এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ভাট: ভার্চুয়াল থেকে রিয়্যাল - 2

    Samik
    অন্যান্য | ১৩ জানুয়ারি ২০১১ | ২১৪২৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Abhyu | 97.81.106.140 | ১৫ মার্চ ২০১১ ০৭:০০463139
  • না, তবে মা নিরামিষ মাংসটা তিন ঘন্টা ধরে নেড়েছে, ওটা না করলে হরিমটর ভাজা মেনুতে অ্যাড করতে হত।
  • kallol | 115.184.31.141 | ১৫ মার্চ ২০১১ ০৭:৩৭463140
  • শিবাংশুর বাসায় গুছিয়ে বসে, উলুক-ঝুলুক আড্ডা মারতে মারতে শিবাংশুর ছোট মেয়ে ও সহধর্মীনি মিলে দারুন পরোটা আর আলুর ছেঁচকি বানিয়ে ফেল্লে। আমাদের উপবাস ভঙ্গ হলো।
    দুপুর ১২টায় উপবাস ভঙ্গ হওয়ায়, কাব্লি আর রঞ্জন হেব্বি সাঁটালো। আবেশ সাবধনী মানুষ, টেস্টে ওপেন করার মত, বুঝেশুনে বল ছাড়ছেন, ব্লক করছেন। আমি কিনা গুরুজনেদের মধ্যে কনিষ্ঠতম, তাই পরোটার বেশীরভাগ আমাকেই পছন্দ করলো। সহবাগ না হলেও শ্রীকান্তের মতো খেলে(য়ে)ছি।
    ঐ যে বলে না ""সকাল দেখিলেই বোঝা যায় দিনটি কেমন"" - সেটা যে এতোটাই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ট্রু, কে জানতো! পরোটা আর আলুর তরকারীটি - বিলকুল নিখিল বাঁড়ুজ্যের আলাপ। একটু একটু করে রাগটি (এক্ষেত্রে রান্নার জাতটি) চিনিয়ে দেওয়া। আমি তো তখনই নিশ্চিত দ্রুত ও ঝালায় কি হতে চলেছে। এর মধ্যে কাব্লি ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দিলে। অবশ্যে পরে সেটা ততো মানা হয় নি। হাজার হলেও সিনিয়ার ব্যাট, খেলবো না বল্লে হবে?
  • siki | 123.242.248.130 | ১৫ মার্চ ২০১১ ০৮:৫১463141
  • কাব্লিদা ভাইগ্যবান। কাব্লিদা আবেশদা রঞ্জনদা না থাকলে আগের দুদিন আমায় জাস্ট উপোস করে থাকতে হত। সঙ্গে দুচাট্টি বুড়ো লোক থাকা যে কতো উপকারী ... :)
  • kallol | 220.226.209.2 | ১৫ মার্চ ২০১১ ১০:২৩463142
  • পরোটা-আলুচ্চচড়ি সাঁট্টিল করে আমরা তো গ্যাঁট হয়ে বসলুম। প্রথম প্রথম সকলেই ভদ্র সভ্য হয়ে সোফায়, তাপ্পর মেঝেতে কার্পেটে। ঐ যেমন পাড়ার ফাংসনে এলাকার আশা শুরু করেন রবিগান দিয়ে, তাপ্পর রাত বাড়লে পিয়া তু তে পৌঁছে যান। নানান আড্ডা - বন্ধুত্বের স্তরভেদ থেকে ডিকস্ট্রাকশন - যাকে বলে তররর হয়ে যাওয়া বিশুদ্ধ আড্ডা। এবং গান। অমি গাইলুম, সক্কলে সাবাশী দেওয়ায় আরও গাইলুম। শিবাংশু সাবাশী দেওয়ায় আরও আরও গাইলুম। অনেকদিন পর গান গেয়ে বড়ো সুখ হলো, বড়ো আনন্দ হলো।
    আড্ডা-গান গড়াতে গড়াতে প্রায় বেলা ৩টে। এর মধ্যে জানা গেলো শিবাংশুদের বিবাহ বার্ষিকী কদিন আগেই হয়ে গেছে, আর তাই উপলক্ষে শিবাংশুর ছোট কন্যা মৌলী একটা দারুন ডিজিটাল ফিল্ম বানিয়েছে। মূলত: ওদের পারিবারিক অ্যালবামের ছবি - শিবাংশু-শ্রাবনীর বিয়ের ছবি, ওদের দুই মেয়ের ছবি, ওদের বাবা-মায়ের ছবি, বন্ধুদের ছবি আর তার সাথে মৌলীর গাওয়া - আমি চিনিগো চিনি তোমারে। দারুন। ভাবা যায় না। মৌলী গুরুতে আসে কি না জানি না। হয়তো না। তবু এখানেই মৌলীকে অনেক ধন্যবাদ আর ভালোবাসা জানিয়ে দিলাম। জায়গা মতো পৌঁছে যাবে ঠিক জানি। তবে মৌলীর গুণের এখানেই শেষ নয়। সে যথাসময়ে বলা যাবে।
    আড্ডা হয়তো আরও চলতো, কিন্তু লাঞ্চ ব্রেক দিতেই হলো।
    সঙ্গে থাকুন। ফিরে আসছি।
  • kallol | 220.226.209.2 | ১৫ মার্চ ২০১১ ১১:০৬463143
  • কাব্লি হাত তুলেই দিয়েছিলো। আমরাও ছাড়ার পাত্তর নই। তবু কাব্লির নশ্বর দেহের কথা ভেবেই ওকে রানার দেওয়া হলো। আমি যেহেতু সবচে গেঁড়ে তাই আমিই সে স্বাদু দায়িত্ব পালনের জন্য বুক পেতে দিলুম। সামান্য বানাম্ভুল। ব-য়ের জায়গায় ম আর ক-য়ের জায়গায় খ হবে।
    ডাল-ভাতের ধরতাইয়ের পরই এলো আলু-পালং-চিংড়ির মারিফতী। মারফৎ যে শ্রাবনী, সে বলাটা নেহাৎই আলঙ্কারিক। প্রতিগ্রাসে এক অসহ্য সুখ। সুফিয়ানা সারল্যে যে মাদকতা।
    ডিম, হ্যাঁ মুরগীর আন্ডা। হলুদ ছুঁলো কি ছুঁলো না করে হলুদাভা মশলার মাখা মাখা কুক্কুটান্ড, কুক্কুটরে কয় - যা যা: ঘুইর‌্যা আয়। এর পর বেশ ইয়া ইয়া সাইজের গলদা। নারকোল আর সর্ষের বিছানায় মোহিনী মোহময়ী। দেখিলে চক্ষু, চাখিলে পরজনম সার্থক। চিংড়িরা মিলিয়ে যেতেই কার্প মাছের (রুই কি কাৎলা না অন্য কিছু, তা বোঝার মত অবস্থা ছিলো না) পাতলা ঝোল। সে যেনো রবিশংকরের জমজমা বোলবাটের পর, বিসমিল্লার পাহাড়ী ধুন। এখানেই শেষ হতো যদি কিইই বা বলার থাকতো। শেষ পাতে পায়েস ছিলো ভাটিয়ালীর মতো উদাস করা। আমরা কোতল হলুম। যারে গুরু কয়ে গেছেন গরগরা শুদম।
    এর পর গা এলিয়ে গুষ্টি সুখ।
    ওহ।
    সগ্গো ছিলো শিবাংশু-শ্রাবনীর বাসায়।
    সগ্গো থেকে ফিরতে সামান্য সময় লাগবে। নজর না দিয়ে, হিং না লাগিয়ে - যাও সবে নিজ নিজ কাজে।

  • kallol | 220.226.209.2 | ১৫ মার্চ ২০১১ ১৪:২৩463144
  • এট্টু পরেই আবার আড্ডা এবং শিবাংশুর গান। বাংলা টপ্পা শোনালো নিধুবাবু ও আরও সব কাদের কাদের। তাদের মধ্যে একজন মহিলাও ছিলেন।
    এর মধ্যে বাউল ও ব্লুজের তুলনামূলক সঙ্গীততঙ্কÄ, রবিশংকর আর বিলায়েতের সুর লাগানোর ফারাক (ধ্রুপদঙ্গ আর খেয়ালঙ্গের তফাত বোঝাতে)। খরজের তার নিয়ে বীণের করিশ্মা - কি না হলো। সাথে হঠাৎ হাওয়ার ঝোঁকার মতো আইসক্রিম।
    এরপর কাব্লির ভাইঝি, নাতনি ও ভাইঝি জামাই এলেন। তাদের সাথে আর একপ্রস্থ গানাড্ডা দিয়ে আমরাও গা তুললাম ভর সন্ধ্যে বেলা। যেতে হবে দূরে।
    ফেরার পথে সন্ধ্যাহ্নিকের জন্য পানীয় খুঁজে খুঁজে হাল্লাক। পরে জানা গেলো MLC নির্বাচনের জন্য সব আজকের মতো ম্যয়খানা চোখ বুজেছে। কি ঝামেলি।
    অবশ্য খাবার জায়গায় (ঝাঁসি রানি ধাবা) পাওয়া গেলো প্রমান মাপের শুভ্র দুষ্ট। কাব্লি রাতে সত্যিই রিটায়ার করলো। আমি আবেশ আর রঞ্জন, খেয়ে দেয়ে শুভ্র দুষ্ট বগলে নিয়ে ফিরলাম। কাব্লি-আবেশের ঘরেই ঠেক বসলো। কেস জমে গেছিলো নিশ্চই। কারন ওখানে একটা সময়ের পর কি হয়েছিলো আর মনে নাই। আমি বেশ ইন্তু-মিন্তু-সেন্তু হয়েছিলাম হালকা হালকা মনে আছে। যা যা মনে আছে সেগুলো খোলা পাতায় নাই বা থাকলো। অবশ্য আমি জাতে পেঁচি, জায়গা বিশেষে ওরকম করেই থাকি। কখন ঘরে ফিরেছিলাম মনে নাই। সকালে উঠে দেখি সারি সারি গোলাপী হাতি। ওদিকে সাতটায় গাড়ি আসবে নিতে। স্নান সারতে হাতিরা সংখ্যায় কমলো বটে কিন্তু একদম চলে গেলো না। আমি হা হুশ করে হাতিদের তাড়াতে তাড়াতে গাড়ির অপেক্ষায় থাকলাম।
    এর পর শ্যুটিং পর্ব।

  • kallol | 220.226.209.2 | ১৫ মার্চ ২০১১ ১৪:২৬463145
  • এই দ্যাখো, ভুলে মেরে দিচ্ছিলাম। এর মাঝখানে মৌলী ওর গাওয়া একটা ইংরাজি গান শোনালে আইপডে। সেটা শুধু আমিই শুনেছি। মেয়েটা বড্ডো ভালো গায়। অনেকটা নানা মুসকুরির মতো গলা। ভালো থাকুক মৌলী, আরও ভালো গান গেয়ে যাক।
  • siki | 123.242.248.130 | ১৫ মার্চ ২০১১ ১৪:২৯463146
  • আরো হোক।
  • kallol | 220.226.209.2 | ১৫ মার্চ ২০১১ ১৫:৪৫463147
  • গাড়ি এলো যথাসময়ে, অর্থাৎ কিনা সময়ের চেয়ে ঘন্টাখানেক দেরীতে। হাতিরা ততক্ষন অবচেতনে ফিরে গেছে। এর মধ্যে শর্মিলা নামে এক টেনশন খাওয়া বিস্ময় বালিকা এলেন হাতে ফর্ম নিয়ে। তাতে কি নেই!! গতকাল কোষ্ঠ পরিস্কার হয়েছিলো কি না আর আগামীকাল আমি ডাংগুলি খেলবো কি না - এই দুটো প্রশ্ন ছাড়া আর সব ছিলো। প্রিয় রং, মানুষ, খেলা থেকে প্রিয় জন্তু পর্যন্ত। দিলুম লিখে নাই নাই নাই.....
    গাড়ি এসেছে। সেজেগুজে গায়ে গন্ধ মেখে বের হলাম। সাথে গিটার - সুমেরুর হুকুম।
    গাড়িতে উঠে দেখি লোকজন হুমড়ি খেয়ে কত্তো কি পড়ে যাচ্ছে। একদম মাধ্যমিক পরীক্ষা সিন। দুলে দুলে কিসব গোঙ্গানীর মত সমবেত সুরে পড়ছে। ঝুঁকে থাকলে আওয়াজ কম, তপ্পর যখন দুলে উল্টো দিকে তখন গোঙ্গানীটায় একটা আচমকা ব্রেক মারার মতো উঁউঁউঁউঁ...অঁপ। তা এইসব সমবেত গুঞ্জন ও অঁপ শুনতে শুনতে নানান রেল স্টেশন, গ্রামের বাড়ি, মন্দির, বাগান আর এয়ারপোর্ট পেরিয়ে পৌঁছালাম অকুস্থলে।
    মেকাপ ঘরে ঢুকে দেখি এক বিহারী ছোকরা পট করে আমার জামা খুলে নিলে। এহেন বিনা নোটিসের বস্ত্র হরনে আমি ঘাবড়ে যাবার আগেই সেই সোনিয়া (যে আমায় প্রথম ফোন করেছিলো)অভয় মুদ্রায় চোখ আধ খুলে বল্লে - ও কিছু না ইস্তিরি করে দেবে। গাড়িতে আসতে আসতে একটু কুঁচকেছে তো, তাই। তাই বলো - মাইরী আম্মো ভাবতাম এতো হুড়ুম ধুরুম করেও সিনিমা-সিরিয়ালের দ্যাবা-দেবীদের বসন অমন ঝাঁ ফিটফাট থাকে কমনে!! তাপ্পর নাকে মুখে চন্দন রংএর কিসব মাখালো। তো ব্যাস কমপ্লিট।
    এর মধ্যে বাইরে এসে দেখি সুমেরু ও পরিচালক মশাই (রবিরঞ্জন নাম বোধহয়)। তিনি গান শুনতে চাইলেন। আমি তো গান গাইতে বল্লে বেঁচে যাই। চেয়ার টেয়ার টেনে ওনার নাকের ডগায় বসে গাইলুম - বন্ধু দে ছায়া দে। যতক্ষন গান গাইলাম ততক্ষন কেমন একটা পুলিশি চোখে তাকিয়ে থাকলেন তিনি। ভাবখানা - ব্যাটা নিজে গাইছে তো, নাকি পকেটে সিডি প্লেয়ার ফিট করে এনেছে। অবশ্য গান শেষ হতে মুখ দেখে মনে হলো ভালোই লেগেছে। সুমেরু সামনে আর রঞ্জন পিছনে উৎসাহ দিয়ে গেলো। এবার ফ্লোরে।
    ফ্লোরে ঢুকে দেখি যেমন হয় কুইজের টেলি আসর, তেমনই। মাঝখানের ডায়াসে কুক্কুটের দল (আমি ও আরও দুটি মাইয়া - একটি পার্ক সার্কাসের অন্যটি নবদ্বীপের), এঁরাই আমার সহখেলুড়ে আর দুদিকে গ্যালারী মতো করা - তাতে ঝাঁকে ঝাঁকে দর্শক। তাদের ট্রেনিং হছে। ট্রেনিং দিচ্ছে মাইক হাতে একজন। পরে ম্নাম জানলুম - সঞ্চিতা।
    - অ্যায়.......... হরা বাতি জ্বলনেসে তালিয়াঁ। অন্য সময়মে চুপচাপ। ওদিকে গোটা চারেক ক্যামেরা ও তাদের চালকেরা ওঁৎ পেতে আছে। আমাকে কান-মুখে ইয়ারফোন-লাপেল পরিয়ে দিয়ে একটা চেয়ারে বসিয়ে বল্লে - নিন গান। গাইলুম। গান শেষ হতেই হরা বাত্তি ও তুমুল তালিয়াঁ এবং মীড়যুক্ত সিটি - পুঁইইইউইইউইই.........
  • siki | 123.242.248.130 | ১৫ মার্চ ২০১১ ১৬:৩৫463149
  • সঞ্চিতার সে কী হু-হু-হুমকি, আপলোগ নিচে নামিয়ে, নিচে নামিয়ে আপলোগ, কিতনে বার পানি পিনা পড়েগা? কোই বাহার নেহি জায়েগা।

    সেগুলো বল্লে না? :)
  • siki | 123.242.248.130 | ১৫ মার্চ ২০১১ ১৬:৩৮463150
  • মুনমুন মৌসুমী খেয়ালী ইত্যাদি প্রতিযোগীদের সঙ্গে দেখা হয় নি?
  • kallol | 220.226.209.2 | ১৫ মার্চ ২০১১ ১৭:০০463152
  • এরপর শুরু হলো টেলি কুইজ ""হাই টেনশন""। আমি মাঝপথে ফুটে গেলুম। নবদ্বীপ জিতলেন। লাঞ্চ।
    একটা ভয়ানক ধুলো ভরা মাঠে সামিয়ানা টাঙ্গিয়ে ঢালাও খাওয়ার ব্যাবস্থা। ভাত-সম্বর-রসম গোছের। আমি খাই নি। এমন নয় যে খাই না। কিন্তু খাই নি শমিকের অসাধারন কড়কে দেবার অনারে। শমিকের সাথে দেখা হলো না এ যাত্রা, কিন্তু কীর্তি তাহার ফিরিছে লোকের মুখে। শমিকের শ্যুটের পরও এমনিভাবেই লাঞ্চ দেওয়া হয়েছিলো। শমিক আপত্তি জানায়। তাতে ঐ ডিরেক্টর মশয় (রবিরঞ্জন না কি) শমিককে বলেন যে
    - আপনার কি এখানে খেতে লজ্জা করছে। আমি নিজে এখানে খাই।
    লোকে বলে, শমিক শান্ত চোখে ভাবলেশহীন মুখে জবাব দিয়েছিলো
    - আপনি তো খাবেনই। আপনি এই করে পয়সা পান। আমি তো পয়সা নিচ্ছি না, আর আপনাকে এই শোএ আমায় রাখার জন্য অনুরোধও করিনি। তাই আমি এখানে খাবো না। আপনি কি বলতে চান আপনার অ্যাঙ্কারও এখানেই খাচ্ছেন? আমি নিজের পয়সাতেই খাবো, আমাকে একটা গাড়িন দেবেন।
    ব্যস ডিরেক্টরএর ধ্বজ্জিয়া উড় গয়ী।
    তারপর আমি ওখানে খেতেই পারি না।
    একটা ব্যাপার খুব মজার লাগলো। এই সব টেলি কুইজের রমরমায়, একদল মানুষ প্যারা জীবিকা হিসাবে এগুলোতে অংশ নেওয়া শুরু করেছেন। এঁরা নানান টেলি কুইজে অংশ নেন। কোথাও কিছু জেতেন কোথা জেতেন না। সব মিলিয়ে খারাপ রোজগার হয় না। জ্জিও টেলি কুইজ। শ্যামল শুনছেন?
    এরপর ডেরায় ফিরে ঘুম।
    গাড়ি এলো - আর রঞ্জন, কাব্লি আবেশের থেকে বিদায় নিয়ে চললুম - সেকেন্দ্রাবাদ।
    না নটে মুড়ায় নি। শিবাংশুর ওখানে আবার যাবো, যাবোই। রঞ্জনের ওখানেও যাবোই। কাব্লি আবেশের সাথে দেখা তো হবেই। শমিক তোর সাথেও।
  • kallol | 220.226.209.2 | ১৫ মার্চ ২০১১ ১৭:০১463153
  • শমিক, রঞ্জন, শিবাংশু তোরাও লেখ না। কতো কি লেখার আছে বাআআআকি।
  • kallol | 115.242.160.136 | ১৫ মার্চ ২০১১ ১৯:০১463154
  • আমি ফ্যাঁসবুকে নাই। আমার কি হবে।
    অ সুমেরু, অ শিবাংশু পিকাসায় তোলো না কেনে?
  • ranjan roy | 122.168.174.233 | ১৫ মার্চ ২০১১ ২১:১২463155
  • কলি ভাটে শিবাংশু সব ছবি আপলোড করে দিয়েছেন।
    কল্লোলের অমন চমৎকার বর্ণনার পর আমার বিশেষ কিছু বলার নেই, খালি দু'একটি টিপ্পনী।
    প্রথমে সুমেরুকে ধন্যযোগ! রিটায়ারমেন্টের পরে আমাকে অমন একটি ই-টিভির পয়সায় রিল্যাক্স হওয়ার সুযোগ দেয়ার জন্যে।
    কদিন ধরে অমন আড্ডা, পাহাড়ের গায়ে ভাল গেস্ট হাউসে থাকা( এসি, টিভি, ভাল বাথরুম, কমোড, শাওয়ার, পরিষ্কার বিছানা, দেয়ালে টিভি ইত্যাদি), নিয়মিত কমরেড ভোদকা ( নিজেদের পয়সায়), শুটিংয়ের সাইটে গিয়ে এর -ওর-তার এবং কলিকাতা হইতে আগত ( কুইজ রসিয়া, দাদাগিরি এপিসোড ক্রমাংক অমুক বা তমুকের বিজেতা/উপবিজেতা) ছেলেমেয়েদের লেগপুল করা, তেলেগু একস্ট্রাদের লঙ্গর ভোজন,নাস্তা ও পারিশ্রমিকের বিনিময়ে অবোধ্য ভাষায়(বাঙ্গলা)কুইজ দেখা শোনা এবং সবুজ আলো জ্বলিলে রোবটের মত হাততালি, হু-হু-হু ও সিটি মারা ইত্যাদি দেখিয়া চিন্তিত হওয়া, তেলেগু মহিলাদের চোখে মুগ্‌ধতা দেখিয়া নিজেকে এন টি রামা রাওয়ের ভাতিজা ভাবা ও আমার মুখে ""তেলুগু ইল্লে'' শুনিয়া তাহাদের হতাশ হওয়া -- এরপর রঞ্জন রিল্যাক্স না হয়ে পারে!
    ও হ্যাঁ, হরিদাস পাল ওদের তেলুগুতে "হাম তুম, এক কমরে মেঁ বন্ধ হো' র সুরে"" মঙ্গামা! উৎকুটুন্তে আন্দম, ইল্লা বেসাবয়া। রসিপেটি ইলা দি মনাকু।'' ইত্যাদি গেয়ে ইম্প্রেস করতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু একজন ঈর্ষালু রামালু " দীজ আর অল ভেরি ওল্ড সং"' বলে ওর প্রয়াসে নীরম্‌ ঢেলে দিল।
  • siki | 122.162.75.48 | ১৫ মার্চ ২০১১ ২১:১৬463156
  • আর আমার ফ্যানক্লাব? মৌসুমী খেয়ালী তৃষা মুনমুন অনামিকা কৃষ্ণকলি ...

    নিজমুখে আর কী বলব, হেঁ হেঁ ...
  • Nina | 64.56.33.254 | ১৫ মার্চ ২০১১ ২১:৩৯463157
  • আহা কি বাহারের ভাট!! কয়েকটা গানঠান ও টেপ করে শুনিয়ে দিলে আরও দিলখুশ হয়ে যেতুম! কল্লোলের গান শুনেছি টেপে, শিবাংশুর গানের শুধু গল্পই শিনার সৌভাগ্য হয়েছে এতাবৎ--মৌলির গান শুনেছি ঐ শিবাংশু-শ্রাবণীর অ্যানিভার্সারির ভিডিওতে--খুব ভাল লাগছে পড়তে--আর একিইই সিকিকে গান গাইতে বল্লনা কে :-০ ক্ষি অন্যায়!

    সিকি হয়ে যাক ভাই তোমরটাও-ফ্যানক্লাব নিয়ে ;-)) ছবিটবিও লাগাবে নাকি?
  • ranjan roy | 122.168.174.233 | ১৫ মার্চ ২০১১ ২১:৪০463158
  • দুই, শমীক উপাখ্যান:
    কোন সন্দেহ নেই ফিল্ড কিচেন এর লঙ্গর দেখে শমীক বল্লো খাব না।
    বেচারা শর্মিলা নিয়ে এল পরিচালক রবিরঞ্জন মৈত্রকে।
    উনি বল্লেন -- আমিও তো ফিল্ডে এই খাবারই খাচ্ছি। এতে কি আপনার অপমান বোধ হচ্ছে।
    শমীককে এখনো বেশ কলেজের ছেলে দেখায় ( মেয়েরা সহজে ফ্যান হয়ে যায়।)
    ও ওনাকে চোখে চোখ রেখে বল্লো-- আমি অপমান কথাটা ব্যবহার করতে চাইনা। কিন্তু আপনি এখানে চাকরি করছেন। আপনি কি খাবেন সেটা আপনার চয়েস। কিন্তু আমরা এখানে ইনভাইটেড। আমি এমন ধুলোর মধ্যে এইরকম টক রান্না খেতে অভ্যস্ত নই। আপনি কি বলতে চান অ্যাংকর সায়ন মুন্সীও এই খাবার খাচ্ছেন?
    এটা আউট অফ সিলেবাস বুঝে রবিবাবু ফিরে গেলেন। আমরা শর্মিলা কে অনুরোধ করে গাড়ি নিয়ে কাছের ঝাঁসি ঢাবায় খেয়ে এলাম।
    শমীক গেস্ট হাউসে গান-টান (বেশ সুরে গেয়ে) জমিয়ে নিল। কুইজে পারফরমান্স ও ভাল করলো। ফলে কোলকাতা থেকে আসা প্রিটি ইয়ং গার্লস্‌( তাদের মধ্যে কেউ উঠতি সিরিয়াল অভিনেত্রী) শমীকদার ফ্যান হয়ে গেলেন। হরিদাস পাল কোথাও পাত্তা না পেয়ে হিংসেয় জ্বলে শমীক বউকে মিথ্যে বলে এখানে এসেছে- এইসব জানিয়ে দেবে বলে ভয় দেখানোর ব্যর্থ চেষ্টা করলো। তারপর শমীকের পি আর ও হয়ে সবাইকে শমীকের লেখালেখি ( প্রকাশিত বই, আগামী বইমেলায় কি সম্ভাবনা) নিয়ে ইনফো দিতে লাগলো।
    শমীক জন্মসূত্রে ব্রাহ্মণ বটে, কিন্তু কর্পোরেট সেকটরের তালিম যাবে কোথায়! চটপট ব্যাগ থেকে "" লা জবাব দিল্লি"" বের করে সুন্দরীদের নগদ টাকায় বিক্রি করতে লাগলো।
    খালি একটা কথা। ওই ঢাবায় সার্ভ করা কুক্কুটের হাড়ের স্ট্রাকচার ও পিস গুলো কেমন চওড়া-চওড়া! আর লোক্যাল চ্যানেল বলছিলো ইদানীং হায়দ্রাবদে শকুনের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
    এখানে আসা আরেক গুরু অধীশার বাবা, অতি সুভদ্র রূপাংকন সরকার মশায় জানালেন তিনিও খবরটি দেখেছেন।
    দুই: কল্লোল উপাখ্যান: ওর সঙ্গে টেলিফোনে কথা হত।
    এই কদিনে মনে হল গুরুচন্ডালী পরিবারে ও এক বাউল।
    ও ঠিক বলেছে-- আড্ডার সব কথা এখানে লেখা যায় না।
    আমি খালি সনাতন দাস বাউলের আখড়ায় গিয়ে ওনার সাঙ্গোপাঙ্গও দের সঙ্গে বিড়ি-গাঁজা সহ একাত্ম হয়ে কল্লোল যে কথা বলেছিল সেটা বলেই দায় সারছি।
  • siki | 122.162.75.48 | ১৫ মার্চ ২০১১ ২১:৪৫463160
  • রূপঙ্কর না রূপাঙ্কন সরকার?
  • Nina | 64.56.33.254 | ১৫ মার্চ ২০১১ ২১:৪৬463161
  • একি একি রঞ্জনভাউ--আমরাও শুনব--প্লিজ্‌জ্‌জ, নাহয় এট্টু আকারে ইঙ্গিতেই হোক---
    আর শমীককে এবার হিরোর রোল দিল বলে--সায়ন মুন্সির বাজারের দ্‌ফা গয়া;-))
  • ranjan roy | 122.168.174.233 | ১৫ মার্চ ২০১১ ২২:২১463162
  • সিকি, ঠিক বলেছ। রূপংকর সরকার।
    নীনা,
    কোলকাতার দেখনসুন্দরীদের মুখে-- শমীকদা কি ভাল! কি দারূণ গায়, একটাতেও লিরিক ভুল হয় না।
    -- আচ্ছা? আবার বইও বেরিয়েছে। হাউ সুইট! আমি কিনবো।
    -- কি মিষ্টি শমীকদা( উফ্‌, যেন গাল চেটে দেখে নিয়েছে)। আপনার ই মেল আইডি দিন।
    -- এই নিন, একটা পার্ক, নিন না,আমার আরও আছে।
    ( হায়, বয়স গিয়াছে। দেহপট সনে নট সকলি হারায়- -- এইসব আপ্তবাক্য জপ করতে লাগলাম।)
    কল্লোল সনাতন দাসকে বল্লো-- তুমি কোলকাতায় স্টেজে ওঠো, নাচো গাও, মেলা পয়সা পাও। তাইলে এখানে দিনের বেলায় ঘরে ঘরে মাধুকরী করে, সোজা কথায় ভিক্ষে চেয়ে বেড়াও কেন? এই ভন্ডামি কেন ?
    সনাতন হাসলেন।- আজকে আছিস তো? রাত্তিরে আয়, কথা বলবো।
    তারপর রাত্তিরে বল্লেন-- সত্যি কথা, আমি নিমন্ত্রণ পেয়ে স্টেজে উঠি, পয়সা পাই, কাগজে ফটুক বেরোয়। আমি খুশি হই, নিজেকে কেউকেটা ভাবি। কিন্তু এতে আমার ভারি গর্ব হয়, অহংকার হয়। উটি ভাল কথা লয়। তাই সক্কালে মাধুকরী করি। দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করি বলি-- আমি অতি অভাজন। আমাকে দুটি অন্ন দাও, আমি খাবো।
    এই ভাবে আমি নিজের অহংকারকে চাবকাই। বশ করি। নম্র হও। নম্র হওয়া বড় দরকার।
    শোন, দুনিয়াতে মানুষের সংখ্যা কত? তাতে আমাদের দেশের লোকজনের সংখ্যা?
    কল্লোল সংখ্যা গুলো বলে।
    -- তাতে গায়ক কয়জন?
    কল্লোল বলে।
    এর মধ্যে তোর-আমার মত এইসব গায় কজন?
    -- ধর, একলক্ষ!
    -- ব্যস্‌, তুই-আমি ওই কোটি কোটি লোকের মাঝে একলক্ষের একজন। আমরা যে সে নই। কিন্তু অহংকার করলে হবেক নাই।
  • kallol | 115.184.56.59 | ১৫ মার্চ ২০১১ ২২:৪১463163
  • ওরে বাউল আর হতে পারলেম কোই। এ জম্মে হবে নাকো। সনাতনের কথা মেনে রোজ তিনজনার কাছে ভিক্ষে করি। চা বিস্কুট, মদ। আগে বিড়ি-সিগ্রেটও চাইতাম। এখন তো ছেড়ে দিয়েছি তাই........। তাইতে মাথা নীচু করতে শিখি। সেও বা সবসময় পারি কি?
    তবে রঞ্জনের সাথে আর শিবাংশুর সাথে দেখা হওয়ারই ছিলো। না হাওয়াটাই আশ্চর্যের হতো। আমাদের আরও দেখাশোনা বাকি আছে। আমি ঠিক জানি।
    নিনিয়ারে - এক এক সময় আসে যখন আগল খুলে যায়। মানুষ তখন ভেসে যায় কলার মান্দাসে। নিজের মৃতদেহ নিজেরই পাহারায় রেখে হাসে কাঁদে গান গায়। সে এক অবাক দিওয়ানাপন। তার কথা ক্যামনে বলি। দেখি নাই দেখি নাই যারে চক্ষে দেখি নাই / পিরীতের কথা তার ক্যামনে শুনাই। যদি কোনদিন দ্যাখা হয়, আর আগল খুলে যায়, তখন কথা হবে, হবেই।
  • ranjan roy | 122.168.174.233 | ১৫ মার্চ ২০১১ ২২:৪৪463164
  • কল্লোল বাউলের গল্প:
    ভূমি ব্যান্ডের সৌমিত্রকে বল্লাম- তোমরা ""চল মিনি আসাম যাবো'' গানটা এভাবে গেয়ো না। এতে আড়কাঠির হাতে চালান হওয়া মিনিদের চা'বাগানে সায়েবদের চামড়া তোলার যন্ত্রণা ফোটেনা। মিনিরা চা' বাগানে পিকনিক করতে যায় নি। ওটা যন্ত্রণার গান।
    আমার ছেলে কোলকাতায় অজয় চক্রবর্তী মশায়ের কাছে গান শেখে। ও টেকনিক্যালি অনেক পারফেক্ট, অনেক এগিয়ে। আমি অশিক্ষিত।
    কিন্তু আমি ওই শোষণ, ওই বঞ্চনা অনেক কাছ থেকে দেখেছি। আমার ছেলে দ্যাখেনি। তাই আমার গানে ওই কমিউনিকেশন যেমন ফুটবে, ওর গানে নয়।
    তারপর কল্লোল গেয়ে দেখান যে ছেলে এটা কেমন করে গাইবে, আর উনি কেমন করে।
    বোঝালেন-- এইখানে আমি ইচ্ছে করে বেসুর লাগিয়েছি, কারণ আর্তনাদে সুর লাগার কথা নয়।
    হরিদাস পালেরা মুগ্‌ধ হয়।
    এবার ভেঙে পড়েন কাব্লিদার বন্ধু নী পা আবেশদা।
    উনি বলেন নিজের চা বাগানের ম্যানেজারি জীবনের যন্ত্রণার কথা।
    মালিক লক আউট করতে বলেছে। উনি তা না করে ওয়ার্ক সাসপেন্সন করলেন।
    মালিককে বল্লেন উকিলকে পয়সা না দিয়ে মজদুরদের বোনাস দিতে। কারণ যদি বাগান বন্ধ না করে এদের দিয়েই উৎপাদন চালু রাখতে হয়, তবে বোনাস দিতে হবে। কামিন দের শরীরে কাপড় নেই। দারিদ্র্যে বয়স বোঝা ভার।কোনরকমে সায়াতুলে বেঁধে লজ্জা ঢাকছে।
    উনি সি আর পি বডিগার্ড- ও অন্যান্য প্রটেকশন নিয়ে চা-বাগানে গেলেন নেগোশিয়েট করতে। খোলা মাঠে দাঁড়ালেন যাতে পেছন থেকে কেউ হামলা না করে। ওদের চোখে উনিই মালিক; সব অপকর্মের দোষী।
    অমনি এক বুড়ি এসে বল্লো-- তুই কেন রোদ্দূরে দাঁড়িয়ে? এখানে এই গাছের ছায়ায় বোস। তোকে কেউ মারবে না।
    বুকের ভেতর জমে থাকা কান্নাটা আবেশ কল্লোলের গান শুনে এতদিন পরে কাঁদলেন। হরিদাস পাল কাঁদলো নিজের সব পরাজয়-অপমানের কান্না ওই চা-বাগানের হরতালী কুলিকামিনদের ব্যথার সঙ্গে মিশিয়ে।
    বিশ্বাস করুন, এই সামুহিক গঙ্গাবতরণের পালায় ভোদকা-হুইস্কির ভূমিকা ছিল যৎসামান্য, শুধু প্রারম্ভিক জড়তা টুকু কাটা অব্দি।
    ( আমার কথাটি ফুরোলো)।
  • siki | 122.162.75.48 | ১৫ মার্চ ২০১১ ২৩:১৯463165
  • সনাতন দাস বাউলের গপ্পোটা আমায় কল্লোলদা বলেছিল অনেকদিন আগে, প্রগতি ময়দানের এক জমজমাট ভিড়ের মধ্যে। তখন কল্লোলদা দিল্লি ছিল। লাইনগুলো এখনো হুবহু মনে আছে। ভুলি নি।

    -- বল্‌ তো, এই পৃথিবীতে কত লোক আছে?
    -- বা রে। সে কি গোনা যায় নাকি?
    --তা-ও বল্‌। আন্দাজে বল।
    -- তা হবে, কোটি কোটি কোটি কোটি ...
    --তার মধ্যে আমাদের দেশে কত লোক আছে?
    -- সে তো শুনেছি একশো কোটি ছড়িয়ে গেছে।
    -- এবার বল দেখি, আমাদের দেশের সেই একশো কোটি লোকের মধ্যে কত লোক গান গাইতে পারে?
    -- সে তো পারেই কয়েক কোটি মানুষ!
    আর সেই কয়েক কোটি গান গাওয়া মানুষের মধ্যে কতগুলো মানুষ, সবার সামনে স্টেজে উঠে গান গাইবার সুযোগ পায়? কতগুলো মানুষের গান লোকে দল বেঁধে শুনতে যায় আখড়ায়, অনুষ্ঠানে?
    --সে হবে, কয়েক হাজার!
    --তা হলে এই পৃথিবীর কোটি কোটি কোটি কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র কয়েক হাজার মানুষের এই অধিকার রয়েছে। তুই আমি তাদের মধ্যে একজন দুজন। ... এটা ভেবে তোর মনে অহংকার হচ্ছে না?
    -- তা ঠিকই বলেছো। অহংকার তো হচ্ছেই।

    --অ্যায়, ঐ অহংকারটাই আমাদের শেষ করে। প্রতিদিন। মনের মধ্যে কখনো অহংকারটা পুষে রাখতে দিবি না। আমার মনেও খুব অহংকার হয়, ভালো গাই বলে, লোকে পয়সা দিয়ে টিকিট কেটে আমার গান শুনতে আসে বলে। আর তখনই আমি নিজেকে নিচু করি। প্রতিদিন কারুর না কারুর কাছে মাথা নিচু করে ভিক্ষে চাই। আমার অহং আমি নিজেই ভেঙে চুরমার করি।
  • siki | 122.162.75.48 | ১৫ মার্চ ২০১১ ২৩:২৫463166
  • তবে সবচেয়ে বড় পাওনা হল ঐ একদল কচিকাঁচা ছেলেমেয়েগুলো। একেকটা কী গুণের, কী গুণের, কী বলব! কেউ ফিলাটেলিস্ট তো কেউ নিউম্যাটোলজিস্ট, কেউ টিভিতে নিয়মিত গিটার বাজিয়ে গান গায় তো কেউ মাউথ অর্গান বজায় চমৎকার, কেউ অরিগামি করে অপূর্ব তো কেউ স্কাই ওয়াচার। কেউ দারুণ কত্থক নাচে, তো কেউ সিরিয়ালে অভিনয় করে। কেউ বয়ফ্রেন্ডের সাথে রোজ রাতে তুলকালাম ঝগড়া করে ফোনে, তো কেউ চোখের জল ফেলে তার পছন্দের মাড়োয়াড়ি ছেলেটাকে মা-বাবা মেনে নিচ্ছে না বলে।

    মোটমাট, দু রাত ঘুমোই নি। শুধু গল্প ভাট আর গান। দুদিনের জন্য আবার সেই হস্টেলজীবনটা ফিরে পেলাম যেন। বয়েস কমে গেছে এক ধাক্কায় বারো বছর।
  • bhabuk | 198.80.144.187 | ১৫ মার্চ ২০১১ ২৩:৩৫463167
  • আচ্ছা কল্লোল-দা যে টিভি শো তে গান গাইলেন - তার anchor কি সায়ন মুন্সী ছিলো? e-TV তে কোন শো এটি?
  • Nina | 64.56.33.254 | ১৫ মার্চ ২০১১ ২৩:৩৬463168
  • ওহ! আমার সব্বার লেখা পড়েই বয়স কমে গেল---আমার জন্মদিনের বেস্ট গিফ্‌ট ! আজকেই এই সব অপূর্ব্ব অভিজ্ঞতার অপূর্ব্ব পরিবেশন---এ একেবারে ওয়ান ইন অ্যা মিলিয়ান ভাট !
  • kumu | 122.162.247.170 | ১৫ মার্চ ২০১১ ২৩:৪৬463169
  • কল্লোলদা,মাথা নীচু করতে শেখেন?কে?আপনি?নিজের মাথাই তো?আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে?
    সবগুলোর উত্তর হ্যাঁ হলে বলব,গুঁড়িয়ে যাবেন তো!
    এখন নিজের মাথা উঁচু রাখা ও অন্যের মাথা টেনে নামানোর সময়।
  • ranjan roy | 122.168.174.233 | ১৫ মার্চ ২০১১ ২৩:৪৭463171
  • ভাবুক,
    এটি বাংলা ই-টিভির এট্টু অন্যরকম কুইজ শো-- নাম "" হাই টেনশন''। অ্যাংকর--- সায়ন মুন্‌শী।
    এটি প্রথমে ই-মারাঠিতে হয়েছিল। অ্যাংকর-- অতুল কুলকার্ণী।
    তাই বাংলাতে করার কথা হল। এর ক্রিয়েটিভ ডায়রেক্টর-- আমাদের শুরুর এক মহাগুরু-- সুমেরু মুখোপাধ্যায়।
    এটি সম্ভবত: আগামী এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে টেলিকাস্ট হবে। সময়/তারিখ সুমেরু যথাসময়ে এইপাতায় জানিয়ে দেবেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন