নড়ে গেলেই চিত্তির। তো, তাই কচ্ছি।

    এদিকে হয়েছে কি, বৃষ্টিদিনে বটের নিচে যে বসতে নেই, একথা কেউ তারে বলেই দেয়নি। ছাতা নাই, তরোয়াল নাই, ঘেঁটুফুল দূর অস্ত। ফুল ফুটেছে বটে, তবে বসন্ত না অ্যালার্জি জানা যাচ্ছেনা।
  • Tim | 198.82.25.5 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ২২:৩৫451562
  • বসন্ত, ইয়ানি মায়ের দয়া। একদা আদিগন্ত মাল্টিস্টোরিড বিল্ডিঙের দিকে ফ্যালফ্যালে তাকিয়ে মনা উদাস দেবানন্দের মত গলা করে বলেছিলো, "" মেরে পাস মৎ আও! পক্স হুয়া হ্যায়""।

    জ্বরের মত বসন্তের সাথেও প্রেমের যে নিবিড় যোগাযোগ, সেটা অনেকেই খেয়াল করেন না। আমাদের ইশকুলে একবার একজনের বসন্ত হয়। তাতে আরেকজন জীবন ও জিপিএ বিপন্ন করে তার সেবা করে। অত:পর প্রেম হয়। চেখভের গপ্পের বিবর্ণ, অসুখে মলিন কিন্তু জ্বলজ্বলে চোখের মত জীবন্ত, মরণোন্মুখ প্রেম হয় ওদের।

    প্রেমের সাথে কানে ব্যথাও ভিষনভাবে প্রাসঙ্গিক। কানে ব্যথা হলে নাকি জিঞ্জার/ গার্লিক পেস্ট দিতে হয়। এমন আজগুবি কথাও এক উৎকলবাসী আমারে জানায়। আমি সুতো জুড়ে জুড়ে দেখি, এতো জানা কথাই। কানের ভিতর দিয়েই না কোথায় য্যানো যেতে হয়! সেকথা তাকে বোঝানো যায়না। রসগোল্লার মত কানে ব্যথা ও প্রেমের কপিরাইটও সে দাবি করে। আমি হাল ছেড়ে দিই।

    এইসব আনসান বকা শুনে কিউপিডেশ্বর একটা মতলব ভাঁজেন। চেইন রি-অ্যাকশনে আমার ওপর চাপ তৈরী হয়। টেবিলে গুচ্ছের পিপিটি আর প্লটের দরদস্তুর চলে। কি আর করি! কবি তো বলেইছেন, হাওড়া গেলে- গঙ্গা পার হতেই হবে।
  • aka | 168.26.215.13 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ২২:৩৬451563
  • আজকাল অপেক্ষা মানে ক্রমাগত খুঁজে চলা বৈদ্যুতিন বার্তা, বাসস্টপে দাঁড়িয়ে মানুষ গোনার দিন শেষ হয়েছে কবেই, চতুর্দিকের নব্য যুবক ও তাদের স্মার্টনেস চোখে তাক লাগিয়ে দেখায় আমরা বিগত যৌবন, আয়নার দরকার নেই। পয়সা দিয়ে কেনা যায় আরামের সাথে স্মার্টনেসও, প্রশ্ন হল লোগো না নো-লোগো, আরও বড় প্রশ্ন যদি একেবারেই আনস্মার্ট থাকি তাতে কি? একটুকরো অন্ধকার সন্ধ্যে তো পাওয়া যায়, মাঝে মাঝে ভাবি আসুক না সোলার ফ্লেয়ার, নীরবতা, আমার বোকামি, আর কয়েকটি আনস্মার্ট মুহূর্ত। ভয় পাই বড়, কারণ ভয় আজ দশমাত্রিক।
  • hu | 12.34.246.72 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ২৩:০২451564
  • বৃষ্টি নামলে ঘরে থাকতে নেই। কুয়াশা মাখা গাছ যেখানে লেকের জলে মেশে, যেখানে খুঁটে খায় শীতার্ত হাঁস আর হেলা ভরে পড়ে থাকে রাধিকার বিষন্ন নূপুর, যেখানে আজ তাল-নবমী - জানলার শিক ধরে অপেক্ষমান নির্বোধ বালক, ভুবনডাঙার মাঠে যেখানে দুকূলপ্লাবী মেঘ, অশথ গাছের কোটরে লুকিয়ে থাকে উমনো-ঝুমনো দুই বোন - সেইখানে কুয়াশা আর স্মৃতিকণা পরস্পরে মগ্ন। বহুদিন আগে হারিয়ে যাওয়া এক লোভী মেয়ের পুতুলের বাক্সে পড়ে থাকা চুরি করা সোনার হার সেই অখণ্ড মগ্নতায় সমর্পণ করে পা চালায় একাকী কিশোর। পথের দেবতা তাকে ডেকেছেন।
  • sayan | 98.225.200.39 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ২৩:৫০451565
  • কাল রাতে আবার নেমে এসেছিল সাদা তুলোট তুলোট ছেঁড়া মেঘের দল, নি:শব্দে ঝরে পড়ছিল যেন আহ্লাদি সোহাগিনী! দশমিক বলে জেনেছি যেই বিন্দু মন, এরা তাকে বলে "স্পট'! ভিজে হিউমিড আকাশের নীচে ক্যামেরা তাক করলে আবছায়াদের ছবি তোলা যায় নির্দ্বিধায়। তারা আবার সে-চীইইজ বললে মিষ্টি স্মাইলও দেয়। তা দিক! কিন্তু ওই, টুকিটাকি স্পট রেখে যায়, কোথাও। লজ্জাবতী তেমন একটুকরো তুলে নিই হাসির ঝঙ্কার, হাতের ওম পেয়ে মুহূর্তে গলে যায় সে, শুষ্ক ফ্লেকি কোষ শুষে নেয় তার জলীয় মিঠাপন। আর, সংক্রমণ ছড়ায় ভাইরাল প্যান্ডেমিক।

    কালও দেখে এসেছি রাস্তার ধারে সেই মৃত হরিণটার দেহাবশেষ। হেডল্যাম্পের আলোয় চোখ ধাঁধিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল বিমূঢ়! তাকে শুধু ভালোবাসা গা-ছুঁয়ে গেছে শেষবার। আকাশ পাক খায় এমন। অ্যালকোহলিক ওয়াইপ দিয়ে সযত্নে মুখ মুছিয়ে দিলে যদি প্রাণ ফিরে পেতিস। আমার তূণীরে তীরের জায়গায় জীয়নকাঠি রেখেছি। অর্বুদ যোজন একলা হেঁটে তোর পায়ের নীচে যে ক্ষয়, সেখানে আজ জানি ব্যান্ড-এইড লালিত কেয়ার। কিছু ঝড় জলে ভরে রেখে গেছে যেখানে জলের অস্তিত্ব ছিল না কোনওদিন। বাকি সুস্থ জলাভূমিগুলোয় অনেক গভীরে ঝড় ঢেলে গেছে তীব্র বিষ। পদ্মরাগ, অস্তাচল, বিষবসন্ত খলামকুচির মত ব্যাঙলাফ খেলে জলের বিভিন্ন স্তরে। আমি এইসব দু'হাতে ঠেলে আশ্রয় বানাই ভেজা আকরিক মাটিতে। হরিণটিরও হয়ত আকাশ ভালো লাগবে, এই উত্তাপের সান্নিধ্য আর স্বপ্নের তৃণভূমি।

    এইভাবে ভাসতে ভাসতে দুলতে দুলতে ক্রমাগত নেমে আসি পৃথিবীর অনেক কাছে, বেশ টের পাই আমার সুষুম্নায় প্রান্তসন্নিকর্ষে ছুঁয়ে যায় বৈদ্যুতিন কোনও সংযোগ। একটা দিন শুরু হয়, চোরের মত। আমার বেএক্তিয়ার সবকিছু আশ্রয় খোঁজে আকাশের নীচে পশমিনা সবুজ গালিচায়। সেসব আজ তবে থাক। যদি জন্ম নিই আবার কোনও ""নক্ষত্রের রূপালী আগুন ভরা রাতে'', যদি আবার কখনও নিয়ম ভেঙে গাওয়া হয় কৃষ্ণপদাবলি।
  • Nina | 68.84.239.41 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ০০:০৭451566
  • ইস! সায়ন কাল রাতে হরিণটাকে একেবারে মেরেই ফেলেছিস :-((

  • ranjan roy | 115.241.254.198 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ০০:০৯451567
  • শীত চলে গিয়ে তেতে উঠছিল মাটি, ঘরের দেয়াল, বাঁধানো রাস্তাঘাট। শীতকাতুরে মেয়েগুলো কাঁপতে কাঁপতে জটিবুড়ি সাজা ছেড়ে হয়ে উঠছিল সাহসী বসন্ত।
    সামনে পরীক্ষা-- না জানে কোন -না-কোন সেকন্ডারী বোর্ডের। এর মধ্যেই আমের বউলের গন্ধে মাতাল হয়েছে বাতাস। একলা কোকিল ডেকে ডেকে গলা বাথা করছে। ঘরের সোফায় শুয়ে পা নাচাতে নাচাতে দেখছি জানলার ওপাশে বটলব্রাশ ফুলের গোছা বিপজ্জনক ভাবে হাতছানি দিচ্ছে বিজলীবাহিত তার কে।
    আর একটা দলছুট কাঠবেড়ালী সমানে সামনের মোটা গুঁড়ির নাম-না-জানা গাছের কান্ড বেয়ে খালি ওপর-নীচ করছে।
    স্কুলছুটির সময়ে বা টিউটোরিয়াল শুরুর আগে কচিকাঁচা দের কিচিরমিচির ভীড় কমে গেছে। সামনে পরীক্ষা যে!
    তাই ওরা ক'জন যৌবনকে চৌকাঠের ওপারে অপেক্ষা করতে বলে টেবিলে পিঠ বাঁকিয়ে পড়তে বসেছে।
    তবু একটা- দুটো দলছাড়া সবুজ-অবুঝ জোড়া সাবধানবাণীকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পিঠের ব্যাগ পাশে নামিয়ে বসে পড়েছে ঘাসের ওপর।
    ওরা কথা বলছে না। নিয়মভাঙার উত্তেজনায় ওদের ঠোঁটের আগায় ফুটে উঠেছে একচিলতে আশ্চর্য হাসি-- যেন জলভরা মেঘের গায়ে একটু রোদের ঝিলিক।
    এমনি সময় কোথা থেকে পালে পালে হামলে পড়লো কাদামাখা মোষের পালের মত মেঘের দল। ইলেকট্রিক তার আর গাছের পাতায় পাতায় শন্‌শন্‌ শব্দ। ঝেঁপে আসছে বৃষ্টি।
    টিনের চালে ড্রাম বাজিয়ে আমের মুকুল্গুলোকে নির্মম ভাবে ঝেঁটিয়ে দিয়ে শিল পড়তে লাগলো।
    কেঁপে উঠছে নবীন জোড়াটি; আড়াল খুঁজছে, আশ্রয় খুঁজছে, চাইছে একটু উত্তাপ। শীতেরা কি ফিরে এল আবার!
    আমি ঠান্ডা হাওয়ার ঝোঁকাকে আড়াল করি সর্বশক্তি দিয়ে।
    আহা বেঁচে থাকুক যৌবন।
    আজ কি ভ্যালেন্টাইন ডে?
  • sayan | 98.225.200.39 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ০০:১৫451568
  • ট্রিন্‌ ট্রিন্‌ করে একটা ফোন বাজছে কোথাও। আওয়াজ শুনে মালুম হয় এটা সেই প্রাচীন ভারি রিসিভারওয়ালাটা, যেখানে অপারেটর জুড়ে দিত অনেক অনেক কথা। অনেকদিন সংযোগ ছিন্ন করা হয়েছিল তার। বেশ কিছুকাল পড়ে ছিল একলা টেবিলের কোণে। একবুক অভিমান নিয়ে দেখত নয়ী-নভেলি সেলফোনদের বাহারি সাজগোজ। ছমকচল্লু হ্যান্ডসেটদের অত মিহি গলায় ঘাবড়ে সে মৌনতার সিদ্ধান্ত নেয়। আজ কী মনে করে বেপরোয়া বেজে চলেছে একটানা। ওই ঘরটাও তো অনেকদিন তালাবন্ধ! প্রায় দশটা বছর অন্তত ... থাক! ডেকে ডেকে গলা ভেঙে একসময় নিজেই মরে যাবে আবার।
  • Tim | 198.82.25.5 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ০০:২৯451569
  • দশমাত্রিক ভয় বড়ো সংক্রামক। অক্টোপাসের মত, শতখানেক বছর ধরে ডালপালাশিকড় মেলে রাখা কুচুটে ডাইনির মত ভয়। সিঁড়ি দিয়ে হইচই করে নেমে যাওয়া একরাশ ছটফটে মানুষ, ফুটপাথে ধীর লয়ে হাঁটাতে হাঁটতে কোথাও না পৌঁছনো কেউ, আনমনে দ্রুততালে বেজে চলা সরোদের সুর, সবাইকে ভয় করে।
    স্মার্ট পড়ুয়ারা শোরগোল তুলে পড়ে, আরো আরো জোরকদমে বাজে ঢাক, দ্রিদিম দ্রিদিম। সময়ের চোরা গর্তে রিংটোন বাজে। অপেক্ষা তার শ্বাসরোধ করে দেবে আজ।
  • Nina | 68.84.239.41 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ০০:৪৩451570
  • তবু অপেক্ষা থাকবে অপেক্ষায়---- চোখে জল, বুকে ব্যাথা তবু সে সুন্দর মুহুর্তেরা ---তারা যাবেনা হারিয়ে----অপেক্ষা তবু করবে অপেক্ষা!
  • aka | 24.42.203.194 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ০৪:০৫451571
  • দ্রুততালের ত্রিতাল অথবা ঝম্পক দেখলেই ইচ্ছে করে ক্ক করে ডেকে উঠি, কিন্তু শব্দ আজ রিংটোন অর্থাৎ মোজার্ট কিংবা লেডি গাগা, কখন কোনটা চেপে দেয় আপনাকে নির্ভর করে সঞ্চার পথের সমীকরণের হিসেবের ওপর। সত্যিই যদি সময়ের চোরা গর্ত থাকত তাহলে শ্বাসরুদ্ধ করে খুঁজতাম সেই গুপ্তধন। তাই তো ভয়, শ্বাসরুদ্ধ না হবার ভয়, কারণ মাত্রা তো এক নয় দশ দিক ব্যাপী তার বিস্তার।
  • tatin | 59.98.194.204 | ২৬ মার্চ ২০১১ ১৫:৪৪451573
  • অতি আরবিট সব সেক্স প্‌র্‌যাক্টিস,
    মেট্রোর কামরার ফাঁকে
    উইলিদুর্গপাশে বৃহ্‌ৎ ব্যারাকে
    হাতিশুঁড় প্রেম যা যা জমা রাখতিস-
    অতি গোপনীয় সব ভোরের ফেটিশ
    ট্রাম থেকে ধুলোঘোরা মোড়ে
    সফেদ সৌধ থেকে রোদের পালক মেখে ওড়ে
    পরী, তার করুণা পেতিস
    অতি মলমীয় সেই ক্ষতে পুলটিস
    গোপন রাখার খেলা, ঘাস, ময়দান
    ব্লেডের করুণা আর সিলিং-এর দড়ি টানটান
    বনবীথি চুপ- ঝুলছিস-
  • sayan | 98.225.180.78 | ২৭ এপ্রিল ২০১১ ০৭:৪৫451574
  • ইতি
      - আমি
    =====

    কিছু কাগজের টুকরো একলাই রয়ে গেছিল, এতগুলো বছর পার হয়ে, অক্ষরের বন্ধন ছেড়ে যায়নি এখনও, শুধু একটু আবছা, অস্পষ্ট কি, যেন খানিকটা উড়ন্ত দুপুরের ঘুম, কিচ্ছু নিয়ে যায়নি, তোমার ভ্রূকুটি আর অভিমান উপেক্ষা করে হাতে হাত ধরে রয়ে গেছে সব শব্দের কঙ্কাল।

    ||||
    অনেক দূরে কালো একটা বিন্দুর মত নড়ছিল। একটানা তাকিয়ে থাকলে বোঝা যায় না এগিয়ে আসছে নাকি মিলিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। সেই ছোটোবেলার খেলাটা, ভয়ের কিছু দেখলে চোখ বন্ধ করে নেওয়া, আর মনে করা, চোখ খুললে ভয়ের অস্তিত্ব থাকবে না আর। এই সব ভেবে দুই পলক বন্ধ চোখের পাতার ভিতর লালচে আঁচের দাপাদাপি, আর খুলেই দেখি হঠাৎ যেন কয়েক মাইল এগিয়ে এসেছে ওটা আমার কাছে। এখন বেশ বোঝা যায় অবয়ব। চলার তালটি বেশ ঢিমে। ছন্দ খোঁজার মত বেওকুফি করতে মন সায় দেয় না। আবার চোখ বুজবো ভেবেও করা হয়ে ওঠে না। শুধু তাকিয়ে থাকি। আর কেন্দ্রের প্রতিকূলে অভিব্যক্ত হই। ভেসে যাক দিন, মাস - সময়ের প্রখর শাসন, ভুলে যাই আর একবার যাবতীয় জাগতিক পরিচয়। যদি এই হাতে টান পড়ে, আবার দলছুট পায়ে মাখতে রাজি উছল বালিয়াড়ি। আমার সাথে চল!

    ||||
    ধূ-ধূ রোদ পিঠে পেতে চক্কর কাটে মৌন দ্বিপ্রহর। খরতাপ মৌনতা নামায় খুব ধীরে। বন্ধ খুপরীর গোপনীয়তায় যদি কান পাতো শুনবে তার অস্ফুট কথা বলা। এই সবই থেমে আছে। কিছু বেভুল মূহূর্ত। না-মনে-রাখা সময় কিছু যাদের শরীরে ডাকটিকিট লাগায়নি কেউ। বুড়ো পোস্ট অফিসটায় সেই কাঁচের শিশিতে কবেই শুকিয়েছে গঁদের আঠা। অন্তর্দেশীয় পত্রের মুখ জুড়ে দিলেও তুমি কী এক অদ্ভুত কৌশলে তার খোলা প্রান্ত ফাঁক করে পড়ে নিতে পিঁপড়ের মত সারি সারি অক্ষর। এক চাপা উত্তেজনায় গোটা মুখ লাল হয়ে উঠত তোমার। পাপ করতে, পাপ? এভাবে পড়ে ফেলতে অন্যের কথা! অথচ নিজে লিখতে বসে সেই কথা হারাতে তুমি। কলমও তো কম হারাওনি। উইংসাং জটার'এর সেই কালো কলমটায় সমপরিমাণ লোভ দিয়ে হাতের লেখা ভালো করার প্রেরণা পেয়েছিলাম, শুধু ওই কলমে একছত্র লেখার লোভে - আর, তুমি সেটাকেও হারিয়ে বসলে! যাও, একবার খুঁজে নিয়ে এসো আমার আকাশী কালির দিন, দ্বিপ্রহর, সবকিছু।

    ||||
    আমাদের শহরে পোস্টকার্ড পাওয়া যায় এখনও। সেই ইউক্যালিপটাস গাছের সারিবাঁধা রাস্তায় শেষপ্রান্তে যেখানে শুধু ব্যস্ত চলাফেরা আর লুকোনো কয়েকপশলা চাউনি ফেরে ইতিউতি, আড়ালে আবডালে হাতচিঠির কথাগুলো সব চিঠি থেকে মাটিতে নেমে জ্যান্ত হয়ে যায় আর খুঁজে নেয় তাদের গন্তব্য বইয়ের ভাঁজ, সেই সবের জোর এতগুলো সুখ-দু:খ পার হয়ে আজ আর হয়তো না-ও পেতে পারি। তবু তোমার জন্য রেখে এসেছি সেই লাল লেটারবক্সটা। প্রতি বছর নতুন সূর্যের মত লাল পোঁচ পড়ত নিয়মমাফিক। কিছু কেজো চিঠি নিজের হাতে রেখেছিলাম তার মধ্যে। হাতে কোনও চিঠি না থাকলেও শুধু এমনি খানিক রোমাঞ্চের লোভে ছুঁয়েছি কতবার। আজ চিঠি আলোর গতিবেগে ছোটে পরিণতির দিকে। আর তখন এক একটা অক্ষর পৌঁছোতে লেগে যেত কয়েক বিড়ম্বনাময় রাত আর দিনের যৌগিকফল। তুমি সময় থামিয়ে রেখেছ, তাই না!

    ||||
    বাড়িতে শিখিয়েছিল, "ক'এর শুঁড়গুলো এইরকম গোল করবে, আর শব্দের মাথায় দাঁড়ি যেন সমান থাকে। বলা হয়েছিল, হাতের লেখা সুন্দর হলে নম্বর বেশি পাবে, সেটা ভুলে যেও না। সেই সব ধীরে সুস্থে লেখা খাতা দেখে তোমাকে কথা শুনতে হয়েছিল, নিজের লেখার দিকে তাকিয়ে দ্যাখ, স্যার পড়বেও না, ছুঁড়ে ফেলে দেবে। কই তোমার জন্য দু:খ পাইনি তো একটুও। অথচ প্রচ্ছন্ন গর্ব, সেটা এখনও টের পাই। জলে দুচোখ ভরেছিল কি তোমার? যেদিন প্রথম চিঠি পাই তোমার হাতের লেখায়, দেখেছিলাম, অক্ষরগুলো কেমন মেয়েলি! কেমন উল্টোভাবে "শ' লিখতে তুমি! আমার নামের বানানে নতুনত্ব তুমিই এনেছিলে সেই প্রথমবার, অন্যান্য অনেক প্রথমের মতন। সেই নিয়ে জানতে পেরে তোমার গর্বের কথা আমার অজানা থাকেনি। তোমার কব্জিতে ঘড়ি আর হাতের তালুতে সূর্য আঁকার অছিলায় তোমাকে কাছ থেকে দেখেছি। দেখেছি তোমার সেই সব হাবিজাবি আরও কিছু বেশীক্ষণ ধরে রাখার কী আপ্রাণ চেষ্টা। এখনও কি দুচোখ জলে ভরে তোমার?

    ||||
    প্রথম যেদিন লুকিয়ে পড়েছিলে আমার ডাইরীর পাতা, মাথামোটা তুমি একলাইনও বুঝতে পেরেছিলে কি! খুব সম্ভবত: না। কারণ তাহলে আমাকে জিজ্ঞেস করতে না কী এত ছাইপাঁশ লিখি বলে। আমি জীবনবিজ্ঞান বইয়ের মত উদ্ভিদের ছবি আঁকতে পারতাম অবিকল। তার কিছু তোমার "প্র্যাকটিক্যাল' খাতায় পেলেও পেতে পারো আজও। যদি খুঁজে পাও দেখে নিও সিক্স-বি পেন্সিলের গভীর শেড। তোমার কিছু সুগন্ধী ইরেজারের টুকরো টাকরা আমার জ্যামিতির বাক্সে আটকা পড়ে সেই চোরকুঠরীতে। ঘুমিয়ে রয়েছে। যদি রাস্তায় বেরোও, আজও কি আমার হাত ধরবে তুমি তেমনই সাবলীল ভাবে? অনেক পথ হেঁটেছি তোমার জন্য, তোমারই সঙ্গে। সঙ্গের বাঙ্ময় বন্ধুদের প্রতিটা শব্দের কোনওটাই গায়ে একটুও না মেখে তোমাকেই নির্বাচন করেছিলাম, বৈকালিক ক্রিকেট আর সান্ধ্য আড্ডার তোয়াক্কা না করে ধীরে ধীরে খারাপ ছেলে হয়ে ওঠা পাড়া-প্রতিবেশীদের চোখে, সেও না-হয় সাইকেলকেই দোষ দেওয়া গেল। কিন্তু সাইকেল আর আমার পৃথিবী তখন বনবন ঘুরন্ত তোমার আমাকে ডেকে নেওয়ার প্রতিটা অছিলায়। আবারও কেন ডাকো ওইভাবে তুমি?

    ||||
    আমার শব্দযাপনে ভূমিকা লিখেছিলাম নক্ষত্রময় আকাশের টুপ করে ঝরে যাওয়ার। তুমি ঠিক জানতে কেমনভাবে ঘুরে তাকালে আমার ব্যালান্স হারিয়ে ফেলতে মন চায়। সাপ্তাহিক ক্লাসের দূরত্বটুকু ধীরে ধীরে যাওয়ার খুনসুটিতে তোমাকে আছাড় খাইয়েছিলাম মনে আছে? কারণ অত কম স্পীডে ওরকম "আমাকে নামিয়ে দাও' চিক্কুর ছাড়লে আছাড়ই খেতে হয়। হাঁটু কেটেছিল। হাসছিলেও। অথচ তবুও মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতে পারোনি যে ওটা একটা দুর্ঘটনাই। আর সাইকেলের মাডগার্ড দুমড়ে যাওয়ার অভিযোগে বাড়ি ফিরে হওয়া হিংসাত্মক ঘটনা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়তে ভোলোনি আরেকপ্রস্থ। আমার টালমাটাল সুড়ঙ্গের গলিতে তোমার আলোর রোশনাই আমি দুচোখ ভরে নিয়েছিলাম। আমার পায়ের নীচে দোদুল্যমান জমিতে সটান দাঁড়িয়ে তোমার ফিরে যাওয়া সন্ধ্যেগুলো থেকে চোখ ফেরাইনি একটিবারের জন্যেও। আর আজ আমাকে বলো, ফিরে এসো!

    ||||
    খুঁজেপেতে অনেকগুলো পোস্টকার্ড এমনিই জোগাড় হয়ে গেছিল। পুরাকালে পোস্টকার্ডের ব্যবস্থা থাকলে হয়ত লেখা হত আরও অনেক অনেক মহাকাব্য। আমি নীল শব্দের অস্তিত্ব পাশাপাশি সাজিয়েছিলাম তোমাকে ফেলে আসা প্রতিটা দিনরাত্রি ঘিরে। সেগুলো ডাকবিভাগ পোঁছে দেয়নি কোনওদিনও তোমার ঠিকানায়। সেগুলো চিঠির বাক্সে ফেলাই হয়নি কোনওদিন। কারন, ভেবেছিলাম, যদি জীবন সত্যিই কোনওদিন বড়ো-হয়ে-ওঠা'র সমার্থক হয় তাহলে এই সাহসটুকু রাখি যে নিজের হাতে অতীতের সেই সব একমাত্রিক সংলাপ নির্দ্বিধায় তুলে দিতে পারি তোমার নিক্কণ ছন্দময় একটা সকালে। তোমার শহরে কালবৈশাখী নামে যদি আজ কাল অথবা তার আশেপাশে, দূর কোনও গ্রামের রাস্তায় আমাদের হারিয়ে যাওয়ার সেই সন্ধ্যেটার কথা মনে করে বৃষ্টিস্নাত হোয়ো তুমি। মেঘমল্লার মন্দ্রণধ্বনি ব্রীড়া রোপণ করুক তোমার নির্ভীক স্বীকারোক্তির প্রতিটা অক্ষরে অক্ষরে। আমি ধন্য হই আর একবার, নতুন করে।

    ||||
    পুরাতন জেনেই ডেকেছ কিনা। তাই এই সব উন্মুখতা নিতান্তই পুরাতন। কিছুটা জীর্ণও হয়ত। বাদবাকি অপ্রাসঙ্গিক। চেনা আর অচেনার সীমাবদ্ধতায় অন্তত: তোমাকে আটকানো যাবে না - এটা তুমি নিজেও বোঝো। এরকম কল্পনাপ্রবণ, রোম্যান্টিক, কিছুটা ছেলেমানুষ তোমার প্রতিটা অস্বাভাবিক আচরণকে আমি স্বীকৃতি দিই। প্রসারিত ঝর্ণার জলে পড়ন্ত রোদের আলোয় ছায়া দীর্ঘতর হয়। আমি চোখ তুলে দেখি তোমার উচ্চতা আকাশছোঁয়া। আমার ঘুর্ণীয়মান দুনিয়ায় আচমকা হানা রোধ করতে এতদিন কোনও অস্ত্র আমি প্রস্তুত করিনি। আমার স্বপ্নের চৌকাঠে তোমারই আনাগোনা। পায়ের ধ্বনি শুনেছি অস্পষ্টতায় আর মিলিয়ে যাওয়া জলছাপ। কাঁচা রঙ মুছে দিও তুমি। নিবিড় ঘোর আঁধারে একবার সয়ে যায় যেই চোখ, সেখানে মরশুমি ফুলের বাহার তোলা থাকুক অন্ধত্বের অঙ্গীকারে। যদি স্বাদ পেতে অক্ষম হও তুমি, আমার সাধের নৌকা নিমজ্জনের দিকে এগিয়ে দিতে চাই আরেকটুকু। তুমি তাতে সওয়ারী হতে চাও?

    ||||
    এইখানে বেলা দীর্ঘ। এখানে সন্ধ্যেবেলা ঘরে ফেরে না কেউ। অনেক দূরের সমুদ্রোপকূলবর্তী তটের সীমানায় লেখা নাম হাওয়ার গুঞ্জনে নাম ধরে ডাকে নিশাচরের মত। পথের ধারে ছড়িয়ে থাকা বেনামি ভালোলাগা নির্দ্বিধায় সঙ্গী হয়। আমি না বলতে ভুলে যাই সেই ওষ্ঠময় আলাপচারিতাকে ... অনেক দূরে হয়ত খুব সুন্দর একটা সকাল এইসবে। পরিচিত কিছু কলরব, আবার বেচাকেনার বিপনণ, কাঠের চুল্লিতে গনগনে আঁচ প্রখরতর, ঘুমচোখে জেগে উঠেছে প্রাণময় একটা প্রাচীণ শহর। কিছু শব্দ জুড়ে বিস্তার সৃষ্টি কোরো তুমি সেই কোন আদ্যিকালের রেওয়াজি সুপ্রভাত। সেই রাস্তাগুলো আজও পড়ে থাকবে হাপিত্যেশ করে। দু'জনের চাপে ভারি চাকায় পিষে দুপাশে ছিটকে পড়বে না নুড়িপাথর। অনেক সূর্যের পথ পাড়ি দিতে হবে তোমাকে এখনও। সেই গমনপথে ক্লেদ রেখো না তুমি। আমার চরাচর জুড়ে শুকনো পাতার ঝুমঝুম। এবার বুঝি ছুঁয়েই দিলেন অমৃতের পুত্রকন্যা। সময় ক্ষয়ে যায়। রক্তের মত ক্ষরণ তার। আমি শেষবার লাল রঙ দেখতে চাই। কিন্তু আমার চোখ জুড়ে তখন যন্ত্রণার দাপাদাপি।
  • tatin | 210.212.18.226 | ২৭ এপ্রিল ২০১১ ১৮:০০451575
  • তুখোড়
  • san | 14.99.226.255 | ২৭ এপ্রিল ২০১১ ১৮:১৩451576
  • বা:
  • nishikanto | 151.141.84.114 | ২৮ এপ্রিল ২০১১ ০১:২৬451577
  • অসাধারণ সায়ন। সেপাড়ায় সেই দিকশূন্যপুর আর নদী চন্দ্রহারের দিনগুলো মনে পড়ে। দেখনবাক্সের কাচের ভিতরে সাজানো শিরাতোলা দু'খানি ঝিনুকের কবিতাও। মনে পড়ে? কোথায় চলে গেল সেসব সুবর্ণসময়। কুশি কুশি হাতে ডাকে/ না ফোটা তারার কুঁড়িরা শালের ফাঁকে" মনে পড়ে?
  • sayan | 12.20.48.10 | ২৮ এপ্রিল ২০১১ ০২:২০451578
  • নিশিকান্ত, সব ঠিকঠাক রাখা আছে কোথাও না কোথাও :-)
  • nishikato | 151.141.84.191 | ২৮ এপ্রিল ২০১১ ০৪:৩৮451579
  • সে তো রাখা আছেই চিত্রগুপ্তের খাতায়। :-)
  • hu | 98.226.193.54 | ২৮ এপ্রিল ২০১১ ০৬:৫১451580
  • বাহ!
  • Sharmiatha Ghosh | 117.201.116.70 | ২৯ জুন ২০১১ ১২:০০451581
  • একটি মেয়েলি কথোপকথন, মনের সঙ্গে ......................................................
    bySharmisthaGhoshonTuesday, June28, 2011at11:32pm
    অলীক ভাবনার সকাল দুপুর রাত্রিবেলা, কি আশ্চয সুখ খেলা করে মুখ মণ্ডলে । যদি এই ভাবনা গুলতেই কাটিয়ে দেয়া যেত আস্ত একটা জীবন; কত কি হবার ছিল, কত শত ছিল প্রতিশ্রুতি । আজ বুঝি , সেসব ভাঙার কথাটাও অনুক্ত ছিল একি সাথে।
    কথা ছিল , ঘরে ফিরে ক্লান্ত কণ্ঠের ডাকে উচ্চারিত হবে এই অধমের নাম। লাজুক বদনে শুনতে হবে, ফিরে আসা শুধু একটাই টানে। অহো, কি অপার শান্তি এই শীতলক্ষ্যার গহীন তলে। আমি উড়ে পুড়ে ঘুরে ঘুরে আসি তাই তোর ই কোটরে। কি আশ্চয ভেবে ছিলেম, এসব কথা । সেই সব উদ্দাম ভাল লাগার দিনে।
    যদি এসব সত্যি হত, আমাদের কিছু রইত বাকি চাওয়ার ? আমরা কি অপেক্ষায় থাকতাম, আজ নাই বা হল, কাল পরসু তরসু -কোন একদিন সেই অলৌকিক ডাক সত্যি আসবে?
    কথা ছিল, বিকেল বেলা, সূয যখন অস্তাচলে , পাশা পাশি বসে নীরবে গল্প হবে, মনে মনে ছোঁয়া হবে একে অপরকে। কথা ছিল , আরাম কেদারায় গা এলিয়ে চখা চখী জগত ভুলে কাব্য পাঠ আর সঙ্গীতে খুঁজে নেবে বাঁচার রসদ।
    কথা ছিল, মাটির চালায় এক টুকরো উঠোন, গোবর নিক্কন , লাউ এর মাচা, পোষা হাঁসের দল ফিরে আসবে ঘরে, চই চই , বাঁধানো পুকুর ঘাট , সন্ধ্যে নামার অনেক পরে ধোঁয়া ওঠা কাঁসার থালায় ভাত, একটু ডাল আর পোস্ত , তোমার মুখে অপার তৃপ্তি । কি আশ্চয , ভাবনা গুলো শহর ছেড়ে , গতি থেকে পালানোর কথা বলত।অচল পালাই , ঘাট থেকে আঘাটায় , চল পালাই, কারন থেকে অকারণে ।
    কি আসচয আমাদের এই ভাবনা গুলো , ক্ষণে ক্ষণে খালি রূপ বদলায় । মন কে শুধাই ,
    সত্যি কথা বলত মন, তুই কি সন্তুষ্ট হস যা চাস তাই পেলে? পারবি কি হলফ করে বলতে- তুই ও বদলে যাস না অহরহ? কি আশ্চয, মন কে ই বোঝা গেল না , তাকে বোঝা ত দূর অস্ত।
    কখনও হবি ভাবিস’ সপ্তপদি’র উত্তম সুচিত্রা , এই পথ যদি না শেষ হয়, কখনও আবার ‘গন উইথ দ উইন্ড ‘, কখনও ‘ঘরে বাইরে’র চারুলতা ভীষণ রোম্যান্টিক , কখনও ‘ন হন্যতে’ । তুই কি রে ? একটু স্থির হয়ে ভাবতে পারিস না ? তোর বোঝা উচিৎ , সাত ঘাটে জল একসাথে খাওয়া যায় না! খেলে লোকে যে মন্দ বলে । শোন, সবাই তসলিমা নয় , আর সাধারন মেয়ের কোন গল্প হয় না ।
    কি আশ্চয , এত বোঝাই তবু বোঝে না , আমায় উলটে বন্ধ খাঁচায় রেখে পালায়, আমার মন হীন দেহ পড়ে থাকে সমাজ নির্দিষ্ট ঘেরা টোপে , সেখানে আমি কন্যা , জায়া , জননী হিসেবে চলেবল । কিন্তু আমি জানি, আমি কতটা অসম্পূর্ণ , আমার মন কে ছাড়া ।
    কি আশ্চয ভেবেছিলেম, আমার ঘরে নারী স্বাধীনতার চূড়ান্ত । বিকেল বেলা প্রায় একসাথে ঘরে ফিরে হাতে হাতে দু কাপ ধুমায়িত চা , কিছু টুকটাক , স্নান সেরে কিছু ভাব ভাবনার আদান প্রদান, কখনও গাড়ি নিয়ে লং ড্রাইভ , স্টিরিওতে হাল্কা মিউসিক । কোথাও যাবো বলে নয়, শুধু একসাথে যাব বলে যাওয়া ।অআমরা ফেমিনিস্ত নই । শুধু চাই , আমাদের পুরুষ হবে সিংহ হৃদয় , যে ভাববেনা ডালে নুন কম হলে সেটা অপরাধ । জামা জুতো খুঁজে না পাবার অছিলায় ব্যাতিবস্ত করবে না । কি আশ্চয , এসব নেহাত কথার কথা, ভাবিনি তা ।
    কি আশ্চয ভেবেছিলেম , তপ্ত কপোলে তোমার অধরের শীতল জলপটি , একা লাগার ধূসর বিকেলে তোমার হঠাৎ পুলক জাগানো আগমন , রুটিন অমান্য করা দিন যাপন । কি যে ভীষণ ভাবে চাই , দামাল পুরুষের সাহসিকতা । যদি সব বাছাই করা গুনাবলি নিয়ে সুন্দর হত নারী আর পুরুষ একে অপরের কাছে । কি আশ্চয ,এসবি ভেবেছিলেম। ভেবেছিলেম, আমি তোমার একমাত্র প্রেয়সী হব , তুমি আমার সর্বস্ব পুরুষ । কি আশ্চয , ভেবেছিলেম।

    Like··Share·Delete
  • sayantan | 223.29.195.21 | ২৯ জুন ২০১১ ১৯:৪৬451582
  • #২৪৮৮;#২৪৯৪;#২৪৭৯;#২৪৯২;#২৪৭২;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৮২;#২৫০৩;#২৪৫৪;#২৪৯৪; '#২৪৩৯;#২৪৬৮;#২৪৯৫; #২৪৩৮;#২৪৭৮;#২৪৯৫;' #২৪৫৮;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৪৯৫;#২৪৭৪;#২৪৯৪;#২৪৮৬; #২৪৭৮;#২৪৯৪;#২৪৭০;#২৪৫৩;#২৪৯৬;#২৪৭৯;#২৪৯২; #২৪৫৩;#২৪৮০;#২৫০৩; #২৪৬৮;#২৪৯৭;#২৪৮২;#২৪৮২;#২৫০৭;
  • sayantan | 223.29.195.21 | ২৯ জুন ২০১১ ২০:২০451584
  • বন্‌গ্‌লয়ে লিখে্‌ত অমর ওম্পুতের-এ বুজে্‌হ্‌ত পর্ছিন কি অক্ত প্রোব্লেম হোছে , ওনেক রোকোম ভবে ত্র্য কোরে দেখ্‌লম।

    জঈ হোক, অমি সয়নের লেখত পোর্লম। মুগে্‌ধা হোএছি। দুর্দন্তো লেখ , ঝোর্ঝোরেয়।

    ততিনের কোবিতগুলিও অনিন্দ্য শুন্দোর।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন